Announcement

Collapse
No announcement yet.

সামরিক 'Rule' অনুযায়ী বাগদাদীর সিদ্ধান্তটাই স&

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সামরিক 'Rule' অনুযায়ী বাগদাদীর সিদ্ধান্তটাই স&

    কিছুক্ষণ আগে এক 'বুদ্ধিজীবী' ভাইয়ের একটি পোস্ট নিউজফিডে ভেসে উঠলো ৷ আফসোস, তার নামটি ভুলেগেছি ৷
    .

    তার পোস্টটি ছিলো এমন
    "সামরিক 'Rule' অনুযায়ী বাগদাদীর সিদ্ধান্তটাই সঠিক ছিলো ৷ জাওয়াহিরীর ফায়সালা ছিলো ভুল ৷ জাওয়াহিরী যদি নুসরাকে দাউলার সাথে যুক্ত হওয়ার আদেশ করতেন, তাহলে এতোদিনে বাশারকে পরাজিত করা যেত ৷ আল্লাহ খিলাফাকে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিন ৷ আর জাওয়াহিরীকে ক্ষমা করুন ৷"
    .
    তার পোস্ট আরো দীর্ঘ ছিলো ৷ এখানে সংক্ষেপে মূল বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে ৷
    .
    প্রথমে আল্লাহর কাছে আমার জন্য এবং পরে ভাইটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি ৷ এবং তার বক্তব্যের সঠিক উত্তর লেখার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করছি ৷
    .
    মনে করুন, জাওয়াহিরী নুসরাকে দাউলার সাথে যোগদেয়ার নির্দেশ করলেন ৷ নুসরা দাউলার সাথে যোগ দেয়ার কারণে বাগদাদীর ক্ষমতা পূর্বের চেয়ে এখন দ্বিগুণ ৷ কিন্তু একথা আপনি কিভাবে বিশ্বাস করলেন যে, সিরিয়ার অন্যান্য জিহাদী গ্রুপগুলো বাগদাদীকে মেনেনিবে..?
    .
    বাগদাদীর জামাত নুসরা সহ অন্যান্য মুজাহিদদের উপর যে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে, যদি নুসরা দাউলার সাথে যোগ দিতো তাহলে হত্যাকাণ্ডের পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়ে যেতো ৷ আপনি জানেন কি, নুসরা ও আহরার আশ-শাম নিয়ন্ত্রিত এলাকা "হলব" , আইএস গত চার মাস অবরোধ করে রেখেছে ৷ সেখানে জ্বালানী ও খাদ্য সর্বরাহ করতে দিচ্ছে না ৷ হলবে জ্বালানী সর্বরাহ করার অপরাধে গত দুই মাস আগে ১৪ জন ট্রাক চালককে জবাইকরে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো ৷ গত চার মাস ধরে আইএস "হলবে" স্থল হামলা চালাচ্ছে, আর বাশার বাহিনী বিমান হামলা চালাচ্ছে ৷ যদি নুসরা দাউলায় যোগ দিতো, তাহলে সিরিয়ায় মুসলমানদের অবস্থা আরো করুন হতো ৷ নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধিকেই বড়ো মনে করলেন, মুসলমানদের শান্তিকে জরুরী মনে করলেন না ৷ বিপক্ষের মুসলমানদের হত্যা করে আপনারা কেদের উপর খিলাফা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন..? আপনাদের খিলাফত শুধু HD ফ্লিমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ৷ বাস্তবে এর কোনো প্রয়োগ নেই ৷ যে ব্যক্তি নির্ভয়ে রাস্তায় বের হতে পারে না, সে আবার "খলিফা" হয় কী করে..! যেখানে খলিফার দায়িত্ব ছিলো মুসলিম জনসাধারণের ১০০% নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেখানে সয়ং খলিফা-ই মুসলমানদের নিরাপত্তাহীনতার কারণ ৷ যেখানে যুদ্ধকবলিত এলাকায় জুমার নামাজ সহ ইসলামের অনেক বিধিবিধান রহিত হয়ে যায়, সেখানে আর যাই হোক, খেলাফত প্রতিষ্ঠা হয় কী করে..? শরীয়তের মূলনীতি বহীর্ভূত এই খিলাফত না মানার কারণে, মুসলমানকে হত্যা করার আসপর্দা এরা কোথায় পেলো..?
    .
    অনেকে বিলাপ করে এই বলে যে, কেবল খিলাফা ঘোষণার কারণেই এরা দাউলার বিরোধিতা করছে ৷" আরে বোকা ! মুসলমানরা বাগদাদীর বিরোধিতা তখন-ই করা শুরু করেছে, যখন বাগদাদী খেলাফত না মানার কারণে মুসলমানদের ধরে ধরে জবাই করতে শুরু করে ৷ খিলাফা ঘোসণার পর বাগদাদীর উচিত ছিলো ইরাক জয় করা ৷ তা না করে বরং উলটো বাগদাদী সিরিয়ার মুসলমানদের চোখ রাঙ্গাতে লাগলো ৷ বাগদাদীর উচিত ছিলো ইসরাইল জয় করার জন্য হামাসকে সাহায্য করা, এবং হামাসকে ইসলামীকরণ করা ৷ তা না করে বরং বাগদাদী হামাসকে মুর্তাদ ঘোষণা দিলো ৷ হামাসের উপত আত্মঘাঁতী হামলা চালাতে লাগলো ৷ এসব কি কোনো খলিফার আচরণ, না কি দস্যু দলের আচরণ..? তাও মেনে নিতাম যদি আপনারা মুসলমানদের আশার আলো দেখাতে পারতেন ৷ কিন্তু আপনারা তো একের পর এক ফিতনা সৃষ্টি করেই চলেছেন ৷ মুসলমানদের ধরে ধরে জবাই করে ফ্লিম তৈরী করছেন ৷
    .
    প্রতিপক্ষকে মেনে নেয়ার মানসিকতা যদি আপনার না থাকে, তাহলে মুসলিম সমাজের প্রধান হওয়া আপনা পক্ষে সম্ভব নয় ৷ রাসূলের সময় সাহাবাদের মধ্যেও দুটি দল ছিলো ৷ আনসার, মুহাজীর ৷ আপসে তাদের মাঝে কথা "কাটাকাটি" হয়ে ছিলো ৷ এতো কিছুর পরও সাহাবারা ইসলামের সার্থে পরস্পরে ভাইয়ের চেয়ে আপন ছিলেন ৷ আমরা কি পারি না সাহাবাদের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে..!
    .
    রাসূলের মৃত্যুর পর সাহাবারা দুই ভাগ হয়ে গেলেন ৷ আনসাররা বললো আমাদের পক্ষ থেকে নেতা হবে ৷ মুহাজীররা বললো আমাদের পক্ষ থেকে নেতা হবে ৷ আরেক পক্ষ বললো উভয় পক্ষ থেকে দুজন নেতা হবে ৷ আবু বকর রঃ বললেন, মুসলমানদের নেতা একজন হবে, দুজন হতে পারবে না ৷ এবং রাসূল সঃ বলেছেন নেতা কেবল কুরাশদের থেকে হবে (এখন কুরাইশ বংশ নেই ৷ কুরাইশ বংশ নামে এখন যারা আছে তারা হাদীসে উদ্দেশ্য নয় ৷ এবিষয়ে ওলামাদের বিষদ আলোচনা রয়েছে) ৷ আবু বকর রঃ এই সুজোগে নিজেকে "নেতা" বলে ঘোষণা দেন নি ৷ বরং সকল সাহাবী আবু বকর রঃ কে আমীর নির্বাচিত করে ৷ নেতৃত্ব গ্রহণের পর আবু বকর রাঃ প্রতিপক্ষ আনসার সাহাবীদের হত্যায় মেতে ওঠেন নি ৷ বরং কাফেরদের বিরুদ্ধে উসামা রঃ নেতৃত্বে এক জামাত পাঠালেন ৷ মুর্তাদদের বিরুদ্ধে অভিযান পাঠালেন ৷
    .
    আফসোস..!! আজ মুসলমানদের দূর্দিনে স্বঘোষিত খলিফা আবু বকর দায়িত্ব গ্রহণের পর, কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত মুজাহিদীনের উপর পিছন থেকে আক্রমণ শুরু করে ৷ একজন সুস্থ মস্তিষ্কের অধীকারী মুসলমান এই ব্যক্তিকে কিভাবে খলিফা হিসেবে মেনে নিতে পারে..?
    .
    আর যদি শাইখ বাগদাদী জাওয়াহিরীর ফায়সালা মেনে ইরাকে ফিরে যেতেন, এবং ইরাকী শিয়া সরকারের উপর আক্রমণ শুরু করতেন ৷ তাহলে আল্লাহর ইচ্ছায় হয়তো আজ মুসলমানরা ইরাকেও বিজয়ী থাকতো ৷ সিরিয়াতে-ও বিজয়ী থাকতো ৷ যেই ভাইকে নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম, আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করুক ৷ তিনি সহজ বিষয়টি না বুঝে উলটো বুঝে ছেন ৷ বরং তাকে ভুল বুঝানো হয়েছে ৷ তিনি মনে করলেন, নুসরা আমাদের দখলে আসলে আমাদের ক্ষমতা বাড়তো ৷ কিন্তু তিনি বুঝলেন না যে, এর মাধ্যমে বাগদাদী আরো মুসলমানের উপর ছুড়ি চালানোর সুযোগ পেতো ৷
    .
    আল্লাহ আমাকে এবং সেই ভাইকে হেদায়াত করুন ৷ আমার ভুলগুলো আল্লাহ ক্ষমা করুন ৷ সাহাবীদের ব্যক্তিগত বিসয়ে কথা বলেছি ৷ যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে আল্লার কাছে ক্ষমা চাই ৷ সাহাবাদের ভুলের মাঝেও আল্লাহ আমাদের জন্য আদর্শ রেখেছেন ৷ আমি সেই আদর্শকে গ্রহণ করার চেষ্টা করেছি মাত্র ৷ আমার কথার ভুল ব্যখ্যা করে কেউ স্বল্প জ্ঞানের পরিচয় দিবেন না ৷

  • #2
    যে ব্যক্তি নির্ভয়ে রাস্তায় বের হতে পারে না, সে আবার "খলিফা" হয় কী করে..! যেখানে খলিফার দায়িত্ব ছিলো মুসলিম জনসাধারণের ১০০% নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেখানে সয়ং খলিফা-ই মুসলমানদের নিরাপত্তাহীনতার কারণ ৷ যেখানে যুদ্ধকবলিত এলাকায় জুমার নামাজ সহ ইসলামের অনেক বিধিবিধান রহিত হয়ে যায়, সেখানে আর যাই হোক, খেলাফত প্রতিষ্ঠা হয় কী করে..? শরীয়তের মূলনীতি বহীর্ভূত এই খিলাফত না মানার কারণে, মুসলমানকে হত্যা করার আসপর্দা এরা কোথায় পেলো..?

    Comment

    Working...
    X