মালাউনদের বর্জন করুন
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، أما بعد:
এক. الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، أما بعد:
বাংলাদেশে হিন্দুরা পূর্ণ নিরাপত্তা ও শান্তির সাথে বসবাস করছে। মুসলিমরা তাদের কিছুই বলে না। তাদের ব্যবসা বাণিজ্য সবই স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। তাদের ঘর-বাড়িগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ। এতো শান্তিতে থাকার পরও তারা প্রতিনিয়ত মুসলিমদেরকে আঘাত করে যাচ্ছে। ইসলাম, মুসলমান, কোরআন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে তারা কুরুচি পূর্ণ বক্তব্য ও অশালীন আচরণ করছে।
দুই.
হে মুসলিম! আপনি যতই তার সাথে ভালো ব্যবহার করেন না কেন। সে আপনাকে কষ্ট দিতেই থাকবে। সে আপনার দ্বীন সম্পর্কে বিষোদগার করেই যাবে। কারণ, তাদের রক্তে মাংসে শত্রুতা মিশে আছে। মহান প্রভু ইরশাদ করেন,
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِلَّذِينَ آمَنُوا الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا . (سورة المائدة:82)
নিশ্চয় আপনি মানুষের মধ্যে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু পাবেন ইহুদী ও মুশরিকদেরকে –সুরা মায়িদা: ৮২
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মক্কায় কষ্ট দিয়েছে মুশরিকরা। মদিনায় কষ্ট দিয়েছে ইহুদিরা। মুশরিক ও ইহুদি উভয়েই তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে।
বদর, উহুদ, খন্দক সহ আরো অনেক যুদ্ধ মুশরিকদের বিরুদ্ধে করতে হয়েছে। তারা আমাদের আজন্ম শত্রু। তালেবানদের বিজয়ে তারাই সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে এবং তালেবানদের বিরুদ্ধে তারাই সবচেয়ে বেশি মিথ্যাগুজব রটিয়েছে।
তিন.
সম্প্রতি কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় সরকার স্পষ্ট ভাবেই মালাউনদের পক্ষ নিয়েছে। মুসলিমদের বুকে গুলি চালিয়েছে। ভোলার ঘটনায়-ও তো সে একই কাজ করেছে। পক্ষ না নিয়েই তার কি উপায়? মুখ্যমন্ত্রী কি কেন্দ্রীয় সরকারের খেলাফ করতে পারে? ইতিমধ্যেই সে নিজেকে ভারতের নিমকহালাল বলে প্রমাণ করতে পেরেছে।
উবাইদুল কাদের বলেছে, “যারা মন্দিরে হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু”। সে কিন্তু যারা কুরআন অবমাননা করেছে তাদের কিছু বলেনি। বলবেও না। দাদাবাবুদের সে ভালো করে চিনে। তাদের মতের খেলাপ হলে তার মসনদ তছনছ করে দিবে মূহুর্তে। আসলে আওয়ামী লীগ সরকার দাদাবাবুদের দয়া ও ইহসানের বদৌলতে টিকে আছে। নুন খেলে তো গুন গেতেই হয়!
চার.
এ ঘটনাগুলোর ঘটার পর আমরা কয়েকদিন মিছিল-মিটিং করে আবার থেমে যাই। এ বিষয়ে আমাদের একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দরকার। মালাউনদের বিরুদ্ধে গাজওয়াতুল হিন্দ তো হবে ইনশাআল্লাহ। তার জন্য আমরা যথাসাধ্য প্রস্তুতি নিতে থাকবো ইনশাআল্লাহ। এখন যেহেতু আমরা দুর্বল অপর দিকে সরকার ওদের পক্ষে। আমরা অন্তত এতটুকু করতে পারি, আমরা কখনোই কোনো হিন্দুর দোকান থেকে কোনো পণ্য কিনবো না। একান্ত প্রয়োজন হলেও না। তাদের সাথে কোনো ব্যবসা করবো না। খেয়াল করলে অবশ্যই দেখতে পাবেন, কোনো হিন্দু পারতপক্ষে কোনো মুসলমানের দোকান থেকে কিছু কিনে না।
তাই আসুন! তাদের দোকান থেকে পণ্য কিনা বর্জন করি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তৌফিক দান করুন। আমিন।
Comment