Announcement

Collapse
No announcement yet.

বৃটিশ বিরোধী জিহাদের অন্যতম সিপাহসালার মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানী রহঃ-এর জীবনীতে ইস

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বৃটিশ বিরোধী জিহাদের অন্যতম সিপাহসালার মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানী রহঃ-এর জীবনীতে ইস

    বৃটিশ বিরোধী জিহাদের অন্যতম সিপাহসালার মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানী রহঃ-এর জীবনীতে ইসলাম বিরোধী মতবাদের বৈধতা

    দারুল হারব ভারতবর্ষ থেকে হারবি কুফফারদের বিতাড়িত করে দারুল ইসলাম কায়েম করার জন্য যেসব মুজাহিদীনরা অবিরাম বৃটিশবিরোধী জিহাদ চালিয়ে গেছেন তাদের অন্যতম সিপাহসালার "শাইখুল ইসলাম" খ্যাত সাইয়্যেদ মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানী রহঃ।

    উনার জীবনী নিয়ে ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ একটি বই লিখেছেন। মূলত এই বইয়ের জন্যই উনাকে ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এই বইতে নাকি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, অহিংসবাদ সহ প্রভৃতি ইসলাম বিরোধী মতবাদকে মাওলানা মাদানী রহঃ-এর নামে বৈধতা দান করা হয়েছে। এ সম্পর্কে ফোরামেই সম্ভবত বেশ কিছু দিন পূর্বে একটা লেখা দেখেছিলাম।

    ভাইদের কাছে অনুরোধ, যদি সেটা কারো কাছে থেকে থাকে কিংবা বিশুদ্ধ ইসলামী ফিকহের আলোকে এই বইয়ের কোন রিভিউ আপনাদের কাছে থাকে তাহলে কষ্ট করে একটু শেয়ার করবেন।

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ...
    Last edited by hadid_bd; 07-04-2017, 05:31 PM.

  • #2
    জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, অহিংসবাদ
    ভাই শুনুন! উপরের পরিভাষাগুলো কোন স্পষ্ট বিষয় নয়। এগুলোর সঙ্গা একেকজন একেক রকম দিয়ে থাকে। একেকজন একেক রকম ব্যাখ্যা করে। এগুলো কোন স্পষ্ট কুফরী ধর্মের নাম হয়ে যায়নি যে, এগুলোতে অন্য কোন ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ নয়। মূলত: এগুলোর সঙ্গা শক্তির উপর নির্ভর করে। যার যখন শক্তি থাকে, তখন সে এই শব্দগুলোকে নিজের মন মত ব্যবহার করে স্বার্থ হাসিল করে। যা বর্তমানে সর্বত্র দেখা যাচ্ছে।

    তো যারা মাজলুমি হালতে রাজনৈতিক স্বার্থে এই কথাগুলো ব্যবহার করতেন, তারা আমাদের অনেকের মত এত কট্টর সঙ্গা দিতেন না এগুলোর। বরং আরো সহনশীল ও ব্যাপক অর্থ গ্রহণ করতেন তারা। আর এই শব্দগুলোর মাঝে সেই অর্থ গ্রহণ করার অবকাশও আছে। তবে তাদের উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের অনুকূল।

    আরেকটি বিষয় বুঝুন, ইংরেজদের বিরুদ্ধে উলামায়ে দেওবন্দের মাধ্যমেই খাটি জিহাদ পরিচালিত হয়েছে দীর্ঘকাল। কারণ ওয়ালীউল্লাহি ধারার জিহাদকে অবশ্যই দেওবন্দীদের জিহাদ বলতে হবে। কারণ দেওবন্দ শুধু একটি মাদ্রাসার নাম নয়; এটি একটি আদর্শের নাম।যা নীতিগতভাবে এখনও তার আদর্শের উপর আছে, তবে বর্তমানে তার অনুসারীদের বহুসংখ্যক, আমলের ক্ষেত্রে চরম অবহেলা করছে।
    যাইহোক, অত:পর এক সময় উলামায়ে দেওবন্দের শোচনীয় অবস্থা হয়, সব ছিন্নভিন্ন ও এলোমেলো হয়ে যায়।নুতন করে জিহাদ দাঁড় করানোর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ সময়ের।
    অপরদিকে ইংরেজরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তখন উলামায়ে দেওবন্দ যাই ই করুক না কেন, ইংরেজরা চলে যাওয়ারই ছিল। আর তখন সৃশৃঙ্খল জিহাদ গড়ে তোলার জন্য পর্যাপ্ত সময়ও ছিল না। এখন যদি মাঠ খালি থাকে, তাহলে সব হিন্দুদের দখলে যাবে। সে জন্যই উলামায়ে কেরামকে কৌশল হিসাবে এই অহিংস আন্দোলনের দিকে যেতে হয়েছে।
    ওই সময় উলামায়ে কেরাম যা কিছু করেছেন, সব শরীয়তের নীতির আলোকেই করেছেন, সকলের ইজতিহাদের শরয়ী ভিত্তি ছিল। তাদের কেউই সামান্যও কুফুরী আকিদা গ্রহণ করেননি, তাদের সবগুলো বিষয় ছিল আমলী, ইজতিহাদী ও কৌশলগত।

    আসলে ওই সময়ের প্রত্যেক পক্ষের আলেমদের অবস্থানের শরয়ী বৈধতার পক্ষে মজবুত প্রমাণ আছে।যারা সেই দলিলগুলো পড়েছে, তারাই তা বোঝবে।

    কিন্তু সেই মহা মনীষীদের পরে এলো কিছু নির্বোধ “রুওয়াইবিদা”, যারা আগ পিছ না জেনে, না ভেবে, না বোঝে তাদের ব্যাপারে একটা মন্তব্য করে দেয়।
    আসলে এগুলো তাদের ইলমের ঘাটতির কারণে বা ইলমওয়ালাদের সংশ্রব গ্রহণ না করার কারণে। যারা ইজতিহাদ কি, তার হুকুম কি তা বোঝে না। জীবনে কুরআন-হাদিসের সাথে সম্পর্ক ছিল না। পরে দু-চারটা বাংলা বই পড়ে নিজেকে নিজেই অনেক বড় কিছু ভেবে নিষ্ঠাবান আলেমদের ব্যাপারে বাজে মন্তব্য করে।
    আল্লাহ আমাদের বোঝার তাওফীক দান করুন!

    Comment


    • #3
      প্রিয় ভাইয়েরা, উক্ত বিষয়ে পোস্ট না করার অনুরোধ। উম্মাহের এই দূর্দিনে বিভাজন কাম্ম নয়।
      #জাযাকাল্লাহ।
      আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
      আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

      Comment


      • #4
        সম্মানিত সালাহুদ্দীন আইয়ূবি ভাই,
        জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, অহিংসবাদ
        উপোরক্ত শব্দগুলোর ব্যাপারে আপনি বললেন যে
        ভাই শুনুন! উপরের পরিভাষাগুলো কোন স্পষ্ট বিষয় নয়। এগুলোর সঙ্গা একেকজন একেক রকম দিয়ে থাকে। একেকজন একেক রকম ব্যাখ্যা করে।
        আপনার কথা দ্বারা বুঝা গেল এই বিষয়গুলোর আসলে কোন দৃঢ় মানে নেই... সবই আপেক্ষিক ! আসলেই কি তাই??

        কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী এর ব্যাক্ষা কি?? একটু জানালে ভালো হত। ধর্মনিরপেক্ষতা ( সেকুলারিজম) এটার অর্থ আপেক্ষিক হয় কিভাবে? ভাই আপনারা ভুল বুঝবেন না। আমি মাওলানা মাদানি রাহিঃ এর উপর এই কথাগুলো আরোপ করছি না। শুধু আপনার কাছে আপনার এই কথার উত্তর চাচ্ছি যে এই ( ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, অহিংসবাদ) এই কথাগুলোর অর্থ আপেক্ষিক। যে যেমন ইচ্ছা ব্যবহার করবে!

        আরেকটি বিষয় বুঝুন, ইংরেজদের বিরুদ্ধে উলামায়ে দেওবন্দের মাধ্যমেই খাটি জিহাদ পরিচালিত হয়েছে দীর্ঘকাল। কারণ ওয়ালীউল্লাহি ধারার জিহাদকে অবশ্যই দেওবন্দীদের জিহাদ বলতে হবে।
        ভাই এই কথাটা আরেকটু ব্যাক্ষা প্রয়োজন দলিল সহ। ভাই আপনি কি কিছু ময়দানের নাম বলতে পারবেন যেখানে দেওবন্দের ব্যানারে ফাইট হয়েছে?
        হকের উপর আল্লাহ আমাদেরকে অন্তরকে এক করে দিন।
        "হক হকের জায়গায়
        সম্মান সম্মানের জায়গায়
        আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

        Comment


        • #5
          @ভাই বখতিয়ার
          বারাকাল্লাহু ফি কুম।
          আসুন দুর্দিনে ইখতিলাফ স্বত্বেও পরষ্পরের প্রতি হ্রদ্যতা ও সহনশীলতা বজায় রাখার শিক্ষা আমরা মাওলানা মাদানী ও মাওলানা থানভী রহ- জীবনী থেকে গ্রহণ করি। আর বেঁচে থাকি ওইসব বিষয় থেকে যেগুলোর উপর গ্রহণযোগ্য আপত্তি রয়েছে।

          @ভাই আবদুল্লাহ ইয়াফুর
          আপেক্ষিক কী না সেটা সম্মানিত ভাই সালাহুদ্দীন আইয়ুবী বলতে পারবেন।
          উলামায়ে দেওবন্দের জিহাদ প্রমাণ করার জন্য যে দেওবন্দের ব্যানারের প্রয়োজন নেই সেটা চলমান বৈশ্বিক জিহাদ থেকেই বুঝা যায়। বৈশ্বিক জিহাদের মুজাহিদীনরা নিজেদের ব্যানার ছাড়া সংশ্লিষ্ট সমমনা অন্যদের ব্যানারে অনেক জায়গায় কাজ করেছেন, করছেন। উলামায়ে দেওবন্দের ক্ষেত্রেও এমন নজীর রয়েছে।
          Last edited by hadid_bd; 07-05-2017, 09:37 AM.

          Comment


          • #6
            Originally posted by hadid_bd View Post
            @ভাই আবদুল্লাহ ইয়াফুর
            .........উলামায়ে দেওবন্দের জিহাদ প্রমাণ করার জন্য যে দেওবন্দের ব্যানারের প্রয়োজন নেই সেটা চলমান বৈশ্বিক জিহাদ থেকেই বুঝা যায়। বৈশ্বিক জিহাদের মুজাহিদীনরা নিজেদের ব্যানার ছাড়া সংশ্লিষ্ট সমমনা অন্যদের ব্যানারে অনেক জায়গায় কাজ করেছেন, করছেন। উলামায়ে দেওবন্দের ক্ষেত্রেও এমন নজীর রয়েছে।
            জাযাকাল্লাহ ভাই। ভাই আসলে আপনি যেটা বললেন তা একটা লেভেল পর্যন্ত ঠিক আছে কিন্তু পুরাটা না আল্লাহু আলাম।
            যেমন ধরেন কারো ব্যক্তিগত আমলকে আমরা জামাতগত আমল হিসেবে ধরতে পারবো না।
            আমি আরেকটু ক্লিয়ার করি ইংশা আল্লাহ। সেটা হল বেশ কিছু দিন আগে শামের হাইয়া তাহরীর আশ শামের গঠন হওয়ার পর, সাংবাদিক ভাই বিলাল আব্দুল কারিম শায়খ আব্দুর রাজ্জাক মাহদি হাফিঃ এর সাক্ষাতকার নেন এই জামাতের ব্যাপারে। তো সেই সাক্ষাৎকারের এক স্থানে শায়খ মাহদি হাফিঃ বলেন যার অর্থ এমনঃ
            "আমরা সব কিছু বিবেচনা করে দেখলাম শায়খ আবু জাবির হাফিঃ ই এই জামাতের আমির হওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি, আর উনি তাবলিগিও , আপনারা জানেন তাবলীগিরা ঠাণ্ডা মাথার হয়......"
            তাহলে ভাই প্রশ্ন হল শায়খ আবু জাবির হাফিঃ এর একার কারনে কি আমরা এটা বলতে পারবো তাবলিগীরা জিহাদ করে? বা এরা ব্যানার ছাড়া জিহাদ করে, এদের মুরব্বিরা জিহাদের তালিম দেয় ইত্যাদি ইত্যাদি...... আমার মনে হয় না। এটা করা ইনসাফ হবে না।

            তারপর ভাই আপনি বললেন বিনা ব্যানারে জিহাদের কথা। আমি আপনার সাথে ১০০ ভাগ একমত। কিন্তু প্রিয় ভাই আমার মনে হচ্ছে আমরা কোথাও সুক্ষ কোন পয়েন্ট মিস করছি। বিনা ব্যানারে জিহাদ করলেও সেই জামাতের আমিরগন প্রকাশ্যে জিহাদের আহ্বান করেন, ডাক দেন, তাহরিদ করেন, একতা বদ্ধ হতে আহ্বান করেন।
            কিন্তু আমরা যাদেরকে বলছি যে তারাও বিনা ব্যানারে জিহাদ করেছেন, আসলে এটা ভুল। তারা জিহাদ করেছেন শায়খ আবু জাবির হাফিঃ এর মত। ব্যক্তিগত উদ্দ্যেগ নিয়ে। আপনি আমি কি বলতে পারবো যে দেওবন্দের প্রিন্সিপাল সেই মুজাহিদিনদের পাঠিয়েছিল সেন্ট্রালি জিহাদ করার জন্য? উত্তর হবে না। আমি আপনি কি বলতে পারবো এমনই ভাবে তাবলিগী মুরুব্বিরা শায়খ আবু জাবির হাফিঃ কে পাঠিয়েছে শামের জিহাদের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য? উত্তর হবে না। ঠিক তেমনই ভাবে আমি আপনি কি বলবো সৌদির মদিনা ভার্সিটির ব্যাপারে শায়খ উসামা রাহিঃ এর কথা বা মিশরের আযহারের ব্যাপারে শায়খ উমার আব্দুর রহমান রাহিঃ এর কথা...

            প্রিয় ভাই এই ভুলটা আমরা বার বার করছি তা হল ব্যক্তিগত আমলকে আমরা একটা জামাতের দিকে দিয়ে দিচ্ছি।
            তবে হ্যা কখন আমরা কারো ব্যক্তি আমলকে জামাতগত আমল হিসেবে ধরবো?? যখন কোন জামাতের সেন্ট্রাল কমান্ডের অধীনে সে ব্যক্তি এই কাজ করবে।

            মনে করেন আহরার আশ শামের মত বখে যাওয়া জামাতের ইসলাহ করার সবার ব্যক্তিগত দায়িত্ব । এখন কোন জামায়াহ যদি কাউকে পাঠায় তাদের এসলাহ করার জন্য তখন তার সকল ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা সেই জামাতের প্রচেষ্টা হিসেবে ধরা হবে।
            কিন্তু কোন জামাতের পক্ষ থেকে না কিন্তু সেই জামাতের অন্তর্গত কেউ ব্যক্তি উদ্দ্যেগে এই রকম কাজ করে তবে তা সেই ব্যক্তির ব্যক্তিগত আমল হিসেবেই ধরা হবে। এটায় জামাতের কোন ক্রেডিট থাকবে না...
            আমার মনে হয় আমি বিষয়টা তুলে ধরতে পেরেছি।

            আল্লাহ আমাদের জন্য সহজ করুন...
            "হক হকের জায়গায়
            সম্মান সম্মানের জায়গায়
            আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

            Comment


            • #7
              ড. মুশতাক আহমদের (শাইখুল ইসলাম সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.) কিতাবটির ব্যাপারে একটি পর্যালোচনা আমিই লিখেছিলাম। hadid_bd ভাই হয়তো সেটাই দেখতে চেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ফোরামে বিভিন্ন মতামত এসেছে। এমতাবস্থায় লেখাটি পোস্ট করতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। তবে কিতাবটি যেহেতু বিভ্রান্তিজনক সাথে সাথে সমাজে প্রচলিত এবং পরিচিত, তাই এর ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি দরকার। যেন লোকজন এর দ্বারা বিভ্রান্তির শিকার না হয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে লেখাটি পোস্ট করা ফায়েদাজনক মনে হচ্ছে। তাই পোস্ট করে দিলাম।


              তবে লক্ষ্যনীয় যে, ড. মুশতাক আহমদ ধর্মনিরপেক্ষতা দ্বারা নাস্তিকরা যে অর্থ বুঝায় অর্থাৎ ধর্মহীনতা তা বুঝাননি। তিনি ধর্মনিরপেক্ষতা দ্বারা হিন্দু-মুসলিম সকল ধর্মের লোক একসাথে মিলেমিশে বসবাস করবে বুঝাতে চান । যেখানে ওয়ালা-বারা বলতে তেমন কিছু থাকবে না। হিন্দুদেরকে নিম্নশ্রেণীর বলে গণ্য করা হবে না। এক ধর্মের লোকজনের একচ্ছত্র নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব থাকবে না। এই আকীদা যদিও নাস্তিকদের আকীদার সমপর্যায়ের নয়, তবুও তা ইসলামী আকীদার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। আমি যেখানে মুশতাক আহমদের ব্যাপারে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছি সেখানে এই অর্থই উদ্দেশ্য নিয়েছি। এবার আমার লেখাটি দেখা যেতে পারে…
              ---------------------------------------------------------




              [ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. # ড. মুশতাক আহমদ ] একটি বিষবাষ্প।

              ড. মুশতাক আহমদ লিখিত (শাইখুল ইসলাম সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.) কিতাবটি একটি বিষবাষ্প। লেখক তাতে জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মীয় অসাম্প্রদায়িকতার নামে হিন্দুপ্রীতি সহ আরো অনেক ভ্রান্ত আকিদা ঢুকিয়ে দিয়েছেন । একজন সাধারণ পাঠক এই কিতাবটা পড়লে তার মধ্যে এসব আকীদা ঢুকতে বাধ্য।

              ড. মুশতাক আহমদ ফরীদ মাসউদ গ্রুপের লোক। একদিকে তিনি ফরীদ মাসউদের যোগ্য আধ্যাত্নিক শাগরেদ, অন্যদিকে ফরীদ মাসউদের রাহবার। তিনি ফরীদ মাসউদদের ডান হাত। ফরীদ মাসউদ যে মিশন নিয়ে কাজ করছে, লেখকের এ কিতাব খানা সে মিশন বাস্তবায়নের পক্ষে একটা উত্তম সহায়ক।


              কিতাবের ভূমিকাতে তিনি যাদের থেকে সহায়তা পেয়েছেন তাদের শোকরিয়া আদায় করতে গিয়ে বলেন: “অভিসন্দর্ভ রচনায় আমাকে অনেক গুণীজন প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও তথ্যাবলী সরবরাহ করে কৃতার্থ করেছেন। তাঁদের মধ্যে হযর শায়খুল ইসলামের সাহেবযাদা ফেদায়ে মিল্লাত কুতবে দাওরান হযরাতুল আল্লামা সায়্যিদ আরশাদ আল-মাদানী, … আমার বিশিষ্ট শিক্ষক – যাঁর স্নেহঋণ কোন কালেই শেষ হয়নি, হবেও না – হযরতুল উস্তায মাওলানা নূর হোসাইন কাসিমী, হযরত মাওলান ফরীদ উদ্দীন মাসউদ … প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। আমি তাঁদের সবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
              পৃষ্ঠা: ১৮


              ড. মুশতাক আহমদ এ কিতাবটার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেছেন। তাগুতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাগুতদের অধীনে থেকে যে কিতাব লিখে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেছেন তাতে তাগুতদের সাহায্যার্থে, তাগুতদের খেদমতে যে অনেক কিছুই থাকবে তা তো চোখ বন্ধ করেই বলা যায়। আর বাস্তবিকই তিনি তাগুতদের সিংহাসনকে মজবুত করে মত অনেক কিছুই তাতে পেশ করেছেন।


              কিতাবের সারকথা:
              কিতাবের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লেখক সবচেয়ে জোর দিয়ে যে বিষয়টি বুঝাতে প্রয়াস পেয়েছেন তা হলো:

              ‘ইসলাম অসাম্প্রদায়িক ধর্ম। হিন্দু মুসলিম একসাথে বসবাস করবে মিলেমিশে এটাই ইসলামের শিক্ষা। এটাই আকাবিরদের আদর্শ। এমন একটা রাষ্ট্র কায়েম করা ইসলামের নির্দেশ যেখানে ধর্মের কারণে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। সবাই মিলেমিশে বসবাস করবে। সম্প্রীতির সাথে বসবাস করবে। কেউ কারো ধর্মে আঘাত করবে না। সবাই মিলেমিশে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবে। যেখানে এক ধর্মের প্রাধান্য থাকবে না। ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে সবাই বসবাস করবে। এটাই আকাবিরদের স্বপ্ন। এজন্যই তারা আন্দোলন করে গেছেন।’


              এই ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির রাষ্ট্রের প্রকৃষ্ট উদাহরণ ও দৃষ্টান্ত হিসেবে তিনি পেশ করেছেন দু’টি রাষ্ট্রকে:
              এক) ভারত।
              দুই) বাংলাদেশ।


              বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি কিতাবের শুরুতেই ভূমিকাতে বলেন: “দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে যে পাকিস্তানের জন্ম সে পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদের ভাষণে কায়িদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ঘোষণা ‘আজ থেকে কোন হিন্দু হিন্দু নয় আর কোন মুসলমান মুসলমান মুসলমান নয় বরং সবাই হবে পাকিস্তানী’ লীগের বহুল প্রচারিত ঐ দ্বিজাতিতত্বের দর্শনকে অর্থহীনে পরিণত করে দেয়। তারপর পাকিস্তানে কিছুকাল যেতে না যেতেই পাল্টা অসাম্প্রদায়িকতার আলোকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করলে সেই তত্বের অসারতা সম্পূর্ণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে শাইখুল ইসলাম – অর্থাৎ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. – জীবিত ছিলেন না। কিন্তু ভারতে তখনো তাঁর আদর্শের বহু মুজাহিদ এবং তাঁর প্রিয় সংগঠন জমইয়্যতে ওলামায়ে হিন্দের নেতৃবৃন্দ ছিলেন। তাঁরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে স্বতঃস্ফুর্ত স্বাগত জানান। মুক্তিযুদ্ধা ও ভারতে আশ্রয়রত বাংলাদেশী শরণার্থীদের সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করেন। সাংগঠনিকভাবে তদানিন্তন পাকিস্তান সরকারের জুলুম নির্যাতনের নিন্দা জ্ঞাপন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রেজুলেশন গ্রহণ করেন। তারা রাজধানী দিল্লীতে মিছিল করে গিয়ে হাই কমিশনারের নিকট স্বারকপত্র দেন… (১৯৭২ সালে পশ্চিমবঙ্গ জমইয়্যতে উলামার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ তাহির রচিত ‘বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ গ্রন্থ দ্র.)। এ সব দিক বিবেচনা করেই আমরা গবেষণা সন্দর্ভের জন্য উপরোক্ত বিষযবস্তু নির্বাচন করেছি।” পৃষ্ঠা: ১৩-১৪



              ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তি প্রসঙ্গে বলেন: “তাঁর – মাদানী রহ. এর - এই দৃষ্টিভঙ্গিই বিভক্তির পর ভারতের শাসনতন্ত্রে ধর্মনিরক্ষেতা ও সাম্প্রদায়িক সাম্যের নীতি অবলম্বনে বাধ্য করে। হিন্দু মহাসভা ও অন্যান্য উগ্রপন্থী দলগুলো পাকিস্তানে ইসলামী শাসন কায়েম শ্লোগানের বিপরীতে ভারতে হিন্দু ধর্মীয় শাসন প্রতিষ্ঠার দাবী তুলেছিল। কিন্তু অসাম্প্রদায়িকতার ধারক বিপ্লবী আলিমদের চেষ্টায় তখন ভারত হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত না হয়ে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে শাইখুল ইসলামের সফলতা অতুলনীয় বলা চলে।” পৃষ্ঠা: ৫৩২-৫৩৩


              নির্লজ্জের মত তিনি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রকে শুধু সমর্থনই করেননি বরং একেই ইসলামের শিক্ষা, আকাবিরদের স্বপ্ন এবং তাঁদের দীর্ঘদিনের জিহাদ ও সংগ্রামের উদ্দেশ্য বলে চালিয়ে দিলেন।


              হুবহু একই রকম মন্তব্যই ফরীদ মাসউদ করে যাচ্ছে। সে বলে: “ ১৮৩১ সালে বালাকোটে মুক্তির যে প্রেরণা নিয়ে শহীদ হয়েছিলেন সৈয়দ আহমদ শহীদ রহ. ও মুজাহিদীনরা, তারই ধারাবাহিকতায় ১৮৫০ সালের আজাদী ১৮৫৭ সালের আজাদী আন্দোলন, তারপর রেশমী রুমাল আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল শাইখুল হিন্দ রহ. এর হাতে। তার পরে হযরত শাইখুল হিন্দের সুযোগ্য উত্তরসূরী হযরত হুসাইন আহমদ মাদানীর আপোষহীন সংগ্রামে বৃটিশ বেনিয়ামুক্ত হয়েছিল ভারতের মাটি। কিন্তু বাংলার মানুষের তখনও মুক্তি আসেনি। ববং নতুনভাবে ভিনদেশী আক্রমণের শিকার হয়েছিল বাংলার জনগণ। এরই প্রেক্ষিতে শুরু হয় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। তাই এ মুক্তিযুদ্ধেও আলেমদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।”
              -মাসিক পাথেয়-৩৮, ডিসেম্বর ২০১৫ খৃ


              শাইখুল হিন্দ মাল্টা থেকে মুক্তির পর এবং মাদানী রহ. শাইখুল হিন্দের মৃত্যুর পর হিন্দুদের সাথে মিলে কাজ করে গেছেন। কিন্তু তাঁদের উদ্দেশ্য কখনো বর্তমান বাংলাদেশ ও ভারতের মত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা উদ্দেশ্য ছিল না। তাঁরা এককভাবে ইংরেজদেরকে হটাতে সমর্থ্য না হয়ে হিন্দুদেরকে সাথে নিয়েছেন সহযোগী হিসেবে। হিন্দু্প্রীতির কারণে তাঁরা হিন্দুদেরকে সাথে নেননি। এরপরও আমরা তাঁদের এ কাজকে সঠিক মনে করি না। তাঁরা অবশ্যই ভুল করেছেন। আমরা তাঁদের এ কাজকে সমর্থন করি না। কিন্তু লেখক তাঁদের এ ভুলটাকে ভুল হিসেবে গ্রহণ করার পরিবর্তে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। একে হিন্দুপ্রীতি ও ধর্মনিরপেক্ষতার দলীল হিসেবে গ্রহণ করছেন।


              কিতাবের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি এই ধরণের ভ্রান্ত আকীদাই বার বার বলে গেছেন। আমি বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি না। পয়েন্ট আকারে শুধু লেখকের কয়েকটা ভ্রান্ত অভিসন্ধির দিকে ইশারা করছি:
              ১. মোঘল সম্রাটগণ হিন্দুদের সাথে যেসব নাজায়েয উদারতা দেখিয়েছেন এমন তাদেরকে রাজকীয় বড় বড় পদ দিয়েছেন, সেগুলোকে নাজায়েয ও ভুল বলার পরিবর্তে অসাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার দলীলরূপে গ্রহণ করেছেন।
              ২. আকাবিরগণ যেসব ভুল করেছেন সেগুলোকেও অসাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার দলীলরূপে গ্রহণ করেছেন।
              ৩. রাজনীতিকে জিহাদ বানিয়ে দিয়েছেন।
              ৪. নফসের মুজাহাদাকে বড় জিহাদ আখ্যায়িত করেছেন।
              ৫. ‘ইসলাম তরবারির জোরে নয় আখলাকের জোরে প্রসার লাভ করেছে’ এই মতবাদকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন।
              ৬. দারুল হরব এবং দারুল ইসলামের মাসআলায় মাদানী রহ. যে ভুল করেছেন সেটাকে ভুল না ধরে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
              ৭. কাফেরদের সাথে ওলা বারার কোন খেয়াল না করে বরং তাদের সাথে সম্প্রীতিকে ইসলামের শিক্ষা এবং আকাবিরদের আদর্শ বলে সাব্যস্ত করার প্রয়াস চালিয়েছেন।
              ৮. সুফীবাদের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। শুধু তাই নয় বরং একে জরুরী ও আবশ্যক হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। ইবনে তাইমিয়া রহ. সহ অন্যান্য হকপন্থী আইম্মায়ে কেরাম যাঁরা সুফীবাদকে ভ্রান্ত বলে গেছেন তাঁদের এ মতকে তিনি ভ্রান্ত ও বাড়াবাড়ি বলে দাবি করেছেন।
              এছাড়াও আরো অনেক ভ্রান্ত আকীদা ও কর্মকে তিনি ইসলামের শিক্ষা বলে চালিয়ে দিয়েছেন।



              বি.দ্র: এ কথা অনস্বীকার্য যে, তিনি এ কিতাবে ইতিহাসের পাতা থেকে অনেক কিছুই নির্বাচন করে সারগর্ভ আকারে পেশ করেছেন, যা ইতিহাস পাঠকের জন্য উপকারী। কিন্তু সবকিছুর মূল মাকসাদ ঐগুলোই যা আমি উপরে বলে এসেছি। এজন্য ইতিহাসের অনেক কিছু তাতে থাকলেও তা একটি বিষবাষ্প ছাড়া কিছুই নয়।
              ইতিহাসের প্রাথমিক পাঠক যারা ইতিহাসের সত্য-মিথ্যা নির্ণয় করার এবং শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সেগুলোর বিধান খোঁজে বের করার যোগ্যতা রাখেন না, তাদের জন্য এ কিতাব পড়া কিছুতেই উচিৎ হবে না। আমাদের কওমী মাদ্রাসা সহ সাধারণ মানুষের মাঝেও কিতাবটির ব্যাপক প্রচলন রয়েছে লক্ষ্য করে আমি এ কথাগুলো লিখতে বাধ্য হয়েছি। যাতে আমার মুসলিম ভাইয়েরা এদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের ঈমান আমল বরবাদ না করেন। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে এবং আমার মুসলিম ভাইদেরকে তাগুত ও তাদের সহযোগীদের ষড়যন্ত্র থেকে হিফাজত কর।

              Comment


              • #8
                আসসালামু আলাইকুম৷ আল্লাহ সুব, শাইখ আহমাদ আল হিন্দি ও সকল মুজাহিদ শাইখদের হিফাজত করুন৷হযরত আপনার কুফরে আমলি সম্পর্কে যে লেখাটা ধারাবাহিক পোষ্ট দিয়েছিলেন তা কি শেষ হয়ে গেছে? শেষ হয়ে থাকলে পুরা লেখাটার ডক বা পিডিএফ লিংকটা দিলে আপনার ইলম থেকে কিছু লাভবান হতাম৷
                শত্রু অভিমুখী যুদ্ধা।

                Comment


                • #9
                  আপনি আমি কি বলতে পারবো যে দেওবন্দের প্রিন্সিপাল সেই মুজাহিদিনদের পাঠিয়েছিল সেন্ট্রালি জিহাদ করার জন্য? উত্তর হবে না।
                  এটা একটা বোকামিপূর্ণ কথা!!! একরোখা চিন্তা করলে হবে না।বিষয়গুলো শান্তভাবে বুঝতে হবে।
                  যেমনিভাবে কোন একটি প্রতিষ্ঠানের একজন ছাত্র প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও আদর্শের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোন অবিস্মরণীয় কাজ করলে তা প্রতিষ্ঠানের অবদান হবে না, তেমনিভাবে কোন প্রতিষ্ঠানের অবদান প্রমাণিত হওয়ার জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপ্যালের সেন্ট্রাল কমান্ডের ভিত্তিতে তার ব্যানারসহ কাজ করাও জরুরী না। এটা একটা অপূর্ণ চিন্তা!!

                  অনেক পূর্বে “ইবনে মুমিন” নামে জনৈক ভাই এধরণের অপূর্ণ কথাবার্তা বলেছিলেন।

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by salahuddin aiubi View Post
                    এটা একটা বোকামিপূর্ণ কথা!!! একরোখা চিন্তা করলে হবে না।বিষয়গুলো শান্তভাবে বুঝতে হবে।
                    .......................... এটা একটা অপূর্ণ চিন্তা!!
                    জাযাকাল্লাহ ভাই... দুয়া করি আপনার সাথে আমার দেখা হয়ে যাক ইংশা আল্লাহ। সেদিন এক দস্তর খানায় ভাত খেতে খেতে আলোচনা করা যাবে ইংশা আল্লাহ ।
                    "হক হকের জায়গায়
                    সম্মান সম্মানের জায়গায়
                    আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

                    Comment

                    Working...
                    X