বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় খবর হচ্ছে আফগানিস্তানে তালেবানদের সফলতা।ইতিমধ্যে পুরো বিশ্বের মধ্যেই এর প্রভাব বিস্তার করেছে।তবে বাংলাদেশের পেক্ষাপট লক্ষ করলে দেখা যায় হলুদ মিডিয়া গুলো উপচে পড়েছে নানা ইমান বিদ্ধংসী প্রোপাগান্ডা নিয়ে।তাদের কাজ-কর্ম,কথা,শ্রম,মেধা,অর্থ সবকিছু ব্যয় করছে এসব প্রোপান্ডা গুলো জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে।জনগনের মধ্যে তালেবান বিরোধী প্রচারণা ও বাংলাদেশের মুজাহিদদের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণ করাই এখন তাদের মূল লক্ষ।
কিছুদিন আগে jamuna tv কর্তৃক প্রকাশিত হয় মারাত্মক এক প্রতিবেদন।যেখানে বলা হয় বর্তমান সময়ে প্রায় অর্ধশত সাইট এর মাধ্যমে জঙ্গি সংঘটন গুলো তাদের কর্ম কান্ড চালাচ্ছে।
এর উদাহরণ হিসেবে তারা সরাসরি gazwah.net সাইটি উপস্থাপন করে এবং কৌশলে সাধারণ মানুষের সামনে তা উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী সাইট বলে আখ্যায়িত করে এবং সেখানে বলা হয় তাদের অনুসন্ধান মতে এটি পরিচালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক আল-কায়েদা কর্তৃক।তবে এখানে চরমপন্থী ও সালাফিবাদী সংঘটন বলেও আখ্যায়িত করে।
পাশাপাশি পুরো প্রতিবেদন এ নানা ভাষা ব্যবহার করে মুজাহিদীনদের কর্মকান্ডকে ভুল ও অন্যায় আখ্যায়িত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এই প্রকাশিত প্রতিবেদনটি jamuna অনুসন্ধান টিম কর্তৃক তৈরি করা হয় এবং এর তিনটি পর্ব থেকে প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়।বাকি পর্ব গুলো এখনও প্রকাশিত হয়নি।
তাদের মতে বেশি বেশি উগ্রবাদ প্রচারণার মাধ্যমে এসব ধমন করা সম্ভব।
তাদের এমনও কিছু প্রতিবেদন ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে যার দ্বারা সহযেই সাধারণ মানুষ তালিবানদের নিয়ে ধোঁকায় পতিত হবে আর হচ্ছেও।
তাদের এসব মুখের কথা ধারা তারা ইসলামকে নির্মুল করতে চায়।কিন্তু এতে তারা কোনো ভাবেই সফল হবে না।
তাদের উদ্দেশ্য করেই আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
[৬১:৮] আস সাফ
يُريدونَ لِيُطفِئوا نورَ اللَّهِ بِأَفواهِهِم وَاللَّهُ مُتِمُّ نورِهِ وَلَو كَرِهَ الكافِرونَ
তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণতাদানকারী। যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে।
বর্তমান সময়ে শুধু মিডিয়া নয় নানা লেখক,মন্ত্রী,চিন্তাবিদ,সাংবাদিক তাদের লেখা ও মন্তব্য দ্বারা তালেবানদের বিরুদ্ধে তাদের মত প্রকাশ করছে পাশাপাশি বাংলাদেশের পেক্ষাপট উল্লেখ করছে।
নিচে তাদের কর্তৃক করা কিছু মন্তব্য তুলে ধরা হলোঃ
নাট্যকর্মী ও সাংবাদিক পাভেল রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে, একটি বিমানের ভিতরের দৃশ্য।দেশ ছেড়ে জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছে। আহা! জীবন। রাজনীতি পুরো বিশ্বেই এখন বুর্জোয়াদের দখলে, পুঁজিপতিদের হাতে। রাজনীতি যখন অসুস্থ হয়, তখন দেশ ভালো থাকে না। নিজের দেশ ছেড়ে পালানোর মতো এমন দুর্ভাগ্য কারও না হোক। ক্ষমতার জন্য রাজনীতি নয়, মানুষের জন্য রাজনীতি হোক। প্রিয় বাংলাদেশ, শিক্ষা নাও; ভালো থেকো।’
সিরাজুল এহসান এই প্রসঙ্গ নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন যে তালেবান বা জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকার বিকল্প আছে কি?
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক থাকলেও দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কোন ধরণের সম্পর্ক নেই। নেই কোন ব্যবসায়ী সম্পর্কও। তাহলে আমরা কেনো এসব বিষয়ে নিয়ে হৈচৈ করবো। অনেকে দেশের বাইরে কিংবা দেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক কিছু লেখালেখি করছেন। পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। আমি বলবো আমাদের যেহেতু এদেশটির সঙ্গে কোন স্বার্থ জড়িত নয় সুতরাং এ বিষয়ে চুপ থাকাটাই উত্তম।’
কতো সুন্দর করে তারা সাধারণ জনগণের সামনে অপপ্রচার করছে এবং তাদের নেতাদের গুনগান গাচ্ছে।কেউ আবার নিজেদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করছে।এই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা।যেন ফেতনায় ভরপুর।
এমন হাজারো মন্তব্যে ভরে গেছে সোস্যাল মিডিয়া।প্রতিনিয়ত ধোকায় পড়ছে হাজারো মানুষ।অনেকের ইমান আজ হুমকির মুখে।
পরিশেষে বলব,এসব অপপ্রচার ও মন্তব্য আসতেই থাকবে তবে এসব থেকে বেঁচে কি করে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারি সেটাই বড় বিষয়।
এসব হাজারো নিন্দুক তাদের তৈরি নিন্দা আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিবে তবে তাতে থেমে গেলে চলবে না।পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে এ বিষয়ে যথা সাধ্য সতর্ক করার চেষ্টা করা তবে নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে জিহাদের ময়দানে কবুল করুক এবং তাদের এসোব কর্মকান্ড থেকে মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুক আমীন ইয়া রব্বাল আল আমীন।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আপনাদের নেক দোয়ায় এই গুনাহগার ভাইকে একটু স্বরণ করবেন।
কিছুদিন আগে jamuna tv কর্তৃক প্রকাশিত হয় মারাত্মক এক প্রতিবেদন।যেখানে বলা হয় বর্তমান সময়ে প্রায় অর্ধশত সাইট এর মাধ্যমে জঙ্গি সংঘটন গুলো তাদের কর্ম কান্ড চালাচ্ছে।
এর উদাহরণ হিসেবে তারা সরাসরি gazwah.net সাইটি উপস্থাপন করে এবং কৌশলে সাধারণ মানুষের সামনে তা উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী সাইট বলে আখ্যায়িত করে এবং সেখানে বলা হয় তাদের অনুসন্ধান মতে এটি পরিচালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক আল-কায়েদা কর্তৃক।তবে এখানে চরমপন্থী ও সালাফিবাদী সংঘটন বলেও আখ্যায়িত করে।
পাশাপাশি পুরো প্রতিবেদন এ নানা ভাষা ব্যবহার করে মুজাহিদীনদের কর্মকান্ডকে ভুল ও অন্যায় আখ্যায়িত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এই প্রকাশিত প্রতিবেদনটি jamuna অনুসন্ধান টিম কর্তৃক তৈরি করা হয় এবং এর তিনটি পর্ব থেকে প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়।বাকি পর্ব গুলো এখনও প্রকাশিত হয়নি।
তাদের মতে বেশি বেশি উগ্রবাদ প্রচারণার মাধ্যমে এসব ধমন করা সম্ভব।
তাদের এমনও কিছু প্রতিবেদন ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে যার দ্বারা সহযেই সাধারণ মানুষ তালিবানদের নিয়ে ধোঁকায় পতিত হবে আর হচ্ছেও।
তাদের এসব মুখের কথা ধারা তারা ইসলামকে নির্মুল করতে চায়।কিন্তু এতে তারা কোনো ভাবেই সফল হবে না।
তাদের উদ্দেশ্য করেই আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
[৬১:৮] আস সাফ
يُريدونَ لِيُطفِئوا نورَ اللَّهِ بِأَفواهِهِم وَاللَّهُ مُتِمُّ نورِهِ وَلَو كَرِهَ الكافِرونَ
তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণতাদানকারী। যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে।
বর্তমান সময়ে শুধু মিডিয়া নয় নানা লেখক,মন্ত্রী,চিন্তাবিদ,সাংবাদিক তাদের লেখা ও মন্তব্য দ্বারা তালেবানদের বিরুদ্ধে তাদের মত প্রকাশ করছে পাশাপাশি বাংলাদেশের পেক্ষাপট উল্লেখ করছে।
নিচে তাদের কর্তৃক করা কিছু মন্তব্য তুলে ধরা হলোঃ
নাট্যকর্মী ও সাংবাদিক পাভেল রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে, একটি বিমানের ভিতরের দৃশ্য।দেশ ছেড়ে জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছে। আহা! জীবন। রাজনীতি পুরো বিশ্বেই এখন বুর্জোয়াদের দখলে, পুঁজিপতিদের হাতে। রাজনীতি যখন অসুস্থ হয়, তখন দেশ ভালো থাকে না। নিজের দেশ ছেড়ে পালানোর মতো এমন দুর্ভাগ্য কারও না হোক। ক্ষমতার জন্য রাজনীতি নয়, মানুষের জন্য রাজনীতি হোক। প্রিয় বাংলাদেশ, শিক্ষা নাও; ভালো থেকো।’
সিরাজুল এহসান এই প্রসঙ্গ নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন যে তালেবান বা জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকার বিকল্প আছে কি?
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক থাকলেও দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কোন ধরণের সম্পর্ক নেই। নেই কোন ব্যবসায়ী সম্পর্কও। তাহলে আমরা কেনো এসব বিষয়ে নিয়ে হৈচৈ করবো। অনেকে দেশের বাইরে কিংবা দেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক কিছু লেখালেখি করছেন। পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। আমি বলবো আমাদের যেহেতু এদেশটির সঙ্গে কোন স্বার্থ জড়িত নয় সুতরাং এ বিষয়ে চুপ থাকাটাই উত্তম।’
কতো সুন্দর করে তারা সাধারণ জনগণের সামনে অপপ্রচার করছে এবং তাদের নেতাদের গুনগান গাচ্ছে।কেউ আবার নিজেদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করছে।এই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা।যেন ফেতনায় ভরপুর।
এমন হাজারো মন্তব্যে ভরে গেছে সোস্যাল মিডিয়া।প্রতিনিয়ত ধোকায় পড়ছে হাজারো মানুষ।অনেকের ইমান আজ হুমকির মুখে।
পরিশেষে বলব,এসব অপপ্রচার ও মন্তব্য আসতেই থাকবে তবে এসব থেকে বেঁচে কি করে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারি সেটাই বড় বিষয়।
এসব হাজারো নিন্দুক তাদের তৈরি নিন্দা আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিবে তবে তাতে থেমে গেলে চলবে না।পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে এ বিষয়ে যথা সাধ্য সতর্ক করার চেষ্টা করা তবে নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে জিহাদের ময়দানে কবুল করুক এবং তাদের এসোব কর্মকান্ড থেকে মুসলিম উম্মাহকে হেফাজত করুক আমীন ইয়া রব্বাল আল আমীন।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আপনাদের নেক দোয়ায় এই গুনাহগার ভাইকে একটু স্বরণ করবেন।
Comment