শাইখ তালাত আল ব্ল্যাক ব্যাঙ্গল খ্যাত ফরিউদ্দিন মাসুদ সাহেব ,তার কথিত জিহাদ ও জংগীবাদ বিষয়ক বইএর অপব্যাখ্যা দেখুনঃ
এছাড়া তিনি মাসিক পাথেয় নামক ম্যাগাজিনের ডিসেম্বর ২০০১৬ সংখ্যায় "জিহাদ ও জংগীবাদ" নামক এক প্রবন্ধে জিহাদের অতি সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন ঃ
আলকায়দা, আইএস ইত্যাদির অনুসারী সন্ত্রাসীরা যেসব কর্মকাণ্ড করছে এদের সবচে বড় বিভ্রান্তি এবং অপপ্রচার হলো, সন্ত্রাসকেই তারা জিহাদ বলে মনে করছে। জিহাদের সাথে তারা সন্ত্রাসকে গুলিয়ে ফেলছে এবং জিহাদের আয়াতসমূহ তাদের নিজেদের কর্মকাণ্ডের বৈধতা দেয়ার জন্য মিথ্যাভাবে ব্যবহার করছে। এই ধরনের মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি হারাম ও নিষিদ্ধ। এর শাস্তি খুবই যন্ত্রণাদায়ক ও কঠোর। এরা আজ দীনের নামে বিভ্রান্তি ও বিভক্তি সৃষ্টি করছে। এদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের আশ্রয় দেয়া, কোনোরূপ সাহায্য-সহযোগিতা করা হারাম ও লানতযোগ্য অপরাধ।
জিহাদ
জিহাদ হলো ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। কল্যাণ ও মঙ্গল সাধনের যাবতীয় অনুমোদিত পন্থা এর মধ্যে শামিল। ব্যক্তিগত, চারিত্রিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলের যাবতীয় কল্যাণ প্রচেষ্টা এর অন্তর্ভুমত। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কল্যাণকর যাবতীয় প্রয়াসের নাম জিহাদ। নাফস তথা রিপু প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করে আল্লাহর আনুগত্য পরায়ণ হওয়ার মহান সাধনাকে হাদীসে পাকে শ্রেষ্ঠ জিহাদ বলে অভিহিত করা হয়েছে। নাফসের জিহাদকে জিহাদে আকবর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। (বায়হাকী:৩৮৩)
এমনিভাবে 'আল্লাহু সাবিলুন' (?) বা আল্লাহর পথ শব্দটিও ব্যাপক অর্থবোধক। হারাম নয়, এমন সব কাজই এর মধ্যে শামিল। পথ থেকে যদি একটি কাঁটাও সরিয়ে দেয় তাও এর অন্তর্ভুক্ত। বক্তৃতা, উপদেশ, লিখনী, বিতর্ক, জানমাল-ধনসম্পদ দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রয়াস চালানোর সব পথই জিহাদ ও আল্লাহর পথ বলে গণ্য।
কুর'আন মাজীদের মাধ্যমে জিহাদ করার বড় জিহাদ করার অর্থ হলো, কুর'আনের প্রতি মানুষকে আহ্বান করা, এর শিক্ষাদান, বক্তৃতা, লিখনী, তাবলীগ ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা। এই সবকিছুই জিহাদান কাবিরা বা বড় জিহাদের শামিল
কিতাল বা সশস্ত্র যুদ্ধ জিহাদের একটা স্তর হলো কিতাল বা বাতিল শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ। এটি একটি অনন্য উপায়মূলক ব্যবস্থা। ফিকহের পরিভাষায় এটাকে লিগাইরিহি হাসানুন অর্থাৎ এমন কাজ, যা মূলত উত্তম নয়, কাম্য নয়, অনন্য উপায়হীন অবস্থায় করতে হয় এটি হলো এমন কাজ। যেমন মৃত পশুর গোশত খাওয়া জায়েয না, কিন্তু প্রাণ যদি ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ে, এছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা করা সম্ভব না হয় তবে যতোটুকু পরিমাণে প্রাণ বাঁচে মাত্র ততোটুকু পরিমাণ আহার করা যায়। তেমনি শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আর কোনো উপায় যদি না থাকে তবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী মুসলিম নেতার নির্দেশে কিতালের বিধান রয়েছে।
এক্ষেত্রেও বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি হলো, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থাকা। যুদ্ধ ঘোষণা হওয়া। ((এখন যেহেতু তা নেই, তাই সব সন্ত্রাস। এজন্যই আলকায়েদা, তালেবান, আইএসসহ সবাই সন্ত্রাসী।))
এমনকি যুদ্ধ যদি সমাজে অশান্তি ও ফিতনার দিকে মোড় নেয় তখন তা বন্ধ করে দিতে হবে। দেখুন- সহিহ বুখারি : ৪২৪৩।
*সংক্ষেপিত
এছাড়া তিনি মাসিক পাথেয় নামক ম্যাগাজিনের ডিসেম্বর ২০০১৬ সংখ্যায় "জিহাদ ও জংগীবাদ" নামক এক প্রবন্ধে জিহাদের অতি সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন ঃ
আলকায়দা, আইএস ইত্যাদির অনুসারী সন্ত্রাসীরা যেসব কর্মকাণ্ড করছে এদের সবচে বড় বিভ্রান্তি এবং অপপ্রচার হলো, সন্ত্রাসকেই তারা জিহাদ বলে মনে করছে। জিহাদের সাথে তারা সন্ত্রাসকে গুলিয়ে ফেলছে এবং জিহাদের আয়াতসমূহ তাদের নিজেদের কর্মকাণ্ডের বৈধতা দেয়ার জন্য মিথ্যাভাবে ব্যবহার করছে। এই ধরনের মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি হারাম ও নিষিদ্ধ। এর শাস্তি খুবই যন্ত্রণাদায়ক ও কঠোর। এরা আজ দীনের নামে বিভ্রান্তি ও বিভক্তি সৃষ্টি করছে। এদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের আশ্রয় দেয়া, কোনোরূপ সাহায্য-সহযোগিতা করা হারাম ও লানতযোগ্য অপরাধ।
জিহাদ
জিহাদ হলো ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। কল্যাণ ও মঙ্গল সাধনের যাবতীয় অনুমোদিত পন্থা এর মধ্যে শামিল। ব্যক্তিগত, চারিত্রিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলের যাবতীয় কল্যাণ প্রচেষ্টা এর অন্তর্ভুমত। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কল্যাণকর যাবতীয় প্রয়াসের নাম জিহাদ। নাফস তথা রিপু প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করে আল্লাহর আনুগত্য পরায়ণ হওয়ার মহান সাধনাকে হাদীসে পাকে শ্রেষ্ঠ জিহাদ বলে অভিহিত করা হয়েছে। নাফসের জিহাদকে জিহাদে আকবর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। (বায়হাকী:৩৮৩)
এমনিভাবে 'আল্লাহু সাবিলুন' (?) বা আল্লাহর পথ শব্দটিও ব্যাপক অর্থবোধক। হারাম নয়, এমন সব কাজই এর মধ্যে শামিল। পথ থেকে যদি একটি কাঁটাও সরিয়ে দেয় তাও এর অন্তর্ভুক্ত। বক্তৃতা, উপদেশ, লিখনী, বিতর্ক, জানমাল-ধনসম্পদ দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রয়াস চালানোর সব পথই জিহাদ ও আল্লাহর পথ বলে গণ্য।
কুর'আন মাজীদের মাধ্যমে জিহাদ করার বড় জিহাদ করার অর্থ হলো, কুর'আনের প্রতি মানুষকে আহ্বান করা, এর শিক্ষাদান, বক্তৃতা, লিখনী, তাবলীগ ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা। এই সবকিছুই জিহাদান কাবিরা বা বড় জিহাদের শামিল
কিতাল বা সশস্ত্র যুদ্ধ জিহাদের একটা স্তর হলো কিতাল বা বাতিল শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ। এটি একটি অনন্য উপায়মূলক ব্যবস্থা। ফিকহের পরিভাষায় এটাকে লিগাইরিহি হাসানুন অর্থাৎ এমন কাজ, যা মূলত উত্তম নয়, কাম্য নয়, অনন্য উপায়হীন অবস্থায় করতে হয় এটি হলো এমন কাজ। যেমন মৃত পশুর গোশত খাওয়া জায়েয না, কিন্তু প্রাণ যদি ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ে, এছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা করা সম্ভব না হয় তবে যতোটুকু পরিমাণে প্রাণ বাঁচে মাত্র ততোটুকু পরিমাণ আহার করা যায়। তেমনি শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আর কোনো উপায় যদি না থাকে তবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী মুসলিম নেতার নির্দেশে কিতালের বিধান রয়েছে।
এক্ষেত্রেও বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি হলো, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থাকা। যুদ্ধ ঘোষণা হওয়া। ((এখন যেহেতু তা নেই, তাই সব সন্ত্রাস। এজন্যই আলকায়েদা, তালেবান, আইএসসহ সবাই সন্ত্রাসী।))
এমনকি যুদ্ধ যদি সমাজে অশান্তি ও ফিতনার দিকে মোড় নেয় তখন তা বন্ধ করে দিতে হবে। দেখুন- সহিহ বুখারি : ৪২৪৩।
*সংক্ষেপিত
Comment