আসসালামু আলাইকুম। ইসলামিক ইমারতের ওয়েবসাইট সাহামাত থেকে উলামাদের প্রতি একটি আহবান জানানো হয়েছেঃ
ইংরেজী থেকে আহবানটি বাংলা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাইদের নিকট অনুরোধ আপনারা আপনাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার লেখাটি ছড়িয়ে দিবেন যাতে করে লেখাটি আমাদের শীর্ষস্থানীয় উলামাদের নিকট পর্যন্ত পৌছে যায়। ভাল হয়, বাংলার সাথে সাথে লেখাটির আরবি ও যুক্ত করে দিতে পারলে। এতে করে আমাদের দায়িত্ব কিছুটা পালন করা হবে ইনশাআল্লাহ্*।
মুসলিম উম্মাহর সম্মানিত উলামাগনের নিকট আমাদের অনুরোধ
কাবুলের তথাকথিত ‘পিস কাউন্সিল’ ঘোষনা করেছে যে তাদের পক্ষ থেকে ইসলামিক দেশগুলোর উলামাদের নিয়ে কনফারেন্স আয়োজনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তারা বলেছে, এই কনফারেন্স আফগানিস্থানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভুমিকা রাখবে এবং সশস্ত্র বিরোধীদের লড়াই বন্ধ করতে বুঝাতে সক্ষম হবে।
আসলে, চাতুর্যপুর্ন এই প্রচেষ্টাগুলোর উৎপত্তি হয়েছে জেনারেল পেট্রাউসের করা এক পরিকল্পনা থেকে, যিনি ২০১০-১১ সালে আফগানিস্থানে আমেরিকান ও ন্যাটো বাহিনীর চিফ কমান্ডার ছিলেন। জেনারেল পেট্রাউস বিশ্বাস করতেন, যদি সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে প্রপাগান্ডা শুরু করা হয় এবং সশস্ত্র যোদ্ধাদেরকে যদি মনে করানো যায় যে, চলমান লড়াই জিহাদ নয়, বরং ক্ষমতার জন্য লড়াই, তাহলে এটা বর্তমান প্রতিরোধ যুদ্ধ বন্ধে সহায়ক হবে। আর এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি আফগানিস্থানে আমেরিকান ঘাটির অভ্যন্তরে রেডিও স্টেশন স্থাপন করেছিলেন এবং গামবাসীদেরকে বিনা মুল্যে রেডিও সেট দিতেন। এরপর, সারা দিন-রাত জুড়ে তারা রেডিও স্টেশনগুলোর মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালাতেন, চলমান জিহাদ ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতেন এবং এসবের সমর্থনে ফতোয়া প্রচার করতেন। কিন্তু, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, সময়ের সাথে সাথে জেনারেল পেট্রাউসের সব প্রচেষ্টা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল।
এখন আগ্রাসী দেশগুলো এবং তাদের আফগান দোসররা যেহেতু অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রন হারিয়েছে এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে মনোবল সংকটে ভুগছে, তারা তাদের শয়তানী ঔপনিবেশিক স্বার্থে উলামাদেরকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে যদিও উলামারা বিরতিহিনভাবে সত্যের সমর্থনে তাদের স্বর উচু করেছেন, এই পথে তাদের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করছেন। কিন্তু আগ্রাসীরা এবং তাদের আফগান মিত্ররা ভুলে গেছে যে আফগানিস্থান একটা দখল হয়ে যাওয়া দেশ। দেশের জমিন এবং আকাশ, সামরিক এবং রাজনৈতিক বিষয়াদি সব আগ্রাসীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একারনে ১৫০০ উলামা বর্তমান দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে জিহাদের সমর্থনে ফতোয়া দিয়েছিলেন।
নিশ্চয় সম্মানিত উলামাগন আফগানিস্থানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত আছেন। যদি অবহিত না থাকেন তাহলে তাদের নিকট জোরালো আহবান হল তারা যেন আফগানিস্থানের বর্তমান অবস্থা বুঝেন যেখানে আগ্রাসী শক্তিগুলো আফগান মুসলিমদের উপর নির্বিচারে বোমা বর্ষন করে চলছে এবং রাতের বেলায় রেইড দিচ্ছে। এতে করে অনেক পুরুষ, নারী এবং শিশুরা প্রান হারাচ্ছে। কারাগারগুলোকে তারা পুর্ন করে রেখেছে, বন্দিদের মধ্য ৯০ বছর বয়স্ক মুরুব্বিও আছেন। এছাড়াও তারা, আমাদের জন্ম ভুমি থেকে ইসলামী সংস্কৃতি মুছে ফেলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিপরীতে অনৈতিকতা-অশ্লীলতার জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এডমিনিস্ট্রেশনের মন্ত্রী ও এমপিদের বিদেশী নাগরিকত্ব রয়েছে এওবং তারা আগ্রাসন পরিচালনাকারী দেশগুলোর রেকমেনডেশনের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত। এটা হল আফগানিস্থানের বর্তমান অবস্থা।
আফগানরা নিজেদের দেশের স্বাধীনতা এবং তাদের ইসলামী বিশ্বাসের প্রতিরক্ষার জন্য দাঁড়িয়েছে, এই পথে কুরবানি করছে। একারনে যথাযথ সম্মানের সহিত মুসলিম উম্মাহর সম্মানিত উলামাগনের নিকট বলছি যে আফগানিস্থানের অবস্থা খুব জটিল। এখানে আগ্রাসী দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অব্যাহতভাবে গোয়েন্দা পরিকল্পনা উদভাবন করে চলছে। আমরা আশা করি সম্মানিত উলামাগন আফগানিস্থানের বাস্তবতা বুঝবেন যাতে করে তারা নিজেদের অজান্তে আমেরিকা ও তাদের স্থানীয় দোসরদের চক্রান্তের অংশ না হয়ে যান অথবা এই ঐশী সাবধান বানীর যোগ্য না হয়ে উঠেনঃ
“যারা সীমালংঘন করেছে তোমরা তাদের প্রতি ঝুকবে না, অন্যথায় অগ্নি তোমাদের স্পর্শ করবে। এই অবস্থায় আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক থাকবে না এবং তোমাদের সাহায্য করা হবে না।” (সুরা হুদ, ১১৩)
এটাও বলা দরকার যে, ইসলামী ইমারত শান্তিপুর্নভাবে দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পথ খোলা রেখেছে কিন্তু আগ্রাসী দেশগুলো (এবং তাদের স্থানীয় দোসররা) প্রতারনাপুর্ন পরিকল্পনা উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চায়।
ইংরেজী থেকে আহবানটি বাংলা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাইদের নিকট অনুরোধ আপনারা আপনাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার লেখাটি ছড়িয়ে দিবেন যাতে করে লেখাটি আমাদের শীর্ষস্থানীয় উলামাদের নিকট পর্যন্ত পৌছে যায়। ভাল হয়, বাংলার সাথে সাথে লেখাটির আরবি ও যুক্ত করে দিতে পারলে। এতে করে আমাদের দায়িত্ব কিছুটা পালন করা হবে ইনশাআল্লাহ্*।
মুসলিম উম্মাহর সম্মানিত উলামাগনের নিকট আমাদের অনুরোধ
কাবুলের তথাকথিত ‘পিস কাউন্সিল’ ঘোষনা করেছে যে তাদের পক্ষ থেকে ইসলামিক দেশগুলোর উলামাদের নিয়ে কনফারেন্স আয়োজনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তারা বলেছে, এই কনফারেন্স আফগানিস্থানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভুমিকা রাখবে এবং সশস্ত্র বিরোধীদের লড়াই বন্ধ করতে বুঝাতে সক্ষম হবে।
আসলে, চাতুর্যপুর্ন এই প্রচেষ্টাগুলোর উৎপত্তি হয়েছে জেনারেল পেট্রাউসের করা এক পরিকল্পনা থেকে, যিনি ২০১০-১১ সালে আফগানিস্থানে আমেরিকান ও ন্যাটো বাহিনীর চিফ কমান্ডার ছিলেন। জেনারেল পেট্রাউস বিশ্বাস করতেন, যদি সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে প্রপাগান্ডা শুরু করা হয় এবং সশস্ত্র যোদ্ধাদেরকে যদি মনে করানো যায় যে, চলমান লড়াই জিহাদ নয়, বরং ক্ষমতার জন্য লড়াই, তাহলে এটা বর্তমান প্রতিরোধ যুদ্ধ বন্ধে সহায়ক হবে। আর এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি আফগানিস্থানে আমেরিকান ঘাটির অভ্যন্তরে রেডিও স্টেশন স্থাপন করেছিলেন এবং গামবাসীদেরকে বিনা মুল্যে রেডিও সেট দিতেন। এরপর, সারা দিন-রাত জুড়ে তারা রেডিও স্টেশনগুলোর মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালাতেন, চলমান জিহাদ ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতেন এবং এসবের সমর্থনে ফতোয়া প্রচার করতেন। কিন্তু, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, সময়ের সাথে সাথে জেনারেল পেট্রাউসের সব প্রচেষ্টা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল।
এখন আগ্রাসী দেশগুলো এবং তাদের আফগান দোসররা যেহেতু অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রন হারিয়েছে এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে মনোবল সংকটে ভুগছে, তারা তাদের শয়তানী ঔপনিবেশিক স্বার্থে উলামাদেরকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে যদিও উলামারা বিরতিহিনভাবে সত্যের সমর্থনে তাদের স্বর উচু করেছেন, এই পথে তাদের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করছেন। কিন্তু আগ্রাসীরা এবং তাদের আফগান মিত্ররা ভুলে গেছে যে আফগানিস্থান একটা দখল হয়ে যাওয়া দেশ। দেশের জমিন এবং আকাশ, সামরিক এবং রাজনৈতিক বিষয়াদি সব আগ্রাসীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একারনে ১৫০০ উলামা বর্তমান দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে জিহাদের সমর্থনে ফতোয়া দিয়েছিলেন।
নিশ্চয় সম্মানিত উলামাগন আফগানিস্থানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত আছেন। যদি অবহিত না থাকেন তাহলে তাদের নিকট জোরালো আহবান হল তারা যেন আফগানিস্থানের বর্তমান অবস্থা বুঝেন যেখানে আগ্রাসী শক্তিগুলো আফগান মুসলিমদের উপর নির্বিচারে বোমা বর্ষন করে চলছে এবং রাতের বেলায় রেইড দিচ্ছে। এতে করে অনেক পুরুষ, নারী এবং শিশুরা প্রান হারাচ্ছে। কারাগারগুলোকে তারা পুর্ন করে রেখেছে, বন্দিদের মধ্য ৯০ বছর বয়স্ক মুরুব্বিও আছেন। এছাড়াও তারা, আমাদের জন্ম ভুমি থেকে ইসলামী সংস্কৃতি মুছে ফেলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিপরীতে অনৈতিকতা-অশ্লীলতার জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এডমিনিস্ট্রেশনের মন্ত্রী ও এমপিদের বিদেশী নাগরিকত্ব রয়েছে এওবং তারা আগ্রাসন পরিচালনাকারী দেশগুলোর রেকমেনডেশনের ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত। এটা হল আফগানিস্থানের বর্তমান অবস্থা।
আফগানরা নিজেদের দেশের স্বাধীনতা এবং তাদের ইসলামী বিশ্বাসের প্রতিরক্ষার জন্য দাঁড়িয়েছে, এই পথে কুরবানি করছে। একারনে যথাযথ সম্মানের সহিত মুসলিম উম্মাহর সম্মানিত উলামাগনের নিকট বলছি যে আফগানিস্থানের অবস্থা খুব জটিল। এখানে আগ্রাসী দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অব্যাহতভাবে গোয়েন্দা পরিকল্পনা উদভাবন করে চলছে। আমরা আশা করি সম্মানিত উলামাগন আফগানিস্থানের বাস্তবতা বুঝবেন যাতে করে তারা নিজেদের অজান্তে আমেরিকা ও তাদের স্থানীয় দোসরদের চক্রান্তের অংশ না হয়ে যান অথবা এই ঐশী সাবধান বানীর যোগ্য না হয়ে উঠেনঃ
“যারা সীমালংঘন করেছে তোমরা তাদের প্রতি ঝুকবে না, অন্যথায় অগ্নি তোমাদের স্পর্শ করবে। এই অবস্থায় আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক থাকবে না এবং তোমাদের সাহায্য করা হবে না।” (সুরা হুদ, ১১৩)
এটাও বলা দরকার যে, ইসলামী ইমারত শান্তিপুর্নভাবে দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পথ খোলা রেখেছে কিন্তু আগ্রাসী দেশগুলো (এবং তাদের স্থানীয় দোসররা) প্রতারনাপুর্ন পরিকল্পনা উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চায়।
Comment