আসসালামু আলাইকুম। শায়েখ আব্দুল মালেক (দা.বা) কওমি ঘরনার একজন সম্মানীত আলেম।তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মুকারক (রাহিমাহুল্লাহ) রচিত কিতাবুল জিহাদের বাংলা সংস্করনের ভুমিকায় জিহাদ সংক্রান্ত বেশ কিছু বিভ্রানিন্তির জবাব দিয়েছেন। ইংশাআল্লাহ আমি শায়েখের লেখা গুলো হুবুহু এই সিরিজে তুলে ধরব।
বিভ্রান্তি ১ : দ্বীন প্রতিষ্ঠার সকল প্রচেষ্টাই কি জিহাদ?
উত্তরঃ কোন কোন বন্ধুকে বলতে শোনা যায় যে, ই’লায়ে কালিমাতুল্লাহ ,দ্বীন প্রতিষ্ঠা বা দ্বীনের প্রাচার প্রসারের নিমিত্তে যে কোন কর্ম-প্রচেষ্টাই জিহাদের অন্তভুক্ত। বলা বাহুল্য “জিহাদ” আভিধানিক অর্থে শারীয়ত সম্মত সকল কাজকে বোঝায় এবং শরীয় নুসুস সমুহের(কুরান ,হাদিসের ভাষায়) কোথাও কোথাও এই শব্দটি জিহাদ ছাড়া অন্য অনান্য দ্বীনি মিহনতের ব্যাপারেও ব্যাবহৃত হয়েছে কিন্তু জিহাদ যা শরীয়তের একটি বিশেষ পরিভাষা এবং যার অপর নাম, “ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাহ” তা কখনই এই সাধারন কর্ম প্রচেষ্টার নাম নয় বরং এই অর্থে জিহাদ হলো , “আল্লাহ্*র কালিমা বুলন্দ করার জন্য ,ইসলামের হিফাজত করার ও এর মান মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য , কুফরের শক্তিকে চুরমার এবং এর প্রভাব প্রতিপত্তিকে বিলুপ্ত করার জন্য কাফের মুশরেকদের সাথে যুদ্ধ করা”।
ফিকহের কিতাবসমুহে এই জিহাদের বিধি-বিধাব উল্লেখিত হয়েছে। সীরাত সমুহে এই জিহাদেরই নববী যুগের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়েছে, কুরআন হাদিসে জিহাদের ব্যাপারে যে বড় বড় ফযিলতের কথা বলা হয়েছে তা এই জিহাদের ব্যাপারেই বলা হয়েছে এবং এই জিহাদে শাহাদাতের মর্যাদায় বিভুষিত ব্যাক্তিই হলেন প্রকৃত “শহীদ” । শরীয় নুসুস এবং শরীয় পরিভাষাসমুহের উপর নেহায়েত জুলুম করা হবে যদি আভিধানিক অর্থের অন্যায় সুযোগ নিয়ে পারিভাষিক জিহাদের আহকাম ও ফাযাইল দ্বীনের অনান্য মেহনত ও কর্ম প্রচেষ্টার ব্যাপারে আরোপ করা হয়। এটা এক ধরনের অর্থের বিকৃতি সাধন ,যা থেকে বেচে থাকা ফরয। তালীম , তাযকিয়া ,দাওয়াত ও তাবলীগ , ওয়ায ও নসিহত বা দ্বীন প্রতিষ্টায় রাজনৈতিক ভাবে কোন কর্ম প্রচেষ্টা (যদি শারীয় নীতিমালা ও ইসলামী নির্দেশনার মোতাবেক হয় তবে তা, আমর বিল মারুফ ও নাহী আনিল মুনকারের একটি নতুন পদ্ধতি) এসবই স্ব স্ব স্থানে কাম্য বরং এসব কর্মপ্রচেষ্টার দ্বীনের এক একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এসবের ভিন্ন ফাযাইল , ভিন্ন আহকাম এবং ভিন্ন মাসাইল রয়েছে এবং কোনটিকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। কিন্তু এসবের কোনটাই এমন নয় যে যাকে পারিভাষিক জিহাদের অন্তভুক করা যায় এবং যার ব্যাপারে জিহাদের ফাযাইল ও আহকাম আরোপ করা যায়। এই বিষয় ভালোভাবে অনুধাবন ও মনে রাখা নেহায়েত জরুরী ,কেননা আজকাল জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে ইসলামের বহু পরিভাষার মধ্যে পূর্ন বা আংশিক তাহরীফের ( বিকৃত সাধন) প্রবানতা দেখা যায়।
কেও তাবলীগের কাজকে জিহাদ বলছেন, কেও তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধির কাজকে, আবার কেউ রাজনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টা ববং ইলেকশনে অংশগ্রহন করাকেও জিহাদ বলে দিচ্ছেন। কারো কারো কথা থেকেও তো এও বোঝা যায় যে, পাশ্চাত্য রাজনৈতির অন্ধ অনুসরন ও জিহাদের শামিল। আল্লাহ্*র কাছে পানাহ !
বিভ্রান্তি ১ : দ্বীন প্রতিষ্ঠার সকল প্রচেষ্টাই কি জিহাদ?
উত্তরঃ কোন কোন বন্ধুকে বলতে শোনা যায় যে, ই’লায়ে কালিমাতুল্লাহ ,দ্বীন প্রতিষ্ঠা বা দ্বীনের প্রাচার প্রসারের নিমিত্তে যে কোন কর্ম-প্রচেষ্টাই জিহাদের অন্তভুক্ত। বলা বাহুল্য “জিহাদ” আভিধানিক অর্থে শারীয়ত সম্মত সকল কাজকে বোঝায় এবং শরীয় নুসুস সমুহের(কুরান ,হাদিসের ভাষায়) কোথাও কোথাও এই শব্দটি জিহাদ ছাড়া অন্য অনান্য দ্বীনি মিহনতের ব্যাপারেও ব্যাবহৃত হয়েছে কিন্তু জিহাদ যা শরীয়তের একটি বিশেষ পরিভাষা এবং যার অপর নাম, “ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাহ” তা কখনই এই সাধারন কর্ম প্রচেষ্টার নাম নয় বরং এই অর্থে জিহাদ হলো , “আল্লাহ্*র কালিমা বুলন্দ করার জন্য ,ইসলামের হিফাজত করার ও এর মান মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য , কুফরের শক্তিকে চুরমার এবং এর প্রভাব প্রতিপত্তিকে বিলুপ্ত করার জন্য কাফের মুশরেকদের সাথে যুদ্ধ করা”।
ফিকহের কিতাবসমুহে এই জিহাদের বিধি-বিধাব উল্লেখিত হয়েছে। সীরাত সমুহে এই জিহাদেরই নববী যুগের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়েছে, কুরআন হাদিসে জিহাদের ব্যাপারে যে বড় বড় ফযিলতের কথা বলা হয়েছে তা এই জিহাদের ব্যাপারেই বলা হয়েছে এবং এই জিহাদে শাহাদাতের মর্যাদায় বিভুষিত ব্যাক্তিই হলেন প্রকৃত “শহীদ” । শরীয় নুসুস এবং শরীয় পরিভাষাসমুহের উপর নেহায়েত জুলুম করা হবে যদি আভিধানিক অর্থের অন্যায় সুযোগ নিয়ে পারিভাষিক জিহাদের আহকাম ও ফাযাইল দ্বীনের অনান্য মেহনত ও কর্ম প্রচেষ্টার ব্যাপারে আরোপ করা হয়। এটা এক ধরনের অর্থের বিকৃতি সাধন ,যা থেকে বেচে থাকা ফরয। তালীম , তাযকিয়া ,দাওয়াত ও তাবলীগ , ওয়ায ও নসিহত বা দ্বীন প্রতিষ্টায় রাজনৈতিক ভাবে কোন কর্ম প্রচেষ্টা (যদি শারীয় নীতিমালা ও ইসলামী নির্দেশনার মোতাবেক হয় তবে তা, আমর বিল মারুফ ও নাহী আনিল মুনকারের একটি নতুন পদ্ধতি) এসবই স্ব স্ব স্থানে কাম্য বরং এসব কর্মপ্রচেষ্টার দ্বীনের এক একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এসবের ভিন্ন ফাযাইল , ভিন্ন আহকাম এবং ভিন্ন মাসাইল রয়েছে এবং কোনটিকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। কিন্তু এসবের কোনটাই এমন নয় যে যাকে পারিভাষিক জিহাদের অন্তভুক করা যায় এবং যার ব্যাপারে জিহাদের ফাযাইল ও আহকাম আরোপ করা যায়। এই বিষয় ভালোভাবে অনুধাবন ও মনে রাখা নেহায়েত জরুরী ,কেননা আজকাল জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে ইসলামের বহু পরিভাষার মধ্যে পূর্ন বা আংশিক তাহরীফের ( বিকৃত সাধন) প্রবানতা দেখা যায়।
কেও তাবলীগের কাজকে জিহাদ বলছেন, কেও তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধির কাজকে, আবার কেউ রাজনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টা ববং ইলেকশনে অংশগ্রহন করাকেও জিহাদ বলে দিচ্ছেন। কারো কারো কথা থেকেও তো এও বোঝা যায় যে, পাশ্চাত্য রাজনৈতির অন্ধ অনুসরন ও জিহাদের শামিল। আল্লাহ্*র কাছে পানাহ !
Comment