আসসালামু আলাইকুম। শায়েখ আব্দুল মালেক (দাঃবাঃ) কওমি ঘরনার একজন সম্মানীত আলেম।তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে মুকারক (রাহিমাহুল্লাহ) রচিত কিতাবুল জিহাদের বাংলা সংস্করনের ভুমিকায় জিহাদ সংক্রান্ত বেশ কিছু বিভ্রানিন্তির জবাব দিয়েছেন। ইংশা’আল্লাহ আমি শায়েখের লেখা গুলো হুবুহু এই সিরিজে তুলে ধরব।
বিভ্রান্তি ৩: জিহাদ কি ইক্বদামী (আক্রমুণমূলক) না শুধুই দিফায়ী (প্রতিরোধমূলক)?
উত্তরঃ এই শেষ যামানার কোন কোন লেখকের রচনা থেকে ,যা তারা জিহাদ বিধিবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং জিহাদের তাৎপর্য ,উপকারিতা ইত্যাদি বিষয় আলোচোনা করার জন্য লিখেছেন, এই ধারনা জন্মায় যে, ইসলামে শুধু দিফায়ী জিহাদ অনুমোদিত, ইক্বদামী জিহাদের অনুমোদন ইসলামে নেই। তাদের এ জাতীয় কথাবার্তার কারন হয়ত জিহাদ সম্পর্কীয় কুরুআন সুন্নাহের নির্দেশনা এবং রাসুল (স) ও খোলাফায়ে রাশেদীনের বরকতময় জীবনচরিত সম্পর্কে অজ্ঞতা অথবা পাশ্চাত্যের অন্যায় আপত্তিসমুহের কারনে ভীত কম্পিত মানুষিকতা।
বাস্তবতা হল, জিহাদের মূল উদ্দেশ্য , ই’লায়ে কালিমাতুল্লাহ বা ইসলামের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং কুফরের প্রভাব প্রতিপত্তি চুরমার করা। এতদুদ্দেশ্যে ইক্বদামী বা আক্রমনমুলক জিহাদ শুধু অনুমোদিতই নয়ই বরং কখন কখন তা ফরয ও প্রভূত সওয়াবের কারনও বটে।কুরআন সুন্নাহর দলিল সমুহের পাশাপাশি পুরা ইসলামী ইতিহাস (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খেলাফায়ে রাশেদার যুগ থেকে) এ ধরনের জিহাদের ঘটনায় পরিপুর্ন। হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ ত্বকী উসমানী (দাঃবাঃ) এর ভাষায়ঃ-
“ অমুসলীমদের আপত্তিতে ভীত হয়ে এসব বাস্তব বিষয়কে অস্বিকার করা বা ওযরখাহীমুলক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা একটি অর্থহীন কাজ। একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, একজন ব্যাক্তিকেও জবরদস্তি করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা হয় নাই এনং অনুমোদন ও শরীয়তে নাই, অন্যথায় জিযিয়ার পুরো ব্যাবস্থাপনাই অর্থহীন হয়ে যাবে। হ্যা ইসলামের প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্যই তরবারি ওঠানো হয়েছে, কোন ব্যাক্তি ব্যাক্তিগত পর্যায়ে কুফরের অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতে চায় থাকুক কিন্তু আল্লাহ্*র বানান এই পৃথিবীতে আল্লহর বিধানই চলা উচিত এবং মুসলমান আল্লাহ্*র কালিমাকে বুলন্দ করার জন্য এবং আল্লাহদ্রোহীদের প্রভাব প্রতিপত্তিকে চুরমার করার জন্যই জিহাদ করে। আমরা এই বাস্তব সত্য প্রকাশ করতে ঐসব লোকের সামনে কেনো লজ্জাবনত হব যাদের পুরো ইতিহাস সাম্রাজ্য বিস্তারের উন্মত্ত নেশায় হত্যাযজ্ঞ সংঘটনের ইতিহাস এবং যারা শুধু নিজেদের প্রবৃত্তির জাহান্নাম পূর্ন করার জন্য কোটি কোটি মানুষের প্রান সংহার করেছে। যাদের নিক্ষিপ্ত গোলামির জিঞ্জিরে এশিয়া ও আফ্রিকার অধিকাংশ জাতির দেহ আজও রক্তাক্ত!”
[জিহাদ ইক্বদামী ইয়া দিফায়ী? ফিকহী মাকালাত খঃ ৩, পৃঃ ২৮৮-২৮৯,৩০৩]
বিভ্রান্তি ৩: জিহাদ কি ইক্বদামী (আক্রমুণমূলক) না শুধুই দিফায়ী (প্রতিরোধমূলক)?
উত্তরঃ এই শেষ যামানার কোন কোন লেখকের রচনা থেকে ,যা তারা জিহাদ বিধিবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং জিহাদের তাৎপর্য ,উপকারিতা ইত্যাদি বিষয় আলোচোনা করার জন্য লিখেছেন, এই ধারনা জন্মায় যে, ইসলামে শুধু দিফায়ী জিহাদ অনুমোদিত, ইক্বদামী জিহাদের অনুমোদন ইসলামে নেই। তাদের এ জাতীয় কথাবার্তার কারন হয়ত জিহাদ সম্পর্কীয় কুরুআন সুন্নাহের নির্দেশনা এবং রাসুল (স) ও খোলাফায়ে রাশেদীনের বরকতময় জীবনচরিত সম্পর্কে অজ্ঞতা অথবা পাশ্চাত্যের অন্যায় আপত্তিসমুহের কারনে ভীত কম্পিত মানুষিকতা।
বাস্তবতা হল, জিহাদের মূল উদ্দেশ্য , ই’লায়ে কালিমাতুল্লাহ বা ইসলামের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং কুফরের প্রভাব প্রতিপত্তি চুরমার করা। এতদুদ্দেশ্যে ইক্বদামী বা আক্রমনমুলক জিহাদ শুধু অনুমোদিতই নয়ই বরং কখন কখন তা ফরয ও প্রভূত সওয়াবের কারনও বটে।কুরআন সুন্নাহর দলিল সমুহের পাশাপাশি পুরা ইসলামী ইতিহাস (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খেলাফায়ে রাশেদার যুগ থেকে) এ ধরনের জিহাদের ঘটনায় পরিপুর্ন। হযরত মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ ত্বকী উসমানী (দাঃবাঃ) এর ভাষায়ঃ-
“ অমুসলীমদের আপত্তিতে ভীত হয়ে এসব বাস্তব বিষয়কে অস্বিকার করা বা ওযরখাহীমুলক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা একটি অর্থহীন কাজ। একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, একজন ব্যাক্তিকেও জবরদস্তি করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা হয় নাই এনং অনুমোদন ও শরীয়তে নাই, অন্যথায় জিযিয়ার পুরো ব্যাবস্থাপনাই অর্থহীন হয়ে যাবে। হ্যা ইসলামের প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্যই তরবারি ওঠানো হয়েছে, কোন ব্যাক্তি ব্যাক্তিগত পর্যায়ে কুফরের অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতে চায় থাকুক কিন্তু আল্লাহ্*র বানান এই পৃথিবীতে আল্লহর বিধানই চলা উচিত এবং মুসলমান আল্লাহ্*র কালিমাকে বুলন্দ করার জন্য এবং আল্লাহদ্রোহীদের প্রভাব প্রতিপত্তিকে চুরমার করার জন্যই জিহাদ করে। আমরা এই বাস্তব সত্য প্রকাশ করতে ঐসব লোকের সামনে কেনো লজ্জাবনত হব যাদের পুরো ইতিহাস সাম্রাজ্য বিস্তারের উন্মত্ত নেশায় হত্যাযজ্ঞ সংঘটনের ইতিহাস এবং যারা শুধু নিজেদের প্রবৃত্তির জাহান্নাম পূর্ন করার জন্য কোটি কোটি মানুষের প্রান সংহার করেছে। যাদের নিক্ষিপ্ত গোলামির জিঞ্জিরে এশিয়া ও আফ্রিকার অধিকাংশ জাতির দেহ আজও রক্তাক্ত!”
[জিহাদ ইক্বদামী ইয়া দিফায়ী? ফিকহী মাকালাত খঃ ৩, পৃঃ ২৮৮-২৮৯,৩০৩]
Comment