কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ঈদগাহে কঠোর নিরাপত্তায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে ১৮৯তম ঈদ জামাত পরিচালনা করেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এবারের ঈদ জামাতে মাত্র কয়েকশ লোক অংশ নেন। মুসল্লিদের চেয়ে নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যাধিক্য ছিল লক্ষণীয় এবং অন্য যে কোনো বছরের ঈদের চেয়ে মুসল্লির সংখ্যা ছিল অনেক কম। প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি গত ঈদুল ফেতরের দিনে সন্ত্রাসী হামলার কারণে চাপা উৎকণ্ঠার কারণেই এবার মুসল্লিদের উপস্থিতি কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
শোলাকিয়া ঈদ মাঠে শোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন বলে ‘শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ’ বলা হয়। কিন্তু এবার মুসল্লিদের উপস্থিতে মনে হলোÑ শোয়া লাখের মাঠে শোয়া’শ মানুষ ঈদের জামাত সম্পন্ন করেছেন!
এদিকে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো দায়িত্ব পালন করে তিন প্লাটুন বিজিবি। এ ছাড়া পুলিশ বাহিনীর সহ¯্রাধিক সদস্য মাঠ ও এর আশপাশে বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করে সাদা পোশাকে। পাশাপাশি র*্যাব ও এপিবিএনের সদস্যরাও বিভিন্ন স্থানে অবস্থান গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস জানান, কোরবানির আনুষ্ঠানিকতার ব্যস্ততার কারণে ঈদুল আজহায় এমনিতে মুসল্লির উপস্থিতি কম হলেও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে আরো কম হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান জানান, গত ঈদুল ফেতরের দিনে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবারের ঈদুল আজহার জামাতকে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ রাখাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তাই শোলাকিয়া মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছিল তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। দূর-দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের সুবিধার জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের একটি ট্রেন ভোর পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে এবং আরেকটি সকাল ৬টায় ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ এসে পৌঁছায়।
উল্লেখ্য ফরিদ উদ্দিন মাসুদ সরকারের মদদে জঙ্গিবাদ বিরোধী ফোতওয়া দিয়ে আলোচনায় আসে।অনেকই তাকে সরকারী আলেম বলে মনে করেন।এবার ঈদগাহে মুসল্লি সংখ্যা কম হওয়ার পিছে এটাও একটি কারণ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
Comment