সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে -সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেন ফেরাউনতুল্ল শেখ হাসিনা্*, স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে। বাংলা ভাইও তাদের সৃষ্টি। যারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে । যারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেয়, সমর্থন করে তাদেরও বিচার হবে । বিশ্বব্যাপী যেভাবে জঙ্গি দমন করা হচ্ছে এদেশেও সেভাবেই হচ্ছে এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ নিয়ে কে কী বলল, সেটা বড় কথা নয়।
গতকাল বুধবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গতকাল ছিল আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির শেষ বৈঠক। আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব পাবে দলটি। শেষ বৈঠকে আবেগ আপ্লুত হয়ে উঠে অনেক কেন্দ্রীয় নেতা।
প্রধান মন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে দেশের কোনো উন্নয়ন করেনি। তবে তারা মানুষ খুনসহ নানা অপকর্ম করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় থেকে অগ্নিসন্ত্রাস, মেয়েদের ধর্ষণ করা, হাতুড়ি দিয়ে মানুষকে পেটানো এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করেছে তাদের নেতারা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ওয়াদা পূরণের মধ্য দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের উন্নতি হয়। ইতিপূর্বের কাউন্সিলের ঘোষণাপত্রও বাস্তবায়ন করে ফেলেছি। এবার আরও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আমাদের দল ঐতিহ্যবাহী দল। আমরা দেশের জন্য কাজ করি। মানুষের জন্য কাজ করি। এই চিন্তা-চেতনা থেকেই আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচি হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইতোপূর্বে আমরা যে কর্মসূচি নিয়েছি সেগুলো পূর্ণ করেছি, আমরা যে ওয়াদা করি তা রক্ষা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ওয়াদা পূরণের মধ্য দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের উন্নতি হয়। ইতোপূর্বের কাউন্সিলের ঘোষণাপত্রও বাস্তবায়ন করে ফেলেছি। এবার আরও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে কাউন্সিলে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, কোনো রকম জঙ্গিবাদ এই বাংলার মাটিতে সহ্য করা হবে না। আর যারা এর আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা তাদেরও করা হবে বিচারের মুখোমুখি।
এদিকে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে কিছুটা ‘আবেগাপ্লুত’ দলটির নেতারা। কারণ, বর্তমান কমিটির এটাই শেষ বৈঠক হতে পারে। দলের সভানেত্রী এখন পর্যন্ত কাউকেই কমিটিতে থাকার বিষয়ে ‘সিগন্যাল’ না দেওয়ায় দ্বন্দ্বে আছেন নেতারা।
আ’লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বর্তমান কমিটির কার্যক্রম মুলতবি করা হয় । নতুন কমিটি ঘোষণার আগে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ডাকা হবে না। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা ধরেই নিচ্ছেন, এটাই শেষ আনুষ্ঠানিক বৈঠক। এই বৈঠকেই অনেক নেতা তার নেত্রীর কাছ থেকে শেষ বিদায় নেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনের আগে কে থাকবে বা না থাকবে, প্রতিবারই তার কোনো কোনো ইঙ্গিত থাকে। এবারই ব্যতিক্রম। সভানেত্রী ছাড়া কেউ কিছু জানে না।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের একজন সদস্য বলেন, বৈঠকে আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত অনুমোদন হয়। অর্থাৎ ২০১২ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত কমিটির সবকিছুর মূল্যায়ন করা হয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, অতীতে দেখা গেছে সম্মেলনের আগে দলের নেতাদের মধ্যে দলাদলির সৃষ্টি হতে। এবারই প্রথম প্রকাশ্যে কোনো দলাদলি নেই। কেউ কোনো পদে প্রার্থী নন। দলের এই ঐক্য শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। তাই সবদিক বিবেচনা করলে এ কমিটিই আওয়ামী লীগের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল কমিটি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আগামী দিনের আওয়ামী লীগ পরিচালনার জন্য দলটির ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে একটি দক্ষ নেতৃত্ব আসবে। তবে ঠিক কী ধরনের ‘নতুন’ ও ‘দক্ষ’ নেতৃত্ব আসবে, সেটার সদুত্তরের জন্য সম্মেলন পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ নেতাদের।
গতকাল বুধবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গতকাল ছিল আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির শেষ বৈঠক। আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব পাবে দলটি। শেষ বৈঠকে আবেগ আপ্লুত হয়ে উঠে অনেক কেন্দ্রীয় নেতা।
প্রধান মন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে দেশের কোনো উন্নয়ন করেনি। তবে তারা মানুষ খুনসহ নানা অপকর্ম করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় থেকে অগ্নিসন্ত্রাস, মেয়েদের ধর্ষণ করা, হাতুড়ি দিয়ে মানুষকে পেটানো এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করেছে তাদের নেতারা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ওয়াদা পূরণের মধ্য দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের উন্নতি হয়। ইতিপূর্বের কাউন্সিলের ঘোষণাপত্রও বাস্তবায়ন করে ফেলেছি। এবার আরও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আমাদের দল ঐতিহ্যবাহী দল। আমরা দেশের জন্য কাজ করি। মানুষের জন্য কাজ করি। এই চিন্তা-চেতনা থেকেই আমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচি হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইতোপূর্বে আমরা যে কর্মসূচি নিয়েছি সেগুলো পূর্ণ করেছি, আমরা যে ওয়াদা করি তা রক্ষা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ওয়াদা পূরণের মধ্য দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের উন্নতি হয়। ইতোপূর্বের কাউন্সিলের ঘোষণাপত্রও বাস্তবায়ন করে ফেলেছি। এবার আরও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে কাউন্সিলে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, কোনো রকম জঙ্গিবাদ এই বাংলার মাটিতে সহ্য করা হবে না। আর যারা এর আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা তাদেরও করা হবে বিচারের মুখোমুখি।
এদিকে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে কিছুটা ‘আবেগাপ্লুত’ দলটির নেতারা। কারণ, বর্তমান কমিটির এটাই শেষ বৈঠক হতে পারে। দলের সভানেত্রী এখন পর্যন্ত কাউকেই কমিটিতে থাকার বিষয়ে ‘সিগন্যাল’ না দেওয়ায় দ্বন্দ্বে আছেন নেতারা।
আ’লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বর্তমান কমিটির কার্যক্রম মুলতবি করা হয় । নতুন কমিটি ঘোষণার আগে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ডাকা হবে না। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা ধরেই নিচ্ছেন, এটাই শেষ আনুষ্ঠানিক বৈঠক। এই বৈঠকেই অনেক নেতা তার নেত্রীর কাছ থেকে শেষ বিদায় নেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনের আগে কে থাকবে বা না থাকবে, প্রতিবারই তার কোনো কোনো ইঙ্গিত থাকে। এবারই ব্যতিক্রম। সভানেত্রী ছাড়া কেউ কিছু জানে না।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের একজন সদস্য বলেন, বৈঠকে আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত অনুমোদন হয়। অর্থাৎ ২০১২ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত কমিটির সবকিছুর মূল্যায়ন করা হয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, অতীতে দেখা গেছে সম্মেলনের আগে দলের নেতাদের মধ্যে দলাদলির সৃষ্টি হতে। এবারই প্রথম প্রকাশ্যে কোনো দলাদলি নেই। কেউ কোনো পদে প্রার্থী নন। দলের এই ঐক্য শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। তাই সবদিক বিবেচনা করলে এ কমিটিই আওয়ামী লীগের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল কমিটি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আগামী দিনের আওয়ামী লীগ পরিচালনার জন্য দলটির ২০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে একটি দক্ষ নেতৃত্ব আসবে। তবে ঠিক কী ধরনের ‘নতুন’ ও ‘দক্ষ’ নেতৃত্ব আসবে, সেটার সদুত্তরের জন্য সম্মেলন পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরামর্শ নেতাদের।
Comment