তাবলীগ বিরোধিতা কেন? ১ঃ মাওলানা আব্দুল মালেক কি অজ্ঞ!!!?
"নির্দিষ্টভাবে কুর'আনের জিহাদের লক্ক্যবস্তু স্থির করে অন্যান্য শাখাকে তার থেকে বের করে দেয়া জিহাদ শব্দের অর্থ বুঝবার ব্যাপারে নিতান্তই #অজ্ঞতারই পরিচায়ক।
সুতরাং, ইখলাসের সাথে সুন্নাত মতে দ্বীনের যে কোনো কাজের চেষ্টা প্রচেষ্টাকে শরিয়তের পরিভাষায় জিহাদ বলা হয়।
অতএব, তাবলীগও একটি জিহাদ।"
- মাওলানা হারুন বুখারি লিখিত "তাবলীগ জামাতের বিরোধিতা কেন ও কার স্বার্থে?", পৃষ্ঠা ২০২,
-----
"কোনো কোনো বন্ধুকে বলতে শোনা যায় যে, ই’লায়ে কালেমাতুল্লাহ, দ্বীন প্রতিষ্টা বা দ্বীনের প্রচার প্রসারের নিমিত্তে যে কোন কর্ম-প্রচেষ্টাই জিহাদের অন্তর্ভুক্ত।
বলা বাহুল্য “জিহাদ” আভিধানিক অর্থে শরীয়ত-সম্মত সকল দ্বীনি প্রচেষ্টাকে বুঝায় এবং শরয়ী নুসূসসমূহের (কুর-আন হাদিসের ভাষা) কোথাও কোথাও এই শব্দটি জিহাদের ছাড়াও অন্যান্য দ্বীনি মেহনতের ব্যাপারেও ব্যবহৃত হয়েছে কিন্তু জিহাদ যা শরীয়তের একটি পরিভাষা এবং যার অপর নাম “ক্বিতাল ফি সাবীলীল্লাহ” তা কখনো এই সাধারণ কর্ম প্রচেষ্টার নাম নয় বরং এই অর্থে “জিহাদ” হল “আল্লাহর কালেমা বুলন্দ করার জন্য, ইসলামের হিফাজত ও মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য, কুফরের শক্তি চুরমার করার জন্য এবং এর প্রভাব প্রতিপত্তিকে বিলুপ্ত করার জন্য কাফের মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ করা।”
ফিকহের কিতাবসমূহে এই জিহাদের বিধি-বিধানই উল্লেখিত হয়েছে। সিরাত গ্রন্থসমূহে এই জিহাদেরই নববী ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়েছে, কুর-আন হাদীসে জিহাদের ব্যপারে যে বড় বড় ফযীলতের কথা বলা হয়েছে তা এই জিহাদের ব্যাপারেই বলা হয়েছে এবং এই জিহাদে শাহাদাতের মর্যাদায় বিভূষিত ব্যক্তিই হলেন প্রকৃত “শহীদ”।
শরয়ী নুসূস এবং শরয়ী পরিভাষাসমূহের উপর নেহায়েত #জুলুম করা হবে যদি আভিধানিক অর্থের অন্যায় সুযোগ নিয়ে পারিভাষিক জিহাদের আহকাম ও ফাযায়েল দ্বীনের অন্যান্য মেহনত ও কর্ম প্রচেষ্টার ব্যাপারে আরোপ করা হয়। এটা এক ধরণের অর্থগত বিকৃতি সাধন, যা থেকে বেঁচে থাকা ফরজ।
কেউ তাবলীগের কাজকে “জিহাদ” বলে দিচ্ছেন, কেউ তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধির কাজকে, আবার কেউ রাজনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টা বরং ইলেকশনে অংশগ্রহন করাকেও জিহাদ বলে দিচ্ছেন। কারো কারো কথা থেকেতো এও বোঝা যায় যে, পাশ্চাত্য রাজনীতির অন্ধ অনুসরণও জিহাদের শামিল।
আল্লাহর পানাহ!!!"
- মাওলানা আব্দুল মালেক হাফিজাহুল্লাহ, মাকতাবাতুল আশরাফ হতে প্রকাশিত "কিতাবুল জিহাদ", পৃষ্ঠা ৩৭
--------
মাওলানা আব্দুল মালেক জিহাদকে তালিম/তাবলীগের সাথে সম্পৃক্ত করাকে রীতিমত জুলুম, বিকৃতি সাধন এবং এথেকে বেঁচে থাকা ফরজ বলেছেন।
বিপরীতে, ফরজ তরককারী মাওলানা হারুন বুখারির মতে উপমহাদেশের প্রথিতযশা মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল মালেক (হাফিঃ) নিতান্তই অজ্ঞতারই পরিচয় দিয়েছেন...!!!!!
--------
তাই হারুন বুখারীর "তাবলীগের বিরোধিতা কেন?" প্রশ্নের উত্তরে নিঃসঙ্কোচে বলা যায়,
"উলামায়ে কেরামের মর্যাদা রক্ষা এবং দ্বীনের বিকৃতি রোধের স্বার্থেই তাবলীগের বিরোধিতা!!"
(ইনশা'আল্লাহ চলবে)
Comment