আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
আমার প্রিয় ভাইয়েরা,
আজ একটা বিষয় আপনাদের সাথে share করতে চাই, যেটি সম্বন্ধে আমার পূর্বে তেমন কোন idea ছিল না। ভাবলাম বিষয়টা হয়তবা আপনাদের চিন্তার খোরাক হতে পারে। বিষয়টি হলঃ "SOFA" (আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতির এক গুরুত্বপূর্ন একটি অধ্যায়), যার ব্যাপারে আমেরিকা এবং চুক্তিতে আবদ্ধ দেশটির জনসাধারণকে পরিকল্পিতভাবে অন্ধকারে রাখা হয়। ঠিক তেমনি আমরাও (বাংলাদেশের মানুষ, যার বেশিরভাগই সন্ত্রাসী-অর্থাৎ-মুসলিম) হয়ত এই বিষয়ে অন্ধকারে আছি।
আর এভাবেই আমেরিকা তার প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করে আছে বাংলাদেশের উপর, যা বেশিরভাগ মানুষই জানে না বা বুঝে না। এই শর্তগুলো জানার পর কি আর কারো ভাবার অবকাশ আছে যে, বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র? বরং বাংলাদেশতো তার সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে আমেরিকার একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়ে আছে অর্থাৎ কাফির রাষ্ট্র। আল্লাহই ভালো জানেন।
তাহলে চিন্তা করে দেখুন, আপনাদের* শাষকরা (যারা আপনাদেরকে আমেরিকার কাছে বিক্রি করে রেখেছে দুনিয়ার অর্থ সম্পদ লাভের বিনিময়ে তারা) কি মুসলিম নাকি মুরতাদ?
* সেই ভাইদের বলছি, যারা এই দেশের শাষকদের স্পষ্ট কুফরী (মদের লাইসেন্স দেয়া, পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স দেয়া, নিরপরাধ মুসলিমদের গণহারে হত্যা করা, চোরের শাস্তিসহ আল্লাহর দেয়া বিভিন্ন বিধানের বিপরীতে বিধান তৈরী ও বাস্তবায়ন করা, কাফেরদের বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা ইত্যাদি) হেতু তাদের মুসলিম ভাবেন ও তাদের আনুগত্য করতে বলেন এবং তাদের স্পষ্ট কুফরীকে তাদের অনিচ্ছাকৃত অপারগতা বলে সাব্যস্ত করতে চান।
SOFA চুক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত পড়ুনঃ প্রসঙ্গ অ্যামেরিকার ‘সোফা’ চুক্তি এবং জাতীয় মেরুদণ্ড প্রশ্নে বাংলাদেশ
আমার ভুল-ত্রুটির জন্য সকলের ক্ষমা প্রার্থী।
আমাকে আপনাদের দোয়ায় স্বরণ রাখবেন, ইংশাআল্লাহ।
জাযাকাল্লাহ
আমার প্রিয় ভাইয়েরা,
আজ একটা বিষয় আপনাদের সাথে share করতে চাই, যেটি সম্বন্ধে আমার পূর্বে তেমন কোন idea ছিল না। ভাবলাম বিষয়টা হয়তবা আপনাদের চিন্তার খোরাক হতে পারে। বিষয়টি হলঃ "SOFA" (আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতির এক গুরুত্বপূর্ন একটি অধ্যায়), যার ব্যাপারে আমেরিকা এবং চুক্তিতে আবদ্ধ দেশটির জনসাধারণকে পরিকল্পিতভাবে অন্ধকারে রাখা হয়। ঠিক তেমনি আমরাও (বাংলাদেশের মানুষ, যার বেশিরভাগই সন্ত্রাসী-অর্থাৎ-মুসলিম) হয়ত এই বিষয়ে অন্ধকারে আছি।
চুক্তির ধারাগুলো নিম্নরুপঃ
১. ‘জরুরী প্রয়োজনে’ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর বিনা বাধায় প্রবেশ পারবে
২. আমেরিকান সামরিক কর্মকর্তারা এদেশের পাসপোর্ট ও ভিসা-নীতির উর্ধ্বে থাকবে
৩. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যেকোন ধরনের সরঞ্জাম (যুদ্ধাস্ত্র বা সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার্য যন্ত্রাদি) কাস্টমস ছাড়াই বিনা বাধায় প্রবেশ এবং পরিবহনের পূর্ন অধিকার থাকবে।
৪. প্রশিক্ষন ও মহড়ার জন্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আমেরিকান সৈন্যদের স্বশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশের অধিকার থাকবে।
৫. প্রশিক্ষন ও মহড়া চলাকালীন সময়ে তাদের দ্বারা রাষ্ট্রের কোন ক্ষতি হলে তার কোনো দায়ভার তারা বহনে বাধ্য থাকবে না।
৬. বাংলাদেশে অবস্থানরত সামরিক সদস্যদেরকে দেশের আইন ব্যবস্থার ঊর্ধ্বে রাখা।
৭. অন্য কোন দেশে কোন অপরাধ সংঘটন করে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর কেউ যদি বাংলাদেশে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চায় তাহলে তা দিতে হবে এবং তাকে সে দেশের কাছে হস্তান্তর করা যাবে না।
৮. দেশের যে কোন স্থাপনাসমূহে আমেরিকান সামরিক কর্মকর্তাদের বিনা বাধায় প্রবেশাধিকার থাকতে হবে।
৯. এদেশের যে কোন নাগরিকের পেছনে গোয়েন্দাগিরী, তাকে গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদ, এমনকি তাকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার অধিকার থাকবে আমেরিকার সামরিক কর্মকর্তাদের।
১. ‘জরুরী প্রয়োজনে’ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর বিনা বাধায় প্রবেশ পারবে
২. আমেরিকান সামরিক কর্মকর্তারা এদেশের পাসপোর্ট ও ভিসা-নীতির উর্ধ্বে থাকবে
৩. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যেকোন ধরনের সরঞ্জাম (যুদ্ধাস্ত্র বা সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহার্য যন্ত্রাদি) কাস্টমস ছাড়াই বিনা বাধায় প্রবেশ এবং পরিবহনের পূর্ন অধিকার থাকবে।
৪. প্রশিক্ষন ও মহড়ার জন্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আমেরিকান সৈন্যদের স্বশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশের অধিকার থাকবে।
৫. প্রশিক্ষন ও মহড়া চলাকালীন সময়ে তাদের দ্বারা রাষ্ট্রের কোন ক্ষতি হলে তার কোনো দায়ভার তারা বহনে বাধ্য থাকবে না।
৬. বাংলাদেশে অবস্থানরত সামরিক সদস্যদেরকে দেশের আইন ব্যবস্থার ঊর্ধ্বে রাখা।
৭. অন্য কোন দেশে কোন অপরাধ সংঘটন করে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর কেউ যদি বাংলাদেশে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চায় তাহলে তা দিতে হবে এবং তাকে সে দেশের কাছে হস্তান্তর করা যাবে না।
৮. দেশের যে কোন স্থাপনাসমূহে আমেরিকান সামরিক কর্মকর্তাদের বিনা বাধায় প্রবেশাধিকার থাকতে হবে।
৯. এদেশের যে কোন নাগরিকের পেছনে গোয়েন্দাগিরী, তাকে গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদ, এমনকি তাকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার অধিকার থাকবে আমেরিকার সামরিক কর্মকর্তাদের।
তাহলে চিন্তা করে দেখুন, আপনাদের* শাষকরা (যারা আপনাদেরকে আমেরিকার কাছে বিক্রি করে রেখেছে দুনিয়ার অর্থ সম্পদ লাভের বিনিময়ে তারা) কি মুসলিম নাকি মুরতাদ?
* সেই ভাইদের বলছি, যারা এই দেশের শাষকদের স্পষ্ট কুফরী (মদের লাইসেন্স দেয়া, পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স দেয়া, নিরপরাধ মুসলিমদের গণহারে হত্যা করা, চোরের শাস্তিসহ আল্লাহর দেয়া বিভিন্ন বিধানের বিপরীতে বিধান তৈরী ও বাস্তবায়ন করা, কাফেরদের বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা ইত্যাদি) হেতু তাদের মুসলিম ভাবেন ও তাদের আনুগত্য করতে বলেন এবং তাদের স্পষ্ট কুফরীকে তাদের অনিচ্ছাকৃত অপারগতা বলে সাব্যস্ত করতে চান।
SOFA চুক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত পড়ুনঃ প্রসঙ্গ অ্যামেরিকার ‘সোফা’ চুক্তি এবং জাতীয় মেরুদণ্ড প্রশ্নে বাংলাদেশ
আমার ভুল-ত্রুটির জন্য সকলের ক্ষমা প্রার্থী।
আমাকে আপনাদের দোয়ায় স্বরণ রাখবেন, ইংশাআল্লাহ।
জাযাকাল্লাহ
Comment