“তানযিমুদ দাওলাহ” এর ব্যাপারে মুজাহিদ নের্তৃবৃন্ধ, আল-কায়েদা এবং সালাফী জিহাদী আন্দোলনের উলামা-মাশায়েখগনের বক্তব্যঃ-
(১) মুহাদ্দিস শায়খ সুলাইমান আল-উলওয়ান বলেনঃ দাওলাহর অধিকার নেই যে তারা কোনো এলাকায় অভিযান চালিয়ে তা দখল করবে। আর যারা বলেন, হয় তোমরা বের হও নতুবা হত্যা কর, হয় তোমরা বাইয়াহ দাও নতুবা লড়াই করবো... ইত্যাদি, এগুলো সঠিক নয়। কেননা দাওলার জন্যে বাইয়াতে আম(ব্যাপক) নয়। আম বাইয়াহের শর্ত হচ্ছে যে, তাদেরকে আহলে হাল ওয়াল আকদ নির্বাচন করবেন, আর আবু বকরকে আহলে হাল ওয়াল-আকদ নির্বাচন করেন নি। যদি এর নেতা নিজের কাজের ব্যাপারে সন্তুষ্ট না থাকেন, তাহলে তিনি কীভাবে অন্যের কাছে বাইয়াহের জন্যে আহবান করবেন? তিনি মুসলমানদের খলীফা নন, বরং তিনি একটি দলের প্রধানমাত্র। আর অন্যদের কাছ থেকে বাইয়াহ চওয়া, যদি তারা বাইয়াহ না দেওয়ার কারণে লড়াই করতে থাকে তাহলে এটা হবে বাগী(বিদ্রোহী)দের কাজ। উত্তম এবং কল্যাণপ্রত্যাশীদের এ কাজ হতে পারে না। [ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক অডিও বার্তায়]
(২) শায়খ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদিসি বলেনঃ- এবং এর উপর আমরা এখানে ঘোষণা করছি যে, ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক এন্ড শাম নামের সংগঠন হচ্ছে, সত্য পথ থেকে বিচ্যুত একটি সংগঠন, মুজাহিদদ্রোহী এক দল, যারা অতিরঞ্জনের দিকে ধাবিত, তারা নিরপরাধ মানুষের রক্তপ্রবাহে লিপ্ত হয়েছে, তারা তাদের ওই সমস্ত মাল, সম্পদ, গনীমত এবং দখল করেছে যা মুজাহিদরা আসাদ বাহিনী থেকে স্বাধীন করেছিলেন। তারা জিহাদকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে এবং মুজাহিদদেরকে দল-উপদলে বিভক্ত করেছে। তারা বন্দুক মুরতাদ এবং যোদ্ধাদের বুক থেকে সরিয়ে মুজাহিদ এবং মুসলমানদের বুকের দিকে নিবদ্ধ করেছে। ... এগুলো ছাড়া তাদের আরো অনেক প্রমাণভিত্তিক ভ্রষ্টতা আছে। [আদ-দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের বিবরণ এবং এর দিকে আমাদের কর্তব্য- পৃষ্টা ৪/৫]
(৩) শায়খ আবু কাতাদাহ আল-ফিলিস্তিনি বলেনঃ- ... আরে দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাকের যে শাখা শামের ভূমিতে আছে, আমার কাছে তা পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয়েছে, যার ব্যাপারে আমি কোনো ধরনের সন্দেহ করি না, যে এই দল তাদের সামরিক ও শরয়ী নেতৃত্ব দ্বারা প্রমাণিত করেছে, যে তারা জাহান্নামের কুকুর... তাদের মন্দ কাজ-কর্মের ফলে আমি এ ব্যাপারে কোনোরূপ দ্বিধায় ভুগি না। [আহলে জিহাদ এবং এর প্রিয় ভাইদের প্রতি বার্তা – পৃষ্টাঃ ২]
(৪) তানযীমে কায়েদার উচ্চনেতৃত্ব প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে এসেছেঃ জামায়াতে কায়েদাতুল জিহাদ ঘোষণা করছে যে, তাদের কোনো সম্পর্ক দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের সাথে নেই। এটা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবগত হয় নি, কোনো ধরনের নির্দেশ প্রদান করে নি, কোনো ধরনের পরামর্শ দেয় নি এবং এর উপর সন্তুষ্ট নয়। বরং তাদের কার্য বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে, এজন্য এটা জামায়াতে কায়েদাতুল জিহাদের কোনো শাখা নয়, এর সাথে কোনো সাংগঠনিক বন্ধনও নেই, আল-কায়েদা এর কার্যকলাপের জন্যে দায়ী নয়। [জামায়াতে কায়েদাতুল জিহাদের সাথে জামায়াতে দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের সাথে সম্পর্কে ব্যাপারে বিবৃতি, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৩৫হিজরি]
(৫) তানযীমে কায়েদার প্রধান শায়খ আইমান আজ-জাওয়াহিরিকে “দা’য়েশ” থেকে আল-কায়েদার মুক্ত ঘোষণা করার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেনঃ- এই মতপার্থক্য হচ্ছে দুই মানহাজের মধ্যে, আমাদের মানহাজ হচ্ছে রক্তপ্রবাহের ক্ষেত্রে সতর্কতা, বাজার, মসজিদ এবং আবাসিক এলাকাসমুহে এমন সব অপারেশন থেকে দূরে থাকা যার মধ্যে অন্যায় ভাবে রক্ত প্রবাহিত হয়, বরং জিহাদিদলসমুহের মধ্যে। এমনিভাবে আমাদের মানহাজ হচ্ছে উম্মাহকে এক করা এবং তাদেরকে তাওহীদের কালিমার ভিত্তিতে এক করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা, আর খিলাফতে রাশেদাকে ফিরিয়ে আনা যা শূরা এবং মুসলমানদের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হবে। [ আস-সাহাবের সপ্তম সাক্ষাৎকার – রজব ১৪৩৫হিজরি / আন-নুখবার সংস্করণ-পৃঃ ১১/১২]
(৬) এমনিভাবে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ- অচিরেই এদের দৌহিত্র শামের ভূমিতে ব্যর্থ হবে*** আল্লাহ তোমাদের পথ-প্রদর্শক ও সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট। [ফিতনার ক্ষেত্রে শহীদ আবু খালিদ আস-সুরি সম্পর্কে শোকবার্তা – পৃঃ৩]
(৭) খুরাসানে তানযীমে কায়েদার বিশিষ্ট নেতা “আযযাম আমরিকি” আবু খালিদ আস-সুরির শোকবার্তায় তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ আমি এই ঘটনার দায়ভারের জন্যে আমার তর্জনী প্রদর্শন করছি তাদের দিকে যারা অতিরঞ্জন, সীমালংঘন, একগুয়েমি, স্বৈরাচার, অত্যাচার এবং এমন অবস্থা বেরিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে; যার উপর সিরিয়ায় জিহাদি ও ইসলামিরা, আহলে ইলম, সম্মান এবং সারাবিশ্বের অগ্রগামী মুজাহিদরা আছেন। এমনিভাবে এই দল প্রসিদ্ধি লাভ করেছে তাদের ধুম্রজাল, কূটচাল, কৌশল, এক দিক থেকে অন্যদিকে মুখোমুখী হওয়া এবং দায়িত্ব গ্রহণ করা থেকে, তারা তাকিয়া, এবং ভেতরে এক বাহিরে আরেকের জন্যেও প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। তারা হচ্ছে উগ্র তাকফিরি সম্প্রদায় তাদের পুর্বসুরি হারুরিয়্যীনদের বিপরীত যারা সত্যবাদিতা এবং মিথ্যা থেকে দূরত্বের জন্যে প্রসিদ্ধ ছিলো। [আবু খালিদ আস-সুরির শোকবার্তা]
(৮) খুরাসানে তানযীমে কায়েদার নেতা “উস্তাদ আহমদ ফারুক” দায়েশের অফিসিয়াল মুখপাত্র আদনানির কথার মন্তব্যে বলেন, কিন্তু আজ আমরা দেখছি তাদেরকে যারা ইসলামকে ও ইসলামী বন্ধুত্বের সুতিকাগারকে একটি সীমাবদ্ধ পরিসরে বন্দি করে ফেলেছে, এই উম্মতের সাথে নিজেদেরকে বড় ভেবে এদের উপর উপহাস করছে, এবং ওতপেতে বসে আছে যাতে কোনো ভুল নজরে পড়তেই তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে, তাদের সাথে ঘৃণা করে যাদের সাথে মুজাহিদরা ভালবাসা এবং কোমলতার সাথে ব্যবহার করার প্রতি আহবান করেন, আমরা দেখি তারা বলে, আমরা কোন উম্মহের দিকে প্রত্যাবর্তন করবো? সৌদী ইসলামি উম্মাহের? না ইখওয়ানি? না সরুরী?.........
তাদের এই বক্র চিন্তার বিষয়ে আল্লাহই আমাদের জন্যে যথেষ্ট, তিনিই উত্তম রক্ষক! [আমরা যেনো মৌমাছির মতো হই – পৃঃ৪]
(৯) তানযীমে কায়েদার খুরাসানের নেতা আবু দুজানা দায়েশের খেলাফতকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ- আমরা খেলাফতে রাশেদাকে নবুওতের আদলে ফিরিয়ে আনতে চাই। বিকৃতি, মিথ্যা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং বাইয়াতের লুকোচুরির মানহাজে নয়। খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায়পরায়না, শূরা, সম্প্রীতি এবং একতার উপর। অত্যাচার, মুসলমানদেরকে তাকফীর করা, তাওহীদীদের হত্যা করা এবং মুজাহিদদের বিন্যাস ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করার মধ্যের উপর নয়।[এটা আমাদের বার্তা-পৃঃ১]
(১০) শামের ভূমিতে তানযীমে কায়েদার শীর্ষ শরীয়াহ বোর্ড দা’য়েশ সম্পর্ক বলেনঃ- পূর্বে যা অতিবাহিত হয়েছে এর ভিত্তিতে যে জামায়াতে দাওলাহকে গণ্য করা হচ্ছে একটি প্রভাবহীন আগ্রাসী দল হিসেবে যারা তাদের চরিত্র, গুণাগুণ এবং উগ্রতার দরুন খারেজি সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য রাখে। খারেজিদের বৈশিষ্ট্যের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে তাদের মধ্যে আরো কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যেগুলো খারিজিদের মধ্যে নেই যেমন- তাকিয়্যা, মিথ্যা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা, বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা কসম খাওয়া এবং পাপাচার, ........................... এই দল এখনপর্যন্ত আলোচনা এবং শরীয়াহ ফয়সালা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে আসছে, তাই আমরা বলছি, এই দলে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জায়েয। [বিবৃতি “মানুষের কাছে তা প্রকাশ করো, লুকিও না” শামের্ব ভূমিতে তানযীমে কায়েদার কাযী আবু আব্দুল্লাহের আশ-শামীর কণ্ঠে – হার্ডকপি পৃঃ ৩৩]
(১১) আরব উপদ্বীপের তানযীমে কায়েদা একটি বার্তা প্রকাশ করেছে যার মধ্যে দায়েশের খিলাফাহ নিয়ে বলেছে, পুর্বে যা বলা হয়েছে এর ভিত্তিতে আমরা এই খিলাফাহের প্রতিষ্ঠাকে শুদ্ধ মনে করি না। এবং এটাকেও শুদ্ধ মনে করি না যার উপর তারা এর ভিত্তি করেছে। যারা তাদের কাছে এই বাইয়াহ দেই নি তাদেরকে আমরা গোনাহগার সাব্যস্ত করি না। ... এবং খিলাফাহের ঘোষণা মুজাহিদদের বিন্যাসের মধ্যে ফাটল ধরিয়েছে এবং তাদের একতাকে ছিন্ন করেছে বর্তমান এই স্পর্শকাতর মূহুর্তে। [শায়খ আবু বকর বাগদাদির কথা (যদিও কাফিররা অপছন্দ করে)য় যা এসেছে, এ সম্পর্কে বার্তা, শায়খ হারিস আন-নাজারির কন্ঠে]
(১২) আরব উপদ্বীপে আল-কায়েদার নেতা শায়খ আলী আল-আনিসী বলেনঃ- খিলাফাহকে অন্যান্য ভূমিতে সম্প্রসারণের ঘোষণা, এর কোনো বাস্তবতা নেই, এই ঘোষণা মুজাহিদদের বিন্যাসসমূহের মধ্যে ফাটল ধরাবে, এবং তাদের প্রাচীরকে ভুল শরয়ী দলীল দিয়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করবে। [১ম আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সম্মেলন]
(১৩) ডক্টর আব্দুল্লাহ আল-মুহাইসিনি বলেন, এবং আল্লাহর কসম জিহাদের আলেমদেরকে এমন ভূমিতে দেখি নি, যে তারা শরীয়াহ অনুমোদনের বিষয়ের সমালোচনায় ও এর বিরোধিতায় একমত হয়েছেন যেমনিভাবে তারা শামে দাওলাহর অনুমোদনের ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন,
আল্লাহ জানেন, আমি খিলাফতে ইসলামিয়্যাহের প্রতিষ্ঠার বিরোধী নয়, বরং এর জন্যেই আমরা আমাদের কলিজা এবং রক্ত ব্যয় করছি, কিন্তু এটা হতে হবে নবুওতের আদলে, মানুষের ঘৃণার মাধ্যমে, তাদেরকে নির্যাতন করা, জিহাদের বিন্যাসকে ফাটল ধরানো এবং আল্লাহর শরীয়তের ফয়সালার প্রচেষ্টাকে এমনসব অসার কারণ দেখিয়ে ত্যাগ করার মাধ্যমে যার পক্ষে আল্লাহ কোনো দলীল দেন নি।[বার্তাঃ আমি তো পৌছিয়েছি]
(১৪) শামের ভূমিতে তানযীমে কায়েদার শরয়ী বিভাগের প্রধান শায়খ সামী আল-উরাইদি খারিজি ও দায়েশের মধ্যে সাদৃশ্য দেখিয়ে দেওয়া বার্তার ভূমিকায় বলেন, আল্লাহর অনুগ্রহে ভাই আবুল হাসান আল-কুয়েতি –আল্লাহ তাকে তাওফীক দিন- যে, তিনি শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার কথা থেকে একত্রিত করেছেন এমন দলকে যাদের সীমালংঘন খারিজিদের এবং এদের থেকে সতর্ক করেছেন, এই গবেষণা হবে খারিজি সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার অবস্থানের প্রশস্ত মুকুল, আল্লাহর কাছে দুআ করি তিনি তাকে এ থেকে মুক্ত হওয়া এবং এর সংকলনের তাওফীক দিন। [ইবনে তাইমিয়ার দৃষ্টিতে খারেজি- পৃ ৪]
(১৫) শামের ভূমিতে তানযীমে কায়েদার সাবেক শরয়ী প্রধান আবু মারিয়া বলেন, শামবাসীদের উপর উকি দিচ্ছে এক নতুন কুৎসিত চেহারা, নতুন বিষাক্ত খঞ্জর যার অন্ধতা ক্রমান্বয়ে আসছে এবং এর ক্ষতি ব্যাপক হচ্ছে, এটা হচ্ছে যুগের খারিজি “তানযীমে জামায়াতে দাওলাহ”, হে যুগের খারিজিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দ্বিধাদ্বন্দরত ব্যক্তি তুমি কি জানো না যে তাদের মূলোৎপাটনে কল্যাণ ও মঙ্গল রয়েছে, শুধু শামের মুসলমানদের জন্যে নয় বরং ইরাকের ইসলামিদের জন্যেও, যারা দীর্ঘ দিন ধরে তাদের আগুনে প্রজ্জলিত হচ্ছেন। [বার্তাঃ হে দ্বিধাদ্বন্দরত]
(১৬) শায়খ আবু সায়াফ মাজিদ আর-রাশিদ দায়েশে এবং খারিজিদের মিল বার্তার ভূমিকায় বলেছেন, মহান প্রজ্ঞাবান শায়খ আলী আল-উরজানি (আবুল হাসান কুয়েতি) আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন উম্মতের গন্তব্যকে যারা জিহাদ ও ইলমের উপর এক হয়েছে, যারা উত্তম চরিত্র এবং মধ্যপন্থায় এক হয়েছে, যারা নিজের জান ও মালকে ত্যাগ করতে এক হয়েছে, যারা অস্ত্র ও কলমের যুদ্ধে এক হয়েছে, নুসাইরিদের সাথে তাদের ঘাটিতে লড়াই করেছে, যারা উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে নিজেদের হস্ত এবং বাহু নিয়ে মুখোমুখী হয়েছে, আগ্রাসী শত্রু নুসাইরি ও উগ্রপন্থীদের প্রতিরোধের কঠিন মুহুর্ত। আজ ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুল্লাহ আলাইহির কথা খারিজি সম্পর্কে সতর্কতা ও এবং দায়েশ সম্পর্কে আতঙ্কের কথা এক হয়েছে... আমি আমার ভাইদের তিনি যা লিখেছেন তা পড়ার জন্যে নসীহত করবো, এ অনুযায়ী আমল ও সঙ্কলকের জন্যে শাহাদত ও উত্তম সমাপ্তির দুয়ার।
(১৭) শায়খ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-মুহাজির –আরব উপদ্বীপে তানযীমে কায়েদার এক শায়খ- বাগদাদির খিলাফাহ অশুদ্ধতা নিয়ে একটি পুস্তিকা লিখেছেন, যার নাম দিয়েছেন ‘খিলাফাহ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা’।
(১৮) মিম্বর আত-তাওহীদ ওয়াল জিহাদের শরয়ী সংস্থার সদস্য শায়খ আবু মুনযির আশ-শানকীতি দায়েশের খিলাফাহ ঘোষণার সমালোচনায় একটি পূর্ণ পুস্তিকা লিখেছেন, এবং এর নাম দিয়েছেন, ‘শরয়ী মানদন্ডে খিলাফাহ ঘোষণা’।
(১৯) মিম্বর আত্তাওহীদ ওয়াল জিহাদের শরীয়াহ ফোরামের সদস্য শায়খ আব্দুল্লাহ হাসানি বাগদাদির খিলাফাহ ভঙ্গনের কারণ উল্লেখ করে একটি পূর্ণ পুস্তিকা লিখেন, এবং এর নাম দেন, ‘বাগদাদির খিলাফাহ ভঙ্গনের কারণে হোসাইনি সাহায্য’। ডাউনলোডলিঙ্ক-http://www.tawhed.ws/dl?i=04121401
বাকি অংশ নিচে দেখুন...
(১) মুহাদ্দিস শায়খ সুলাইমান আল-উলওয়ান বলেনঃ দাওলাহর অধিকার নেই যে তারা কোনো এলাকায় অভিযান চালিয়ে তা দখল করবে। আর যারা বলেন, হয় তোমরা বের হও নতুবা হত্যা কর, হয় তোমরা বাইয়াহ দাও নতুবা লড়াই করবো... ইত্যাদি, এগুলো সঠিক নয়। কেননা দাওলার জন্যে বাইয়াতে আম(ব্যাপক) নয়। আম বাইয়াহের শর্ত হচ্ছে যে, তাদেরকে আহলে হাল ওয়াল আকদ নির্বাচন করবেন, আর আবু বকরকে আহলে হাল ওয়াল-আকদ নির্বাচন করেন নি। যদি এর নেতা নিজের কাজের ব্যাপারে সন্তুষ্ট না থাকেন, তাহলে তিনি কীভাবে অন্যের কাছে বাইয়াহের জন্যে আহবান করবেন? তিনি মুসলমানদের খলীফা নন, বরং তিনি একটি দলের প্রধানমাত্র। আর অন্যদের কাছ থেকে বাইয়াহ চওয়া, যদি তারা বাইয়াহ না দেওয়ার কারণে লড়াই করতে থাকে তাহলে এটা হবে বাগী(বিদ্রোহী)দের কাজ। উত্তম এবং কল্যাণপ্রত্যাশীদের এ কাজ হতে পারে না। [ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক অডিও বার্তায়]
(২) শায়খ আবু মুহাম্মদ আল-মাকদিসি বলেনঃ- এবং এর উপর আমরা এখানে ঘোষণা করছি যে, ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক এন্ড শাম নামের সংগঠন হচ্ছে, সত্য পথ থেকে বিচ্যুত একটি সংগঠন, মুজাহিদদ্রোহী এক দল, যারা অতিরঞ্জনের দিকে ধাবিত, তারা নিরপরাধ মানুষের রক্তপ্রবাহে লিপ্ত হয়েছে, তারা তাদের ওই সমস্ত মাল, সম্পদ, গনীমত এবং দখল করেছে যা মুজাহিদরা আসাদ বাহিনী থেকে স্বাধীন করেছিলেন। তারা জিহাদকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে এবং মুজাহিদদেরকে দল-উপদলে বিভক্ত করেছে। তারা বন্দুক মুরতাদ এবং যোদ্ধাদের বুক থেকে সরিয়ে মুজাহিদ এবং মুসলমানদের বুকের দিকে নিবদ্ধ করেছে। ... এগুলো ছাড়া তাদের আরো অনেক প্রমাণভিত্তিক ভ্রষ্টতা আছে। [আদ-দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের বিবরণ এবং এর দিকে আমাদের কর্তব্য- পৃষ্টা ৪/৫]
(৩) শায়খ আবু কাতাদাহ আল-ফিলিস্তিনি বলেনঃ- ... আরে দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাকের যে শাখা শামের ভূমিতে আছে, আমার কাছে তা পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয়েছে, যার ব্যাপারে আমি কোনো ধরনের সন্দেহ করি না, যে এই দল তাদের সামরিক ও শরয়ী নেতৃত্ব দ্বারা প্রমাণিত করেছে, যে তারা জাহান্নামের কুকুর... তাদের মন্দ কাজ-কর্মের ফলে আমি এ ব্যাপারে কোনোরূপ দ্বিধায় ভুগি না। [আহলে জিহাদ এবং এর প্রিয় ভাইদের প্রতি বার্তা – পৃষ্টাঃ ২]
(৪) তানযীমে কায়েদার উচ্চনেতৃত্ব প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে এসেছেঃ জামায়াতে কায়েদাতুল জিহাদ ঘোষণা করছে যে, তাদের কোনো সম্পর্ক দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের সাথে নেই। এটা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবগত হয় নি, কোনো ধরনের নির্দেশ প্রদান করে নি, কোনো ধরনের পরামর্শ দেয় নি এবং এর উপর সন্তুষ্ট নয়। বরং তাদের কার্য বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে, এজন্য এটা জামায়াতে কায়েদাতুল জিহাদের কোনো শাখা নয়, এর সাথে কোনো সাংগঠনিক বন্ধনও নেই, আল-কায়েদা এর কার্যকলাপের জন্যে দায়ী নয়। [জামায়াতে কায়েদাতুল জিহাদের সাথে জামায়াতে দাওলাতুল ইসলামিয়্যাহ ইরাক ও শামের সাথে সম্পর্কে ব্যাপারে বিবৃতি, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৩৫হিজরি]
(৫) তানযীমে কায়েদার প্রধান শায়খ আইমান আজ-জাওয়াহিরিকে “দা’য়েশ” থেকে আল-কায়েদার মুক্ত ঘোষণা করার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেনঃ- এই মতপার্থক্য হচ্ছে দুই মানহাজের মধ্যে, আমাদের মানহাজ হচ্ছে রক্তপ্রবাহের ক্ষেত্রে সতর্কতা, বাজার, মসজিদ এবং আবাসিক এলাকাসমুহে এমন সব অপারেশন থেকে দূরে থাকা যার মধ্যে অন্যায় ভাবে রক্ত প্রবাহিত হয়, বরং জিহাদিদলসমুহের মধ্যে। এমনিভাবে আমাদের মানহাজ হচ্ছে উম্মাহকে এক করা এবং তাদেরকে তাওহীদের কালিমার ভিত্তিতে এক করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা, আর খিলাফতে রাশেদাকে ফিরিয়ে আনা যা শূরা এবং মুসলমানদের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হবে। [ আস-সাহাবের সপ্তম সাক্ষাৎকার – রজব ১৪৩৫হিজরি / আন-নুখবার সংস্করণ-পৃঃ ১১/১২]
(৬) এমনিভাবে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ- অচিরেই এদের দৌহিত্র শামের ভূমিতে ব্যর্থ হবে*** আল্লাহ তোমাদের পথ-প্রদর্শক ও সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট। [ফিতনার ক্ষেত্রে শহীদ আবু খালিদ আস-সুরি সম্পর্কে শোকবার্তা – পৃঃ৩]
(৭) খুরাসানে তানযীমে কায়েদার বিশিষ্ট নেতা “আযযাম আমরিকি” আবু খালিদ আস-সুরির শোকবার্তায় তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ আমি এই ঘটনার দায়ভারের জন্যে আমার তর্জনী প্রদর্শন করছি তাদের দিকে যারা অতিরঞ্জন, সীমালংঘন, একগুয়েমি, স্বৈরাচার, অত্যাচার এবং এমন অবস্থা বেরিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে; যার উপর সিরিয়ায় জিহাদি ও ইসলামিরা, আহলে ইলম, সম্মান এবং সারাবিশ্বের অগ্রগামী মুজাহিদরা আছেন। এমনিভাবে এই দল প্রসিদ্ধি লাভ করেছে তাদের ধুম্রজাল, কূটচাল, কৌশল, এক দিক থেকে অন্যদিকে মুখোমুখী হওয়া এবং দায়িত্ব গ্রহণ করা থেকে, তারা তাকিয়া, এবং ভেতরে এক বাহিরে আরেকের জন্যেও প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। তারা হচ্ছে উগ্র তাকফিরি সম্প্রদায় তাদের পুর্বসুরি হারুরিয়্যীনদের বিপরীত যারা সত্যবাদিতা এবং মিথ্যা থেকে দূরত্বের জন্যে প্রসিদ্ধ ছিলো। [আবু খালিদ আস-সুরির শোকবার্তা]
(৮) খুরাসানে তানযীমে কায়েদার নেতা “উস্তাদ আহমদ ফারুক” দায়েশের অফিসিয়াল মুখপাত্র আদনানির কথার মন্তব্যে বলেন, কিন্তু আজ আমরা দেখছি তাদেরকে যারা ইসলামকে ও ইসলামী বন্ধুত্বের সুতিকাগারকে একটি সীমাবদ্ধ পরিসরে বন্দি করে ফেলেছে, এই উম্মতের সাথে নিজেদেরকে বড় ভেবে এদের উপর উপহাস করছে, এবং ওতপেতে বসে আছে যাতে কোনো ভুল নজরে পড়তেই তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে, তাদের সাথে ঘৃণা করে যাদের সাথে মুজাহিদরা ভালবাসা এবং কোমলতার সাথে ব্যবহার করার প্রতি আহবান করেন, আমরা দেখি তারা বলে, আমরা কোন উম্মহের দিকে প্রত্যাবর্তন করবো? সৌদী ইসলামি উম্মাহের? না ইখওয়ানি? না সরুরী?.........
তাদের এই বক্র চিন্তার বিষয়ে আল্লাহই আমাদের জন্যে যথেষ্ট, তিনিই উত্তম রক্ষক! [আমরা যেনো মৌমাছির মতো হই – পৃঃ৪]
(৯) তানযীমে কায়েদার খুরাসানের নেতা আবু দুজানা দায়েশের খেলাফতকে উদ্দেশ্য করে বলেনঃ- আমরা খেলাফতে রাশেদাকে নবুওতের আদলে ফিরিয়ে আনতে চাই। বিকৃতি, মিথ্যা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং বাইয়াতের লুকোচুরির মানহাজে নয়। খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায়পরায়না, শূরা, সম্প্রীতি এবং একতার উপর। অত্যাচার, মুসলমানদেরকে তাকফীর করা, তাওহীদীদের হত্যা করা এবং মুজাহিদদের বিন্যাস ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করার মধ্যের উপর নয়।[এটা আমাদের বার্তা-পৃঃ১]
(১০) শামের ভূমিতে তানযীমে কায়েদার শীর্ষ শরীয়াহ বোর্ড দা’য়েশ সম্পর্ক বলেনঃ- পূর্বে যা অতিবাহিত হয়েছে এর ভিত্তিতে যে জামায়াতে দাওলাহকে গণ্য করা হচ্ছে একটি প্রভাবহীন আগ্রাসী দল হিসেবে যারা তাদের চরিত্র, গুণাগুণ এবং উগ্রতার দরুন খারেজি সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য রাখে। খারেজিদের বৈশিষ্ট্যের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে তাদের মধ্যে আরো কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যেগুলো খারিজিদের মধ্যে নেই যেমন- তাকিয়্যা, মিথ্যা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা, বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা কসম খাওয়া এবং পাপাচার, ........................... এই দল এখনপর্যন্ত আলোচনা এবং শরীয়াহ ফয়সালা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে আসছে, তাই আমরা বলছি, এই দলে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জায়েয। [বিবৃতি “মানুষের কাছে তা প্রকাশ করো, লুকিও না” শামের্ব ভূমিতে তানযীমে কায়েদার কাযী আবু আব্দুল্লাহের আশ-শামীর কণ্ঠে – হার্ডকপি পৃঃ ৩৩]
(১১) আরব উপদ্বীপের তানযীমে কায়েদা একটি বার্তা প্রকাশ করেছে যার মধ্যে দায়েশের খিলাফাহ নিয়ে বলেছে, পুর্বে যা বলা হয়েছে এর ভিত্তিতে আমরা এই খিলাফাহের প্রতিষ্ঠাকে শুদ্ধ মনে করি না। এবং এটাকেও শুদ্ধ মনে করি না যার উপর তারা এর ভিত্তি করেছে। যারা তাদের কাছে এই বাইয়াহ দেই নি তাদেরকে আমরা গোনাহগার সাব্যস্ত করি না। ... এবং খিলাফাহের ঘোষণা মুজাহিদদের বিন্যাসের মধ্যে ফাটল ধরিয়েছে এবং তাদের একতাকে ছিন্ন করেছে বর্তমান এই স্পর্শকাতর মূহুর্তে। [শায়খ আবু বকর বাগদাদির কথা (যদিও কাফিররা অপছন্দ করে)য় যা এসেছে, এ সম্পর্কে বার্তা, শায়খ হারিস আন-নাজারির কন্ঠে]
(১২) আরব উপদ্বীপে আল-কায়েদার নেতা শায়খ আলী আল-আনিসী বলেনঃ- খিলাফাহকে অন্যান্য ভূমিতে সম্প্রসারণের ঘোষণা, এর কোনো বাস্তবতা নেই, এই ঘোষণা মুজাহিদদের বিন্যাসসমূহের মধ্যে ফাটল ধরাবে, এবং তাদের প্রাচীরকে ভুল শরয়ী দলীল দিয়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করবে। [১ম আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সম্মেলন]
(১৩) ডক্টর আব্দুল্লাহ আল-মুহাইসিনি বলেন, এবং আল্লাহর কসম জিহাদের আলেমদেরকে এমন ভূমিতে দেখি নি, যে তারা শরীয়াহ অনুমোদনের বিষয়ের সমালোচনায় ও এর বিরোধিতায় একমত হয়েছেন যেমনিভাবে তারা শামে দাওলাহর অনুমোদনের ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন,
আল্লাহ জানেন, আমি খিলাফতে ইসলামিয়্যাহের প্রতিষ্ঠার বিরোধী নয়, বরং এর জন্যেই আমরা আমাদের কলিজা এবং রক্ত ব্যয় করছি, কিন্তু এটা হতে হবে নবুওতের আদলে, মানুষের ঘৃণার মাধ্যমে, তাদেরকে নির্যাতন করা, জিহাদের বিন্যাসকে ফাটল ধরানো এবং আল্লাহর শরীয়তের ফয়সালার প্রচেষ্টাকে এমনসব অসার কারণ দেখিয়ে ত্যাগ করার মাধ্যমে যার পক্ষে আল্লাহ কোনো দলীল দেন নি।[বার্তাঃ আমি তো পৌছিয়েছি]
(১৪) শামের ভূমিতে তানযীমে কায়েদার শরয়ী বিভাগের প্রধান শায়খ সামী আল-উরাইদি খারিজি ও দায়েশের মধ্যে সাদৃশ্য দেখিয়ে দেওয়া বার্তার ভূমিকায় বলেন, আল্লাহর অনুগ্রহে ভাই আবুল হাসান আল-কুয়েতি –আল্লাহ তাকে তাওফীক দিন- যে, তিনি শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার কথা থেকে একত্রিত করেছেন এমন দলকে যাদের সীমালংঘন খারিজিদের এবং এদের থেকে সতর্ক করেছেন, এই গবেষণা হবে খারিজি সম্পর্কে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়ার অবস্থানের প্রশস্ত মুকুল, আল্লাহর কাছে দুআ করি তিনি তাকে এ থেকে মুক্ত হওয়া এবং এর সংকলনের তাওফীক দিন। [ইবনে তাইমিয়ার দৃষ্টিতে খারেজি- পৃ ৪]
(১৫) শামের ভূমিতে তানযীমে কায়েদার সাবেক শরয়ী প্রধান আবু মারিয়া বলেন, শামবাসীদের উপর উকি দিচ্ছে এক নতুন কুৎসিত চেহারা, নতুন বিষাক্ত খঞ্জর যার অন্ধতা ক্রমান্বয়ে আসছে এবং এর ক্ষতি ব্যাপক হচ্ছে, এটা হচ্ছে যুগের খারিজি “তানযীমে জামায়াতে দাওলাহ”, হে যুগের খারিজিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দ্বিধাদ্বন্দরত ব্যক্তি তুমি কি জানো না যে তাদের মূলোৎপাটনে কল্যাণ ও মঙ্গল রয়েছে, শুধু শামের মুসলমানদের জন্যে নয় বরং ইরাকের ইসলামিদের জন্যেও, যারা দীর্ঘ দিন ধরে তাদের আগুনে প্রজ্জলিত হচ্ছেন। [বার্তাঃ হে দ্বিধাদ্বন্দরত]
(১৬) শায়খ আবু সায়াফ মাজিদ আর-রাশিদ দায়েশে এবং খারিজিদের মিল বার্তার ভূমিকায় বলেছেন, মহান প্রজ্ঞাবান শায়খ আলী আল-উরজানি (আবুল হাসান কুয়েতি) আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন উম্মতের গন্তব্যকে যারা জিহাদ ও ইলমের উপর এক হয়েছে, যারা উত্তম চরিত্র এবং মধ্যপন্থায় এক হয়েছে, যারা নিজের জান ও মালকে ত্যাগ করতে এক হয়েছে, যারা অস্ত্র ও কলমের যুদ্ধে এক হয়েছে, নুসাইরিদের সাথে তাদের ঘাটিতে লড়াই করেছে, যারা উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে নিজেদের হস্ত এবং বাহু নিয়ে মুখোমুখী হয়েছে, আগ্রাসী শত্রু নুসাইরি ও উগ্রপন্থীদের প্রতিরোধের কঠিন মুহুর্ত। আজ ইবনে তাইমিয়া রাহমাতুল্লাহ আলাইহির কথা খারিজি সম্পর্কে সতর্কতা ও এবং দায়েশ সম্পর্কে আতঙ্কের কথা এক হয়েছে... আমি আমার ভাইদের তিনি যা লিখেছেন তা পড়ার জন্যে নসীহত করবো, এ অনুযায়ী আমল ও সঙ্কলকের জন্যে শাহাদত ও উত্তম সমাপ্তির দুয়ার।
(১৭) শায়খ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-মুহাজির –আরব উপদ্বীপে তানযীমে কায়েদার এক শায়খ- বাগদাদির খিলাফাহ অশুদ্ধতা নিয়ে একটি পুস্তিকা লিখেছেন, যার নাম দিয়েছেন ‘খিলাফাহ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা’।
(১৮) মিম্বর আত-তাওহীদ ওয়াল জিহাদের শরয়ী সংস্থার সদস্য শায়খ আবু মুনযির আশ-শানকীতি দায়েশের খিলাফাহ ঘোষণার সমালোচনায় একটি পূর্ণ পুস্তিকা লিখেছেন, এবং এর নাম দিয়েছেন, ‘শরয়ী মানদন্ডে খিলাফাহ ঘোষণা’।
(১৯) মিম্বর আত্তাওহীদ ওয়াল জিহাদের শরীয়াহ ফোরামের সদস্য শায়খ আব্দুল্লাহ হাসানি বাগদাদির খিলাফাহ ভঙ্গনের কারণ উল্লেখ করে একটি পূর্ণ পুস্তিকা লিখেন, এবং এর নাম দেন, ‘বাগদাদির খিলাফাহ ভঙ্গনের কারণে হোসাইনি সাহায্য’। ডাউনলোডলিঙ্ক-http://www.tawhed.ws/dl?i=04121401
বাকি অংশ নিচে দেখুন...
Comment