রাজা গৌড়গোবিন্দের নাম শুনেনি সিলেটে এমন লোক খুজে পাওয়া দুষ্কর। এক সময় এ অত্যাচারি রাজা সিলেট (তৎকালীন নাম শ্রীহট্ট) শাসন করতো। তার অত্যাচারে মানুষ থাকতো তটস্থ।
গৌড়গোবিন্দের শাসনের সময় সিলেটে গরু জবাই নিষিদ্ধ ছিলো। ইতিহাস বলে- সে সময় সিলেটে বুরহানুদ্দিন নামক এক মুসলিম বাস করতেন। তিনি নিজ পুত্রের জন্ম উপলক্ষে লুকিয়ে লুকিয়ে একটি গরু জবাই করেছিলেন। কিন্তু সেই গরুর জবাইকৃত মাংসের একটি টুকরা এক কাক মুখে করে নিয়ে রাজা গৌড়গোবিন্দের দরবারে ফেলে আসে।
গরুর মাংশের টুকরা দেখে মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রাজা গৌড়গোবিন্দ, সে বোরহানুদ্দিনকে খুজে বের করে। গৌড়গোবিন্দ বোরহানুদ্দিনকে আটক করে তার দুই হাত কেটে ফেলে। এরপর তার নিষ্পাপ শিশুপুত্রকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এক সময় বোরহানুদ্দিন ও তার নিষ্পাপ পুত্রের উপর এ জঘন্য অত্যাচারের কাহিনী মুসলিম ধর্মপ্রচারক শাহজালালের (র) কানে পৌছায়। ধর্মপ্রচারক শাহজালাল (র) তার ৩৬০ জন সঙ্গী নিয়ে সিলেটে প্রবেশ করে। উল্লেখ্য রাজা গৌড়গোবিন্দ যাদু বিদ্যায় খুব পারদর্শী ছিলো, সে তার পুরো ক্ষমতা ধর্মপ্রচারক শাহজালালের (র) উপর প্রয়োগ করে, কিন্তু তা বিফল হয়। এক পর্যায়ে ধর্ম প্রচারক শাহজালাল (র) সফল হয় এবং গৌড়গৌবিন্দ ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্বাধীন হয় সিলেট।
আজ থেকে প্রায় ৭শ’ বছর আগে অত্যাচারি গৌড়গোবি্ন্দের কবল থেকে মুক্ত হয়ে ধন্য হয়েছিলো সিলেটবাসী। কিন্তু নতুন করে যেন ফের গৌড়গোবিন্দের কবল পড়তে যাচ্ছে সিলেট। সম্প্রতি সিলেটের তারাপুরে মসজিদ, ৩০০০ পরিবারের বাড়িঘর, মেডিকেল কলেজ, স্কুল, ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৪৪৪ একর (১৩৩২ বিঘা) এলাকা উচ্ছেদ করে ১টি মাত্র মন্দির প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে। ঠিক যেন গৌড়গোবিন্দের অত্যাচারি শাসন নতুন করে চালু হয়েছে।
হে সিলেটবাসী, ধর্মপ্রচারক শাহজালালের (র) মত তোমরাও নব্য গৌড়গোবিন্দদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করো। নয়ত নব্য গৌড়গোবিন্দদের ক্ষপ্পরে তোমাদেরও বোরহানুদ্দিন ও তার পুত্রের ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে।
সিলেটের ইতিহাস পড়তে-
সিলেটের নতুন কিছু ফেতনা--
১-
সিলেটের রাগীব আলী ইস্যুতে সে কয়টি উগ্রহিন্দু সংগঠন ফিল্ডে কাজ করেছে তার মধ্যে নেতৃস্থানীয় ছিলো বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আদিবাসী পার্টি নামক একটি সংগঠন। সংগঠনটির সভাপতি সিলেটের অধিবাসী মিঠুন চৌধুরী নামক এক উগ্র হিন্দু (ফেসবুক আইডি-https://goo.gl/7EgcI9)। সে ইসকন, জাগো হিন্দু নামক সংগঠনগুলোর সাথেও সম্পর্ক রাখে। মিঠুন চৌধুরী সিলেটে একটি পত্রিকা চালায়, পত্রিকাটির নাম দৈনিক মুক্তাঙ্গন। এই মুক্তাঙ্গন পত্রিকার মাধ্যমে সে প্রত্যেক জেলায়-জেলায়-থানায়-থানায় উগ্রহিন্দুত্ববাদী রিক্রুট করার ঘোষণা দিয়েছে।
উগ্রহিন্দুত্ববাদী মিঠুন চৌধুরী তার সংগঠনের লোগো ভারতের বিজেপি’র সাথে মিল করে রেখেছে। এই হিন্দু জংলীটাই প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করে দাবি করেছে- রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাধা-গোবিন্দ মেডিকেল কলেজ রাখার জন্য। (https://goo.gl/tE2mci)
আপনাদের জানার জন্য বলছি- ইতিমধ্যে তারাপুর চা বাগানের ৩৪০ একর বা ১০২০ বিঘা জমি হিন্দুরা নিয়ে গেছে। এখনও বাকি আছে প্রায় ৩০০ বিঘা মত জমি, যেখানে মানুষের বসতবাড়ি রয়েছে। সেগুলো নেওয়ার জন্য এখন হিন্দু উঠে পড়ে লেগেছে।
আমি আগেই বলেছিলাম-
সিলেট আবার গৌড়গোবিন্দের ক্ষপ্পরে পড়েছে। সিলেটের মুসলমানরা এতদিন খুব ধর্মনিরপেক্ষ সেজেছিলো, ভাব দেখাচ্ছিলো- হিন্দুরা খুব ভালো, হিন্দুদের অধিকার আদায় করে দিতে তারাও আন্দোলন করেছিলো । কিন্তু যখন হিন্দুরা সুযোগ পেলো, তখন উল্টো মুসলমানদের ঘাড় মটকানো শুরু করলো। মজার ব্যাপার হচ্ছে খোদ সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের নেতারাও এখন হিন্দুরদের দ্বারা নিপীড়িত হচ্ছে।
আসলে মানুষ পরগাছার ধর্মভুলে যায়-
পরগাছা যেই গাছকে পূজি করে বেড়ে ওঠে, এক সময় সেই গাছকেই মেরে ফেলে। আজকে যারা চূড়ান্ত পর্যায়ে হিন্দু তোষণ করছে, তাদের সিলেটের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
২-
একটা মাত্র মন্দিরের জন্য সিলেটের বিশাল জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে জেগে উঠেছে তারপুরবাসী। গতকালকেও তারা রাস্তায় নেমে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। এছাড়া গত বেশ কয়েকদিন যাবত সিলেটে এই রায়ের বিরুদ্ধে অনেকগুলো সভাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোন মিডিয়া এগুলো বিস্তারিত কভারেজ করেনি। তারাপুর চা বাগান এলাকায় একটি মাত্র মন্দিরের জন্য প্রায় ১৩০০ বিঘা এলাকা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ভেঙ্গে ফেলা হবে মসজিদ, মাদ্রাসা, অত্যাধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অনেক বহুতল ভবন। ইতিমধ্যে প্রশাসন ঐ এলাকায় বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস সংযোগ বন্ধের *ঘোষণা দিয়েছে। বাকিটা শুনুন এলাকাবাসীর মুখে....
ভিডিও’র সূত্রঃ-
৩-
উইকিপিডিয়াতে সিলেটের ইতিহাসে ( https://bn.wikipedia.org/wiki/সিলেটের_ইতিহাস ) স্পষ্ট লেখা আছে ঐ সময় সিলেটের সমস্ত জমির মালিক ছিলো মুসলমানরা। কিন্তু সেখানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এসে ব্যবসার নামে মুসলমানদের উপর কঠিন নির্যাতন শুরু করে এবং দখলদারি স্থাপন করে।
৪-
তারাপুর চা বাগান কি ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হলো ?
রাগীব আলী চা বাগান নিয়ে মহা অন্যায় করেছেন। কারণ তিনি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী। তিনি সেই টাকা দিয়ে স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা-হাসপাতাল এরকম প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান বানিয়ে বাংলাদেশীদের উপকার করতেন, এটা তার মহা অন্যায়।
কিন্তু এখন তাহলে কাকে তারাপুর চা বাগান দেওয়া হলো ? পঙ্কজ গুপ্ত নামক এক ব্যক্তির হাতে ? পঙ্কজ গুপ্ত কে ?
পঙ্কজ গুপ্ত কিন্তু বাংলাদেশী নাগরিক নয়, সে একজন ভারতীয় নাগরিক। সে বি সি গুপ্ত পরিবারের সদস্য যে পরিবার আসামের চা ব্যবসায়ী। এদের কোম্পানির নাম B.C. Gupta And Sons Ltd । অর্থাৎ প্রায় ১৩০০ একর চা বাগানের অর্থ এখন আর বাংলাদেশে থাকবে না, চলে যাবে ভারতে। আর হ্যা, মন্দিরের খরচ ?? সেটা আর কত ? বছরে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকাই হবে।
কি বুঝলেন ? আরো বুঝবেন ?
বিচারপতি এসকে সিনহা এক বছর আগে সিলেটে এক মন্দিরে গিয়ে বলে এসেছেন- দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে কাজ চলছে (http://goo.gl/Io3xCV)।
স্থানীয় হিন্দুরা পঙ্কজ গুপ্ত সম্পর্কে কি বলছে --
হিন্দু আইন ও আদালতের নির্দেশনা মতে ডা. পংকজ কুমার গুপ্ত ওরফে শঙ্কর সেবায়েত হতে পারেন না। কারণ তিনি সেবায়েত হওয়ার কোনো যোগ্যতা রাখেননি। তিনি ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পাশাপাশি সেবায়েতের দায়িত্ব পালন করেননি কোনোদিন। কোনো সেবা করা হয়ে উঠেনি তার। পূজা অর্চনার ধারকাছেও নেই তিনি। রায়ের ১৭ নির্দেশনার ৬ নং নির্দেশনা ‘ই’-তে বলা হয়, ‘হিন্দু আইন অনুযায়ী সেবায়েত অফিস পরিচালিত হয়, কোনো স্ব ধর্ম বা নীতি পরিত্যাগকারী উত্তরাধীকার হওয়ার অযোগ্য এবং অফিসও তিনি পরিচালনার অধিকার রাখেন না’।
বিগ্রহকে ১৯৮৯ সালে বাগান থেকে যুগলটিলা মন্দিরে স্থানান্তরের পর ভক্তরা পূজা করে আসছেন। ওই দীর্ঘ সময় কোনো পূজা অর্চনা করেননি পঙ্কজ গুপ্ত। তিনি শুধু রাগীব আলীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। এ অবস্থায় তাকে সেবায়েত মানতে নারাজ হিন্দুরা। তারা বলেছেন, আদালতের নির্দেশ মতে যে প্রকৃত সেবায়েত তার কাছে বিগ্রহ হস্তান্তর করা যাবে। রাগীব আলীর কাছে দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রিকারী সেবায়েত হতে পারে না। সেবায়েত হতে হলে সেবা করতে হয়। তারা প্রশ্ন তুলেন, পঙ্কজ কুমার গুপ্ত কোন্ সেবা করেছেন, কাকে সেবা করেছেন ?
(https://goo.gl/R80bXr)
বিষয়টি স্পষ্ট-
সরকার এত তড়িঘড়ি করে চা-বাগানটি হস্থান্তর করলো কারণ ভারতের তা পছন্দ হয়েছে। আসলে বাংলাদেশ তো ভারতেরই অংশ, এখানে কোন সমস্যা দেখি না। দরকার হলে পুরো বাংলাদেশটা নিয়ে যান, হাজার হোক বন্ধু বলে কথা।
কেন আপনি তারাপুর চা বাগান উচ্ছেদের বিরোধীতা করবেন ?
গত কয়েকদিন ধরে খবর আসছে, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা সিলেটের তারাপুর চা বাগান, রাগীব রাবেয়া মেডিকলে কলেজ, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৩০০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করার পক্ষে রায় দিয়েছে। এতে প্রশাসন নোটিশ দিয়ে এলাকাবাসীকে বলেছে- এলাকা ছেড়ে দ্রুত চলে যেতে, নয়ত গ্যাস পানি বিদ্যুৎ কয়েকদিনের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখানে প্রায় ৪৪৪ একর বা ১৩৩২ বিঘা জমি হিন্দুদের দিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে হিন্দুরা দেবতার মূর্তি স্থাপন করবে।
আসলে বাংলাদেশের মুসলমানদের একটি ইতিহাস জানা প্রয়োজন। এই বাংলার প্রায় সব জমির মালিক কিন্তু এক সময় মুসলমানরা ছিলো। কিন্তু ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশ লর্ড কর্নওয়ালিশ ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ আইন পাশ করে মুসলমানদের থেকে জমি কেড়ে নিয়ে হিন্দুুদের দিয়ে দেয়। ফলে এক সময়কার সম্ভ্রান্ত মুসলমানরা পথে বসে যায় এবং কর্মচারি হিন্দুরা জমিদার বনে যায়। ফলে হঠাৎ দরিদ্র হওয়া মুসলমান তাদের কর্মচারি হিন্দুদের অধিনে চাকুরী করতে বাধ্য হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশেও কিন্তু একই ধরনের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইন পাশ হয়েছে। ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন’ ও ‘দেবোত্তর সম্পত্তি আইন’ হচ্ছে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের বর্তমান সংষ্করণ। বলাবাহুল্য কোন স্বাধীন দেশ এ ধরনের আত্মঘাতি আইন কখনই পাশ করে না। যুদ্ধ বা দেশ ভাগ হলে কেউ পুরনায় তার জমি ফিরে পায় না। খোদ ভারতেই এ ধরনের আইন নেই। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কেন এ ধরনের আত্মঘাতি আইন পাশ করলো তা সত্যিই বিষ্ময়কর।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে চাপ দিয়েছিলেন এই অর্পিত সম্পত্তি (শত্রু সম্পত্তি প্রত্যার্পন) আইন পাশ করতে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে ভুল করেননি। কিন্তু আওয়ামী সরকার ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ও ২০১৩ সালে দেবোত্তর সম্পত্তি আইন দুটো পাশ করে। এই আইনের অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশকে মুসলমানদের থেকে কেড়ে নিয়ে হিন্দুদের হাতে দিয়ে দেওয়া। এই আইন অনুযায়ী হিন্দুরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৮ লক্ষ বিঘা (বাংলাদেশের প্রায় এক চতুুর্থাংশ) দাবি করেছে এবং সেখান থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত করে দখল করার সমস্ত মামলা-মোকাদ্দমাও সম্পন্ন করেছে। শুধু এটুকুই নয়, ভারত থেকেও অনেক হিন্দু (যেমন-নচিকেতা, পাউলী দাম, পার্বতী বাউল, কালী প্রদীপ চৌধুরী) এসে দাবি করছে অমুক অমুক এলাকা তাদের। এ আইন অনুসারে সেখান থেকেও মুসলিম উচ্ছেদ করে ভারতীয়রা নিতে যেতে পারবে। বর্তমানে রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, তারপুর চা বাগানের যে ১৩৩২ বিঘা জমি মুসলমানদের থেকে কেড়ে হিন্দুদের দেওয়ার কার্যক্রম চলছে, এটাও সেই আত্মঘাতি আইনের ফসল।
এটা আপনাকে মানতেই হবে সরকার যখন ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি আইন এবং ২০১৩ সালে দেবোত্তর সম্পত্তি আইন পাশ করে, তখন আপনি তার বিরোধীতা করেননি। উচিত ছিলো তখনই এ ধরনের আত্মঘাতি আইনের বিরোধীতা করা। কিন্তু সে সময় বিরোধীতা না করায় ইতিমধ্যে মুসলিম উচ্ছেদ শুরু হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মত পুরো বাংলাদেশকে হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। যেহেতু তারাপুর চা বাগানের ঘটনা উচ্ছেদের কেবল শুরু, তাই শুরুতেই এর প্রতিবাদ করা উচিত ।
মনে রাখবেন-
আপনি যদি আজকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করেন, তবে অদূর ভবিষ্যতে আপনার জমিও যে হিন্দুরা কেড়ে নেবে না, সেটা কিন্তু আপনি বলতে পারেন না।
আপনাকে বলতে হবে--
“ বাংলাদেশে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না।”
“ মুসলিম উচ্ছেদ করে হিন্দুদের জমি দেওয়া চলবে না।”
“ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ও দেবোত্তর সম্পত্তি আইন বাতিল করুন।”
“ তারাপুরে মুসলিম উচ্ছেদ চলবে না।”
“ রাগীব-রাবেয়া’ মেডিকেল কলেজ ভাঙ্গা চলবে না”
“ ১টি মন্দিরের জন্য ৩০০০ হাজার পরিবারকে উচ্ছেদ করা যাবে না”
“ তারাপুরে একাধিক মসজিদ, স্কুল, কলেজ, ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করো”
পড়তে পারেন-
১) তারাপুরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে ( https://goo.gl/gsFa5e )
২) রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নাম রাধা গোবিন্দ’র নামে নামকরণের দাবি হিন্দুদের ( https://goo.gl/3irCt0 )
৩) তারাপুরবাসীর বসতভিটা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষার অধিবাসীদের আকুতি ( https://goo.gl/gC23oN )
৪) তারাপুরের জমি নিয়ে সনাতন-ইসকন টানাটানি -( https://goo.gl/OcxpYJ )
আজ এখানেই শেষ । বাকি সিদ্ধান্তটা আপনার ।
গৌড়গোবিন্দের শাসনের সময় সিলেটে গরু জবাই নিষিদ্ধ ছিলো। ইতিহাস বলে- সে সময় সিলেটে বুরহানুদ্দিন নামক এক মুসলিম বাস করতেন। তিনি নিজ পুত্রের জন্ম উপলক্ষে লুকিয়ে লুকিয়ে একটি গরু জবাই করেছিলেন। কিন্তু সেই গরুর জবাইকৃত মাংসের একটি টুকরা এক কাক মুখে করে নিয়ে রাজা গৌড়গোবিন্দের দরবারে ফেলে আসে।
গরুর মাংশের টুকরা দেখে মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রাজা গৌড়গোবিন্দ, সে বোরহানুদ্দিনকে খুজে বের করে। গৌড়গোবিন্দ বোরহানুদ্দিনকে আটক করে তার দুই হাত কেটে ফেলে। এরপর তার নিষ্পাপ শিশুপুত্রকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এক সময় বোরহানুদ্দিন ও তার নিষ্পাপ পুত্রের উপর এ জঘন্য অত্যাচারের কাহিনী মুসলিম ধর্মপ্রচারক শাহজালালের (র) কানে পৌছায়। ধর্মপ্রচারক শাহজালাল (র) তার ৩৬০ জন সঙ্গী নিয়ে সিলেটে প্রবেশ করে। উল্লেখ্য রাজা গৌড়গোবিন্দ যাদু বিদ্যায় খুব পারদর্শী ছিলো, সে তার পুরো ক্ষমতা ধর্মপ্রচারক শাহজালালের (র) উপর প্রয়োগ করে, কিন্তু তা বিফল হয়। এক পর্যায়ে ধর্ম প্রচারক শাহজালাল (র) সফল হয় এবং গৌড়গৌবিন্দ ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্বাধীন হয় সিলেট।
আজ থেকে প্রায় ৭শ’ বছর আগে অত্যাচারি গৌড়গোবি্ন্দের কবল থেকে মুক্ত হয়ে ধন্য হয়েছিলো সিলেটবাসী। কিন্তু নতুন করে যেন ফের গৌড়গোবিন্দের কবল পড়তে যাচ্ছে সিলেট। সম্প্রতি সিলেটের তারাপুরে মসজিদ, ৩০০০ পরিবারের বাড়িঘর, মেডিকেল কলেজ, স্কুল, ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৪৪৪ একর (১৩৩২ বিঘা) এলাকা উচ্ছেদ করে ১টি মাত্র মন্দির প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে। ঠিক যেন গৌড়গোবিন্দের অত্যাচারি শাসন নতুন করে চালু হয়েছে।
হে সিলেটবাসী, ধর্মপ্রচারক শাহজালালের (র) মত তোমরাও নব্য গৌড়গোবিন্দদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করো। নয়ত নব্য গৌড়গোবিন্দদের ক্ষপ্পরে তোমাদেরও বোরহানুদ্দিন ও তার পুত্রের ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে।
সিলেটের ইতিহাস পড়তে-
সিলেটের নতুন কিছু ফেতনা--
১-
সিলেটের রাগীব আলী ইস্যুতে সে কয়টি উগ্রহিন্দু সংগঠন ফিল্ডে কাজ করেছে তার মধ্যে নেতৃস্থানীয় ছিলো বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আদিবাসী পার্টি নামক একটি সংগঠন। সংগঠনটির সভাপতি সিলেটের অধিবাসী মিঠুন চৌধুরী নামক এক উগ্র হিন্দু (ফেসবুক আইডি-https://goo.gl/7EgcI9)। সে ইসকন, জাগো হিন্দু নামক সংগঠনগুলোর সাথেও সম্পর্ক রাখে। মিঠুন চৌধুরী সিলেটে একটি পত্রিকা চালায়, পত্রিকাটির নাম দৈনিক মুক্তাঙ্গন। এই মুক্তাঙ্গন পত্রিকার মাধ্যমে সে প্রত্যেক জেলায়-জেলায়-থানায়-থানায় উগ্রহিন্দুত্ববাদী রিক্রুট করার ঘোষণা দিয়েছে।
উগ্রহিন্দুত্ববাদী মিঠুন চৌধুরী তার সংগঠনের লোগো ভারতের বিজেপি’র সাথে মিল করে রেখেছে। এই হিন্দু জংলীটাই প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করে দাবি করেছে- রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাধা-গোবিন্দ মেডিকেল কলেজ রাখার জন্য। (https://goo.gl/tE2mci)
আপনাদের জানার জন্য বলছি- ইতিমধ্যে তারাপুর চা বাগানের ৩৪০ একর বা ১০২০ বিঘা জমি হিন্দুরা নিয়ে গেছে। এখনও বাকি আছে প্রায় ৩০০ বিঘা মত জমি, যেখানে মানুষের বসতবাড়ি রয়েছে। সেগুলো নেওয়ার জন্য এখন হিন্দু উঠে পড়ে লেগেছে।
আমি আগেই বলেছিলাম-
সিলেট আবার গৌড়গোবিন্দের ক্ষপ্পরে পড়েছে। সিলেটের মুসলমানরা এতদিন খুব ধর্মনিরপেক্ষ সেজেছিলো, ভাব দেখাচ্ছিলো- হিন্দুরা খুব ভালো, হিন্দুদের অধিকার আদায় করে দিতে তারাও আন্দোলন করেছিলো । কিন্তু যখন হিন্দুরা সুযোগ পেলো, তখন উল্টো মুসলমানদের ঘাড় মটকানো শুরু করলো। মজার ব্যাপার হচ্ছে খোদ সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের নেতারাও এখন হিন্দুরদের দ্বারা নিপীড়িত হচ্ছে।
আসলে মানুষ পরগাছার ধর্মভুলে যায়-
পরগাছা যেই গাছকে পূজি করে বেড়ে ওঠে, এক সময় সেই গাছকেই মেরে ফেলে। আজকে যারা চূড়ান্ত পর্যায়ে হিন্দু তোষণ করছে, তাদের সিলেটের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
২-
একটা মাত্র মন্দিরের জন্য সিলেটের বিশাল জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে জেগে উঠেছে তারপুরবাসী। গতকালকেও তারা রাস্তায় নেমে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। এছাড়া গত বেশ কয়েকদিন যাবত সিলেটে এই রায়ের বিরুদ্ধে অনেকগুলো সভাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোন মিডিয়া এগুলো বিস্তারিত কভারেজ করেনি। তারাপুর চা বাগান এলাকায় একটি মাত্র মন্দিরের জন্য প্রায় ১৩০০ বিঘা এলাকা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ভেঙ্গে ফেলা হবে মসজিদ, মাদ্রাসা, অত্যাধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অনেক বহুতল ভবন। ইতিমধ্যে প্রশাসন ঐ এলাকায় বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস সংযোগ বন্ধের *ঘোষণা দিয়েছে। বাকিটা শুনুন এলাকাবাসীর মুখে....
ভিডিও’র সূত্রঃ-
৩-
উইকিপিডিয়াতে সিলেটের ইতিহাসে ( https://bn.wikipedia.org/wiki/সিলেটের_ইতিহাস ) স্পষ্ট লেখা আছে ঐ সময় সিলেটের সমস্ত জমির মালিক ছিলো মুসলমানরা। কিন্তু সেখানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এসে ব্যবসার নামে মুসলমানদের উপর কঠিন নির্যাতন শুরু করে এবং দখলদারি স্থাপন করে।
৪-
তারাপুর চা বাগান কি ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হলো ?
রাগীব আলী চা বাগান নিয়ে মহা অন্যায় করেছেন। কারণ তিনি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী। তিনি সেই টাকা দিয়ে স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা-হাসপাতাল এরকম প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান বানিয়ে বাংলাদেশীদের উপকার করতেন, এটা তার মহা অন্যায়।
কিন্তু এখন তাহলে কাকে তারাপুর চা বাগান দেওয়া হলো ? পঙ্কজ গুপ্ত নামক এক ব্যক্তির হাতে ? পঙ্কজ গুপ্ত কে ?
পঙ্কজ গুপ্ত কিন্তু বাংলাদেশী নাগরিক নয়, সে একজন ভারতীয় নাগরিক। সে বি সি গুপ্ত পরিবারের সদস্য যে পরিবার আসামের চা ব্যবসায়ী। এদের কোম্পানির নাম B.C. Gupta And Sons Ltd । অর্থাৎ প্রায় ১৩০০ একর চা বাগানের অর্থ এখন আর বাংলাদেশে থাকবে না, চলে যাবে ভারতে। আর হ্যা, মন্দিরের খরচ ?? সেটা আর কত ? বছরে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকাই হবে।
কি বুঝলেন ? আরো বুঝবেন ?
বিচারপতি এসকে সিনহা এক বছর আগে সিলেটে এক মন্দিরে গিয়ে বলে এসেছেন- দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে কাজ চলছে (http://goo.gl/Io3xCV)।
স্থানীয় হিন্দুরা পঙ্কজ গুপ্ত সম্পর্কে কি বলছে --
হিন্দু আইন ও আদালতের নির্দেশনা মতে ডা. পংকজ কুমার গুপ্ত ওরফে শঙ্কর সেবায়েত হতে পারেন না। কারণ তিনি সেবায়েত হওয়ার কোনো যোগ্যতা রাখেননি। তিনি ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পাশাপাশি সেবায়েতের দায়িত্ব পালন করেননি কোনোদিন। কোনো সেবা করা হয়ে উঠেনি তার। পূজা অর্চনার ধারকাছেও নেই তিনি। রায়ের ১৭ নির্দেশনার ৬ নং নির্দেশনা ‘ই’-তে বলা হয়, ‘হিন্দু আইন অনুযায়ী সেবায়েত অফিস পরিচালিত হয়, কোনো স্ব ধর্ম বা নীতি পরিত্যাগকারী উত্তরাধীকার হওয়ার অযোগ্য এবং অফিসও তিনি পরিচালনার অধিকার রাখেন না’।
বিগ্রহকে ১৯৮৯ সালে বাগান থেকে যুগলটিলা মন্দিরে স্থানান্তরের পর ভক্তরা পূজা করে আসছেন। ওই দীর্ঘ সময় কোনো পূজা অর্চনা করেননি পঙ্কজ গুপ্ত। তিনি শুধু রাগীব আলীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। এ অবস্থায় তাকে সেবায়েত মানতে নারাজ হিন্দুরা। তারা বলেছেন, আদালতের নির্দেশ মতে যে প্রকৃত সেবায়েত তার কাছে বিগ্রহ হস্তান্তর করা যাবে। রাগীব আলীর কাছে দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রিকারী সেবায়েত হতে পারে না। সেবায়েত হতে হলে সেবা করতে হয়। তারা প্রশ্ন তুলেন, পঙ্কজ কুমার গুপ্ত কোন্ সেবা করেছেন, কাকে সেবা করেছেন ?
(https://goo.gl/R80bXr)
বিষয়টি স্পষ্ট-
সরকার এত তড়িঘড়ি করে চা-বাগানটি হস্থান্তর করলো কারণ ভারতের তা পছন্দ হয়েছে। আসলে বাংলাদেশ তো ভারতেরই অংশ, এখানে কোন সমস্যা দেখি না। দরকার হলে পুরো বাংলাদেশটা নিয়ে যান, হাজার হোক বন্ধু বলে কথা।
কেন আপনি তারাপুর চা বাগান উচ্ছেদের বিরোধীতা করবেন ?
গত কয়েকদিন ধরে খবর আসছে, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা সিলেটের তারাপুর চা বাগান, রাগীব রাবেয়া মেডিকলে কলেজ, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৩০০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করার পক্ষে রায় দিয়েছে। এতে প্রশাসন নোটিশ দিয়ে এলাকাবাসীকে বলেছে- এলাকা ছেড়ে দ্রুত চলে যেতে, নয়ত গ্যাস পানি বিদ্যুৎ কয়েকদিনের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখানে প্রায় ৪৪৪ একর বা ১৩৩২ বিঘা জমি হিন্দুদের দিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে হিন্দুরা দেবতার মূর্তি স্থাপন করবে।
আসলে বাংলাদেশের মুসলমানদের একটি ইতিহাস জানা প্রয়োজন। এই বাংলার প্রায় সব জমির মালিক কিন্তু এক সময় মুসলমানরা ছিলো। কিন্তু ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশ লর্ড কর্নওয়ালিশ ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ আইন পাশ করে মুসলমানদের থেকে জমি কেড়ে নিয়ে হিন্দুুদের দিয়ে দেয়। ফলে এক সময়কার সম্ভ্রান্ত মুসলমানরা পথে বসে যায় এবং কর্মচারি হিন্দুরা জমিদার বনে যায়। ফলে হঠাৎ দরিদ্র হওয়া মুসলমান তাদের কর্মচারি হিন্দুদের অধিনে চাকুরী করতে বাধ্য হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশেও কিন্তু একই ধরনের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আইন পাশ হয়েছে। ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন’ ও ‘দেবোত্তর সম্পত্তি আইন’ হচ্ছে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের বর্তমান সংষ্করণ। বলাবাহুল্য কোন স্বাধীন দেশ এ ধরনের আত্মঘাতি আইন কখনই পাশ করে না। যুদ্ধ বা দেশ ভাগ হলে কেউ পুরনায় তার জমি ফিরে পায় না। খোদ ভারতেই এ ধরনের আইন নেই। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কেন এ ধরনের আত্মঘাতি আইন পাশ করলো তা সত্যিই বিষ্ময়কর।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে চাপ দিয়েছিলেন এই অর্পিত সম্পত্তি (শত্রু সম্পত্তি প্রত্যার্পন) আইন পাশ করতে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে ভুল করেননি। কিন্তু আওয়ামী সরকার ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ও ২০১৩ সালে দেবোত্তর সম্পত্তি আইন দুটো পাশ করে। এই আইনের অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশকে মুসলমানদের থেকে কেড়ে নিয়ে হিন্দুদের হাতে দিয়ে দেওয়া। এই আইন অনুযায়ী হিন্দুরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৮ লক্ষ বিঘা (বাংলাদেশের প্রায় এক চতুুর্থাংশ) দাবি করেছে এবং সেখান থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত করে দখল করার সমস্ত মামলা-মোকাদ্দমাও সম্পন্ন করেছে। শুধু এটুকুই নয়, ভারত থেকেও অনেক হিন্দু (যেমন-নচিকেতা, পাউলী দাম, পার্বতী বাউল, কালী প্রদীপ চৌধুরী) এসে দাবি করছে অমুক অমুক এলাকা তাদের। এ আইন অনুসারে সেখান থেকেও মুসলিম উচ্ছেদ করে ভারতীয়রা নিতে যেতে পারবে। বর্তমানে রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, তারপুর চা বাগানের যে ১৩৩২ বিঘা জমি মুসলমানদের থেকে কেড়ে হিন্দুদের দেওয়ার কার্যক্রম চলছে, এটাও সেই আত্মঘাতি আইনের ফসল।
এটা আপনাকে মানতেই হবে সরকার যখন ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি আইন এবং ২০১৩ সালে দেবোত্তর সম্পত্তি আইন পাশ করে, তখন আপনি তার বিরোধীতা করেননি। উচিত ছিলো তখনই এ ধরনের আত্মঘাতি আইনের বিরোধীতা করা। কিন্তু সে সময় বিরোধীতা না করায় ইতিমধ্যে মুসলিম উচ্ছেদ শুরু হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মত পুরো বাংলাদেশকে হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। যেহেতু তারাপুর চা বাগানের ঘটনা উচ্ছেদের কেবল শুরু, তাই শুরুতেই এর প্রতিবাদ করা উচিত ।
মনে রাখবেন-
আপনি যদি আজকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করেন, তবে অদূর ভবিষ্যতে আপনার জমিও যে হিন্দুরা কেড়ে নেবে না, সেটা কিন্তু আপনি বলতে পারেন না।
আপনাকে বলতে হবে--
“ বাংলাদেশে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না।”
“ মুসলিম উচ্ছেদ করে হিন্দুদের জমি দেওয়া চলবে না।”
“ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ও দেবোত্তর সম্পত্তি আইন বাতিল করুন।”
“ তারাপুরে মুসলিম উচ্ছেদ চলবে না।”
“ রাগীব-রাবেয়া’ মেডিকেল কলেজ ভাঙ্গা চলবে না”
“ ১টি মন্দিরের জন্য ৩০০০ হাজার পরিবারকে উচ্ছেদ করা যাবে না”
“ তারাপুরে একাধিক মসজিদ, স্কুল, কলেজ, ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করো”
পড়তে পারেন-
১) তারাপুরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে ( https://goo.gl/gsFa5e )
২) রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নাম রাধা গোবিন্দ’র নামে নামকরণের দাবি হিন্দুদের ( https://goo.gl/3irCt0 )
৩) তারাপুরবাসীর বসতভিটা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষার অধিবাসীদের আকুতি ( https://goo.gl/gC23oN )
৪) তারাপুরের জমি নিয়ে সনাতন-ইসকন টানাটানি -( https://goo.gl/OcxpYJ )
আজ এখানেই শেষ । বাকি সিদ্ধান্তটা আপনার ।
Comment