লিখেছেনঃ সম্মানিত মুহাদ্দিস ভাই
সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিকপন্থায়ও এদেশে ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করা রাষ্ট্রদ্রোহিতা...
...
.
.
এদেশে যারা গণতান্ত্রিকপন্থায় ইসলামি রাজনীতি করেন, তাদেরকে যদি বলা হয়, যে, এদেশে আপনারা কীভাবে ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করবেন? তখন তারা জবাব দেন, যে, আমরা দুই তৃতীয়াংশ আসন অর্জন করে সংসদে যাবো, এরপর সংসদে বিল উত্থাপনের মাধ্যমে ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করবো!
যদিও আজপর্যন্ত এ কথার বাস্তবতা গণতান্ত্রিকপন্থ
ায় পরিচালিত বিশ্বের কোনো মুসলিমরাষ্ট্রে পাওয়া যায় নি, তারপরও প্রতিপক্ষকে থামানোর জন্যে এই যুক্তিটা অনেকক্ষেত্রে প্রায়োগিক।
কিন্তু আমরা যদি বাংলাদেশের সর্বশেষ ২০১১ সনে পঞ্চদশ সংশোধিত সংবিধান হাতে নেই, তাহলে দেখতে পাই, যে, এই সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশে ইসলামি শরীয়াহ আইন বাস্তবায়ন করা সুস্পষ্ট রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
যেমন- বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ম ‘খ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য’।
এই অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘১ম ভাগ, ২য় ভাগ, ৩য় ভাগ ও নবম ভাগের ‘ক’ সহ কয়েকটি অনুচ্ছেদ রহিতকরণ এবং সংশোধন অযোগ্য’।(সংক্ষেপন)
...
কী বুঝলেন?
...
এবার আসুন, অপরিবর্তনযোগ্য ভাগের কয়েকটি অনুচ্ছেদে সামান্য আলোকপাত করা যাক।
দ্বিতীয় ভাগে অবস্থিত ৮ম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি হবে – ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’।
অন্যদিকে ৭ম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে – ‘সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ’।
যে এই অনুচ্ছেদের যেকোনো পন্থায় বিরোধিতা করবে তার অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ঐ ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে’।
আর রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দন্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দন্ডে দন্ডিত হইবে’।
...
এবার উপরের আলোচনার দ্বারা কী বোঝা গেলো?
এদেশে ইসলামি রাজনীতি করবেন ঠিক, হয়তো সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে সংসদেও যাবেন, সংসদে গিয়েও কিন্তু ইসলামি আইন তথা শরীয়াহ শাসন বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। কেননা শরীয়াহ আইন বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই কুফরী আইন রহিত করতে হবে, কিন্তু রাষ্ট্রপরিচালনার মৌলিক ৪টি কুফরি মূলনীতি – ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’ পরিবর্তন করা যাবে না। আর যদি সামান্য পরিবর্তনের চেষ্টা চালান তাহলে এটা হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। আর রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তি হচ্ছে দেশের প্রচলিত সর্বোচ্চ দন্ড তথা মৃত্যুদন্ড।
তখন হয়তো নির্বাচিত এই দলের ভাগ্যে ‘সংবিধান’ অমান্য করার অভিযোগ দেখিয়ে মিসর, আলজেরিয়া ইত্যাদি দেশের মতো ইঙ্গ-মার্কিনিদের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে মইন ইউ ও ফখরুদ্দীন মার্কা সরকার আসবে।
এতকিছুর পরও মেনে নিলাম, তারা ক্ষমতায় গেলেন। দুই তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে সংসদেও গেলেন।
কিন্তু সংসদে গিয়ে কী করবেন?
- কী আর করবেন? সংসদে বসে বসে মিনারেল ওয়াটার খাইবেন, আর বেশির চেয়ে বেশি সংবিধানের ১৪২তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মৌলিক আইনে কোনো ধরনের রহিত ও সংশোধন করা ব্যতীত শাখাগত কয়েকটি অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করতে পারবেন।
এই হচ্ছে এদেশে গণতান্ত্রিকপন্থায় ইসলামি রাজনীতি করার সর্বোচ্চ প্রাপ্তি।
এবার বোঝা গেছেতো?
,
এরপরও যখন দেখি এইটুকু প্রাপ্তি নিয়েই এদেশের গণতান্ত্রিক ইসলামী দলসমূহ পরষ্পরে কামড়াকামড়ি করেন, তখন আর আক্ষেপ ও বিস্ময়ের শেষ থাকে না।
...
সুতরাং যে বা যারা এদেশে যে কোনোপন্থায় শরীয়াহ আইন বাস্তবায়ন করতে চান, তাদের জন্যে আবশ্যক হচ্ছে, অন্তত একবার হলেও কুরআন-হাদীসের আলোকে এদেশের সংবিধান পর্যালোচনা করা।
যদি পর্যালোচনা করেন, তাহলে দেখবেন যে, এদেশের সংবিধান হচ্ছে সুস্পষ্ট একটি কুফরী সংবিধান। আর যদি কেউ মনেপ্রাণে কোনো ধরনের চাপ বা বাধ্য-বাধকতা ব্যতীত সানন্দে এই সংবিধানের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে, তাহলে সে হবে সুস্পষ্ট ‘মুরতাদ’।
কথা যদি অপছন্দ হয়, তাহলে কুরআন-সুন্নাহের আলোকে সংবিধান পর্যালোচনা করে দেখতে পারেন।
এরপর যদি আমার এই কথার মধ্যে ভূল দেখতে পান, তাহলে দেখিয়ে দিবেন। ইনশাআল্লাহ ভূল স্বীকার করে বিনয়ের সাথে সংশোধন করে নিবো।
সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিকপন্থায়ও এদেশে ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করা রাষ্ট্রদ্রোহিতা...
...
.
.
এদেশে যারা গণতান্ত্রিকপন্থায় ইসলামি রাজনীতি করেন, তাদেরকে যদি বলা হয়, যে, এদেশে আপনারা কীভাবে ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করবেন? তখন তারা জবাব দেন, যে, আমরা দুই তৃতীয়াংশ আসন অর্জন করে সংসদে যাবো, এরপর সংসদে বিল উত্থাপনের মাধ্যমে ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করবো!
যদিও আজপর্যন্ত এ কথার বাস্তবতা গণতান্ত্রিকপন্থ
ায় পরিচালিত বিশ্বের কোনো মুসলিমরাষ্ট্রে পাওয়া যায় নি, তারপরও প্রতিপক্ষকে থামানোর জন্যে এই যুক্তিটা অনেকক্ষেত্রে প্রায়োগিক।
কিন্তু আমরা যদি বাংলাদেশের সর্বশেষ ২০১১ সনে পঞ্চদশ সংশোধিত সংবিধান হাতে নেই, তাহলে দেখতে পাই, যে, এই সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশে ইসলামি শরীয়াহ আইন বাস্তবায়ন করা সুস্পষ্ট রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
যেমন- বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ম ‘খ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য’।
এই অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘১ম ভাগ, ২য় ভাগ, ৩য় ভাগ ও নবম ভাগের ‘ক’ সহ কয়েকটি অনুচ্ছেদ রহিতকরণ এবং সংশোধন অযোগ্য’।(সংক্ষেপন)
...
কী বুঝলেন?
...
এবার আসুন, অপরিবর্তনযোগ্য ভাগের কয়েকটি অনুচ্ছেদে সামান্য আলোকপাত করা যাক।
দ্বিতীয় ভাগে অবস্থিত ৮ম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি হবে – ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’।
অন্যদিকে ৭ম অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে – ‘সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ’।
যে এই অনুচ্ছেদের যেকোনো পন্থায় বিরোধিতা করবে তার অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘তাহার এই কার্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা হইবে এবং ঐ ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হইবে’।
আর রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দন্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ দন্ডে দন্ডিত হইবে’।
...
এবার উপরের আলোচনার দ্বারা কী বোঝা গেলো?
এদেশে ইসলামি রাজনীতি করবেন ঠিক, হয়তো সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে সংসদেও যাবেন, সংসদে গিয়েও কিন্তু ইসলামি আইন তথা শরীয়াহ শাসন বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। কেননা শরীয়াহ আইন বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই কুফরী আইন রহিত করতে হবে, কিন্তু রাষ্ট্রপরিচালনার মৌলিক ৪টি কুফরি মূলনীতি – ‘জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’ পরিবর্তন করা যাবে না। আর যদি সামান্য পরিবর্তনের চেষ্টা চালান তাহলে এটা হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। আর রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তি হচ্ছে দেশের প্রচলিত সর্বোচ্চ দন্ড তথা মৃত্যুদন্ড।
তখন হয়তো নির্বাচিত এই দলের ভাগ্যে ‘সংবিধান’ অমান্য করার অভিযোগ দেখিয়ে মিসর, আলজেরিয়া ইত্যাদি দেশের মতো ইঙ্গ-মার্কিনিদের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে মইন ইউ ও ফখরুদ্দীন মার্কা সরকার আসবে।
এতকিছুর পরও মেনে নিলাম, তারা ক্ষমতায় গেলেন। দুই তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে সংসদেও গেলেন।
কিন্তু সংসদে গিয়ে কী করবেন?
- কী আর করবেন? সংসদে বসে বসে মিনারেল ওয়াটার খাইবেন, আর বেশির চেয়ে বেশি সংবিধানের ১৪২তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মৌলিক আইনে কোনো ধরনের রহিত ও সংশোধন করা ব্যতীত শাখাগত কয়েকটি অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করতে পারবেন।
এই হচ্ছে এদেশে গণতান্ত্রিকপন্থায় ইসলামি রাজনীতি করার সর্বোচ্চ প্রাপ্তি।
এবার বোঝা গেছেতো?
,
এরপরও যখন দেখি এইটুকু প্রাপ্তি নিয়েই এদেশের গণতান্ত্রিক ইসলামী দলসমূহ পরষ্পরে কামড়াকামড়ি করেন, তখন আর আক্ষেপ ও বিস্ময়ের শেষ থাকে না।
...
সুতরাং যে বা যারা এদেশে যে কোনোপন্থায় শরীয়াহ আইন বাস্তবায়ন করতে চান, তাদের জন্যে আবশ্যক হচ্ছে, অন্তত একবার হলেও কুরআন-হাদীসের আলোকে এদেশের সংবিধান পর্যালোচনা করা।
যদি পর্যালোচনা করেন, তাহলে দেখবেন যে, এদেশের সংবিধান হচ্ছে সুস্পষ্ট একটি কুফরী সংবিধান। আর যদি কেউ মনেপ্রাণে কোনো ধরনের চাপ বা বাধ্য-বাধকতা ব্যতীত সানন্দে এই সংবিধানের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে, তাহলে সে হবে সুস্পষ্ট ‘মুরতাদ’।
কথা যদি অপছন্দ হয়, তাহলে কুরআন-সুন্নাহের আলোকে সংবিধান পর্যালোচনা করে দেখতে পারেন।
এরপর যদি আমার এই কথার মধ্যে ভূল দেখতে পান, তাহলে দেখিয়ে দিবেন। ইনশাআল্লাহ ভূল স্বীকার করে বিনয়ের সাথে সংশোধন করে নিবো।
Comment