Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইসলামের নামে জঙ্গিবাদঃ গবেষণাপ্রসূত নাকি খিয়ানতপূর্ণ?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইসলামের নামে জঙ্গিবাদঃ গবেষণাপ্রসূত নাকি খিয়ানতপূর্ণ?

    ইসলামের নামে জঙ্গিবাদঃ গবেষণাপ্রসূত নাকি খিয়ানতপূর্ণ?



    ১/ উইঘুর মুসলামানদের উপর রোজা,দাড়ি,বোরখা নিষিদ্ধ করেছে চীন সরকার। রাস্তার উপর সহস্রাধিক মুসলিম ইমামকে নাচতে বাধ্য করা হয়েছে। প্রতিবেশী মুসলিমের উপর নজরদারী বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

    ২/ আমেরিকা বিগত ২০ বছরে হত্যা করেছে ৪০লাখেরও অধিক মুসলমানকে। আর্থিক সাহায্যের দিক দিয়ে সন্ত্রাসী ইজরায়েলকে সবচেয়ে বেশী সাহায্য করে আমেরিকা। প্রতিবছরই এর পরিমাণ বাড়ে।

    ৩/ আমেরিকার ও চীনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠতম মিত্র "পাকিস্তান"। 'চীন-পাকিস্তান' সম্পর্ককে 'আমেরিকা-ইজরায়েল' সম্পর্কের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ২০০১ এ মুসলমান নিধনের জন্য আমেরিকার জন্য দরজা খুলে দেয় পাকিস্তান। ২০১৪'র শেষ দিকে সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্য 20-point National Action Plan (NAP) গৃহীত হয় পাকিস্তান-মার্কিন সরকারের উদ্যোগে...

    ৪/ Living Beneath the Drones - কুফফারদের নির্মিত একটি ডকুমেন্টরি; যেখানে পাকিস্তানে নারী-শিশু 'অযোদ্ধা' দের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞের উপাখ্যান তুলে ধরা হয়।
    The Intercepts নামের একটি সংগঠন The Drone Papers নামে মার্কিন ড্রোনের নির্মম হত্যাযজ্ঞের পরিসংখ্যান সংরক্ষিত করেছে। লক্ষণীয়, এই ড্রোনগুলো সহিহ আলেমদের উপর নয় বরং "মার্কিন প্রশিক্ষিত" ব্যক্তিদের উপরই কেবলমাত্র গোলাবর্ষণ করে!!


    যাই হোক! পৃথিবীর যে কোনো রাজনীতিসচেতন ব্যাক্তির উপরের তথ্যগুলো জানার কথা।

    অতঃপর,
    পাকিস্তানে গোপনে মুজাহিদিনদের আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা আর্থিক-সামরিক সাহায্য দেয় এটা খোদ পাকিস্তানি মিডিয়া কিংবা গোয়েন্দা সংস্থা না জানলেও খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব কিভাবে নিশ্চিত হলেন আল্লাহু আলাম।

    বিচ্ছিন্নভাবেও একটি দলীল-প্রমাণও না থাকা সত্ত্বেও এত জটিল ও গোপনীয় সংবাদ উনার কানে আসলো এটা সনদের ব্যাপারে আপসহীন শায়খ খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর বইটিতে পরিষ্কার করেন নি।

    গোটা বইয়ে শ'খানেকেরও বেশী ফুটনোট উল্লেখ করা সত্ত্বেও আল্লাহ্* তা'আলাই ভালো জানেন হক্কানি উলামায়ে কেরাম, তালিবানে ইলম ও মুজাহিদিনদের আমেরিকার পুতুল বলার মত একটি মন্তব্যের স্বপক্ষে একটি রেফারেন্সও কেন দিলেন না?

    মুহতারাম স্বয়ং দলীল-প্রমাণ পেশ না করে অপবাদ দিয়ে দিলেন, অথচ উলটো মুজাহিদিনদের অপবাদ দিয়ে যাচ্ছেন যে, "এসকল ইসলামপন্থীদের দাবী-দাওয়া ও যুক্তির পক্ষে ‪‎কোনো প্রমাণই‬ নেই!!!" (লা হাওলা ওয়াল কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)



    অথচ চার পয়েন্টে উপরো্ল্লিখিত সূর্যের আলোর মত পরিষ্কার তথ্যগুলো কি উনার কাছে পৌছায়নি?

    যদি পৌছিয়ে থাকে তবে কিভাবে উনি স্বয়ং "খুনী-ক্রুসেডারদের ভৃত্য" পাকিস্তানকে ক্রুসেডারদের প্রতিরোধে অগ্রবাহিনী হিসেবে কল্পনা করলেন!!??

    পরিশেষে, এখানে দুটি বিষয়ের যে কোনো একটি ঘটেছে...

    ১/ তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে মুজাহিদিন ও মুসলামানদের গায়ে কালিমা লেপন করতে চেয়েছেন এবং মুরতাদ শাসকগোষ্ঠীকে ইসলামের লেবাস পরাতে চেয়েছেন। অথবা,
    ২/ তিনি এই বিষয়ে চূড়ান্ত অজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র বিরোধিতার জন্য কলম ধরেছেন। এবং যাচাই-বাছাই না করেই মুসলমান ভাইদের গায়ে অপবাদ দিয়েছেন...


    গবেষণাপ্রসূত বলার কোনো সুযোগ আছে কি? উনার মত একজন ব্যক্তিকে হাক্কপন্থী আলেম বলার কোনো সুযোগ আছে কি?

    অন্তত, অনুসরণীয় বলার সুযোগ নেই... ওয়াল্লাহু আ'লাম।
    Last edited by Abu Khubaib; 05-30-2016, 12:42 PM.
    إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ ‏

    "যখন আমরা কোন সম্প্রদায়ের নিকট পৌছি যুদ্ধের জন্য, এটি তাদের জন্য দুর্বিষহ সকাল যাদেরকে পূর্বে সতর্ক করা হয়েছিল।"

    (সহিহ বুখারি, ৩৭১)

  • #2
    জাযাকাল্লাহ ভাই । জ্ঞানীদের জন্য অল্পই যথেষ্ট.....

    Comment


    • #3
      নিঃসন্দেহে এরা র*্যন্ড আলেম।

      শাইখ মুহাইসিনীর ফতোয়া তাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে......

      Originally posted by bayezid View Post

      ফিতনা-ফ্যাসাদের এই সময় আমাদের প্রয়োজন অত্যন্ত দৃঢ় থাকা। তাই এসময় মুসলিমদের জন্য এটা অনুমোদিত হবে না যে তারা যেসব লোক বিদা’আত ছড়ায় তাদের প্রচারিত কোন কিছু দেখবে বা অনুসরণ করবে। এটা শুধুমাত্র তাদের প্রচারিত বিষয়ের সংশয় নিরসনের কারণে দেখা যেতে পারে। আর যখন আমরা বিদা’আত প্রচারকারী বলি তখন এর মধ্যে বাগদাদী’র খিলাফার আওতাভুক্ত লোকজন, সূফিবাদের প্রচারক, রাসূল (সঃ) এর সাহাবীদের (রাঃ) নিয়ে কটুক্তিকারী এরা সকলেই অন্তর্ভুক্ত থাকে যদিও এরা অপ্রকাশ্যে এই কাজ করে।
      মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
      রোম- ৪৭

      Comment


      • #4
        ফিতনা-ফ্যাসাদের এই সময় আমাদের প্রয়োজন অত্যন্ত দৃঢ় থাকা। তাই এসময় মুসলিমদের জন্য এটা অনুমোদিত হবে না যে তারা যেসব লোক বিদা’আত ছড়ায় তাদের প্রচারিত কোন কিছু দেখবে বা অনুসরণ করবে। এটা শুধুমাত্র তাদের প্রচারিত বিষয়ের সংশয় নিরসনের জন্য দেখা যেতে পারে। আর যখন আমরা বিদা’আত প্রচারকারী বলি তখন এর মধ্যে বাগদাদী’র খিলাফার আওতাভুক্ত লোকজন, সূফিবাদের প্রচারক, রাসূল (সঃ) এর সাহাবীদের (রাঃ) নিয়ে কটুক্তিকারী এরা সকলেই অন্তর্ভুক্ত থাকে যদিও এরা অপ্রকাশ্যে এই কাজ করে।

        Comment

        Working...
        X