বাংলাদেশে আসছে ভারতীয়রা, তারা যে সব জমি ফেলে গেছে সেগুলো তারা ফেরত চায়। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন করে বাংলাদেশ সরকার তাদের ভূমি ফেরত দেওয়ার অধিকার দিয়েছে। তাই সেই আইন ফল পেতে তারা বাংলাদেশে আসছে। তাদের কমিটির নাম- ‘সোসাইটি অফ এনিমি অ্যান্ড ইভাকুই প্রপার্টিজ ইন বাংলাদেশ’। খবরটা ২৬ মে ২০১২ তারিখে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় এসেছিলো। সোর্স- ( https://bit.ly/2bNmDHz )
এখন কথা হচ্ছে- তারা কতগুলো জমি বাংলাদেশে দাবি করছে ? উত্তরটা হবে সাড়ে ৬ লক্ষ একর বা প্রায় ২০ লক্ষ বিঘা (শুধু অর্পিত সম্পত্তি)।
৬৫ এর যুদ্ধের সময় অনেক অনেক মুসলমান তো ভারতে জমি ফেলে এসেছিলো। সেগুলোর কি হবে ? উত্তরটা কি হবে ? হ্যা, আপনি যেটা ভাবছেন উত্তর সেটাই হবে, ভারত সেগুলো ফেরত দেবে না মুসলিমদের। ভারত সেগুলো শত্রু সম্পত্তি বলে নিলামে তুলে বিক্রি করে দিয়েছে।
হিন্দুরা এ অঞ্চলে এতগুলো জমির মালিক হলো কিভাবে ?
উত্তর- এ অঞ্চলে একটি বিশাল জমি (বাংলার প্রায় এক-চতুর্থাংশ) ছিলো লাখেরাজ জমি। লাখেরাজ মানে লা-খারাজ, অর্থাৎ যে জমির খাজনা নেই। এ জমিগুলো মুসলমানদের অধীনে ছিলো। কিন্তু ব্রিটিশরা দেখলো এই জমিগুলো থেকে তাদের খাজনা আদায় হচ্ছে না। তখন ঐ জমিগুলো তারা মুসলমানদের থেকে কেড়ে নিয়ে হিন্দুদের দিয়ে দেয়। এই ঘটনাকেই বলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, যা ১৭৯৩ সালে পাশ হয়। উল্লেখ্য এ অঞ্চলে আগে হিন্দুদের অবস্থা তেমন ভালো ছিলো না। কিন্তু ব্রিটিশরা তাদের জমি দেওয়ায় হিন্দুদের মধ্যে জমিদার তালুকদার শ্রেণীর উদ্ভব ঘটে।
১৯৫০ সালের এক হিসেবে এই শ্রেণীর সংখ্যা ছিলো ২৩ লক্ষ, যার মধ্যে ২০ লক্ষ ছিলো হিন্দু। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর উন্নত ভবিষ্যতের আশায় এরা প্রত্যেকেই কলকাতায় চলে যায়। বাংলাদেশে রেখে যাওয়া সেই জমিগুলোই হিন্দুরা বিভিন্ন সময় দাবি করে থাকে।
একটা কথা না বললেই নয়,
আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন করেছে এটা খুব ভালো কথা। কিন্তু এর সাথে ‘লাখেরাজ সম্পত্তি প্রত্যার্পন’ নামেও একটা আইন করা উচিত ছিলো। আর যদি অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন করতেই হয়, তবে ভারতও মুসলমানদের জমি ফিরিয়ে দেবে এমনও চুক্তি হওয়া দরকার ছিলো। কিন্তু সেটা না করে শুধু অর্পিত সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া হবে, এটা কেমন কথা ?
ভারত মুসলমানদের জমি ফিরিয়ে না দিলেও বাংলাদেশ কিন্তু ঠিকই হিন্দুদের জমি ফিরিয়ে দিচ্ছে। এবং হ্যা সেটা মুসলমানদের থেকে কেড়ে নিয়েই দিচ্ছে।
আজকের বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখবেন ভারত বাংলাদেশ থেকে জমি নেয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে । তারাপুর চা বাগানের প্রায় ৪৫০ বিঘা জমি ভারত হাতিয়ে নিয়েছে নিজেদের সম্পত্তি বলে । আরো অনেক দাবি আছে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের । ২০ লাখ বিঘা শুধু অর্পিত সম্পত্তিই । আরো কত যে দেবোত্তর সম্পত্তি রয়েছে তার হিসেব তো এখনো স্পষ্টই হয়নি । ( দাওয়াহ ইলাল্লাহ সোর্স- https://bit.ly/2b0CIZ3 )
২০ লক্ষ বিঘা জমি নিয়ে যখন কাড়াকাড়ি হবে তখন কি হবে একবার ভেবে দেখেছেন ?
একবার কি ভেবে দেখেছেন ঐ সমস্ত উলামায়ে কেরামের কথা যারা এখনো জিহাদ বিরোধী ফতোয়া নিয়ে কুফফারদের পা চেটে যাচ্ছে । একবার কি ভেবে দেখেছেন ঐ সমস্ত উলামায়ে কেরামের কথা যারা এখনো বলছে বাংলাদেশে জিহাদ ফরজ হয়নি ! ভেবে দেখেছেন কখনো ঐ সমস্ত উলামায়ে কেরামের কথা যারা আজ অব্দি জাতির বিবেক কে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে চায় জিহাদ নামক ফরজ ইবাদাত থেকে ।
কেন আজকে উলামায়ে কেরাম জাতির সাথে গাদ্দারী করছে? কেন আজকে উলামায়ে কেরাম জিহাদ এর বিরোধী ফতওয়া দিচ্ছে ( https://bit.ly/2bkmecD ) ? কেন তারা গনতন্ত্রের হারাম ভোট দেওয়ার পদ্ধতি কে জিহাদ বলে প্রচার করছে? এর উত্তর কি কারো জানা আছে ?
এখন কথা হচ্ছে- তারা কতগুলো জমি বাংলাদেশে দাবি করছে ? উত্তরটা হবে সাড়ে ৬ লক্ষ একর বা প্রায় ২০ লক্ষ বিঘা (শুধু অর্পিত সম্পত্তি)।
৬৫ এর যুদ্ধের সময় অনেক অনেক মুসলমান তো ভারতে জমি ফেলে এসেছিলো। সেগুলোর কি হবে ? উত্তরটা কি হবে ? হ্যা, আপনি যেটা ভাবছেন উত্তর সেটাই হবে, ভারত সেগুলো ফেরত দেবে না মুসলিমদের। ভারত সেগুলো শত্রু সম্পত্তি বলে নিলামে তুলে বিক্রি করে দিয়েছে।
হিন্দুরা এ অঞ্চলে এতগুলো জমির মালিক হলো কিভাবে ?
উত্তর- এ অঞ্চলে একটি বিশাল জমি (বাংলার প্রায় এক-চতুর্থাংশ) ছিলো লাখেরাজ জমি। লাখেরাজ মানে লা-খারাজ, অর্থাৎ যে জমির খাজনা নেই। এ জমিগুলো মুসলমানদের অধীনে ছিলো। কিন্তু ব্রিটিশরা দেখলো এই জমিগুলো থেকে তাদের খাজনা আদায় হচ্ছে না। তখন ঐ জমিগুলো তারা মুসলমানদের থেকে কেড়ে নিয়ে হিন্দুদের দিয়ে দেয়। এই ঘটনাকেই বলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, যা ১৭৯৩ সালে পাশ হয়। উল্লেখ্য এ অঞ্চলে আগে হিন্দুদের অবস্থা তেমন ভালো ছিলো না। কিন্তু ব্রিটিশরা তাদের জমি দেওয়ায় হিন্দুদের মধ্যে জমিদার তালুকদার শ্রেণীর উদ্ভব ঘটে।
১৯৫০ সালের এক হিসেবে এই শ্রেণীর সংখ্যা ছিলো ২৩ লক্ষ, যার মধ্যে ২০ লক্ষ ছিলো হিন্দু। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর উন্নত ভবিষ্যতের আশায় এরা প্রত্যেকেই কলকাতায় চলে যায়। বাংলাদেশে রেখে যাওয়া সেই জমিগুলোই হিন্দুরা বিভিন্ন সময় দাবি করে থাকে।
একটা কথা না বললেই নয়,
আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন করেছে এটা খুব ভালো কথা। কিন্তু এর সাথে ‘লাখেরাজ সম্পত্তি প্রত্যার্পন’ নামেও একটা আইন করা উচিত ছিলো। আর যদি অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন করতেই হয়, তবে ভারতও মুসলমানদের জমি ফিরিয়ে দেবে এমনও চুক্তি হওয়া দরকার ছিলো। কিন্তু সেটা না করে শুধু অর্পিত সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া হবে, এটা কেমন কথা ?
ভারত মুসলমানদের জমি ফিরিয়ে না দিলেও বাংলাদেশ কিন্তু ঠিকই হিন্দুদের জমি ফিরিয়ে দিচ্ছে। এবং হ্যা সেটা মুসলমানদের থেকে কেড়ে নিয়েই দিচ্ছে।
আজকের বাংলাদেশের দিকে তাকালে দেখবেন ভারত বাংলাদেশ থেকে জমি নেয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে । তারাপুর চা বাগানের প্রায় ৪৫০ বিঘা জমি ভারত হাতিয়ে নিয়েছে নিজেদের সম্পত্তি বলে । আরো অনেক দাবি আছে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের । ২০ লাখ বিঘা শুধু অর্পিত সম্পত্তিই । আরো কত যে দেবোত্তর সম্পত্তি রয়েছে তার হিসেব তো এখনো স্পষ্টই হয়নি । ( দাওয়াহ ইলাল্লাহ সোর্স- https://bit.ly/2b0CIZ3 )
২০ লক্ষ বিঘা জমি নিয়ে যখন কাড়াকাড়ি হবে তখন কি হবে একবার ভেবে দেখেছেন ?
একবার কি ভেবে দেখেছেন ঐ সমস্ত উলামায়ে কেরামের কথা যারা এখনো জিহাদ বিরোধী ফতোয়া নিয়ে কুফফারদের পা চেটে যাচ্ছে । একবার কি ভেবে দেখেছেন ঐ সমস্ত উলামায়ে কেরামের কথা যারা এখনো বলছে বাংলাদেশে জিহাদ ফরজ হয়নি ! ভেবে দেখেছেন কখনো ঐ সমস্ত উলামায়ে কেরামের কথা যারা আজ অব্দি জাতির বিবেক কে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে চায় জিহাদ নামক ফরজ ইবাদাত থেকে ।
কেন আজকে উলামায়ে কেরাম জাতির সাথে গাদ্দারী করছে? কেন আজকে উলামায়ে কেরাম জিহাদ এর বিরোধী ফতওয়া দিচ্ছে ( https://bit.ly/2bkmecD ) ? কেন তারা গনতন্ত্রের হারাম ভোট দেওয়ার পদ্ধতি কে জিহাদ বলে প্রচার করছে? এর উত্তর কি কারো জানা আছে ?
Comment