স্বামীকে আটকের পর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শয্যাসঙ্গী হবার আহ্বান
স্বামীকে আটকের পর স্ত্রীকে শয্যাসঙ্গী হবার আহ্বানের অভিযোগ উঠেছে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্যের বিরুদ্ধে। ‘হয়রানির শিকার’ সেই নারী এ সংক্রান্ত অভিযোগ করেছেন জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। এমনকি বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন তিনি।
বিষপানে বেঁচে যাওয়া সেই নারী যশোর হাসপাতালের মেঝেতে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেছেন। যদিও তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে যশোর গোয়েন্দা ও মডেল থানা পুলিশ।
অভিযোগে জানা যায়, ২৫ মার্চ রাতে যশোর ডিবি পুলিশের দারোগা আলমগীর হোসেন তাকে ফোন করে ৯০ হাজার টাকা দাবি করেন। না হলে তার স্বামীর হাত-পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেয়। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির টিভি, ফ্রিজ বিক্রি করে ২৬ মার্চ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয় পুলিশকে। টাকা দাবির পাশাপাশি দারোগা আলমগীর তাকে বলেন, ‘টাকা পয়সা দিতে না পারলে তুই আমার সাথে রাত কাটালেই তোর স্বামীর সব অপরাধ মুছে দেব।’
হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে এভাবেই পুলিশি অত্যাচার বর্ণনা দেন যশোর সদর উপজেলার বড় শেখহাটি গ্রামের আব্দুল গফুরের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩২)। পুলিশের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে তিনি সোমবার বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাবিনা ইয়াসমিনের অভিযোগ, পুলিশের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেও মুক্তি মেলেনি। ২৫ মার্চ ৫ হাজার পিচ ইয়াবা দিয়ে পুলিশ তার স্বামী আবদুল গফুরকে আটক দেখিয়েছে। এরপর পুলিশের চোখ পড়েছে গফুরের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের দিকে। একের পর এক অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের হুমকি দেওয়ায় ২৮ মার্চ সাবিনা এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন। এই আবেদনে ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার মধ্যরাতে সাবিনার বাড়িতে হানা দেয় যশোর ডিবি পুলিশের দারোগা আলমগীর হোসেন ও কোতোয়ালি থানার দারোগা বিপ্লব। কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে সোমবার সকালে বিষপান করেন তিনি। এ সময় প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সাবিনা ইয়াসমিনের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে তার স্বামী আব্দুল গফুরকে মাদক মামলায় আটক করে অন্তত ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যশোর ডিবি পুলিশের দারোগা আলমগীর হোসেন ও কোতোয়ালি থানার দারোগা বিপ্লব।
হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বছরখানেক আগে খারাপ সঙ্গে পড়ে তার স্বামী আব্দুল গফুর মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দারোগা আলমগীর তাকে বেশ কয়েকবার আটক করেন। প্রতিবারই ২০-৩০ হাজার টাকা নিয়ে পেন্ডিং মামলায় চালান দেন। এইভাবে তার নামে ৫টি মামলা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাকে বাঁচাতে তিনি ও আত্মীয়-স্বজন মিলে আব্দুল গফুরকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করে সুস্থ ও মাদকমুক্ত করেন।
সাবিনা দাবি করেন, তার স্বামী গফুর যখন ভাল হওয়ার চেষ্টা করছে, তখনও দারোগা আলমগীর ও বিপ্লব তার পিছু ছাড়েনি।
পরে বাধ্য হয়ে গত ১৬ মার্চ যশোর জিলা স্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অন্যান্যদের সাথে আব্দুল গফুরও আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় পূর্বের ৫টি মামলায় জামিনে থাকায় পুলিশ গফুরকে আটকে রাখেনি। কিন্তু এই আত্মসমর্পণে ক্ষুব্ধ দারোগা আলমগীর ও বিপ্লব পুলিশ সুপারের কথা বলে গত ২৪ মার্চ গফুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু এদিন সন্ধ্যায় পুলিশ সাবিনাকে ফোন করে জানায়, তার স্বামীর কাছ থেকে ৫ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে বাঁচাতে ১০ লাখ টাকা লাগবে। এই টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরদিন পুলিশ তাকে আটক দেখিয়ে চালান দেয়।
এদিকে, এসব বিষয়ে সাবিনার প্রতিবেশী কয়েক নারী সংবাদকর্মীদের জানান, একসময় গফুর মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৬ মার্চ যশোরে পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির আরও কয়েকজনের সঙ্গে গফুরও আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে নামাজ-কালাম পড়া শুরু করেন। কিন্তু পুলিশের কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে ২৮ মার্চ পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন তিনি। দুই পুলিশ কর্মকর্তার রোষানল থেকে রক্ষার এই আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, দারোগা আলমগীর ও বিপ্লব ফোন করে তাকে হুমকি-ধমকিসহ অনৈতিক দাবি-দাওয়া করে চলেছে। তিনি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই পরিস্থিতিতে এর সুবিচার না পেলে তিনি সন্তানদের নিয়ে একসাথে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন। কিন্তু এরপরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং এসপির কাছে আবেদন করায় রোববার রাতে ওই পুলিশ সাবিনার বাড়িতে হানা দিয়ে গালিগালাজসহ হুমকি দিয়ে আসে। এমন অবস্থায় বাধ্য হয়ে সোমবার সকালে তিনি সন্তানদের নিয়ে বিষপান করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা তাকে বাধা দিয়ে উদ্ধার করে এনে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমাউল হক বলেন, ‘ওই মহিলা মাদক ব্যবসায়ী। তার অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট, ভুয়া ও ভিত্তিহীন। এটা তার মাদক ব্যবসার কৌশল।’
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজমল হুদা সাংবাদিকদের জানান, সাবিনা নামে এক নারীর বিষপানের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তার অভিযোগ সম্পর্কেও পুলিশ অবগত হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বামীকে আটকের পর স্ত্রীকে শয্যাসঙ্গী হবার আহ্বানের অভিযোগ উঠেছে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্যের বিরুদ্ধে। ‘হয়রানির শিকার’ সেই নারী এ সংক্রান্ত অভিযোগ করেছেন জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। এমনকি বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন তিনি।
বিষপানে বেঁচে যাওয়া সেই নারী যশোর হাসপাতালের মেঝেতে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেছেন। যদিও তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে যশোর গোয়েন্দা ও মডেল থানা পুলিশ।
অভিযোগে জানা যায়, ২৫ মার্চ রাতে যশোর ডিবি পুলিশের দারোগা আলমগীর হোসেন তাকে ফোন করে ৯০ হাজার টাকা দাবি করেন। না হলে তার স্বামীর হাত-পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেয়। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির টিভি, ফ্রিজ বিক্রি করে ২৬ মার্চ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয় পুলিশকে। টাকা দাবির পাশাপাশি দারোগা আলমগীর তাকে বলেন, ‘টাকা পয়সা দিতে না পারলে তুই আমার সাথে রাত কাটালেই তোর স্বামীর সব অপরাধ মুছে দেব।’
হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে এভাবেই পুলিশি অত্যাচার বর্ণনা দেন যশোর সদর উপজেলার বড় শেখহাটি গ্রামের আব্দুল গফুরের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩২)। পুলিশের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে তিনি সোমবার বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাবিনা ইয়াসমিনের অভিযোগ, পুলিশের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেও মুক্তি মেলেনি। ২৫ মার্চ ৫ হাজার পিচ ইয়াবা দিয়ে পুলিশ তার স্বামী আবদুল গফুরকে আটক দেখিয়েছে। এরপর পুলিশের চোখ পড়েছে গফুরের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের দিকে। একের পর এক অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের হুমকি দেওয়ায় ২৮ মার্চ সাবিনা এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন। এই আবেদনে ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার মধ্যরাতে সাবিনার বাড়িতে হানা দেয় যশোর ডিবি পুলিশের দারোগা আলমগীর হোসেন ও কোতোয়ালি থানার দারোগা বিপ্লব। কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে সোমবার সকালে বিষপান করেন তিনি। এ সময় প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সাবিনা ইয়াসমিনের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে তার স্বামী আব্দুল গফুরকে মাদক মামলায় আটক করে অন্তত ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যশোর ডিবি পুলিশের দারোগা আলমগীর হোসেন ও কোতোয়ালি থানার দারোগা বিপ্লব।
হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বছরখানেক আগে খারাপ সঙ্গে পড়ে তার স্বামী আব্দুল গফুর মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দারোগা আলমগীর তাকে বেশ কয়েকবার আটক করেন। প্রতিবারই ২০-৩০ হাজার টাকা নিয়ে পেন্ডিং মামলায় চালান দেন। এইভাবে তার নামে ৫টি মামলা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাকে বাঁচাতে তিনি ও আত্মীয়-স্বজন মিলে আব্দুল গফুরকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করে সুস্থ ও মাদকমুক্ত করেন।
সাবিনা দাবি করেন, তার স্বামী গফুর যখন ভাল হওয়ার চেষ্টা করছে, তখনও দারোগা আলমগীর ও বিপ্লব তার পিছু ছাড়েনি।
পরে বাধ্য হয়ে গত ১৬ মার্চ যশোর জিলা স্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অন্যান্যদের সাথে আব্দুল গফুরও আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় পূর্বের ৫টি মামলায় জামিনে থাকায় পুলিশ গফুরকে আটকে রাখেনি। কিন্তু এই আত্মসমর্পণে ক্ষুব্ধ দারোগা আলমগীর ও বিপ্লব পুলিশ সুপারের কথা বলে গত ২৪ মার্চ গফুরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু এদিন সন্ধ্যায় পুলিশ সাবিনাকে ফোন করে জানায়, তার স্বামীর কাছ থেকে ৫ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে বাঁচাতে ১০ লাখ টাকা লাগবে। এই টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পরদিন পুলিশ তাকে আটক দেখিয়ে চালান দেয়।
এদিকে, এসব বিষয়ে সাবিনার প্রতিবেশী কয়েক নারী সংবাদকর্মীদের জানান, একসময় গফুর মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৬ মার্চ যশোরে পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির আরও কয়েকজনের সঙ্গে গফুরও আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে নামাজ-কালাম পড়া শুরু করেন। কিন্তু পুলিশের কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে ২৮ মার্চ পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন তিনি। দুই পুলিশ কর্মকর্তার রোষানল থেকে রক্ষার এই আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, দারোগা আলমগীর ও বিপ্লব ফোন করে তাকে হুমকি-ধমকিসহ অনৈতিক দাবি-দাওয়া করে চলেছে। তিনি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই পরিস্থিতিতে এর সুবিচার না পেলে তিনি সন্তানদের নিয়ে একসাথে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন। কিন্তু এরপরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং এসপির কাছে আবেদন করায় রোববার রাতে ওই পুলিশ সাবিনার বাড়িতে হানা দিয়ে গালিগালাজসহ হুমকি দিয়ে আসে। এমন অবস্থায় বাধ্য হয়ে সোমবার সকালে তিনি সন্তানদের নিয়ে বিষপান করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা তাকে বাধা দিয়ে উদ্ধার করে এনে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমাউল হক বলেন, ‘ওই মহিলা মাদক ব্যবসায়ী। তার অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট, ভুয়া ও ভিত্তিহীন। এটা তার মাদক ব্যবসার কৌশল।’
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজমল হুদা সাংবাদিকদের জানান, সাবিনা নামে এক নারীর বিষপানের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তার অভিযোগ সম্পর্কেও পুলিশ অবগত হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Comment