Announcement

Collapse
No announcement yet.

পর্ব-৩ -- দাজ্জালের মহা ফিতনা ও বর্তমান বিশ্&#

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পর্ব-৩ -- দাজ্জালের মহা ফিতনা ও বর্তমান বিশ্&#

    লিখেছেন কায়সার আহমেদ ২০১৫-০৫-০২ ০৮:৫১:০৫


    দাজ্জালের আগমন কি নিকটে?
    দাজ্জাল আসার পূর্বশর্ত ও শর্তের পূর্ণতা

    আমরা আগেই বলেছি যে দাজ্জালকে নিজেকে মিথ্যা মাসিহা বলে দাবি করতে হলে অবশ্যই তাকে দাউদ (আ) সিংহাসন বসে, সোলাইমান (আ) এর মত পুরো দুনিয়া শাসন করতে হবে। আর তা করতে কিছু পূর্ব শর্ত পূর্ণ করতে হবে। এখন আলোচনা করি কিভাবে সেই শর্ত গুলো পূর্ণ হচ্ছে-

    ১. জেরুজালেম কে জেন্টাইল (যারা ইয়াহুদী নয়) শাসন থেকে মুক্ত করতে হবে

    ----জেরুজালেম থেকে ইয়াহুদীদের শাসন ছিনিয়ে তাদের কে সেখান থেকে বিতারিত করা হয়েছিল সর্বশেষ ৭০ খ্রিস্টাব্দে। তারপর দুই হাজার বছর ধরে খ্রিষ্টান ও মুসলিম রা জেরুজালেম শাসন করেছিল যথাক্রমে প্রায় ৭০০ ও ১২০০ বছর। কিন্ত সর্বশেষ ১ম বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়ে ১৯১৭ সালে জেরুজালেমকে মুসলমানদের থেকে ছিনিয়ে নেয় ব্রিটেন (আমরা সেই যুদ্ধ কে ইয়াহুদীদের প্রথম ক্রুসেড মনে করি) আর তারপর সবাই কে অবাক করে ব্রিটেন ব্যলফর ঘোষণা (Balfour Declaration) করে দুনিয়া কে জানিয়ে দেয় “আমরা জেরুজালেমকে ইয়াহুদীদের জাতীয় বাসস্থান হিসেবে তৈরি করে দিব”। আর সেই সময় থেকেই জেন্টাইল শাসন মুক্ত জেরুজালেম প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয় যা
    শেষ হয় ১৯৪৮ সালে।

    Balfour Declaration



    ২. সেখানে সকল ইয়াহুদীদের একত্র করতে হবে ঠিক যেমন সোলাইমান (আ) এর সময় ইয়াহুদীরা সেখানে একত্রে বসবাস করত।

    ------সেখানে ইয়াহুদীদেরকে একত্র করা শুরু করছিল ব্রিটেন যখন তারা ‘লীগ অফ নেশন’ প্রদত্ত সনদ বলে ১৯১৭-১৯৪৮ পর্যন্ত পবিত্রভুমি শাসন করছিল। পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ইয়াহুদীদেরকে তারা এই সময় জেরুজালেমে নিয়ে আসে, আর মুসলমান নিধন করে তাদের বাসস্থান গড়ে দেই। তাই এই শর্তও পূরণ হয়েছে।
    ৩. দাউদ (আ)কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসরাইল রাস্ট্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    -----১৯৪৮ সালে ১৪ মে’তে প্রায় ৩০০০ বছর পর ইয়াহুদী রাস্ট্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের কোণঠাসা ব্রিটেন ‘ধাত্রী’ হিসেবে ইসরাইল নামক দেশ জন্ম দেই। এটা কি কোন কাকতালীয় ঘটনা যে ইয়াহুদীরা তাদের ভূমি আবার ৩ হাজার বছর পর ফিরে পেয়েছে?

    ৪. সোলাইমান আঃ এর সময় ইসরাইলের মানচিত্রে ইসরাইল যত বড়ছিল (Greater Israel) তত বড় হতে হবে, Temple of Solomon মানে হাইকল নির্মাণ করতে হবে।

    ----- সোলাইমান (আ)এর সময়-- নীল নদ থেকে ফুরাত নদীর মধ্য ভাগ পর্যন্ত আর খাইবার (মদীনার ১৫৩ কিমি উত্তরে) থেকে সিরিয়া পর্যন্ত --ছিল ইসরাইল রাস্ট্র। তারা এই Greater Israel খুব তারাতারি তৈরি করতে চাচ্ছে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই পরিকল্পনা হলো অনেক গুলো দেশ বা জাতীয়তাবাদে এই ভূখন্ড গুলোকে ভাগ করে দিয়ে জাতীয়তাবাদ, শিয়া-সুন্নি লড়াই ও কিছু ভন্ড খাওয়ারিজ জিহাদি গ্রুপ তৈরি করে মধ্যপ্রাচ্যকে পঙ্গু করে দেয়া হবে, তারপর সুন্দর করে স্থল অভিযান চালিয়ে দখল করা হবে আর এই পরিকল্পনা কতটুকু এগিয়েছে তা মধ্যপ্রাচ্যের দিকে তাকলেই বুঝা যায়।


    অনেক গুলো দেশ বা জাতীয়তাবাদে এই ভূখন্ড গুলোকে ভাগ করার পরিকল্পনা



    হাইকল হলো সোলাইমান (আঃ)’র তৈরি মসজিদ ‘মাসজিদে আকসা’ ইয়াহুদীরা একে হাইকল বলে। আর হাইকলের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল পবিত্রভুমি (বাইতুল মাকদীস) যা তারা ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইলের ৬ দিনের যুদ্ধে জয়ী হয়ে দখল করেছে। এখন শুধু তারা অপেক্ষা করছে মাসজিদে আকসা কে শহীদ করে হাইকল নির্মাণের। ইতি মধ্যে মাটির নিচে সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করে মাসজিদে আকসাকে দুর্বল করে দেয়া হয়েছে।

    মাসজিদে আকসা কে দুর্বল করার জন্য খোঁদাই কাজ চলছে



    ৫. ইসরাইল কে পুরা দুনিয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর হতে হবে ঠিক যেভাবে সোলাইমান (আ)’র সময় ছিল।

    ----এবং সর্বশেষে ইসরাইলকে সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর রাস্ট্র বা বর্তমান আমেরিকার মত হতে হবে। কিন্ত এত সহজে ৪ ও ৫ নং উদ্দেশ্য পূর্ণ করা যাবে না। তাই প্রয়োজন আর একটা যুদ্ধের -আর এই যুদ্ধ ইয়াহুদীরা বাধিয়ে দিবে। যাকে আমরা হাদিসের ভাষায় মালহামা (মহাযুদ্ধ) আর খ্রিষ্টানরা আরমোগেডান (Armageddon) বলে থাকে। (ইনশাআল্লাহ্ মালহামা নিয়ে একটা আমাদা পর্বে আলোচনা করবো)

    শেষ এ এতটুকু বলবো তারা তাদের মাসিহের আগমনের জন্য বেশ সুন্দর প্রেক্ষাপট তৈরি করতেছে। কিন্ত মুসলমানদের এতে ভীত হওয়া চলবে না আমরা জানি পরিশেষে বিজয় মুসলমানদেরই হবে। আল্লাহ্ বলেন পবিত্র কুরআনে বলেছেন—

    وَقَدْ مَكَرُوا مَكْرَهُمْ وَعِندَ اللَّهِ مَكْرُهُمْ وَإِن كَانَ مَكْرُهُمْ لِتَزُولَ مِنْهُ الْجِبَالُ
    তারা করেছে তাদের ষড়যন্ত্র। আল্লাহর কাছে আছে ষড়যন্ত্রে প্রতিবিধান। যদিও তাদের ষড়যন্ত্র এমন হয় যে, এতে পাহাড়ও টলে যায়। (সূরা-ইব্রাহীম, আয়াত-৪৬)

    وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
    আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে,তোমরাই জয়ী হবে। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১৩৯)

  • #2
    ইনশাআল্লাহ আরও পর্ব অতিসত্তর post করা হবে...

    Comment

    Working...
    X