আজকে চাপাতি ওয়ালা ভাইদের দরকার
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।যিনি আমাদের প্রতিপালক।আমাদের স্রষ্টা।আমরা তারই ইবাদাত করি এবং তার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।তিনি যাকে হেদায়েত দান করেন তাকে কেউ গুমরাহ করতে পারে না এবং তিনি যাকে গুমরাহ করেন তাকে কেউ হেদায়েত দিতে পারে না।তিনি মহান।
দরূদ ও সালাম বর্ষিত হউক আমাদের জানের চেয়ে প্রিয় আমাদের হৃদয়ের পরশমণি জনাবে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম এর উপর।তার পরিবার এবং সাহাবা আজমাইন্দের উপর।
আজকে এমন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলব যা আগে থেকেই শুরু হয়ে আসছে।আল্লাহ তা'আলাকে অস্বীকারকারী কাফির সমপ্রদায়।হক বাতিল তো শুরু থেকেই লড়াই করছেই যে কে কাকে হালাক করে দিতে পারে।সর্বশেষে হক বিজয়ী হবে এবং বাতিল পরাজিত হবে।যা আল্লাহর বানী।হকের স্বভাব ই তো বিজয়ী হওয়া আর বাতিলের স্বভাব ই তো হক দেখা মাত্রই পালিয়ে যাবে।এখানে সংশয়ের কোন অবকাশ নাই।
আজকে কিছু নাস্তিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কে এবং তার রাসুলদের নিয়ে এবং আমাদের হৃদয়ের পরশমণি রাসুলের পবিত্র স্ত্রীদের নিয়ে নুংরামি কথা বলে।যা প্রত্যেকটি মুসলমানদের কলিজা টুকরা টুকরা করে দেই।
আর একজন ভাই প্যারাদক্সিকেল সাজিদ নামে নাস্তিকদের কথার জবাব দেই।কিন্তু নাস্তিকরাও থেমে নেই।তারাও বই লিখেছে ইডিইয়েট সাজিদ(আমি একজন বিশ্বস্ত ভাইয়ের কাছ থেকে শুনেছি)।যাই হউক যারা আল্লাহ তা'আলাকে অস্বীকার করেছে তারা তো আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লামের যুগে নতুন না।এটা পূর্ব থেকেই হয়ে আসছে।তাই তারা যুক্তি তর্ক করবেই।তাই বলে কি আমরাও যুক্তি-তর্ক করব তাদের সাথে?
এভাবে চলতে থাকলে তো নাউযুবিল্লাহ আল্লাহ তা'আলা অস্তিত্ব সম্পর্কে কথা বলা হবে বার বার।অথচ এদিকে আমাদের ঈমান নামক দৌলত টাই চলে যাবে আর আখিরাত বরবাত হয়ে যাবে।এমন বরবাদ হবে যা চির স্থায়ী জাহান্নামে পাথিয়ে দিবে।কারন আমাদের প্রিয় নবী বলেছেন যে শয়তান তোমাদের মনে অয়াস-ওয়াসা দিবে আল্লাহ তা'আলা এটা বানিয়েছেন,ঐ বানিয়েছেন=সবশেষে বলবে আল্লাহ তা'আলাকে কে বানিয়ছেন নাউযুবিল্লাহ।তখ রাসুল কি করতে বলেছেন সাথে সাথে ইস্তিগফার করা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।কিন্তু এই কথা মুখ দিয়ে কেউ যখন বলবে মনে যদি কোন সংশয় নিয়ে তাহলে কি অবস্থা হবে তার ঈমানের।
আল্লাহ সুবহানুয়া আল্লাহ বলেন-দয়াময় আল্লাহ আরশে সমাসীন।এখন কিভাবে সমাসীন তা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।ইমাম আবু হানিফা রহঃ বলেন-কেউ যদি বলে আল্লাহ আরশে না জমিনে তাহলে সে নিঃসন্দেহে কাফির।
আল্লাহকে স্বীকার করার পরও যদি কেউ যদি আল্লাহ আরসে না জমিনে বলার কারনে কাফির হয় তাহলে তার অবস্থা কি হতে পারে যে বলে নাউযুবিল্লাহ আল্লাহ তা'আলা নাই।
তাই ভাইয়েরা সাবধান।।এমন তর্কে বিতর্কে জাবেন না যে নিজের অজান্তেই ঈমান হারা হয়ে জান।কারন আল্লাহ তালা;লা বলেন- যে বিশয়ে তোমাদের জ্ঞান নেই,তোমরা তার পেছনে পড়ো না-ইসরা-৩৬।
আমরা আল্লাহর দর্শনে লাভবান হব ইনশাল্লাহ জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যমে।যুক্তি দিয়ে কেউ মুক্তি পাইনি।প্রথম উদাহরন শয়তান।তারপরের উদাহরনগুলো হল প্রত্যেক যুগের নবীদের অস্বীকারকারীরা।যারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অস্বীকারকারী এবং নবী রাসুলদের তিরশকারি তাদের একমাত্র উপহার ই হল চাপাতির আঘাত।যা আমাদের নববি সুন্নাত।কাব ইবনে আশরাফ,ইবনে খাতালকে হত্যার মাধ্যমে দেখিয়ে গেছেন।এরপরও যদি কারও পদস্খলন ঘটে তাহলে সে সুনিশ্চিতভাবে আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতা করতে হবে।
আর বর্তমানেও যারা এই কাজগুলো করে যাচ্ছে এই নাস্তিকরা তারা যদি সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হত তাহলে তারা পালিয়ে যাই কেন?আমাদের মুজাহিদ ভাইদের সামনে এসে লড়াই করুক।কক্ষনও তারা পারবে না।কারন তারা মিথ্যা ধারনার উপর প্রতিষ্ঠিত।হে ভাইয়েরা দেখুন তো আল্লাহর হুকুম অনুসারে আনসার আল-ইসলামের ভাইয়েরা কোপ মারা শুরু করার পরই কিন্তু আল্লাহর সাহায্য এসে গেল-এক ভাইকে পুলিশ আটকাল তারপর নিঃসন্দেহে আল্লাহর ফেরেশতা এসে সাহায্য করল।তখন পুলিশকে একজন কুপাতে শুরু করল মুজাহিদদের চেহারাধারি হয়ে।ভাই ফিরে গেল আর বলল ভাই আপনি তো পুলিশকে কুপালেন উনি বললেন ভাই আমি না।এভাবেই আল্লাহ মুমিনদের সাহায্য করেন।অতএব আপনি তর্কে না গিয়ে যাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নিজের ঠিকানা জান্নাতে করে নিন ইনশাল্লাহ।
Comment