Tweet
অরিজিনাল আই ডি থেকে খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিরের মৃত্যুতে বিভিন্ন ভাইদের রি-একশন দেখে ডি-এক্টিভ্যশন ক্যন্সেল না করে কোনো উপয়ান্তর দেখলাম না।
উনার ব্যাপারে আমার একটাই কথা, উনি যা অর্জন করেছেন আল্লাহ্* তা'আলা তার প্রতিদান যথাযথভাবে উনাকে মিটিয়ে দিন।
খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর এদেশের শীর্ষস্থানীয় সরকারি সালাফি ছিলেন। "ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ" বইয়ে মুজাহিদিনদের আমেরিকার পুতুল সাব্যস্ত করেছেন। এমনকি সকল উম্মত যেঁ জিহাদের ব্যপারে একমত সেই প্রথম আফগান জিহাদে অংশগ্রহণকারী মুজাহিদিনদেরকে আমেরিকান প্রশিক্ষিত বলেছেন।
শায়খ আবদুল্লাহ আজ্জাম (রহ) পরিষ্কার করেছেন বহু জায়গায় যে আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্র কেনা হয়েছে যা শারিয়াতে সুস্পষ্ট হালাল। এমন বিষয়কে যারা আমেরিকার দালালি বলে সে ব্যক্তির উদ্দেশ্য কী তা পরিষ্কার।
১০ লক্ষাধিক শাহিদ (ইনশা'আল্লাহ) + ১৫লক্ষাধিক অঙ্গহানি = ২৫ লক্ষ মানুষের কুরবানিকে আমেরিকার অবদান বলে দেয়া ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসা যদি ঐক্য হয় তবে আপনার বে-ইনসাফির মাত্রা আসমান ছুয়েছে ইয়া আখি!
অন্তত "ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ" বইয়ের শুরুর দিকেই খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব এটা পরিষ্কার করেছেন মুসলিম বিশ্বে ঘটে চলা ঘটনাবলীর ব্যাপারে তিনি গাফিল নন।
শাসকের আনুগত্যকে তিনি বাধ্যতামূলক প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন।
ইলমের খিয়ানত স্বরূপ মুসলিম উম্মতকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে লিখেছেন যে, ১৪০০ বছরের ইতিহাসে রাস্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত না হয়ে কোনো #মুসলিম গুপ্তহত্যা করেনি... ওয়াল্লাহি! উনি আবু বাসির (রা), উমাইর বিন আদি (রা) এর বিষয় জানেন না এটা কেউ এসে এখানে বলুক...
উনি নাফসে জাকিয়া, ইব্রাহিম (রাহিমাহুমুল্লাহ)'র ঘটনা জানেন না তা কেউ এখানে এসে বলুক। উমাইয়াদের বিরুদ্ধে যাদের জিহাদকে বদরের জিহাদের সাথে তুলনা করেছিলেন ইমামুল আজম আবু হানিফা (রাহ)।
পাকিস্তানের মুজাহিদিনদের বলেছেন আমেরিকার ক্রীড়ানক।
শায়খ উসামা বিন লাদিন (রাহি)কে ধ্বংসাত্মক বলেছেন এই ব্যাক্তি।
আল্লাহু আকবার ! একই সাথে এই দুই ব্যাক্তিকে ভালোবাসার মত উদার দিল আপনাদের হতে পারে , আমার হবে না। এমনটা শুধুমাত্র নিফাকাক্রান্ত দিলের পক্ষেই সম্ভব।
আপনারা কেন ইয়াসির কাজি, নুমান আলি খানকে দেখতে পারেন না? যেখানে, খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিরের চেয়ে তাদের দাওয়াহ আরও অনেক অনেক বেশী ছড়িয়েছে।
সিরিয়ার শীর্ষস্থানীয় আলিম আহমাদ হাসসুনের প্রতিও তাহলে ভালোবাসা রাখুন যিনি সরাসরি বাশার আল আসাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। যদিও সিরিয়ান বিপ্লবের আগে উনার অবস্থান সিরিয়ানদের কাছে অত্যন্ত সম্মানের ছিল। এবং দ্বীনের খেদমত একটা লেভেলে তারও রয়েছে। বাহ্যত, হয়তো খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিরের চেয়েও বেশী।
ভালোবাসা রাখুন ইউসুফ কারজাবির প্রতিও যিনি হিদায়াত করেছেন লক্ষাধিক মুসলিমকে এবং একই সাথে কুফফার আর্মিতে অবস্থান করে মুসলিমদের হত্যার বৈধতা দিয়েছেন।
"ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ" বইয়ের শুরুর দিকে দলীল-প্রমাণ পেশ না করে ঢালাওভাবে মুসলিম উম্মতের জন্য স্ত্রী-সন্তান ত্যাগ করে পাহাড়ের গুহা ও মৃত্যুকে বেছে নেয়া মুসলিমদের কিভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন তিনি তা পড়তে গেলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।
পরোক্ষভাবে খাওয়ারিজ প্রমাণের কি নিদারুন চেস্টাই না করে গেছেন তিনি। পুরো বইয়েই বিষাক্ত বিভ্রান্তির ফুলঝুড়ি ছুটিয়েছেন তিনি। শুরুতে প্রমাণ করলেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জিহাদি কার্যক্রমে শরীক হয় ৫% , অপরদিকে আফগান তালিবানদের কথা এড়িয়ে গেলেন সুনিপুনভাবে। ইরাকের কথাও... ইরাকের প্রতিরোধকারী মুক্তিযোদ্ধাদের বাহবা দিয়ে একই সাথে তাদের আমিরকে ধ্বংসাত্মক বলতেও বাধ সাধলেন না।
আপনারা সৎ হোন। ইনসাফ করুন।
আপনাদের এনডোর্সমেন্ট যদি একজনকেও উনার কিতাবাদির দিকে আকৃষ্ট করে সেটার দায়ভার কে নিবে ইয়া ইখওয়ান? এই আপনারাই তো স্ট্যটাস লিখতেন, "শাইতানের আয়াতুল কুরসি শেখানোর উদাহারণ দিয়ে যেমন শাইতানকে সবসময় ফলো করা যাবে না তেমনি উলামায়ে ছুদের ভালো কিছু দেখলেই তাদের পক্ষে ঢোল বাজানো যাবে না", এখন কেন আপনারা নিজেদের কথা নিজেরাই ভুলে গেলেন?
"হে মুমিনগণ! তোমরা এমন কথা কেন বলো, যা তোমরা নিজেরাই করো না?"
- সুরা আস-সাফ, ৬১ঃ২
*খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিরের সমালোচনা কিংবা স্তুতি কোনোটাই আমার দরকার নেই। আমার উদ্দেশ্য এই ব্যাক্তির প্রশংসা করা আর ইয়েমেনে মুজাহিদিনদের হত্যার ফতোয়া দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলা/ শায়খ উসামা(রহ)'র পিঠ ভেঙ্গে দেয়ার দু'আ করা মুকবিল বিন হাদির প্রশংসা করা একই জিনিস।
*কোনো মাদখালির উদ্দেশ্যেও আমি এই লেখাটা লিখিনি।
গেট দা ফ্যক্টস স্ট্রেইট ব্রাদার্স। সরি ফর বিইং রুড... আপনাদের সন্তুস্টির চেয়ে আপনাদের ইনসাফই আমার কাছে অধিক পছন্দের।
ওআসসালাম।
Collected from: https://www.facebook.com/permalink.p...00010263545793
উনার ব্যাপারে আমার একটাই কথা, উনি যা অর্জন করেছেন আল্লাহ্* তা'আলা তার প্রতিদান যথাযথভাবে উনাকে মিটিয়ে দিন।
খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর এদেশের শীর্ষস্থানীয় সরকারি সালাফি ছিলেন। "ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ" বইয়ে মুজাহিদিনদের আমেরিকার পুতুল সাব্যস্ত করেছেন। এমনকি সকল উম্মত যেঁ জিহাদের ব্যপারে একমত সেই প্রথম আফগান জিহাদে অংশগ্রহণকারী মুজাহিদিনদেরকে আমেরিকান প্রশিক্ষিত বলেছেন।
শায়খ আবদুল্লাহ আজ্জাম (রহ) পরিষ্কার করেছেন বহু জায়গায় যে আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্র কেনা হয়েছে যা শারিয়াতে সুস্পষ্ট হালাল। এমন বিষয়কে যারা আমেরিকার দালালি বলে সে ব্যক্তির উদ্দেশ্য কী তা পরিষ্কার।
১০ লক্ষাধিক শাহিদ (ইনশা'আল্লাহ) + ১৫লক্ষাধিক অঙ্গহানি = ২৫ লক্ষ মানুষের কুরবানিকে আমেরিকার অবদান বলে দেয়া ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসা যদি ঐক্য হয় তবে আপনার বে-ইনসাফির মাত্রা আসমান ছুয়েছে ইয়া আখি!
অন্তত "ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ" বইয়ের শুরুর দিকেই খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব এটা পরিষ্কার করেছেন মুসলিম বিশ্বে ঘটে চলা ঘটনাবলীর ব্যাপারে তিনি গাফিল নন।
শাসকের আনুগত্যকে তিনি বাধ্যতামূলক প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন।
ইলমের খিয়ানত স্বরূপ মুসলিম উম্মতকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে লিখেছেন যে, ১৪০০ বছরের ইতিহাসে রাস্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত না হয়ে কোনো #মুসলিম গুপ্তহত্যা করেনি... ওয়াল্লাহি! উনি আবু বাসির (রা), উমাইর বিন আদি (রা) এর বিষয় জানেন না এটা কেউ এসে এখানে বলুক...
উনি নাফসে জাকিয়া, ইব্রাহিম (রাহিমাহুমুল্লাহ)'র ঘটনা জানেন না তা কেউ এখানে এসে বলুক। উমাইয়াদের বিরুদ্ধে যাদের জিহাদকে বদরের জিহাদের সাথে তুলনা করেছিলেন ইমামুল আজম আবু হানিফা (রাহ)।
পাকিস্তানের মুজাহিদিনদের বলেছেন আমেরিকার ক্রীড়ানক।
শায়খ উসামা বিন লাদিন (রাহি)কে ধ্বংসাত্মক বলেছেন এই ব্যাক্তি।
আল্লাহু আকবার ! একই সাথে এই দুই ব্যাক্তিকে ভালোবাসার মত উদার দিল আপনাদের হতে পারে , আমার হবে না। এমনটা শুধুমাত্র নিফাকাক্রান্ত দিলের পক্ষেই সম্ভব।
আপনারা কেন ইয়াসির কাজি, নুমান আলি খানকে দেখতে পারেন না? যেখানে, খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিরের চেয়ে তাদের দাওয়াহ আরও অনেক অনেক বেশী ছড়িয়েছে।
সিরিয়ার শীর্ষস্থানীয় আলিম আহমাদ হাসসুনের প্রতিও তাহলে ভালোবাসা রাখুন যিনি সরাসরি বাশার আল আসাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। যদিও সিরিয়ান বিপ্লবের আগে উনার অবস্থান সিরিয়ানদের কাছে অত্যন্ত সম্মানের ছিল। এবং দ্বীনের খেদমত একটা লেভেলে তারও রয়েছে। বাহ্যত, হয়তো খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিরের চেয়েও বেশী।
ভালোবাসা রাখুন ইউসুফ কারজাবির প্রতিও যিনি হিদায়াত করেছেন লক্ষাধিক মুসলিমকে এবং একই সাথে কুফফার আর্মিতে অবস্থান করে মুসলিমদের হত্যার বৈধতা দিয়েছেন।
"ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ" বইয়ের শুরুর দিকে দলীল-প্রমাণ পেশ না করে ঢালাওভাবে মুসলিম উম্মতের জন্য স্ত্রী-সন্তান ত্যাগ করে পাহাড়ের গুহা ও মৃত্যুকে বেছে নেয়া মুসলিমদের কিভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছেন তিনি তা পড়তে গেলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।
পরোক্ষভাবে খাওয়ারিজ প্রমাণের কি নিদারুন চেস্টাই না করে গেছেন তিনি। পুরো বইয়েই বিষাক্ত বিভ্রান্তির ফুলঝুড়ি ছুটিয়েছেন তিনি। শুরুতে প্রমাণ করলেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জিহাদি কার্যক্রমে শরীক হয় ৫% , অপরদিকে আফগান তালিবানদের কথা এড়িয়ে গেলেন সুনিপুনভাবে। ইরাকের কথাও... ইরাকের প্রতিরোধকারী মুক্তিযোদ্ধাদের বাহবা দিয়ে একই সাথে তাদের আমিরকে ধ্বংসাত্মক বলতেও বাধ সাধলেন না।
আপনারা সৎ হোন। ইনসাফ করুন।
আপনাদের এনডোর্সমেন্ট যদি একজনকেও উনার কিতাবাদির দিকে আকৃষ্ট করে সেটার দায়ভার কে নিবে ইয়া ইখওয়ান? এই আপনারাই তো স্ট্যটাস লিখতেন, "শাইতানের আয়াতুল কুরসি শেখানোর উদাহারণ দিয়ে যেমন শাইতানকে সবসময় ফলো করা যাবে না তেমনি উলামায়ে ছুদের ভালো কিছু দেখলেই তাদের পক্ষে ঢোল বাজানো যাবে না", এখন কেন আপনারা নিজেদের কথা নিজেরাই ভুলে গেলেন?
"হে মুমিনগণ! তোমরা এমন কথা কেন বলো, যা তোমরা নিজেরাই করো না?"
- সুরা আস-সাফ, ৬১ঃ২
*খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গিরের সমালোচনা কিংবা স্তুতি কোনোটাই আমার দরকার নেই। আমার উদ্দেশ্য এই ব্যাক্তির প্রশংসা করা আর ইয়েমেনে মুজাহিদিনদের হত্যার ফতোয়া দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলা/ শায়খ উসামা(রহ)'র পিঠ ভেঙ্গে দেয়ার দু'আ করা মুকবিল বিন হাদির প্রশংসা করা একই জিনিস।
*কোনো মাদখালির উদ্দেশ্যেও আমি এই লেখাটা লিখিনি।
গেট দা ফ্যক্টস স্ট্রেইট ব্রাদার্স। সরি ফর বিইং রুড... আপনাদের সন্তুস্টির চেয়ে আপনাদের ইনসাফই আমার কাছে অধিক পছন্দের।
ওআসসালাম।
Collected from: https://www.facebook.com/permalink.p...00010263545793
Comment