নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) ধারাবাহিক টার্গেট কিলিং ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে এবিটির সামরিক শাখার (কিলার গ্রুপ) ২৩ দুর্ধর্ষ জঙ্গির একটি হিটলিস্ট তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকার বাইরে রয়েছে আরও ১৫ থেকে ১৬ মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। এই অর্ধশত জঙ্গি রাজধানীসহ সারা দেশে এবিটির পুরো জঙ্গি কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছে। একের পর এক লেখক, প্রকাশক, ব্লগার হত্যা করে জানান দিচ্ছে নিজেদের শক্তির।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার অনুসারী এবিটির আধ্যাত্মিক নেতা মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানী ২০১৩ সাল থেকে কারাবন্দি। বর্তমানে কথিত ‘বড়ভাই’ সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এ সংগঠনের মূল চালিকাশক্তি। কাকে হত্যা করা হবেÑ সে সিদ্ধান্ত তিনিই দিয়ে থাকেন। নিষিদ্ধ এই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে অর্থায়ন করছেন বেশ কয়েক ব্যবসায়ী। এসব ব্যবসায়ীর সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, অন্যসব নিষিদ্ধ সংগঠনের চেয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গি কার্যক্রমের ধরন আলাদা। এই সংগঠনের সঙ্গে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ভারতের জঙ্গিদের (একিআইএস) গভীর কানেকশন আছে। এখনই সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে না দিলে ভবিষ্যতে সংগঠনটি বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তির জন্য বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দেখা দিতে পারে।
সূত্র জানায়, গত ২১ জুন এবিটির অপারেশন উইংয়ের সদস্য সুমন হোসেন পাটোয়ারী ওরফে সিহাব ওরফে সাইফুল আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, টঙ্গীর বর্ণমালা এলাকার একটি বাসায় গত বছর প্রথম কথিত বড়ভাইয়ের সঙ্গে তার দেখা হয়। তখন বড়ভাই তাকে বলেন, আল্লাহর জন্য জিহাদ করতে হবে। নাস্তিকদের কতল করতে হবে। তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন এবং জিহাদের জন্য তা ছেড়ে দিয়েছেন। এই বড়ভাইয়ের নির্দেশ ছাড়া কোনো খুন হয় না। এই বড়ভাই হলেন সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়া।
এবিটির সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে জানা গেছে, কথিত ‘বড়ভাই’ সংগঠনের মূল নেতা। তার পরেই গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক বা মাছুল-১ হলো শরিফুল ওরফে সাকিব ওরফে শরিফ ওরফে সালেহ ওরফে আরিফ ওরফে হাদী-১। যে কিছুদিন আগে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে খিলগাঁও এলাকায় নিহত হয়। যার প্রকৃত নাম মুকুল রানা। এরপরই আছে সেলিম ওরফে ইকবাল ওরফে মামুন ওরফে হাদী-২। সংগঠনে তার পদবি মাছুল-২। তার উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি, চশমা পরে এবং শ্যামলা বর্ণের, তার বাড়ি উত্তরবঙ্গে। প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা, ওয়াশিকুর বাবু হত্যা, নিলাদ্রী নীলয় হত্যা, মিরপুরের স্কুলশিক্ষক হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সে সরাসরি উপস্থিত ছিল। ব্লগার নাজিমউদ্দিন সামাদ এবং কলাবাগানে জুলহাজ মান্নান ও তনয় হত্যাকা-েও তার সরাসরি উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এই দুজনের পরই আছে ৪টি সিøপার সেল। প্রতিটি সেলে ৫ জন করে কিলার রয়েছে। মূলত এই গ্রুপের সদস্যরাই যে কোনো কিলিং অপারেশন সম্পন্ন করে থাকে। আর তাদের পেছন থেকে নির্দেশ দিত শরিফ ও সেলিম। এই দুজনের মধ্যে সেলিম এখনো ধরা পড়েনি। অন্যদিকে এবিটির কিলার গ্রুপের সদস্য সিফাত ওরফে সামির, আব্দুস সামাদ ওরফে রাজু, সাজ্জাদ ওরফে সজীব ওরফে সিয়াম, তাহসান, ইয়াহিয়া, বাবর, সাব্বির, তৈয়ব, আলমও এখন অধরা। তারা প্রত্যেকেই দুর্ধর্ষ প্রকৃতির।
পুলিশ সূত্র জানায়, সেলিম ওরফে ইকবাল ওরফে মামুন এবং শরিফুল ওরফ সাকিব ওরফে আরিফ মোট মিডিয়া (প্রচার বিভাগ), দায়ী (নতুন সদস্য সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ বিভাগ) এবং অপারেশনাল গ্রুপের সমন্বয়ক। সিøপার সেলের সদস্যদের প্রশিক্ষণ, তাদের থাকা-খাওয়া, নতুন সদস্য সংগ্রহ, তাদের পরিচালনা থেকে শুরু করে সব কাজই তাদের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। ৪টি সিøপার সেলের বাইরে এবিটিতে আরেকটি সেল রয়েছে। এর নাম নিউ সিøপার সেল। এই সেলের সদস্যরা সফলভাবে অস্ত্র প্রশিক্ষণ শেষ করার পর অপারেশনাল স্লিপার সেলে যোগ দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। কোনো হত্যার অপারেশন পরিচালনার আগে যে ব্যক্তিকে খুনের জন্য টার্গেট করা হয় তার একটি ছবি এবং নাম-ঠিকানা কিলার গ্রুপকে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, এবিটির স্লিপার সেল ও মূল নীতিনির্ধারকদের মধ্যে শরিফুল ও সিহাব ওরফে সুমন ধরা পড়েছে। অন্যরা এখনো ধরা পড়েনি। তাদের ধরতে না পারলে এ জঙ্গি সংগঠনের ধারাবাহিক হত্যাকা- বন্ধ হবে না। যে কারণে তাদের ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ আমাদের সময়কে বলেন, এবিটির পলাতক সদস্যদের ধরতে জোরালো অভিযান অব্যাহত আছে। গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তকারী সূত্রগুলো জানায়, তারা তদন্তকালে জেনেছেনÑ এবিটির সদস্য সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ, থাকা-খাওয়া, অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক নানা খরচ মেটাতে প্রতিমাসে লাখ-লাখ টাকা ব্যয় হয়। এই টাকার একটা বড় অংশ আসে এবিটির অনুসারী বেশকিছু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে বেশ কয়েকটি জেলায় এবিটির নেটওয়ার্ক আছে। এ সংগঠনের সদস্যদের বেশিরভাগই মেধাবী এবং উচ্চশিক্ষিত। প্রত্যেকেরই সংগঠনে যোগ দেওয়ার পর নতুন নাম দেওয়া হয়। এই নামেই তারা সংগঠনে পরিচিত হয়ে থাকে। কারো আসল নাম জিজ্ঞাসা করা সাংগঠনিক নীতিবিরুদ্ধ।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার অনুসারী এবিটির আধ্যাত্মিক নেতা মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানী ২০১৩ সাল থেকে কারাবন্দি। বর্তমানে কথিত ‘বড়ভাই’ সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এ সংগঠনের মূল চালিকাশক্তি। কাকে হত্যা করা হবেÑ সে সিদ্ধান্ত তিনিই দিয়ে থাকেন। নিষিদ্ধ এই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে অর্থায়ন করছেন বেশ কয়েক ব্যবসায়ী। এসব ব্যবসায়ীর সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, অন্যসব নিষিদ্ধ সংগঠনের চেয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জঙ্গি কার্যক্রমের ধরন আলাদা। এই সংগঠনের সঙ্গে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ভারতের জঙ্গিদের (একিআইএস) গভীর কানেকশন আছে। এখনই সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে না দিলে ভবিষ্যতে সংগঠনটি বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তির জন্য বড় প্রতিবন্ধক হয়ে দেখা দিতে পারে।
সূত্র জানায়, গত ২১ জুন এবিটির অপারেশন উইংয়ের সদস্য সুমন হোসেন পাটোয়ারী ওরফে সিহাব ওরফে সাইফুল আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, টঙ্গীর বর্ণমালা এলাকার একটি বাসায় গত বছর প্রথম কথিত বড়ভাইয়ের সঙ্গে তার দেখা হয়। তখন বড়ভাই তাকে বলেন, আল্লাহর জন্য জিহাদ করতে হবে। নাস্তিকদের কতল করতে হবে। তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন এবং জিহাদের জন্য তা ছেড়ে দিয়েছেন। এই বড়ভাইয়ের নির্দেশ ছাড়া কোনো খুন হয় না। এই বড়ভাই হলেন সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জিয়া।
এবিটির সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে জানা গেছে, কথিত ‘বড়ভাই’ সংগঠনের মূল নেতা। তার পরেই গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক বা মাছুল-১ হলো শরিফুল ওরফে সাকিব ওরফে শরিফ ওরফে সালেহ ওরফে আরিফ ওরফে হাদী-১। যে কিছুদিন আগে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে খিলগাঁও এলাকায় নিহত হয়। যার প্রকৃত নাম মুকুল রানা। এরপরই আছে সেলিম ওরফে ইকবাল ওরফে মামুন ওরফে হাদী-২। সংগঠনে তার পদবি মাছুল-২। তার উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি, চশমা পরে এবং শ্যামলা বর্ণের, তার বাড়ি উত্তরবঙ্গে। প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা, ওয়াশিকুর বাবু হত্যা, নিলাদ্রী নীলয় হত্যা, মিরপুরের স্কুলশিক্ষক হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সে সরাসরি উপস্থিত ছিল। ব্লগার নাজিমউদ্দিন সামাদ এবং কলাবাগানে জুলহাজ মান্নান ও তনয় হত্যাকা-েও তার সরাসরি উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এই দুজনের পরই আছে ৪টি সিøপার সেল। প্রতিটি সেলে ৫ জন করে কিলার রয়েছে। মূলত এই গ্রুপের সদস্যরাই যে কোনো কিলিং অপারেশন সম্পন্ন করে থাকে। আর তাদের পেছন থেকে নির্দেশ দিত শরিফ ও সেলিম। এই দুজনের মধ্যে সেলিম এখনো ধরা পড়েনি। অন্যদিকে এবিটির কিলার গ্রুপের সদস্য সিফাত ওরফে সামির, আব্দুস সামাদ ওরফে রাজু, সাজ্জাদ ওরফে সজীব ওরফে সিয়াম, তাহসান, ইয়াহিয়া, বাবর, সাব্বির, তৈয়ব, আলমও এখন অধরা। তারা প্রত্যেকেই দুর্ধর্ষ প্রকৃতির।
পুলিশ সূত্র জানায়, সেলিম ওরফে ইকবাল ওরফে মামুন এবং শরিফুল ওরফ সাকিব ওরফে আরিফ মোট মিডিয়া (প্রচার বিভাগ), দায়ী (নতুন সদস্য সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ বিভাগ) এবং অপারেশনাল গ্রুপের সমন্বয়ক। সিøপার সেলের সদস্যদের প্রশিক্ষণ, তাদের থাকা-খাওয়া, নতুন সদস্য সংগ্রহ, তাদের পরিচালনা থেকে শুরু করে সব কাজই তাদের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। ৪টি সিøপার সেলের বাইরে এবিটিতে আরেকটি সেল রয়েছে। এর নাম নিউ সিøপার সেল। এই সেলের সদস্যরা সফলভাবে অস্ত্র প্রশিক্ষণ শেষ করার পর অপারেশনাল স্লিপার সেলে যোগ দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। কোনো হত্যার অপারেশন পরিচালনার আগে যে ব্যক্তিকে খুনের জন্য টার্গেট করা হয় তার একটি ছবি এবং নাম-ঠিকানা কিলার গ্রুপকে দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, এবিটির স্লিপার সেল ও মূল নীতিনির্ধারকদের মধ্যে শরিফুল ও সিহাব ওরফে সুমন ধরা পড়েছে। অন্যরা এখনো ধরা পড়েনি। তাদের ধরতে না পারলে এ জঙ্গি সংগঠনের ধারাবাহিক হত্যাকা- বন্ধ হবে না। যে কারণে তাদের ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ আমাদের সময়কে বলেন, এবিটির পলাতক সদস্যদের ধরতে জোরালো অভিযান অব্যাহত আছে। গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তকারী সূত্রগুলো জানায়, তারা তদন্তকালে জেনেছেনÑ এবিটির সদস্য সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ, থাকা-খাওয়া, অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয়সহ আনুষঙ্গিক নানা খরচ মেটাতে প্রতিমাসে লাখ-লাখ টাকা ব্যয় হয়। এই টাকার একটা বড় অংশ আসে এবিটির অনুসারী বেশকিছু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে বেশ কয়েকটি জেলায় এবিটির নেটওয়ার্ক আছে। এ সংগঠনের সদস্যদের বেশিরভাগই মেধাবী এবং উচ্চশিক্ষিত। প্রত্যেকেরই সংগঠনে যোগ দেওয়ার পর নতুন নাম দেওয়া হয়। এই নামেই তারা সংগঠনে পরিচিত হয়ে থাকে। কারো আসল নাম জিজ্ঞাসা করা সাংগঠনিক নীতিবিরুদ্ধ।
Comment