ঈমান :
কুফরে আমলী’র আলোচনা বুঝার জন্য প্রথমে ঈমান ও কুফরের পরিচয় জেনে নেয়া জরুরী। ঈমান-কুফর সংক্রান্ত মৌলিক বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে গেলে তখন কুফরে আমলী সহজেই বুঝে আসবে।
আমরা প্রথমে ঈমানের আলোচনা করব। সাথে অনুগামী হিসেবে কুফরের আলোচনাও আসবে।
# ঈমানের আভিধানিক অর্থ-‘বিশ্বাস করা’, ‘সত্যায়ন করা’। তবে সব ধরণের বিশ্বাস ও সত্যায়নকেই ঈমান বলা হয় না। ঈমান এক বিশেষ বিশ্বাস ও সত্যায়নের নাম। আর তা হচ্ছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছেন সেগুলোর ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সত্যায়ন করা এবং মনে প্রাণে সেগুলোকে সত্য বলে বিশ্বাস করা এবং মেনে নেয়া।
তবে শুধু আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়নকেই ঈমান বলা হয় না। ঈমানের জন্য আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়নের পাশাপাশি আরো দু’টো বিষয় আবশ্যক।
এক. উক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়নের মৌখিক স্বীকারোক্তি।
দু্ই. উক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়ন বিরোধি কোন কথা বা কাজ না পাওয়া যাওয়া।
অতএব, ঈমান তিন জিনিসের সমষ্টির নাম:
এক. আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়ন।
দুই. উক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়নের মৌখিক স্বীকারোক্তি।
তিন. উক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়ন বিরোধি কোন কথা বা কাজ না পাওয়া যাওয়া।
উপরোক্ত তিনটি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
এক. আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়ন:
আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ, নবুওয়্যাত, আখেরাত, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদী সহ দ্বীনের এমন সকল বিষয়াশয়, বিধিবিধান ও খবরাখবরের উপর আন্তরিক বিশ্বাস স্থাপন করা এবং মনে প্রাণে সেগুলো মেনে নেয়া, যেগুলো সুস্পষ্টভাবে অকাট্য দলীল প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, দ্বীনের প্রত্যেকটা বিষয়কে জেনে তারপর তাতে বিশ্বাস স্থাপন জরুরী নয়; বরং এজমালীভাবে এই বিশ্বাস স্থাপনই যথেষ্ট যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছেন বলে প্রমাণিত সে সবই সত্য এবং বাস্তব। কোন প্রকার সন্দেহ সংশয় ও দ্বিধা-আপত্তি ছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সকল বিষয়ে সত্যায়ন করা এবং মনে প্রাণে সেসব বিষয় মেনে নেয়াই যথেষ্ট। একেই ‘তাসদিকে কলবী’-‘আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়ন’ বলা হয়।
দুই. উক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়নের মৌখিক স্বীকারোক্তি:
উপরোক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়নই ঈমানের জন্য যথেষ্ট নয়,পাশাপাশি এর মৌখিক স্বীকারোক্তিও জরুরী।
মৌখিক স্বীকারোক্তি কি ঈমানের রুকন তথা মৌলিক অংশ না’কি তা ঈমানের জন্য শর্ত স্বরূপ এ নিয়ে মতভেদ আছে। তবে সকলেই একমত যে, কারো কাছে উপরোক্ত স্বীকারোক্তি চাওয়ার পরও যদি সে স্বীকারোক্তি না দেয়, তাহলে সে মুমিন বলে গণ্য হবে না। দুনিয়াবী হুকুমেও না, আল্লাহ তাআলার কাছেও না। তবে কয়েক ব্যক্তির হুকুম এ থেকে ভিন্ন।
এক. স্বীকারোক্তি দিতে যে অক্ষম। যেমন, বোবা। তার আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়নই তার ঈমানের জন্য যথেষ্ট। যেহেতু সে মৌখিক স্বীকারোক্তি দিতে সক্ষম নয়।
দুই. যে স্বীকারোক্তি দেয়ার সুযোগ পায়নি। যেমন, আন্তরিক বিশ্বাস স্থাপন ও সত্যায়নের পরপরই মৃত্যু বরণ করলো কিংবা তাকে শহীদ করে দেয়া হলো।
তিন. মুকরাহ। অর্থাৎ যার প্রবল ধারণা হচ্ছে যে, ঈমানের স্বীকারোক্তি দিলেই তাকে হত্যা করে দেয়া হবে। তখন জীবন বাঁচানোর স্বার্থে যদি ঈমানের স্বীকারোক্তি না দেয় আর তার অন্তরে পরিপূর্ণ ঈমান বজায় থাকে, তাহলে মুমিন বলেই গণ্য হবে। তবে এক্ষেত্রে উত্তম হলো ঈমানের স্বীকারোক্তি দিয়ে শহীদ হয়ে যাওয়া। কুফরী কথা উচ্চারণ করার চেয়ে ঈমানের উপর অটল অবিচল থেকে জীবন দিয়ে দেয়া আল্লাহ তাআলার কাছে অধিক প্রিয়।
এই তিন প্রকার ব্যক্তি মৌখিক স্বীকারোক্তি ছাড়াই শুধু আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়নের মাধ্যমেই ঈমানদার বলে গণ্য হবে।
তিন. উক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়ন বিরোধি কোন কথা বা কাজ না পাওয়া যাওয়া:
ঈমান সহীহ হওয়ার জন্য শুধু আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়ন এবং তার মৌখিক স্বীকারোক্তিই যথেষ্ট নয়, পাশাপাশি এমন সকল কথা ও কাজ থেকেও বিরত থাকা আবশ্যক যা উপরোক্ত সত্যায়ন ও স্বীকারোক্তির পরিপন্থি। অতএব, কোন ব্যক্তি যদি আন্তরিকভাবে সকল কিছু বিশ্বাস ও সত্যায়ন করে এবং মুখে তার স্বীকারোক্তিও দেয়, কিন্তু স্বেচ্ছায় এমন কোন কথা বা কাজে লিপ্ত হয় যা উপরোক্ত বিশ্বাস ও স্বীকারোক্তির সাথে সাংঘর্ষিক- তাহলে সে ঈমানদার বলে গণ্য হবে না। দুনিয়াবী হুকুমেও না, আল্লাহ তাআলার কাছেও না। দুনিয়াতেও সে কাফের বলে গণ্য হবে, আখেরাতেও চিরস্থায়ী জাহান্নামের অধিবাসী হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।
ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক কয়েকটি কর্ম:
১. মূর্তিকে সাজদা করা।
২. কোন নবীকে হত্যা করা কিংবা অবমাননা করা।
৩. কুরআনে কারীমের অবমাননা করা।
৪. কা’বা শরীফের অবমাননা করা।
৫. স্বেচ্ছায় কোন কুফরী কথা বলা ... ইত্যাদী।
কোন ব্যক্তির অন্তরে যদি পরিপূর্ণ ঈমানও বজায় থাকে এবং মুখে পরিপূর্ণ স্বীকারোক্তিও দেয়; কিন্তু সে এসবের কোন একটাতে বা এ জাতীয় ঈমান বিধ্বংসী অন্য কোন কর্মে লিপ্ত হয়, তাহলে সে ঈমানদার বলে গণ্য হবে না। দুনিয়াবী হুকুমেও না, আল্লাহ তাআলার কাছেও না। দুনিয়াতেও সে কাফের বলে গণ্য হবে, আখেরাতেও চিরস্থায়ী জাহান্নামের অধিবাসী হবে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা গেল কুফর তিনভাবে হতে পারে:
এক. কোন কুফরী আকীদা-বিশ্বাস পোষণের দ্বারা।
দুই. কোন কুফরী কথা বলার দ্বারা।
তিন. কোন কুফরী কর্মে লিপ্ত হওয়ার দ্বারা।
এই তিনপ্রকার কুফরীর তিনটাই কারো মাঝে পাওয়া যেতে পারে। যেমন, কেউ অন্তরে কুফরী আকীদা পোষণের পাশাপাশি মুখে কুফরী কথাও বললো আবার কুফরী কাজেও লিপ্ত হল। আবার কারো মাঝে দুইটা আবার কারো মাঝে একটাও পাওয়া যেতে পারে। তবে কাফের হওয়ার জন্য একটা কুফরী পাওয়া যাওয়াই যথেষ্ট। চাই তা আকীদাগত হোক, বা কথায় বা কাজে হোক। অতএব, কুফরকে শুধু আকীদা বিশ্বাসের মাঝে সীমাবদ্ধ করে দেয়া সম্পূর্ণ শরীয়ত পরিপন্থি।
***
দলীল প্রমাণ সামনের পর্ব থেকে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
কুফরে আমলী’র আলোচনা বুঝার জন্য প্রথমে ঈমান ও কুফরের পরিচয় জেনে নেয়া জরুরী। ঈমান-কুফর সংক্রান্ত মৌলিক বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে গেলে তখন কুফরে আমলী সহজেই বুঝে আসবে।
আমরা প্রথমে ঈমানের আলোচনা করব। সাথে অনুগামী হিসেবে কুফরের আলোচনাও আসবে।
# ঈমানের আভিধানিক অর্থ-‘বিশ্বাস করা’, ‘সত্যায়ন করা’। তবে সব ধরণের বিশ্বাস ও সত্যায়নকেই ঈমান বলা হয় না। ঈমান এক বিশেষ বিশ্বাস ও সত্যায়নের নাম। আর তা হচ্ছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছেন সেগুলোর ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সত্যায়ন করা এবং মনে প্রাণে সেগুলোকে সত্য বলে বিশ্বাস করা এবং মেনে নেয়া।
তবে শুধু আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়নকেই ঈমান বলা হয় না। ঈমানের জন্য আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়নের পাশাপাশি আরো দু’টো বিষয় আবশ্যক।
এক. উক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়নের মৌখিক স্বীকারোক্তি।
দু্ই. উক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়ন বিরোধি কোন কথা বা কাজ না পাওয়া যাওয়া।
অতএব, ঈমান তিন জিনিসের সমষ্টির নাম:
এক. আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়ন।
দুই. উক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়নের মৌখিক স্বীকারোক্তি।
তিন. উক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়ন বিরোধি কোন কথা বা কাজ না পাওয়া যাওয়া।
উপরোক্ত তিনটি বিষয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
এক. আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়ন:
আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ, নবুওয়্যাত, আখেরাত, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ, জান্নাত-জাহান্নাম ইত্যাদী সহ দ্বীনের এমন সকল বিষয়াশয়, বিধিবিধান ও খবরাখবরের উপর আন্তরিক বিশ্বাস স্থাপন করা এবং মনে প্রাণে সেগুলো মেনে নেয়া, যেগুলো সুস্পষ্টভাবে অকাট্য দলীল প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, দ্বীনের প্রত্যেকটা বিষয়কে জেনে তারপর তাতে বিশ্বাস স্থাপন জরুরী নয়; বরং এজমালীভাবে এই বিশ্বাস স্থাপনই যথেষ্ট যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছেন বলে প্রমাণিত সে সবই সত্য এবং বাস্তব। কোন প্রকার সন্দেহ সংশয় ও দ্বিধা-আপত্তি ছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সকল বিষয়ে সত্যায়ন করা এবং মনে প্রাণে সেসব বিষয় মেনে নেয়াই যথেষ্ট। একেই ‘তাসদিকে কলবী’-‘আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়ন’ বলা হয়।
দুই. উক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়নের মৌখিক স্বীকারোক্তি:
উপরোক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়নই ঈমানের জন্য যথেষ্ট নয়,পাশাপাশি এর মৌখিক স্বীকারোক্তিও জরুরী।
মৌখিক স্বীকারোক্তি কি ঈমানের রুকন তথা মৌলিক অংশ না’কি তা ঈমানের জন্য শর্ত স্বরূপ এ নিয়ে মতভেদ আছে। তবে সকলেই একমত যে, কারো কাছে উপরোক্ত স্বীকারোক্তি চাওয়ার পরও যদি সে স্বীকারোক্তি না দেয়, তাহলে সে মুমিন বলে গণ্য হবে না। দুনিয়াবী হুকুমেও না, আল্লাহ তাআলার কাছেও না। তবে কয়েক ব্যক্তির হুকুম এ থেকে ভিন্ন।
এক. স্বীকারোক্তি দিতে যে অক্ষম। যেমন, বোবা। তার আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়নই তার ঈমানের জন্য যথেষ্ট। যেহেতু সে মৌখিক স্বীকারোক্তি দিতে সক্ষম নয়।
দুই. যে স্বীকারোক্তি দেয়ার সুযোগ পায়নি। যেমন, আন্তরিক বিশ্বাস স্থাপন ও সত্যায়নের পরপরই মৃত্যু বরণ করলো কিংবা তাকে শহীদ করে দেয়া হলো।
তিন. মুকরাহ। অর্থাৎ যার প্রবল ধারণা হচ্ছে যে, ঈমানের স্বীকারোক্তি দিলেই তাকে হত্যা করে দেয়া হবে। তখন জীবন বাঁচানোর স্বার্থে যদি ঈমানের স্বীকারোক্তি না দেয় আর তার অন্তরে পরিপূর্ণ ঈমান বজায় থাকে, তাহলে মুমিন বলেই গণ্য হবে। তবে এক্ষেত্রে উত্তম হলো ঈমানের স্বীকারোক্তি দিয়ে শহীদ হয়ে যাওয়া। কুফরী কথা উচ্চারণ করার চেয়ে ঈমানের উপর অটল অবিচল থেকে জীবন দিয়ে দেয়া আল্লাহ তাআলার কাছে অধিক প্রিয়।
এই তিন প্রকার ব্যক্তি মৌখিক স্বীকারোক্তি ছাড়াই শুধু আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়নের মাধ্যমেই ঈমানদার বলে গণ্য হবে।
তিন. উক্ত বিশ্বাস ও সত্যায়ন বিরোধি কোন কথা বা কাজ না পাওয়া যাওয়া:
ঈমান সহীহ হওয়ার জন্য শুধু আন্তরিক বিশ্বাস ও সত্যায়ন এবং তার মৌখিক স্বীকারোক্তিই যথেষ্ট নয়, পাশাপাশি এমন সকল কথা ও কাজ থেকেও বিরত থাকা আবশ্যক যা উপরোক্ত সত্যায়ন ও স্বীকারোক্তির পরিপন্থি। অতএব, কোন ব্যক্তি যদি আন্তরিকভাবে সকল কিছু বিশ্বাস ও সত্যায়ন করে এবং মুখে তার স্বীকারোক্তিও দেয়, কিন্তু স্বেচ্ছায় এমন কোন কথা বা কাজে লিপ্ত হয় যা উপরোক্ত বিশ্বাস ও স্বীকারোক্তির সাথে সাংঘর্ষিক- তাহলে সে ঈমানদার বলে গণ্য হবে না। দুনিয়াবী হুকুমেও না, আল্লাহ তাআলার কাছেও না। দুনিয়াতেও সে কাফের বলে গণ্য হবে, আখেরাতেও চিরস্থায়ী জাহান্নামের অধিবাসী হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।
ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক কয়েকটি কর্ম:
১. মূর্তিকে সাজদা করা।
২. কোন নবীকে হত্যা করা কিংবা অবমাননা করা।
৩. কুরআনে কারীমের অবমাননা করা।
৪. কা’বা শরীফের অবমাননা করা।
৫. স্বেচ্ছায় কোন কুফরী কথা বলা ... ইত্যাদী।
কোন ব্যক্তির অন্তরে যদি পরিপূর্ণ ঈমানও বজায় থাকে এবং মুখে পরিপূর্ণ স্বীকারোক্তিও দেয়; কিন্তু সে এসবের কোন একটাতে বা এ জাতীয় ঈমান বিধ্বংসী অন্য কোন কর্মে লিপ্ত হয়, তাহলে সে ঈমানদার বলে গণ্য হবে না। দুনিয়াবী হুকুমেও না, আল্লাহ তাআলার কাছেও না। দুনিয়াতেও সে কাফের বলে গণ্য হবে, আখেরাতেও চিরস্থায়ী জাহান্নামের অধিবাসী হবে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা গেল কুফর তিনভাবে হতে পারে:
এক. কোন কুফরী আকীদা-বিশ্বাস পোষণের দ্বারা।
দুই. কোন কুফরী কথা বলার দ্বারা।
তিন. কোন কুফরী কর্মে লিপ্ত হওয়ার দ্বারা।
এই তিনপ্রকার কুফরীর তিনটাই কারো মাঝে পাওয়া যেতে পারে। যেমন, কেউ অন্তরে কুফরী আকীদা পোষণের পাশাপাশি মুখে কুফরী কথাও বললো আবার কুফরী কাজেও লিপ্ত হল। আবার কারো মাঝে দুইটা আবার কারো মাঝে একটাও পাওয়া যেতে পারে। তবে কাফের হওয়ার জন্য একটা কুফরী পাওয়া যাওয়াই যথেষ্ট। চাই তা আকীদাগত হোক, বা কথায় বা কাজে হোক। অতএব, কুফরকে শুধু আকীদা বিশ্বাসের মাঝে সীমাবদ্ধ করে দেয়া সম্পূর্ণ শরীয়ত পরিপন্থি।
***
দলীল প্রমাণ সামনের পর্ব থেকে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
Comment