জিহাদি মিডিয়া নিয়ে প্রথম আলোর মিথ্যাচারে ভরা প্রতিবেদন ও আমাদের বক্তব্য।
সম্প্রতি গত ১২ আগস্ট প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে কুখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা এর বাংলাদেশে জিহাদিদের অগ্রগতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপে। জিহাদ ও জিহাদিদের নিয়ে পত্রিকাগুলো অনেক প্রতিবেদনই প্রকাশ করে, যাতে সত্য খুব সামান্য থাকলেও মৌলিকভাবে পুরাটাই থাকে মিথ্যার উপর, যাক সেটা নিয়ে আমাদের মাথাব্যাথা নেই, কিন্তু উক্ত রিপোর্টে যেহেতু আপনাদের প্রিয় সাইট গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কেও মিথাচার করা হয়েছে। তাই আমরা আমাদের বক্তব্য পেশ করছি।
_ নির্বাহী এডমিন
প্রথম আলো লিখেছে-
আল-কায়েদার অনুসারী দেশীয় জঙ্গিগোষ্ঠী আনসার আল ইসলাম অনলাইনে তাদের মতাদর্শ ব্যাপকভাবে প্রচার করছে। ব্লগার হত্যার মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসা এই গোষ্ঠীটির অনলাইন প্রচার মাধ্যমগুলোতে এখন আল-কায়েদা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি ঘোষিত ‘জিহাদের সাধারণ দিকনির্দেশনা’ও বাংলায় অনুবাদ করে প্রচার করা হচ্ছে। এই দিকনির্দেশনাকে আল-কায়েদার রাজনৈতিক অভিলাষের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু আল-কায়েদাপন্থীদের এসব তৎপরতাকে খুব একটা আমলে নিচ্ছে না সরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃশ্যমান তৎপরতা মূলত আইএস মতাদর্শ অনুসারী নব্য জেএমবিকে ঘিরে।
কিন্তু আল-কায়েদাপন্থীদের এসব তৎপরতাকে খুব একটা আমলে নিচ্ছে না সরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃশ্যমান তৎপরতা মূলত আইএস মতাদর্শ অনুসারী নব্য জেএমবিকে ঘিরে।
দিকনির্দেশনা
সম্প্রতি আল-কায়েদা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি ঘোষিত জিহাদের সাধারণ দিকনির্দেশনা বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করা হয়। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আল-কায়েদা এই অঞ্চলে যে শক্ত অবস্থান গড়তে চায়, এই দিকনির্দেশনা তারই ইঙ্গিত দেয়। তাদের এই দিকনির্দেশনা রাজনৈতিক অভিলাষের নিদর্শন।
এই নির্দেশনায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। আর যদি সংঘাত অবধারিত হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে যখনই সুযোগ মিলবে, তখনই তা মিটিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গেও প্রায় একই রকম আচরণ করতে বলা হয়েছে। ইসলামি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি বা আলেমদের তাত্ত্বিকভাবে মোকাবিলা করতে বলা হয়েছে, যাতে কোনোভাবে তাঁদের সম্মানহানি না হয়। অন্যান্য ইসলামি দলের সঙ্গেও মিলিয়ে চলার নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, যাতে ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে মতপার্থক্য প্রতিবন্ধকতা না হয়ে দাঁড়ায়। প্রকাশ্য স্থান যেমন: বাজার, মসজিদ, সমাবেশ যেখানে মুসলমানদের জানমালের ক্ষতি হতে পারে, এমন জায়গায় বিস্ফোরণ বা হত্যা না ঘটাতে বলা হয়েছে। অন্য মুসলমানদের ক্ষতি না করতে বলা হয়েছে।
ওই দিকনির্দেশনা পড়ে পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, আইএসের নীতি ছিল যতখানি শক্তি আছে, তার সবটা নিয়েই আক্রমণে নামা। তাদের শত্রু-মিত্রের ধারণাটাও অনেক সাধারণীকরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে আল-কায়েদার নির্দেশনায় বলা হচ্ছে, তাদের প্রধান শত্রু যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা।
যারা জিহাদি মিডিয়ার রিলিজ গুলোতে চোখ রাখেন, তারা জেনে থাকবেন শাইখ যাওয়াহিরির “জিহাদের সাধারণ দিকনির্দেশনা” নামক গ্রন্থটি ৪/৫ বছর আগে ৭/৮/২০১৩ সালে বালাকোট মিডিয়া থেকে বাংলায় অনুবাদিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু প্রথম আলোর প্রতিবেদন দেখে যে কেউ মনে করবে, বার্তাটি সম্প্রতি অনুবাদ হয়ে বাজারে এসেছে। এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার হেতু কি???সম্প্রতি আল-কায়েদা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি ঘোষিত জিহাদের সাধারণ দিকনির্দেশনা বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করা হয়। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আল-কায়েদা এই অঞ্চলে যে শক্ত অবস্থান গড়তে চায়, এই দিকনির্দেশনা তারই ইঙ্গিত দেয়। তাদের এই দিকনির্দেশনা রাজনৈতিক অভিলাষের নিদর্শন।
এই নির্দেশনায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। আর যদি সংঘাত অবধারিত হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে যখনই সুযোগ মিলবে, তখনই তা মিটিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গেও প্রায় একই রকম আচরণ করতে বলা হয়েছে। ইসলামি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি বা আলেমদের তাত্ত্বিকভাবে মোকাবিলা করতে বলা হয়েছে, যাতে কোনোভাবে তাঁদের সম্মানহানি না হয়। অন্যান্য ইসলামি দলের সঙ্গেও মিলিয়ে চলার নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, যাতে ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে মতপার্থক্য প্রতিবন্ধকতা না হয়ে দাঁড়ায়। প্রকাশ্য স্থান যেমন: বাজার, মসজিদ, সমাবেশ যেখানে মুসলমানদের জানমালের ক্ষতি হতে পারে, এমন জায়গায় বিস্ফোরণ বা হত্যা না ঘটাতে বলা হয়েছে। অন্য মুসলমানদের ক্ষতি না করতে বলা হয়েছে।
ওই দিকনির্দেশনা পড়ে পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, আইএসের নীতি ছিল যতখানি শক্তি আছে, তার সবটা নিয়েই আক্রমণে নামা। তাদের শত্রু-মিত্রের ধারণাটাও অনেক সাধারণীকরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে আল-কায়েদার নির্দেশনায় বলা হচ্ছে, তাদের প্রধান শত্রু যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা।
নিচের লিংক থেকে সেই বহুল আলোচিত দিকনির্দেশনাটি দেখুন-
(পিডিএফ)
https://archive.org/download/Jihader...rdeshona_2.pdf
ডাবিং লেকচার
জাস্টপেস্ট
শাইখ আইমানের বাংলায় অনূদিত আরও কিছু লেখা দেখুন– https://justpaste.it/thedoctorডাবিং লেকচার
জাস্টপেস্ট
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, যোগাযোগ অ্যাপ এবং ব্লগ সাইটগুলোতে নানা নামে পেজ খুলে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে আনসার আল ইসলাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টেলিগ্রামে পেজ বা চ্যানেল খুলে এসব প্রচারণা এবং নিজেদের মধ্যেও পাঠচক্র চালাচ্ছে এই গোষ্ঠী। আল-কায়েদার কেন্দ্রীয় নেতাদের দেওয়া আরবি বা ইংরেজি বক্তব্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাংলায় অনুবাদ হয়ে চলে আসছে এসব মাধ্যমে। আপলোড হচ্ছে ছবি এবং ভিডিওচিত্র। এর মধ্যে রয়েছে রক্তাক্ত শিশু, লাশের ছবি, পোড়া ও বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, বন্দুক হাতে কিশোর ইত্যাদি ছবি এবং বলা হচ্ছে, এগুলো সিরিয়া, ইরাক, ফিলিস্তিন ও কাশ্মীরে মুসলমান নির্যাতনের ছবি। মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধে সবাইকে আহ্বান করা হচ্ছে জিহাদে যোগ দেওয়ার জন্য। একই সঙ্গে সোমালিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী আল শাবাব, নাইজেরিয়ার বোকো হারামের কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রচুর লেখা থাকে। এ ছাড়া আল-কায়েদা নেতাদের আরবিতে দেওয়া বক্তব্য বাংলায় লিখিত ও অডিও আকারেও প্রকাশ করা হয়। এসব প্রচারণা চলছে ‘হিন্দুস্তান থেকে জেরুজালেম’, ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ ইত্যাদি নানা নামে।
সম্মানিত পাঠক! বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত মুসলমানদের যে নিউজ আমরা প্রকাশ করি, অন্যান্য মানবতাবাদী মিডিয়াগুলো প্রকাশ করে, তা কি অসত্য??? প্রথম আলো গংরা কি চায়??? আমাদের নির্যাতিত মুসলমানদের নিউজ প্রকাশ করাটাও ওদের সহ্য হয় না, মুসলমানদের ভুমিতে বসে ওরা আসলে কি করতে চায়??
উপরন্তু দেখুন নাইজেরিয়ার বোকো হারাম নিয়ে নাকি প্রচুর লেখালেখি হয়, কতবড় মিথ্যাচার, প্রথমত লেখার ধরনটাই হচ্ছে যে বোকো হারামের পক্ষে লেখা হয়, সিরিয়ার তাহরির আশ শাম, কাশ্মিরের আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ, আফগানিস্তানের তালেবান, ইয়েমেনের আনসার আশ শরিয়াহ রেখে নাইজেরিয়ার বোকো হারামকে এই প্রতিবেদনে কেন জায়গা দেওয়া হল, সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। কারণ এটাও হতে পারে যে, যেহেতু সুদূর আফ্রিকার বোকো হারামের ব্যাপারে সমাজে একটি মন্দ ধারনা আছে, তাই সকল জিহাদি গ্রুপকে তাদের মত দেখিয়ে বিভ্রান্ত করা। এদিকে বোকো হারামের প্রকৃত হালতও সাধারন পাঠকরা উদ্ধার করতে সক্ষম হবে না, এক ঢিলে কয়েক পাখি মারার কৌশল বললে অতুক্তি হবে না। তবে আমাদের জানা মতে বোকো হারামের বাস্তব অবস্থা নিয়ে আর রিবাত মিডিয়া থেকে আল কায়েদার আর রিসালাহ ম্যাগাজিন এর একটি লেখা অনুবাদ হয়ে প্রকাশ হয়েছে, যাতে সুদানের জামাআত আনসারুল মুসলিমিন এর আমীর শাইখ আবু উসামা আল আনসারি স্পষ্ট বলেন-
শাইখ মুহাম্মদ ইউসুফের (রহিমাহুল্লাহ) জীবদ্দশায় তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত থাকার দরুন শুরা কমিটির পক্ষ থেকে শাইখের মিশন কার্যকরের লক্ষ্যে আবু বকর আশ-শিকাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং তার উপর জামাআহ’র আমিরের পদ অর্পণ করা হয়।
এভাবে আকিদা ও বিশ্বাসে আবু বকর আল-শিকাউ ও তার কিছু অনুসারীর মারাত্মক বিচ্যুতি প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত তাওহীদ ও জিহাদের পথে আমরা প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
যেসমস্ত মুসলিমকে তাদের অজ্ঞতার কারণে ছাড় দেওয়া উচিত,তারা তাদের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করেছিল। সমস্ত মুসলিম জনগণকে কাফের আখ্যায়িত করার ব্যাপারে তাদের মূল কারণ এই ছিল যে, তারা তাওহীদের প্রথম অংশ অর্থাৎ তাগুতের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকে উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাদের সন্তানরা তখনো সরকারি স্কুলে পড়তে যেত এবং তারা গণতান্ত্রিক নির্বাচনসমূহে অংশগ্রহণ করত। এর পরিণাম ছিল অত্যন্ত জঘন্য। তারা মুসলিমদের সম্পদ ও ইজ্জতকে হালাল সাব্যস্ত করে এবং নির্বিচারে মুসলিমদের রক্ত প্রবাহের এক সামরিক অভিযানের সূচনা ঘটায়। বস্তুত আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সাহায্যকারী নেই।
তারা আল্লাহর আয়াতসমূহের অন্যায় ও ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ভ্রান্ত ও প্রতারণামূলক অভিযোগ আরোপ করে। এ ধরনের ভয়ঙ্কর ব্যাখ্যাগুলো শুধু কোনো বইয়ে লিখিতভাবে কিংবা অডিও আকারেই প্রকাশ করা হয়নি, বরং নাইজেরিয়ার মুসলিম জনসাধারণকে প্রভাবান্বিত করার লক্ষ্যে এগুলোর নৃশংস বাস্তবায়নও ঘটিয়েছিল। নিরীহ মুসলিমরা তাদের নিজেদের বাসস্থান ও কর্মক্ষেত্রে হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছিল। নির্বিচারে শতশত মুসলিম হত্যা, ইয়োবা প্রদেশের “ফুটাকাসম” মার্কেটে জোরপূর্বক তাদের সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়া এবং বরনু প্রদেশের “বাক্বা স্টেশন” মাছ বাজারে মুসলিমদের উপরে চালানো হত্যাকাণ্ড হলো উম্মাহর বিরুদ্ধে শিকারিদল কর্তৃক সংঘটিত বর্বরতার দু’টি উদাহরণ। আল্লাহর আয়াতসমূহের ভুল ব্যাখ্যা করে তারা বরনু প্রদেশের দাম্বুরে নিরীহ জনগণের উপর এলোপাতাড়ি আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় অস্পষ্ট তথ্যের উপর ভিত্তি করে একত্রে ১২ জন নাগরিককে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়। তারা মুসলিমদের রক্ত প্রবাহের ক্ষেত্রে কোনো বাছ-বিচার করেনি। নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর নিকট এরূপ সীমালঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ড থেকে পানাহ চাচ্ছি।
যেহেতু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিকনির্দেশনা হলো-
” انْصُرْ أَخَاكَ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا ”
“তুমি তোমার ভাইকে সাহায্য করো, সে অত্যাচারিত বা অত্যাচারী যাই হোক না কেন।” -সহিহ বুখারী ৬৯৫২
তাই আমরা আবু বকর আশ-শিকাউর সংশোধনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলাম।এই ব্যাপারটি বাকি মুজাহিদদের মধ্যে জানাজানি হয়ে যাওয়ার আগে আমরা তাকে গোপনে উপদেশ প্রদান করেছিলাম।
যাইহোক সে ও তার অনুসারীরা মিলে সংশোধিত হতে অস্বীকৃতি জানাল। নিজেদের মতের উপরে অটল থাকল এবং মুসলিমদের রক্ত প্রবাহ অব্যাহত রাখল। তার মনোভাবে অহংকার প্রকাশ পেতো এবং সে এমন আচরণ করত যেন ইসলামীতত্ত্ব বিষয়ে সৃষ্টিকুলের মধ্যে তার চেয়ে অধিক জ্ঞানী আর কেউ নেই।
শিকাউর পথভ্রষ্টতার মধ্যে ছিল নিজেকে মুসলিমদের সাধারণ আমির মনে করা এবং নাইজেরিয়ার মুসলিমদের জন্য তাকে বায়াহ প্রদান আবশ্যক বিবেচনা করা ও তার দলত্যাগকারীদের মুরতাদ গণ্য করা।
এভাবেই সে তার বিরোধিতাকারী ও অমান্যকারীদের রক্ত ও সম্পদকে হালাল করে নিয়েছিল এবং সে এমন নির্মম আদেশ দিত, যেগুলো ঠিকমত মানা না হলে কঠিন শাস্তি পেতে হতো।
এরকম পথভ্রষ্টতা ও উম্মাহর বিরুদ্ধে এরূপ সীমালঙ্ঘনের জন্য আমরা শিকাউ-এর জামাআত “আহলুস সুন্নাহ লিদ দাওয়াহ ওয়াল জিহাদ” সংগঠন, যা মূলত “বোকো হারাম” নামে বেশি পরিচিত, হতে নিজেদের বিচ্ছিন্ন হওয়াকে আবশ্যক বলে মনে করি। এবং এটাও আবশ্যক মনে করি যে, মুজাহিদদের অন্তরে তাদের ন্যায় বিপদগামী ও বিপদজনক আদর্শ রোপন করা থেকে বিরত থাকা উচিত, কেননা তা আমাদের এই মহান ও মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
তাই আলেম ও কমান্ডারদের মধ্য থেকে অভিজ্ঞ কিছু ভাইয়েরা একটি নতুনগ্রুপ গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যার আকিদা ও বিশ্বাস হবে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র কার্যপদ্ধতির আলোকে এবং যার ভিত্তি স্থাপিত হবে আল্লাহর কিতাব ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঠিক সুন্নাহর অনুসরণে।
পূর্ণ বার্তাটি পড়ুন-
Comment