বেস কয় দিন ধরে ঈমানি দূর্বলতায় ভগতেছি, মনে হচ্ছে কোন সময় জানি ঈমান চলে যায়, আমার এরখম মনে হচ্ছে, শয়তান আমাকে কুব বেশি পরুচনা দিচ্ছে, বার বার আমার কি জেন মনে হচ্ছে তা বলার মত না, আল্লাহর কাছে পানা চাই আল্লাহ যেন আমাকে ঈমানের উপর অবিচল রাখেন,আর মুমিন ভাইদের সাথে রাখেন আমিন, সব ভাই দোয়া করবেন আমার জন্য, আর কোন ভাই যদি পারেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান বাড়ে এমন কোন, হাদিস কিংবা কোন বিডিও দিবেন আশা করি।
Announcement
Collapse
No announcement yet.
ভাইদের কাছে দোয়া চাই
Collapse
X
-
ভাই আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কারো যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ঈমানদার ভাইদের সোহবাত বেশি প্রয়োজন পড়ে। আর তাদের থেকে শুধু ঈমান বৃদ্ধি ও গাফলতি দূর হওয়ার কথা শুনতে হয় । আর আপনি বেশি বেশি তাউহীদ ও জিহাদের ইলম শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণঃ আলেমরাই আল্লাহকে ভয় করে কুরআনের ভাষ্য অনুজায়ী।
মুমিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
রোম- ৪৭
- Stuck
Comment
-
ভাই আপনাকে আল্লাহ উত্তম বদলা দান করেন।
আবু মুহাম্মদ ভাই আমার ও মাঝেমধ্যে আমলে কমতি ও সমস্যা হয় তাই আপনার নসিহত আমার ও কাজে লাগবে ইংশা আল্লাহ।
حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আমি তাঁর উপরই ভরসা করি। আর তিনি মহান আরশের রব্ব
Comment
-
الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله ، وعلى آله وصحبه ومن اتبع هداه ، أما بعد
উমাইর ভাইয়ের ''ভাইদের কাছে দোয়া চাই'' লেখাটা পড়ে কিছু বিষয় মুযাকারা করার এরাদা করলাম।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ فَسَأَلُوهُ اِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ قَالَ وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ قَالُوا نَعَمْ قَالَ ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيْمَانِ [رواه مسلم]
আবু হুরাইরা রাযিঃ থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, নাবী সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক নাবী সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করলো, কোনো কোনো সময় আমরা আমাদের অন্তরের মাঝে এমন কিছু অনুভব করি, তা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করা ভয়ংকর গুনাহ মনে করে। তিনি (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা কি এমন কিছু অনুভব করো? তাঁরা বললো, হ্যাঁ! তিনি (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটাতো সুস্পষ্ট ঈমানের নিদর্শন। [মুসলিম, ১ম খণ্ড]
মুসলিম শারীফের অপর এক হাদীসে বর্নিত হয়েছে, নাবী সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রণা) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এটাতো নির্ভেজাল ঈমানের পরিচায়ক।
এ ধরণের কুমন্ত্রণায় কেউ পতিত হলে, কি 'আমাল করতে হবে তাও রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। আবু হুরাইরা (রাযিঃ) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো বান্দার কাছে শয়তান এসে বলে অমুক জিনিষ কে সৃষ্টি করেছে? এটা কে সৃষ্টি করেছে? অবশেষে এ কথাও জিজ্ঞেস করে, তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? ব্যাপার যখন এ পর্যন্ত পোঁছে তখন আল্লাহ্*র কাছে আশ্রয় কামনা করো। এবং এ আলোচনা পরিহার করো। [মুসলিম, ১ম খণ্ড]
অর্থাৎ তখন বেশি বেশি পড়া উচিত أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
ঈমানের মধ্যে সন্দেহে পতিত ব্যক্তির জন্য আরেকটি মাসনূন 'আমাল হলো,
এমন ব্যক্তি পড়বে آمَنْتُ بِاللهِ وَرُسُلِهِ ''আমি আল্লাহ এবং তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান আনলাম। [হিসনুল মুসলিম]
আখি ফিল্লাহ অস্থিরতায় চিন্তিত না হয়ে, উপরের বর্ণিত মাসনূন 'আ'মালগুলো করতে পারি কি বলেন! আসলে ঈমানদারদের অন্তরেই শয়তান কুমন্ত্রণা ঢালে। ভেবে দেখুন, আপনার মত একই কারণে সাহাবাগণ রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করেছিলেন। তাহলে বুঝা যায় এমন অবস্থা সাহাবায়ে কেরামদের অন্তরেও উদ্রেক হতো। আর তাঁরা রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জিজ্ঞেস করে 'আ'মাল শিখে নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
# আর আমাদের উচিত নিয়মিতভাবে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা। তিলাওয়াতের দ্বারা মুমিনদের ঈমান বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলার ইরশাদ হচ্ছে,
اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ اِذِا ذُكِرَ اللهُ وَجِلَتْ قُلُوْبُهُم وَاِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ ايتُه زَادَتْهُمْ اِيْمَانَا وَّعَلى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَ [ سورةالانفال:2]
''মুমিন তো তারাই, যাদের সামনে আল্লাহ্*র স্মরণ করা হলে তাদের হৃদয় ভীত হয়, যখন তাদের সামনে তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয়, তখন তা তাদের ঈমানের উন্নতি সাধন করে এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা করে''। [ সূরা আনফালঃ ০২]
এজন্য আমরা নিজেও কুরআন তিলাওয়াত করবো, এবং অন্যের থেকে তিলাওয়াত শ্রবন করবো। এতে আমাদের ঈমান বৃদ্ধি পাবে। এ উভয় 'আমল اِরসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি পরিমাণে করতেন। সাহাবায়ে কেরাম রাযিঃ পরস্পরে খুব বেশি ঈমান জাগ্রত হওয়ার বিষয় আলোচনা করতেন। আমরা আমাদের পরিবার, প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধব এককথায় যাদের সাথেই মুনাসিব হয়, ঈমান জাগানিয়া আলোচনা করতে পারি। বিশেষ করে দাওয়াহ ইলাল্লাহতে ঈমান বিষয়ক সুন্দর সুন্দর লেখা পোস্ট করতে পারি। ভাইদের সাথে দ্বীনী বিষয়গুলো শেয়ার করে জেনে নিতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ! একেক ভাইয়ের লেখায় একেকটি বিষয় হৃদয় মাঝে খুব সহজে বদ্ধমূল হয়ে যায়; 'আমালের যাওক-শাওক পয়দা হয়ে যায়। আল্লাহ সকল ভাইদের খিদমাত কবুল করে আরও বেশি বেশি নাছিহাহ করার তাওফীক দিন। সবাইকে দ্বীনের দুশমনদের বিরুদ্ধে কিতাল করে শাহাদাতের সুধা আস্বাদন করার তাওফীক দিন।
আর ভাই! লেখায় কোনো ভুল হলে ভাইয়েরা কত সুন্দরভাবে শুধরিয়ে দেন। এজন্য সময় সুযোগ করে ফোরামে লেখা পোস্ট করা চাই। ভাইদের লেখা পড়ে নিজেকে শক্তিশালী মুমিন বান্দারূপে গড়ানোর জন্য সব ধরণের মেহনত করা চাই। উম্মাহর নিউজগুলো জেনে নিজের জরুরী দায়িত্ববোধ বুঝা উচিত। এ মুহূর্তে আমার কি করা উচিত আর আমি কি করছি? কতটুকু করছি? বর্তমানে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবিত অবস্থায় আমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকলে আমরা কি করতাম?...আমরা কি আবু বকর, উমর, উসমান, আলী , হামজা, মুসআব ইবনে উমায়ের, খালিদ রাযিঃদের মত হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পরতাম না? তাই ভাই! আমরা এ যুগের জন্য সাহাবাদের নমুনা বনে চাই। হাসিমুখে দ্বীনের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত হয়ে যাই।
# আরেকটি বিষয় আমাদের সবার জন্যই মনে রাখা উচিত, তা হলো কোনো গুনাহ সংঘটিত হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাওবাহ করে নেওয়া। আর তাওবাহ সম্পর্কে ইমাম নাববী রহিঃ তাঁর সংকলিত 'রিয়াদুস সালেহীন' কিতাবের তাওবাহের অধ্যায়ে লিখেছেন, গুনাহ যদি আল্লাহর অবাধ্যতার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে (মানুষের কোনো হক নষ্ট না হয়) তাহলে, এ ধরণের তাওবাহ কবুলের জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। ০১. কৃত গুনাহ সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে। ০২. গুনাহে লিপ্ত হওয়ার কারণে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে। ০৩. ঐ গুনাহ ভবিষ্যতে পুনরায় না করার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে। আর গুনাহতে মানুষের কোনো হক নষ্ট হলে, উপরের তিন শর্ত পূরণের পাশাপাশি কোনো ব্যক্তির হক তার কাছে পোঁছিয়ে দিতে হবে। আর এটাই হলো 'তাওবাতুন নাছুহাহ'।
যে ধরণের তাওবাহ করতে আমাদের মহান প্রতিপালক আমাদের আদেশ করেছেন,
يَآأَيُّهَا الَّذِيْنَ ءَامَنُوا تُوبُوا إِلَى اللهِ تَوْبَةً نَّصُوحًا [ التحريم: 8]
''হে মুমিনগণ তোমরা আল্লাহ্*র কাছে খাঁটি তাওবাহ করো। [সূরা আত তাহরীমের ৮ নং আয়াতের প্রথমাংশ]
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إلَى اللهِ وَاسْتَغْفِرُوهُ فَإنِّي أتُوبُ في اليَوْمِ مِاءَةَ مَرَّةٍ [رواه مسلم]
''হে লোকসকল! তোমরা আল্লাহ্*র কাছে তাওবাহ করো, এবং ক্ষমা প্রার্থনা করো। কেননা আমি প্রতিদিন একশত বার করে তাওবাহ করি''।
আমাদের একটু ভাবা উচিত, নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম কত গুরুত্বের সাথে আপন রবের কাছে তাওবাহ করতেন। আমরা যারা প্রতিনিয়ত গুনাহের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছি, তাদের কেমন তাওবাহ করা উচিত। উমাইর ভাইয়ের লেখাটা পড়ে আমার নিজের করুন অবস্থার দিকে লক্ষ্য করে বিষয়গুলো মুযাকারা করলাম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সাহাবায়ে কেরামের মত ঈমান আনয়ন করে দ্বীনের জন্য কুরবান হওয়ার তাওফীক দিন।
আমিন...ইয়া রব্বাল মুজাহিদীন।Last edited by Mullah Murhib; 11-01-2016, 11:20 PM.বর্বর হিংস্র হায়েনার বিষাক্ত থাবায় আমাদের মা-বোন আর ভাইদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমাদেরই নিজ ভূমি। আর তুমি........তবুও তুমি বসে থাকবে ? জেনে রেখো! তোমাকে অবশ্যই এ নির্যাতিত উম্মার রবের সামনে দাঁড়াতে হবে।
Comment
-
Mullah Muhrib ভাই যেই মুজাকারা করেছেন, মাশাআল্লাহ এটাই অতি উত্তম! এটাই রাসুল (সাঃ) এর দেখানো পথ ...
তবুও আমি শুধু নিজের স্বার্থের জন্য কমেন্ট করলাম...
ভাই আপনি এক কাজ করতে পারেন ইনশাআল্লাহ ..
এমন কোথাও বসেন যেখানে শব্দ নাই বা অনেক কম, যেখানে আপনি কমপক্ষে ৩০-৪০ মিনিট বসে থাকতে পারবেন কেউ আপনাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করবেনা, বিরক্ত করবেনা, ফোন থাকলে ফোন অফ করে দেন। ধীর স্থির থাকার একটা প্রস্তুতি নেন। অজু সহ বসতে পারলে উত্তম! এরপর খুব ধীর ধীরে আপনার জীবনের পিছন দিকের কথা গুলো চিন্তা করেন, আপনার জীবনের বড় বড় বিপদ গুলোর কথা চিন্তা করেন, যে সব বিপদে আপনি সমস্ত আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন .. চিন্তা করবেন খুব ধীরে ধীরে .. আপনার পিছন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা গুল মনে করার চেষ্টা করেন ..
এভাবে পিছনে পিছনে যেতে যেতে খেয়াল করেন এক সময়ে আপনি আপনার মায়ের পেটে ছিলেন, কেউ জানেনা আপনি দেখতে কেমন হবেন, আপনি কি করবেন ... আল্লাহ রক্ত পিন্ড থেকে আপনাকে ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন। আল্লাহ আপনার হাত দিয়েছেন, পা দিয়েছেন, মায়ের পেটে মা ঘুমিয়ে গেছে, আর আপনি মায়ের পেটে ডিগবাজি দিয়েছেন, আল্লাহ এই সব কিছু দেখেছেন আর আপনাকে বড় করে তুলেছেন .. এরপর আপনার জন্ম হলো .. আল্লাহ ধীরে ধীরে আপনার মা বাবার অন্তরে আপনার জন্য মুহাব্বাত দিয়ে দিলেন, তারা আপনাকে বড় করলেন, এভাবে অনেক গুলো বছর পার হয়ে আল্লাহ আপনাকে আজ এই অবস্থায় নিয়ে আসলেন, আপনি একবারের জন্য আল্লাহ কে দেখেন নি, কিন্তু আল্লাহ এক মুহূর্তের জন্য আপনাকে আল্লাহ্*র ব্যাবস্থাপনার আড়াল করেন নি।
আপনি চিন্তা করেন রাতের বেলা ক্লান্ত হয়ে আপনি ঘুনিয়ে যেতেন, কিন্তু তখনো আল্লাহ আপনার শরীর এবং মনের নিরাপত্তা দিতেন .. আপনি আল্লাহ কে ভুলে যেতেন কিন্তু আল্লাহ আপনাকে ভুলতেন না ..
এভাবে দেখবেন আপনার জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে আল্লাহ আপনার সাথে ছিলেন, কখনো আপনাকে ত্যাগ করেন নি ..
দেখবেন আপনার শরীর শান্ত হয়ে আসবে, মন নরম হয়ে আসবে, আর ইনশাআল্লাহ আপনার অন্তর আল্লাহ্*র জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠবে ... আপনি চাইলে দুই রাকাত নামজ পড়তে পারেন কুরআন পড়তে পারেন, আর হ্যাঁ দুয়া করতে পারেন ...
আপনি অর্থ সহ সুরা আদ দাহর/ইনসান পড়তে পারেন, অদ্ভুত সুন্দর একটা সুরা! আপনার অন এত প্রশান্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না!
আর দুয়া করলে অবশ্যই খাস করে এই ভাইয়ের জন্য দুয়া করতে ভুলবেন না ইনশাআল্লাহ...মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি
- Stuck
Comment
-
উম্মাহর নিউজগুলো জেনে নিজের জরুরী দায়িত্ববোধ বুঝা উচিত। এ মুহূর্তে আমার কি করা উচিত আর আমি কি করছি? কতটুকু করছি? বর্তমানে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবিত অবস্থায় আমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকলে আমরা কি করতাম?...আমরা কি আবু বকর, উমর, উসমান, আলী , হামজা, মুসআব ইবনে উমায়ের, খালিদ রাযিঃদের মত হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পরতাম না? তাই ভাই! আমরা এ যুগের জন্য সাহাবাদের নমুনা বনে চাই। হাসিমুখে দ্বীনের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত হয়ে যাই।سبيلنا سبيلنا الجهاد الجهاد
طريقنا طريقنا الجهاد الجهاد
- Stuck
Comment
-
Originally posted by Mullah Murhib View Postالحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله ، وعلى آله وصحبه ومن اتبع هداه ، أما بعد
উমাইর ভাইয়ের ''ভাইদের কাছে দোয়া চাই'' লেখাটা পড়ে কিছু বিষয় মুযাকারা করার এরাদা করলাম।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ فَسَأَلُوهُ اِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ قَالَ وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ قَالُوا نَعَمْ قَالَ ذَاكَ صَرِيحُ الْإِيْمَانِ [رواه مسلم]
আবু হুরাইরা রাযিঃ থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, নাবী সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক নাবী সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করলো, কোনো কোনো সময় আমরা আমাদের অন্তরের মাঝে এমন কিছু অনুভব করি, তা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করা ভয়ংকর গুনাহ মনে করে। তিনি (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা কি এমন কিছু অনুভব করো? তাঁরা বললো, হ্যাঁ! তিনি (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটাতো সুস্পষ্ট ঈমানের নিদর্শন। [মুসলিম, ১ম খণ্ড]
মুসলিম শারীফের অপর এক হাদীসে বর্নিত হয়েছে, নাবী সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ওয়াসওয়াসা (কুমন্ত্রণা) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, এটাতো নির্ভেজাল ঈমানের পরিচায়ক।
এ ধরণের কুমন্ত্রণায় কেউ পতিত হলে, কি 'আমাল করতে হবে তাও রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। আবু হুরাইরা (রাযিঃ) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো বান্দার কাছে শয়তান এসে বলে অমুক জিনিষ কে সৃষ্টি করেছে? এটা কে সৃষ্টি করেছে? অবশেষে এ কথাও জিজ্ঞেস করে, তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? ব্যাপার যখন এ পর্যন্ত পোঁছে তখন আল্লাহ্*র কাছে আশ্রয় কামনা করো। এবং এ আলোচনা পরিহার করো। [মুসলিম, ১ম খণ্ড]
অর্থাৎ তখন বেশি বেশি পড়া উচিত أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
ঈমানের মধ্যে সন্দেহে পতিত ব্যক্তির জন্য আরেকটি মাসনূন 'আমাল হলো,
এমন ব্যক্তি পড়বে آمَنْتُ بِاللهِ وَرُسُلِهِ ''আমি আল্লাহ এবং তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান আনলাম। [হিসনুল মুসলিম]
আখি ফিল্লাহ অস্থিরতায় চিন্তিত না হয়ে, উপরের বর্ণিত মাসনূন 'আ'মালগুলো করতে পারি কি বলেন! আসলে ঈমানদারদের অন্তরেই শয়তান কুমন্ত্রণা ঢালে। ভেবে দেখুন, আপনার মত একই কারণে সাহাবাগণ রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করেছিলেন। তাহলে বুঝা যায় এমন অবস্থা সাহাবায়ে কেরামদের অন্তরেও উদ্রেক হতো। আর তাঁরা রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জিজ্ঞেস করে 'আ'মাল শিখে নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
# আর আমাদের উচিত নিয়মিতভাবে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা। তিলাওয়াতের দ্বারা মুমিনদের ঈমান বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলার ইরশাদ হচ্ছে,
اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ اِذِا ذُكِرَ اللهُ وَجِلَتْ قُلُوْبُهُم وَاِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ ايتُه زَادَتْهُمْ اِيْمَانَا وَّعَلى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَ [ سورةالانفال:2]
''মুমিন তো তারাই, যাদের সামনে আল্লাহ্*র স্মরণ করা হলে তাদের হৃদয় ভীত হয়, যখন তাদের সামনে তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয়, তখন তা তাদের ঈমানের উন্নতি সাধন করে এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা করে''। [ সূরা আনফালঃ ০২]
এজন্য আমরা নিজেও কুরআন তিলাওয়াত করবো, এবং অন্যের থেকে তিলাওয়াত শ্রবন করবো। এতে আমাদের ঈমান বৃদ্ধি পাবে। এ উভয় 'আমল اِরসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি পরিমাণে করতেন। সাহাবায়ে কেরাম রাযিঃ পরস্পরে খুব বেশি ঈমান জাগ্রত হওয়ার বিষয় আলোচনা করতেন। আমরা আমাদের পরিবার, প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধব এককথায় যাদের সাথেই মুনাসিব হয়, ঈমান জাগানিয়া আলোচনা করতে পারি। বিশেষ করে দাওয়াহ ইলাল্লাহতে ঈমান বিষয়ক সুন্দর সুন্দর লেখা পোস্ট করতে পারি। ভাইদের সাথে দ্বীনী বিষয়গুলো শেয়ার করে জেনে নিতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ! একেক ভাইয়ের লেখায় একেকটি বিষয় হৃদয় মাঝে খুব সহজে বদ্ধমূল হয়ে যায়; 'আমালের যাওক-শাওক পয়দা হয়ে যায়। আল্লাহ সকল ভাইদের খিদমাত কবুল করে আরও বেশি বেশি নাছিহাহ করার তাওফীক দিন। সবাইকে দ্বীনের দুশমনদের বিরুদ্ধে কিতাল করে শাহাদাতের সুধা আস্বাদন করার তাওফীক দিন।
আর ভাই! লেখায় কোনো ভুল হলে ভাইয়েরা কত সুন্দরভাবে শুধরিয়ে দেন। এজন্য সময় সুযোগ করে ফোরামে লেখা পোস্ট করা চাই। ভাইদের লেখা পড়ে নিজেকে শক্তিশালী মুমিন বান্দারূপে গড়ানোর জন্য সব ধরণের মেহনত করা চাই। উম্মাহর নিউজগুলো জেনে নিজের জরুরী দায়িত্ববোধ বুঝা উচিত। এ মুহূর্তে আমার কি করা উচিত আর আমি কি করছি? কতটুকু করছি? বর্তমানে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবিত অবস্থায় আমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকলে আমরা কি করতাম?...আমরা কি আবু বকর, উমর, উসমান, আলী , হামজা, মুসআব ইবনে উমায়ের, খালিদ রাযিঃদের মত হওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পরতাম না? তাই ভাই! আমরা এ যুগের জন্য সাহাবাদের নমুনা বনে চাই। হাসিমুখে দ্বীনের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত হয়ে যাই।
# আরেকটি বিষয় আমাদের সবার জন্যই মনে রাখা উচিত, তা হলো কোনো গুনাহ সংঘটিত হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাওবাহ করে নেওয়া। আর তাওবাহ সম্পর্কে ইমাম নাববী রহিঃ তাঁর সংকলিত 'রিয়াদুস সালেহীন' কিতাবের তাওবাহের অধ্যায়ে লিখেছেন, গুনাহ যদি আল্লাহর অবাধ্যতার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে (মানুষের কোনো হক নষ্ট না হয়) তাহলে, এ ধরণের তাওবাহ কবুলের জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। ০১. কৃত গুনাহ সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে। ০২. গুনাহে লিপ্ত হওয়ার কারণে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে। ০৩. ঐ গুনাহ ভবিষ্যতে পুনরায় না করার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে। আর গুনাহতে মানুষের কোনো হক নষ্ট হলে, উপরের তিন শর্ত পূরণের পাশাপাশি কোনো ব্যক্তির হক তার কাছে পোঁছিয়ে দিতে হবে। আর এটাই হলো 'তাওবাতুন নাছুহাহ'।
যে ধরণের তাওবাহ করতে আমাদের মহান প্রতিপালক আমাদের আদেশ করেছেন,
يَآأَيُّهَا الَّذِيْنَ ءَامَنُوا تُوبُوا إِلَى اللهِ تَوْبَةً نَّصُوحًا [ التحريم: 8]
''হে মুমিনগণ তোমরা আল্লাহ্*র কাছে খাঁটি তাওবাহ করো। [সূরা আত তাহরীমের ৮ নং আয়াতের প্রথমাংশ]
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إلَى اللهِ وَاسْتَغْفِرُوهُ فَإنِّي أتُوبُ في اليَوْمِ مِاءَةَ مَرَّةٍ [رواه مسلم]
''হে লোকসকল! তোমরা আল্লাহ্*র কাছে তাওবাহ করো, এবং ক্ষমা প্রার্থনা করো। কেননা আমি প্রতিদিন একশত বার করে তাওবাহ করি''।
আমাদের একটু ভাবা উচিত, নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম কত গুরুত্বের সাথে আপন রবের কাছে তাওবাহ করতেন। আমরা যারা প্রতিনিয়ত গুনাহের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছি, তাদের কেমন তাওবাহ করা উচিত। উমাইর ভাইয়ের লেখাটা পড়ে আমার নিজের করুন অবস্থার দিকে লক্ষ্য করে বিষয়গুলো মুযাকারা করলাম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সাহাবায়ে কেরামের মত ঈমান আনয়ন করে দ্বীনের জন্য কুরবান হওয়ার তাওফীক দিন।
আমিন...ইয়া রব্বাল মুজাহিদীন।
- Stuck
Comment
Comment