উলামায়ে সূ'দের ব্যাপারে রাসূল সাঃ এর নির্দেশনা
عن ان عباس قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم ان اناسا من امتي سيتفقهون في الدين ويقرؤن القران يقولون ناتي الامراء فنصيب من دنياهم ونعتزلهم بديننا ولا يكون ذلك كما لا يجتني من القتاد الا الشوك كذالك لا يجتني من قربهم
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন হুজুর (সা)বলেছেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে কিছু মানুষ এমন হবে যারা দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করবে ও কুরআন পড়বে এবং বলবেঃ আমরা উমারাদের (শাসকদের) কাছে যাই তাদের থেকে দুনিয়াবী ফায়দা গ্রহণ করার জন্য এবং আমরা আমাদের দ্বীন নিয়ে ফিরে আসি। (হুজর সা, বলেনঃ) এটা হতে পারে না। যেমনি ভাবে কাটা যুক্ত গাছ থেকে কাটা পৃথক হয়না ঠিক তেমনি ভাবে তাদের থেকে দ্বীন নিয়ে আসাটাও সম্ভব হয় না।
عن زيادبن حدير قال لي عمر هل تعرف ما يهدم الاسلام قال قلت لا قال يهدمه زلة العالم وجدال المنافق بالكتاب وحكم الائمة المضلين رواه الدارمي
যিয়াদ ইবনে হুদাইর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমাকে উমর রাযি বলেছেনঃ তুমি কি জান কোন জিনিস ইসলামকে ধ্বংস করে দেয়? তিনি বলেনঃ আমি বললাম না। অতপর উমর রাযিঃ বলেন, ইসলামকে ধ্বংস করে তিন জিনিসঃ
এক/ আলেমের পদস্খলন।
দুই/ কোরআন নিয়ে মুনাফিকদের বিতর্ক।
তিন/ পথ ভ্রষ্ট নেতাদের শাসন ক্ষমতা।
এই দুই হাদিসের বাস্তব চিত্র আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি। সারা বিশ্বে আজ নামধারী আলেমরা নিজেদের অতীত ভুলে গেছে এবং তাগুতরা তাদেরকে যেভাবে চালাচ্ছে সেভাবেই চলছে৷ তাগুতরা তাদেরকে আল্লাহর যে বিধান বাদ দিতে বলছে তারা তা নির্দ্বিধায় বাদ দিচ্ছে।
যে তাগুতরা রাতের অন্ধকারে লাইট বন্ধ করে হাজার হাজার আলেম ওলামাদের কে শহিদ করল, যারা এক এক করে আল্লাহর বিধানগুলো সংবিধান থেকে বাদ দিচ্ছে, যারা সমাজের মানুষ কে সুদী কারবারের মাধ্যমে আল্লাহ ও তার রাসূলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত করাচ্ছে, যারা তাওহিদবাদীদের কে জেল জুলুম গুম করে চলছে৷ তাওহীদের কথা শুনলে যারা জংগী বলে। তাদের সাথে আমাদের ওলামারা কি করে এক টেবিলে বসে?
তারা কি আমাদের 13 দফা দাবী মেনে নিয়েছে? আমরা কি আমাদের ভাইদের রক্তের প্রতিশোধ নিয়েছি? এটা কি ওরাসাতুল আম্বিয়াদের দায়িত্ব নয় যে, নবী এক উসমানের জন্য চৌদ্দশত সাহাবীর বাইয়াত নিলেন, সেই নবীর ওয়ারিস হয়ে হাজার হাজার আলেমের রক্ত ঝরার পরেও কি করে বসে থাকা যায়? এটা কি زلة العالم না?
হে আল্লাহ তুমি আমাদের কে নবীর চিন্তা চেতনা ও সাহাবীদের চিন্তা চেতনা ফিরিয়ে দাও ৷
Comment