দাজ্জালের মহা ফিতনা ও বর্তমান বিশ্বঃ পর্ব-৬ (দাজ্জালের সিস্টেম-১)
কায়সার আহমেদ...
পৃথিবীর কিছু রহস্যময় রূপান্তরের (Mysterious Transformation) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল পুরো বিশ্বে প্রায় একই রকম রাষ্ট্রব্যবস্থা, কোথাও হল সমাজবাদ, কোথাও সাম্যবাদ অথবা পুঁজিবাদ বা আধুনিক গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা কিন্তু সকল ব্যবস্থাতেই একটি জিনিষ মিল আছে সেটা হল মানুষের শাসন অর্থাৎ শাসন পরিচালনা হবে মানুষের নিয়মে যদি সেটা স্রষ্টার নিয়মের বিপরিত হয় তবুও।
বর্তমানে এক অদ্ভুত উপায়ে আল্লাহর আইন কে তোয়াক্কা করে নিজের মত করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে সকল মানুষ রাষ্ট্রীয়ভাবে আল্লাহ কে অস্বীকার করছে আর ব্যক্তিগত ভাবে শিরক করছে, কিন্ত অতিতে শিরক হত কোন বুস্তু বা মানুষ কে স্রষ্টার মর্যাদা দিয়ে আর বর্তমানে পরোক্ষ ভাবে জনগন নিজেকেই স্রষ্টার মর্যাদা দিচ্ছে। ফলে মানুষ নিজেই নিজের রব হয়ে গেছে। যেহেতু এখন সকল রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে তাই আমরা এখানে শুধু গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা নিয়েই আলোচনা করবো।
গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সংজ্ঞা--
গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হলো এমন শাসনব্যবস্থা যেখানে সর্বচ্চো শাসনক্ষমতা হলো জনগনের এবং জনগনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আইন প্রণয় করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। আর তাই সহজে বলা হয় জনগনের শাসন জনগণের জন্য জনগনেরই দ্বারা।
[গণতন্ত্র একটা মতবাদ তাই এর সংজ্ঞা সেটাই হবে যা এর প্রবর্তকরা দিয়েছেন, আমরা চাইলেই নিজের মত করে ব্যাখ্যা করতে পারবো না]
গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা আল্লাহকে অস্বীকার করে---
রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আধুনিক কোন মতবাদ আল্লাহ কে মানে না। গণতন্ত্র আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে নীরব থেকে, জনগণকেই আল্লাহর আসনে বসিয়ে দিয়েছে। আর ঠিক তাই গণতন্ত্রের সর্বচ্চো শাসনক্ষমতা হলো জনগনের, স্রষ্টার নই। অথচ ইতিহাসে সকল সময়ে এই সর্বচ্চো শাসনক্ষমতা ছিল স্রষ্টার, হতে পারে তা মহান আল্লাহর অথবা কোন মিথ্যা শিরকি দেবতার। যেমনঃ মুসলিম সমাজে আল্লাহ ছিলেন সর্বচ্চো শাসনক্ষমতার অধিকারী তাই যুগেযুগে আল্লাহর ওহী’ই ছিল আইনের প্রধান উৎস, আবার হিন্দু সমাজে তাদের ধর্মই হলো আইন, রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিষ্টানদের, বা আকবরের সময় হিন্দু-মুসলিম ধর্ম মিলিয়ে অর্থাৎ সকল সময় মানুষ নিজেকে নই স্রষ্টাকেই সর্বচ্চো শাসনক্ষমতার অধিকারী মনে করে স্রষ্টার আইনকেই মূল আইন মনে করেছে।
আর বর্তমানে সকল মানুষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীরের একটা অংশ হওয়ার কারনে রাষ্ট্রীয় ভাবে মানুষ আল্লাহকে অস্বীকার করছে।
গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় আল্লাহর সাথে শিরক করা
যারা আল্লাহ কে মানে ব্যক্তিগত ভাবে তারা শিরকে জড়িয়ে পরছে। গণতন্ত্র বলে “জনগন সকল ক্ষমতার মালিক’’। সার্বভৌমত্ব হল জনগণের আল্লাহর নয় । আর আল্লাহ বলেছেন-
إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
“নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান” [সূরা বাকারা ০২:১০৯]
আবার গণতন্ত্রে জনগনের ক্ষমতা আছে তারা চাইলে যা ইচ্ছা (সুদ, মদ, যিনাহ, সহশিক্ষা ইত্যাদিকে) বৈধ বা (দাঁড়ী, টুপি, ইসলামিক বই, আল্লাহর আইন, মাইকে আযান ইত্যাদিকে) অবৈধ বানাতে পারে অর্থাৎ হালাল কে হারাম অথবা হারাম কে হালাল বানানোর অধিকারও জনগনের আছে। এবং জনগণই এখন তাদের খেয়াল খুশি তে নির্ধারণ করে কি করতে হবে, কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে নয়। অথচ আল্লাহ বলেছেন-
إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ
“আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই’’ [সূরা ইউসুফ ১২:৪০]
“যারা আল্লাহর বিধান অনুসারে বিধান দেয় না তারাই কাফের”। [সূরা মায়িদা : ৪৪]
[খিলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থায়ও একজন খালিফা এই রকম আইন করতে পারে, তবে আমরা এখানে খিলাফত ব্যবস্থা কে দোষারোপ করতে পারবো না এটার দাঁয় শুধু খলিফা/ব্যক্তির উপর বর্তাবে কেননা খিলাফত ব্যবস্থা এমন আইন করার অনুমোদন দেই না, অপরদিকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই এমনটা হলে সর্ব প্রথমে ব্যবস্থা কেই দোষারোপ করতে হবে কারন এই ব্যবস্থাই এটার অনুমতি দিয়েছে।]
আল্লাহ হলেন আল-হাকাম। কিন্তু এখন জনগন বলছে না আমাদেরও বিধান দেওয়ার ক্ষমতা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্রে মানুষ হলো আল্লাহর সমান (নাউযুবিল্লাহ)
রাসূল সা বলেছেন—
“যে ব্যক্তি ধারণা করবে যে, আল্লাহ তাআলা ‘আমর’ (সংবিধান ও আইন প্রনয়ন)-এর কোন অধিকার বান্দাদের সামান্য দিয়েছেন, তাহলে সে নবীদের উপর আল্লাহর নাযিলকৃত সমস্ত কথাকে অস্বীকার করবে। কেননা আল্লাহ বলেছেন- শোনে রাখো, সৃষ্টি ও নির্দেশ (আইন প্রণয়ন) শুধু আল্লাহ্র।” [তাফসীরে তাবারী খণ্ড ১২ সূরা আরাফ :৫৪]
মানুষ মানুষের রব
বর্তমানে আমরা নিজেদেরই বানানো আইনের মাধ্যমে নিজেদেরই উপাসনা করছি অর্থাৎ মানুষ মানুষের রব-----
তারা তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদিগকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে …(সূরা তাওবা-৩১) আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ)যখন এই আয়াতটি পড়ছিলেন তখন আদি বিন হাতিম (রাঃ) বলেন “হে আল্লাহ্র রাসুল! তারাতো রাবি এবং আলেমদের উপাসনা করে না।” তখন আল্লাহ্র রাসুল বলেন, “নিশ্চয়ই তারা তা করে। তারা (রাবি এবং আলেমরা) হালালকে হারাম আর হারামকে হালাল বানায় এবং তারা (ইহুদি এবং খ্রিস্টানরা) তাদের অনুসরন করে এবং অনুসরন করেই তারা তাদের উপাসনা করে” (আহমাদ,আত-তিরমিজি এবং ইবন জারির) (তাফসীরে তাবারী খণ্ড ১০ পৃষ্ঠা ১১৪)
কায়সার আহমেদ...
পৃথিবীর কিছু রহস্যময় রূপান্তরের (Mysterious Transformation) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল পুরো বিশ্বে প্রায় একই রকম রাষ্ট্রব্যবস্থা, কোথাও হল সমাজবাদ, কোথাও সাম্যবাদ অথবা পুঁজিবাদ বা আধুনিক গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা কিন্তু সকল ব্যবস্থাতেই একটি জিনিষ মিল আছে সেটা হল মানুষের শাসন অর্থাৎ শাসন পরিচালনা হবে মানুষের নিয়মে যদি সেটা স্রষ্টার নিয়মের বিপরিত হয় তবুও।
বর্তমানে এক অদ্ভুত উপায়ে আল্লাহর আইন কে তোয়াক্কা করে নিজের মত করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে সকল মানুষ রাষ্ট্রীয়ভাবে আল্লাহ কে অস্বীকার করছে আর ব্যক্তিগত ভাবে শিরক করছে, কিন্ত অতিতে শিরক হত কোন বুস্তু বা মানুষ কে স্রষ্টার মর্যাদা দিয়ে আর বর্তমানে পরোক্ষ ভাবে জনগন নিজেকেই স্রষ্টার মর্যাদা দিচ্ছে। ফলে মানুষ নিজেই নিজের রব হয়ে গেছে। যেহেতু এখন সকল রাষ্ট্রব্যবস্থার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে তাই আমরা এখানে শুধু গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা নিয়েই আলোচনা করবো।
গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সংজ্ঞা--
গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হলো এমন শাসনব্যবস্থা যেখানে সর্বচ্চো শাসনক্ষমতা হলো জনগনের এবং জনগনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আইন প্রণয় করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হয়। আর তাই সহজে বলা হয় জনগনের শাসন জনগণের জন্য জনগনেরই দ্বারা।
[গণতন্ত্র একটা মতবাদ তাই এর সংজ্ঞা সেটাই হবে যা এর প্রবর্তকরা দিয়েছেন, আমরা চাইলেই নিজের মত করে ব্যাখ্যা করতে পারবো না]
গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা আল্লাহকে অস্বীকার করে---
রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার আধুনিক কোন মতবাদ আল্লাহ কে মানে না। গণতন্ত্র আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে নীরব থেকে, জনগণকেই আল্লাহর আসনে বসিয়ে দিয়েছে। আর ঠিক তাই গণতন্ত্রের সর্বচ্চো শাসনক্ষমতা হলো জনগনের, স্রষ্টার নই। অথচ ইতিহাসে সকল সময়ে এই সর্বচ্চো শাসনক্ষমতা ছিল স্রষ্টার, হতে পারে তা মহান আল্লাহর অথবা কোন মিথ্যা শিরকি দেবতার। যেমনঃ মুসলিম সমাজে আল্লাহ ছিলেন সর্বচ্চো শাসনক্ষমতার অধিকারী তাই যুগেযুগে আল্লাহর ওহী’ই ছিল আইনের প্রধান উৎস, আবার হিন্দু সমাজে তাদের ধর্মই হলো আইন, রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিষ্টানদের, বা আকবরের সময় হিন্দু-মুসলিম ধর্ম মিলিয়ে অর্থাৎ সকল সময় মানুষ নিজেকে নই স্রষ্টাকেই সর্বচ্চো শাসনক্ষমতার অধিকারী মনে করে স্রষ্টার আইনকেই মূল আইন মনে করেছে।
আর বর্তমানে সকল মানুষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীরের একটা অংশ হওয়ার কারনে রাষ্ট্রীয় ভাবে মানুষ আল্লাহকে অস্বীকার করছে।
গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় আল্লাহর সাথে শিরক করা
যারা আল্লাহ কে মানে ব্যক্তিগত ভাবে তারা শিরকে জড়িয়ে পরছে। গণতন্ত্র বলে “জনগন সকল ক্ষমতার মালিক’’। সার্বভৌমত্ব হল জনগণের আল্লাহর নয় । আর আল্লাহ বলেছেন-
إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
“নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান” [সূরা বাকারা ০২:১০৯]
আবার গণতন্ত্রে জনগনের ক্ষমতা আছে তারা চাইলে যা ইচ্ছা (সুদ, মদ, যিনাহ, সহশিক্ষা ইত্যাদিকে) বৈধ বা (দাঁড়ী, টুপি, ইসলামিক বই, আল্লাহর আইন, মাইকে আযান ইত্যাদিকে) অবৈধ বানাতে পারে অর্থাৎ হালাল কে হারাম অথবা হারাম কে হালাল বানানোর অধিকারও জনগনের আছে। এবং জনগণই এখন তাদের খেয়াল খুশি তে নির্ধারণ করে কি করতে হবে, কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে নয়। অথচ আল্লাহ বলেছেন-
إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ
“আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেবার ক্ষমতা নেই’’ [সূরা ইউসুফ ১২:৪০]
“যারা আল্লাহর বিধান অনুসারে বিধান দেয় না তারাই কাফের”। [সূরা মায়িদা : ৪৪]
[খিলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থায়ও একজন খালিফা এই রকম আইন করতে পারে, তবে আমরা এখানে খিলাফত ব্যবস্থা কে দোষারোপ করতে পারবো না এটার দাঁয় শুধু খলিফা/ব্যক্তির উপর বর্তাবে কেননা খিলাফত ব্যবস্থা এমন আইন করার অনুমোদন দেই না, অপরদিকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই এমনটা হলে সর্ব প্রথমে ব্যবস্থা কেই দোষারোপ করতে হবে কারন এই ব্যবস্থাই এটার অনুমতি দিয়েছে।]
আল্লাহ হলেন আল-হাকাম। কিন্তু এখন জনগন বলছে না আমাদেরও বিধান দেওয়ার ক্ষমতা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্রে মানুষ হলো আল্লাহর সমান (নাউযুবিল্লাহ)
রাসূল সা বলেছেন—
“যে ব্যক্তি ধারণা করবে যে, আল্লাহ তাআলা ‘আমর’ (সংবিধান ও আইন প্রনয়ন)-এর কোন অধিকার বান্দাদের সামান্য দিয়েছেন, তাহলে সে নবীদের উপর আল্লাহর নাযিলকৃত সমস্ত কথাকে অস্বীকার করবে। কেননা আল্লাহ বলেছেন- শোনে রাখো, সৃষ্টি ও নির্দেশ (আইন প্রণয়ন) শুধু আল্লাহ্র।” [তাফসীরে তাবারী খণ্ড ১২ সূরা আরাফ :৫৪]
মানুষ মানুষের রব
বর্তমানে আমরা নিজেদেরই বানানো আইনের মাধ্যমে নিজেদেরই উপাসনা করছি অর্থাৎ মানুষ মানুষের রব-----
তারা তাদের পন্ডিত ও সংসার-বিরাগীদিগকে তাদের পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে …(সূরা তাওবা-৩১) আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ)যখন এই আয়াতটি পড়ছিলেন তখন আদি বিন হাতিম (রাঃ) বলেন “হে আল্লাহ্র রাসুল! তারাতো রাবি এবং আলেমদের উপাসনা করে না।” তখন আল্লাহ্র রাসুল বলেন, “নিশ্চয়ই তারা তা করে। তারা (রাবি এবং আলেমরা) হালালকে হারাম আর হারামকে হালাল বানায় এবং তারা (ইহুদি এবং খ্রিস্টানরা) তাদের অনুসরন করে এবং অনুসরন করেই তারা তাদের উপাসনা করে” (আহমাদ,আত-তিরমিজি এবং ইবন জারির) (তাফসীরে তাবারী খণ্ড ১০ পৃষ্ঠা ১১৪)
Comment