আসসালামু আলাইকুম। শায়েখ আব্দুল মালেক (দা.বা) কওমি ঘরনার একজন সম্মানীত আলেম।তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মুকারক (রাহিমাহুল্লাহ) রচিত কিতাবুল জিহাদের বাংলা সংস্করনের ভুমিকায় জিহাদ সংক্রান্ত বেশ কিছু বিভ্রান্তির জবাব দিয়েছেন। ইংশাআল্লাহ আমি শায়েখের লেখা গুলো হুবুহু এই সিরিজে তুলে ধরব।
বিভ্রান্তি ২: জিহাদে আকবর কিসের নাম?
উত্তর: উপরোক্ত আলোচোনা থেকে নিশ্চয়ই ঐসব লোকের ভ্রান্তি স্পষ্ট হয়ে গেছে যারা “জিহাদ মা’আল কুফফার” ও কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ’র গুরুত্বকে খাটো করার জন্য জিহাদে আকবর (বড় জিহাদ) ও জিহাদে আসগরের (ছোট জিহাদ) দর্শন ব্যাবহার করে। তাদের বক্তব্য হলো , নফসের (প্রবৃত্তি) বিরুদ্ধে জিহাদ বড় জিহাদ এবং ক্বিতাল ফি সাবীলিল্লাহ হলো ছোট জিহাদ!
এই ভুল ধারনার প্রমানের জন্য আমি নিজের পক্ষ থেকে কিছু বলার পরিবর্তে হাজীমুল উম্মত “হযরত আশরাফ আলী থানবি (রহ)” এর একটি সংক্ষিপ্ত আলোচোনা উদ্ধৃত করে দিচ্ছি ।
“আজকাল সাধারন মানুষের ধারনা এই যে, কাফেরদের সাথে লড়াই করা জিহাদে আসগর (ছোট জিহাদ) এবং নফসের মুজাহাদা (কুপ্রবৃত্তির দমন ও আত্বশুদ্ধি) জিহাদে আকবর (বড় জিহাদ) ।যেন তারা নিভৃতে নফসের মুজাহাদায় নিমগ্ন হুওয়া থেকে কাফেরদের সাথে লডাই করাকে সকল ক্ষেত্রেই নিন্মমানের মনে করে।
এই ধারনা ঠিক নয় বরং বাস্তব কথা হলো, কাফেরদের সাথে লড়াই করা ইখলাস শূন্য হলে বাস্তবিকপক্ষেই তা নফসের মুজাহাদা থেকে নিন্মমানের কাজ। এ ধরনের লড়াইকে জিহাদে আসগর এবং এর বিপরীতে নফসের মুজাহাদাকে জিহাদে আকবর বলা হয়েছে।
কিন্তু কাফেরদের সাথে লড়াই যদি ইখলাসপূর্ণ হয় তবে এই লড়াইকে জিহাদে আসগর বলা গাইয়ে মুহাকক্বিক (অগভীর জ্ঞানের অধিকারী) সূফীদের বাড়াবাড়ি বরং এই লড়াই অবশ্যই জিহাদে আকবর এবং তা নিভৃতে নফসের মুজাহাদায় নিমগ্ন হওয়া থেকে উত্তম। কেননা যে লড়াই ইখলাসপূর্ণ হবে তাতে নফসের মুজাহাদাও বিদ্যমান থাকবে। সুতরাং এতে উভয় জিহাদের ফযিলত একত্রিত হচ্ছে।
[আল ইফাযাতুল ইয়াওমিয়্যাহ খ:৪ ,হিসসা ৫ পৃ: ৮২,১০৪১]
বিভ্রান্তি ২: জিহাদে আকবর কিসের নাম?
উত্তর: উপরোক্ত আলোচোনা থেকে নিশ্চয়ই ঐসব লোকের ভ্রান্তি স্পষ্ট হয়ে গেছে যারা “জিহাদ মা’আল কুফফার” ও কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ’র গুরুত্বকে খাটো করার জন্য জিহাদে আকবর (বড় জিহাদ) ও জিহাদে আসগরের (ছোট জিহাদ) দর্শন ব্যাবহার করে। তাদের বক্তব্য হলো , নফসের (প্রবৃত্তি) বিরুদ্ধে জিহাদ বড় জিহাদ এবং ক্বিতাল ফি সাবীলিল্লাহ হলো ছোট জিহাদ!
এই ভুল ধারনার প্রমানের জন্য আমি নিজের পক্ষ থেকে কিছু বলার পরিবর্তে হাজীমুল উম্মত “হযরত আশরাফ আলী থানবি (রহ)” এর একটি সংক্ষিপ্ত আলোচোনা উদ্ধৃত করে দিচ্ছি ।
“আজকাল সাধারন মানুষের ধারনা এই যে, কাফেরদের সাথে লড়াই করা জিহাদে আসগর (ছোট জিহাদ) এবং নফসের মুজাহাদা (কুপ্রবৃত্তির দমন ও আত্বশুদ্ধি) জিহাদে আকবর (বড় জিহাদ) ।যেন তারা নিভৃতে নফসের মুজাহাদায় নিমগ্ন হুওয়া থেকে কাফেরদের সাথে লডাই করাকে সকল ক্ষেত্রেই নিন্মমানের মনে করে।
এই ধারনা ঠিক নয় বরং বাস্তব কথা হলো, কাফেরদের সাথে লড়াই করা ইখলাস শূন্য হলে বাস্তবিকপক্ষেই তা নফসের মুজাহাদা থেকে নিন্মমানের কাজ। এ ধরনের লড়াইকে জিহাদে আসগর এবং এর বিপরীতে নফসের মুজাহাদাকে জিহাদে আকবর বলা হয়েছে।
কিন্তু কাফেরদের সাথে লড়াই যদি ইখলাসপূর্ণ হয় তবে এই লড়াইকে জিহাদে আসগর বলা গাইয়ে মুহাকক্বিক (অগভীর জ্ঞানের অধিকারী) সূফীদের বাড়াবাড়ি বরং এই লড়াই অবশ্যই জিহাদে আকবর এবং তা নিভৃতে নফসের মুজাহাদায় নিমগ্ন হওয়া থেকে উত্তম। কেননা যে লড়াই ইখলাসপূর্ণ হবে তাতে নফসের মুজাহাদাও বিদ্যমান থাকবে। সুতরাং এতে উভয় জিহাদের ফযিলত একত্রিত হচ্ছে।
[আল ইফাযাতুল ইয়াওমিয়্যাহ খ:৪ ,হিসসা ৫ পৃ: ৮২,১০৪১]
Comment