Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাংলার জমিনে হিন্দুত্ববাদের নোংরা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আকাশ-বাতাসকে ভারি করে তুলেছে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাংলার জমিনে হিন্দুত্ববাদের নোংরা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আকাশ-বাতাসকে ভারি করে তুলেছে



    বাংলার জমিনে হিন্দুত্ববাদের নোংরা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আকাশ-বাতাসকে ভারি করে তুলেছে

    বাংলাদেশ স্বাধীনের অনেক আগে থেকেই ভারতীয় হিন্দুত্ব-বাদীদের এদেশের উপর লোলুপ দৃষ্টি ছিল। নাপাক হিন্দুত্ব-বাদী মুশরিকরা খুব ভালো করেই আঁচ করতে পারে যে যতদিন পর্যন্ত তারা পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা করতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত তারা বর্তমান বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। এরই অংশ হিসেবে তারা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশকে নামমাত্র মূল্যে সাহায্য করেছিল। যদিও স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের কোন উদ্দেশ্যই তাদের ছিল না। বরং নিজেদের প্রভাব বলয়ে রাখার জন্যই তারা পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিছিন্ন করেছিল। আর এ কাজে তারা বেশ সফলতাও লাভ করেছে। তার বাস্তব নমুনা এখন আপনারা নিজেদের সামনে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন। যাইহোক বাংলাদেশে হিন্দুত্ব-বাদী ভারতের আগ্রাসনের সকল দিক একেবারে একই পর্বে তুলে ধরা সম্ভব না। তাই বর্ণনার সুবিধার্থে বাংলাদেশে হিন্দুত্ব-বাদী ভারতের আগ্রাসনের সকল দিক ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরলে সকলের বুঝতে সুবিধা হবে ইনশা আল্লাহ্। আজকের এই পর্বে বাংলাদেশে হিন্দুত্ব-বাদী ভারতের নোংরা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ্। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে হিন্দুত্ব-বাদী ভারত এদেশে তার নোংরা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানোর জন্য একটা দীর্ঘ সময় পেয়েছে। এই সুযোগেই বাংলাদেশে ভারত তার অশ্লীল শিল্প-সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। প্রথমদিকে বাংলাদেশে তারা বিভিন্ন হিন্দুয়ানি প্রথার অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বাংলাদেশের মুসলিমদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। এরই অংশ হিসেবে অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরবর্তীকালে তারা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক মুসলিম ভূখণ্ডে অশ্লীলতার প্রচার-প্রসার ঘটিয়েছে। ভারতীয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও মিউজিক ভিডিও চ্যানেলই তার বাস্তব উদাহরণ। এসব ভারতীয় নোংরা টিভি চ্যানেল ও মিউজিক ভিডিও চ্যানেলে পুরো বাংলাদেশ সয়লাব হয়ে গেছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা বাকি নেই যেখানে ভারতীয় নোংরা টিভি চ্যানেল ও মিউজিক ভিডিও চ্যানেলে হিন্দুত্ব-বাদী নাপাক মুশরিকদের অশ্লীল অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় না। আর বাংলাদেশের জালিম সরকার হিন্দুত্ব-বাদী ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের পথকে আরও সহজতর করে দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও হিন্দুত্ব-বাদী ভারতের মত ঠিক অনুরূপ পথ ধরেই হাটছে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হল বাংলাদেশের অবুঝ মুসলিমরা ভারতের এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে নিরবে মাথা পেতে মেনে নিয়েছে। বরং এদেশের অবুঝ মুসলিমরাই ভারতের আগ্রাসনের এই পথকে সহজতর করে দিয়েছে।

    যদি এদেশের মুসলিমরা ভারতের আগ্রাসনকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখান করতো তবে ভারত কখনই এত সাহস পেত না। যদি এদেশের মুসলিমরা ভারতের নোংরা কুরুচিপূর্ণ টিভি চ্যানেলগুলো না দেখতো তবে ভারত কখনই এত সুবিধা করতে পারতো না। তাই একথা বলাই যায় যে বাংলাদেশে ভারতের অশ্লীল সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের পিছনে বাংলাদেশের জনগণের নিরব সমর্থন রয়েছে।

    যাইহোক দেরিতে হলেও বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ ভারতের আসল চেহারা চিনতে পারছে। এ দেশের জনসাধারণ এখন হারে হারে টের পাচ্ছে যে ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র না, বরং ভারত আমাদের নিকটতম আগ্রাসী শত্রু। সাপ যেমন খোলস পালটিয়ে নতুম রূপে আর্বিভূত হয়, ঠিক তেমনি হিন্দুত্ব-বাদী ভারত ও ধীরে ধীরে আসল চেহারা নিয়ে আর্বিভূত হচ্ছে, যেমনটা আফগানের মাটিতে আমেরিকার ক্ষেত্রে হয়েছিল।

    সারকথাঃ

    আমাদের সবসময় একটি কথা মনে রাখাতে হবে যে হিন্দুত্ব-বাদী ভারত যা করছে তা নিজেদের স্বার্থেই করছে, বাংলাদেশের স্বার্থে একবিন্দুও কোনোকিছু করছে না। তাই ভারতের নোংরা কুরুচিপূর্ণ সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে রুখে দিতে হলে তাদের সবধরনের আগ্রাসনের পথকে বন্ধ করতে হবে। তাই আজ থেকেই সবধরনের ভারতীয় অশ্লীল টিভি চ্যানেলকে না বলুন। ভারতীয় অশ্লীল টিভি চ্যানেলগুলো দেখা তো দূরের কথা তার ধারে কাছে যাওয়া থেকে নিজে বিরত থাকার চেষ্টা করুন এবং অন্যকেও বিরত থাকতে উৎসাহিত করুন। দেখবেন আসতে আসতে আগ্রাসনের পথগুলো দুর্বল হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ্। পরিশেষে আল্লাহ্ তা’আলার কাছে দোয়া করি, তিনি যেন সবধরনের ভারতীয় আগ্রাসনের হাত থেকে এ দেশের শান্তিপ্রিয় মুসলিমদের হেফাজত করেন। আমিন

  • #2
    মাশা-আল্লাহ,, ভাইজান, সিরিজটি ধারাবাহিক থাকুক। ভাইজান,, টিভি চ্যানেলের সাথে-সাথে ভারতের ইউটিউব চ্যানেলগুলোও এদেশের মুসলিমরা বর্জন করতে হবে। ভারত যে এদেশের বন্ধু নয় বরং শত্রু, তা এখন লীগের লোকজনও বুঝতে পারছে! ভারতের সব ধরনের ব্যবসায়ীক পণ্যও এদেশের মুসলিমরা বর্জন করা উচিত, আর এই বর্জন করাটা সময়ের অপরিহার্য দাবীও। কেননা ভারতকে সব দিক দিয়ে দুর্বল করা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও দাবী। ভারতের বিশাল সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধের আগে তাদের ঘরেই তাদেরকে পরাস্ত করতে হবে। আল্লাহ! আপনি এদেশের মুসলিমদের সঠিক বুঝ দান করুন, আমীন।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

    Comment

    Working...
    X