সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন অনুমোদন পায়।সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ধর্মীয় উপাসনালয় যেমন- মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, কবরস্থান, শ্মশানের জমি অধিগ্রহণ না করার আগের বিধান সাধারণভাবে এখনো বহাল রয়েছে।“তবে শর্ত থাকে যে, জনপ্রয়োজনে বা জনস্বার্থে একান্ত অপরিহার্য হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা সংস্থার অর্থে স্থানান্তর ও পুনর্নির্মাণ সাপেক্ষে কেবল উক্ত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা যাবে।”এর ব্যাখ্যায় শফিউল বলেন, “অর্থাৎ, রাস্তার উপর একটা মসজিদ পড়ে গেল, অপসারণ না করলে রাস্তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তখন এটাকে সরিয়ে রিলোকেট করে মসজিদ পুনর্নির্মাণ করে রাস্তাটা পরিষ্কার করা যাবে।”সামরিক শাসনের সময় জারি করা ১৯৮২ সালের একটি অধ*্যাদেশ উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাংলা করে নতুন করে এই আইন করা হচ্ছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।সেই আইনে ধর্মীয় উপাসনালয়, কবর বা শ্মশানের জমি অধিগ্রহণের কোনো সুযোগ ছিল না।নতুন আইন জাতীয় সংসদে পাস হলে কার্যকর হবে।মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ জমির দামের দেড়গুণ থেকে বাড়িয়ে তিনগুণ এবং বেসরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ চারগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।“বাজারদরের উপর অতিরিক্ত ২০০ ভাগ যুক্ত করা হয়েছে। একটি জমির মূল্য যদি এককোটি টাকা হয় তাহলে আরও দুই কোটি টাকা যুক্ত হয়ে তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ (সরকারি অধিগ্রহণে) পাবেন।”বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও জনস্বার্থে ‘কখনও কখনও’ ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “কোথাও স্কুল হবে, কোনো একটা প্রতিষ্ঠান হবে, সেজন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করতে পারে।কিন্তু ক্ষতিপূরণ বেশি দিতে হবে।“বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান ভূমি অধিগ্রহণ করলে অতিরিক্তআরও ৩০০ গুণ দিতে হবে। এর মানে ক্ষতিপূরণ ৪০০ গুণ হবে।”ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময় ১২ মাসের জমি কেনাবেচার দলিলের গড় বিবেচনায় নিয়ে জমির দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানান শফিউল।মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগে অতিরিক্ত জেলা বা দায়রা জজপর্যায়ের কর্মকর্তাকে আরবিট্রেটর নিয়োগ দেওয়া হতো। প্রস্তাবিত আইনে যুগ্ম-জেলা জজ বা সাব-জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে আপিলে থাকবেন জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তা।এর আগে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।আইনটি ‘জটিল’ বিবেচনা করে এর খসড়া চূড়ান্ত করতে আইনমন্ত্রীকে প্রধান করে ভূমি সচিব ও প্রতিরক্ষা সচিবকেরেখে একটি কমিটিও করে দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
Announcement
Collapse
No announcement yet.
মসজিদ-মন্দিরের জমি অধিগ্রহণের পথ হচ্ছে
Collapse
Comment