------------------ তারুণ্যের ক্যারিয়ার! --------------------------
বেশ কিছু দিন চলে গেল শেভিং ক্রিমটা ব্যাবহার হয় না। যে ছেলেকে সকাল ৯-১০টায় ডেকে উঠাতে হত, শেষ রাতে তার রুম থেকে ভেসে আসে অ্যালার্মের আওায়জ । কিছুক্ষণ পর শোনা যায় গেট খোলার শব্দ। কলেজ/ভার্সিটির বইয়ের পরিবর্তে পড়ার টেবিলে শোভা পায় দ্বীনি কিতাব। জীবনে প্রথম কিচেনে যায়। মায়ের রান্না করে দেখে। কোমল কণ্ঠে বলে, আম্মু কি রান্না করছ? রান্নাঘর দেখি অনেক গরম, তোমার তো অনেক কষ্ট হচ্ছে। রাত্রি বেলা ছেলের ঘরে নাফেরা নিয়ে আর উদ্বিগ্ন হতে হয় না।
কিন্তু স্নেহশীল বাবা ও মমতাময়ী মা হাবুডুবু খায় চিন্তার নতুন এক সমুদ্রে। ছেলের ফেউচার নিয়ে চিন্তা। ক্যারিয়ার নিয়ে টেনশন। এভাবে তো ছেলেটা নিজ ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। দ্বীনের কাজ করার সময় তো এখন না। সামনে অনেক সময় আছে। এভাবে চললে তো লাইফটা বরবাদ হয়ে যাবে। ব্রিলিয়ান্ট ছেলে। ওকে নিয়ে কত আশা ছিল।
ছেলেঃ আব্বু! তুমি তো পরকালে বিশ্বাসী।
বাবাঃ হ্যাঁ! বাবা অবশ্যই।
ছেলেঃ আচ্ছা আব্বু! তুমি যে সময়টুকুকে ভবিষ্যতে বল, সেটা স্বাভাবিক কত দিনের?
বাবা একটু আশ্চর্য হয়েঃ কেন? ৪০-৫০ বছর।
ছেলেঃ আব্বু! মৃত্যুর পরের জীবনটা বর্তমান নাকি ভবিষ্যৎ?
বাবাঃ ভবিষ্যৎ।
সেটা কত বছরের?
বাবা চুপ করে থাকে।
ছেলেঃ বাবা তুমি যে ফেউচার নিয়ে পেরেশান, তা পরকাল নামক ফেউচারের কত ভাগের এক ভাগ হবে?
বাবা চুপ করেই থাকেন।
ছেলেঃ বাবা পরকাল নামক ‘ভবিষ্যত ক্যারিয়ার’ তো আমাকে এখনেই গঠন করতে হবে। আর দুই ভবিষ্যতের যেটা যত প্রলম্বিত সেটাতে সে পরিমাণ সময় দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ নয় কি? তাহলে তুমি বল, আমি কোন ভবিষ্যতের জন্য কতটুকু সময় দেব? আমি যে পারছিনা আমার আসল ফেউচার কে জেনে বুঝে ধ্বংস করতে।
(বাবা ছেলের আলোচনা সেদিনের মত সেখানেই শেষ হয়।)
আসলে যদি ‘কাল’ ভাগ করা হয়, পৃথিবীতে আগমনের পূর্বের দীর্ঘ সময়টা ছিল আমার অতীত। আমি এখন বর্তমানে। দুনিয়ার এই অতি সামান্য সময়টাই আমার বর্তমান। মৃত্যুর পর অসীম সময়টা আমার ভবিষ্যৎ। আমার ভবিষ্যৎ এত দীর্ঘ!, যাদের সাইন্স সম্পর্কে জানা আছে তারা জানি, বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত বিশ্ব জগতটা কত বিশাল।!! বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত-অনাবিষ্কৃত পুরো বিশ্ব জগতটা যদি সরিষা দানা দিয়ে ভরে দেয়া হয়। আর একটি কবুতর পাঁচ শত বছর পর-পর এসে শুধু একটি করে দানা নিয়ে যায়। এক দিন সব দানা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমার ভবিষ্যৎ শেষ হবে না। !!!
এই ফেউচারের জন্য চেষ্টা চালাই বলে, অনেকে আমাকে অবজ্ঞা করে বলে, ‘হুজুর’। এই ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গঠনের জন্যই আজ সমাজের চোখে আমি ‘বোকা মানব’। কিন্তু আমি চরম আশ্চর্য হই, যখন দেখি আমাকে অবজ্ঞা করা এই বুদ্ধিমান(!), পরকালের প্রতি বিশ্বাসের দাবী করে।
ইনশাআল্লাহ্* ভবিষ্যতেই বলে দেবে, কে বুদ্ধিমান আর কে বোকা?
মহান আল্লাহ্* তায়ালা বলেনঃ-
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ
‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং ক্বিয়ামতের দিন তোমরা পূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে ব্যক্তি সফলকাম হবে। বস্ত্ততঃ পার্থিব জীবন প্রতারণার বস্ত্ত ছাড়া কিছুই নয়’(সূরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ১৮৫)
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
https://www.facebook.com/profile.php?id=100012678370993
বেশ কিছু দিন চলে গেল শেভিং ক্রিমটা ব্যাবহার হয় না। যে ছেলেকে সকাল ৯-১০টায় ডেকে উঠাতে হত, শেষ রাতে তার রুম থেকে ভেসে আসে অ্যালার্মের আওায়জ । কিছুক্ষণ পর শোনা যায় গেট খোলার শব্দ। কলেজ/ভার্সিটির বইয়ের পরিবর্তে পড়ার টেবিলে শোভা পায় দ্বীনি কিতাব। জীবনে প্রথম কিচেনে যায়। মায়ের রান্না করে দেখে। কোমল কণ্ঠে বলে, আম্মু কি রান্না করছ? রান্নাঘর দেখি অনেক গরম, তোমার তো অনেক কষ্ট হচ্ছে। রাত্রি বেলা ছেলের ঘরে নাফেরা নিয়ে আর উদ্বিগ্ন হতে হয় না।
কিন্তু স্নেহশীল বাবা ও মমতাময়ী মা হাবুডুবু খায় চিন্তার নতুন এক সমুদ্রে। ছেলের ফেউচার নিয়ে চিন্তা। ক্যারিয়ার নিয়ে টেনশন। এভাবে তো ছেলেটা নিজ ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। দ্বীনের কাজ করার সময় তো এখন না। সামনে অনেক সময় আছে। এভাবে চললে তো লাইফটা বরবাদ হয়ে যাবে। ব্রিলিয়ান্ট ছেলে। ওকে নিয়ে কত আশা ছিল।
ছেলেঃ আব্বু! তুমি তো পরকালে বিশ্বাসী।
বাবাঃ হ্যাঁ! বাবা অবশ্যই।
ছেলেঃ আচ্ছা আব্বু! তুমি যে সময়টুকুকে ভবিষ্যতে বল, সেটা স্বাভাবিক কত দিনের?
বাবা একটু আশ্চর্য হয়েঃ কেন? ৪০-৫০ বছর।
ছেলেঃ আব্বু! মৃত্যুর পরের জীবনটা বর্তমান নাকি ভবিষ্যৎ?
বাবাঃ ভবিষ্যৎ।
সেটা কত বছরের?
বাবা চুপ করে থাকে।
ছেলেঃ বাবা তুমি যে ফেউচার নিয়ে পেরেশান, তা পরকাল নামক ফেউচারের কত ভাগের এক ভাগ হবে?
বাবা চুপ করেই থাকেন।
ছেলেঃ বাবা পরকাল নামক ‘ভবিষ্যত ক্যারিয়ার’ তো আমাকে এখনেই গঠন করতে হবে। আর দুই ভবিষ্যতের যেটা যত প্রলম্বিত সেটাতে সে পরিমাণ সময় দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ নয় কি? তাহলে তুমি বল, আমি কোন ভবিষ্যতের জন্য কতটুকু সময় দেব? আমি যে পারছিনা আমার আসল ফেউচার কে জেনে বুঝে ধ্বংস করতে।
(বাবা ছেলের আলোচনা সেদিনের মত সেখানেই শেষ হয়।)
আসলে যদি ‘কাল’ ভাগ করা হয়, পৃথিবীতে আগমনের পূর্বের দীর্ঘ সময়টা ছিল আমার অতীত। আমি এখন বর্তমানে। দুনিয়ার এই অতি সামান্য সময়টাই আমার বর্তমান। মৃত্যুর পর অসীম সময়টা আমার ভবিষ্যৎ। আমার ভবিষ্যৎ এত দীর্ঘ!, যাদের সাইন্স সম্পর্কে জানা আছে তারা জানি, বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত বিশ্ব জগতটা কত বিশাল।!! বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত-অনাবিষ্কৃত পুরো বিশ্ব জগতটা যদি সরিষা দানা দিয়ে ভরে দেয়া হয়। আর একটি কবুতর পাঁচ শত বছর পর-পর এসে শুধু একটি করে দানা নিয়ে যায়। এক দিন সব দানা শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আমার ভবিষ্যৎ শেষ হবে না। !!!
এই ফেউচারের জন্য চেষ্টা চালাই বলে, অনেকে আমাকে অবজ্ঞা করে বলে, ‘হুজুর’। এই ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গঠনের জন্যই আজ সমাজের চোখে আমি ‘বোকা মানব’। কিন্তু আমি চরম আশ্চর্য হই, যখন দেখি আমাকে অবজ্ঞা করা এই বুদ্ধিমান(!), পরকালের প্রতি বিশ্বাসের দাবী করে।
ইনশাআল্লাহ্* ভবিষ্যতেই বলে দেবে, কে বুদ্ধিমান আর কে বোকা?
মহান আল্লাহ্* তায়ালা বলেনঃ-
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَمَنْ زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ
‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং ক্বিয়ামতের দিন তোমরা পূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। অতঃপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সে ব্যক্তি সফলকাম হবে। বস্ত্ততঃ পার্থিব জীবন প্রতারণার বস্ত্ত ছাড়া কিছুই নয়’(সূরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ১৮৫)
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
https://www.facebook.com/profile.php?id=100012678370993
Comment