আরেকটি আপত্তি:
কেউ কেউ হয়তো আরো একটি আপত্তি করতে পারেন যে, সিয়াসত ও খেলাফত অত্যন্ত বড় একটি বিষয়। আপনি যার কিতাবের পর্যালোচনা লিখতে যাচ্ছেন তিনিও একজন বড় ব্যক্তিত্ব। কাজেই আপনার কাজটা অত্যন্ত বড় একটা কাজ। এ কাজের জন্য আপনি নিজেকে কিভাবে উপযুক্ত মনে করলেন? এ কাজের জন্য তো বড় বড় হাস্তি দরকার। তারা সেটার উপযুক্ত। আপনি ছোট মানুষ হয়ে এত বড় কাজের সাহস কিভাবি করলেন?
জওয়াব দেয়ার আগে এক বড় ব্যক্তির একটা কাহিনী শুনাই।
এক বড় ব্যক্তির কাছে আসিম উমার হাফিযাহুল্লাহ এর ‘আদইয়ান কি জঙ্গ’ কিতাবটি পৌঁছল। কিতাব দেখে তিনি মন্তব্য করলেন, এত বড় বিষয়ে কলম ধরার জন্য আসেম উমারের মত সাধারণ ব্যক্তি কেন?? এর জন্য বড় বড় উলামায়ে কেরাম আছেন। তারা তাতে কলম ধরবেন। আসেম আবার উমার কলম ধরার কে??
আশ্চর্য্যের বিষয়! গোটা উপমহাদেশের মুজাহিদদের আমীর আসিম উমারকে তিনি যোগ্য মনে করলেন না অথচ তিনি নিজেই খেলাফত ও রাজনীতি বিষয়ে একটি কিতাব লিখেছেন, যেখানে তিনি মুফতি তাকী উসমানী সাহেবের চেয়েও আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। আল্লাহ মা’লূম তিনি নিজেকে কিভাবে এ বিষয়ে কলম ধরার যোগ্য মনে করলেন।
যাহোক, এবার আসুন জওয়াবে যাই… বড়রা থাকতেও আমি কেন কলম ধরলাম!!
জওয়াব সহজ। বড়রা যখন কলম ধরছেন না তখন ছোটদেরকেই ধরতে হবে।
প্রশ্ন: বড়রা কলম ধরছেন না কেন?
উত্তর: বড়রা বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ হয়ে আছেন,
ক. অনেক বড়’র অবস্থা হচ্ছে যেমন আমি একেবারে শুরুতে বলেছি,“বর্তমান বিশ্বপরিস্থিতিতে আলেম উলামাদের অনেকের কাছে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার ময়দানে কিতাবটি দিশারী হিসেবে গৃহিত হয়েছে। কিতাবটি হাতে পেয়ে অনেকে যেন বর্তমান সময়ের অনেক জটিল সমস্যার সঠিক সমাধান পেয়ে গেছেন। ইসলামী রাজনীতির সঠিক নির্দেশনা পেয়ে গেছেন বলে মনে করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে হিন্দুস্তানী একজন লেখকের এমন একটি কিতাবকে সারা দুনিয়ার মুসলমানদের চলার পথের পাথেয় ও যথাযোগ্য রাহবার বলে মনে করছেন। কিতাব ও কিতাবের লিখককে হিন্দুস্তানের গৌরব বলে মনে করছেন।”
তারা কিতাব এবং কিতাবের আদর্শ প্রচার প্রসারের যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।
খ. অনেক বড়’র অবস্থা একটু আগে যে বড়’র কথা শোনালাম তার মত।
গ. অনেক বড়’র বড় কাজ আছে। তারা সেগুলোতেই ব্যস্ত। এসব বিষয়ে মনোযোগ দেয়ার মত সময় তাদের হাতে নেই।
ঘ. অনেক বড় অনেক বড় বুযুর্গ। তারা রাজনীতির ময়দান থেকে যেমন দূরে থাকাকে সালামাত মনে করেন, তার আলোচনা থেকে দূরে থাকাকেও তেমনি সালামতের কারণ মনে করেন।
ঙ. অনেক বড় কিতাবের বিষয়বস্তুর ব্যাপারে সংশয়ে আছেন। সঠিক সমাধান কি বুঝতে পারছেন না।
চ. অনেক বড় সমালোচনা লিখতে হিম্মত করতে পারছেন না। কারণ, এতে তাঁর মানসাব ছুটে যাওয়ার কিংবা সমালোচনা লিখতে গিয়ে নিজেই সমালোচিত হওয়ার কিংবা সরকারের রোষানলে পড়ার; জঙ্গী, উগ্রবাদি, তাকফীরি ইত্যাদী অনাকাঙ্খিত পদবীতে ভূষিত হওয়ার আশংখায় আছেন। তাই কলম ধরতে পারছেন না।
বড়রা উপরোল্লিখিত কারণসমূহ এবং এছাড়াও আরোও বিভিন্ন কারণে কলম ধরতে পারছেন না। কিন্তু কিতাবের আদর্শ তো আর থেমে থাকছে না। তা তো দিন দিন প্রচার হয়ে চলছে। এমতাবস্থায় ছোটদের উপরেই কলম ধরার দায়িত্ব বর্তায়।
তবে আরেক প্রকার বড় আছেন যারা কলম ধরতে চান। কিন্তু বিভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে কিংবা উম্মাহর বড় কোন খিদমাতে লিপ্ত থাকার কারণে কলম ধরতে পারছেন না। তবে আকাঙ্খা করছেন- যদি কেউ কলম ধরতো! তারা যদি শুনেন আমি কলম হাতে নিয়েছি তাহলে তারা আমার জন্য প্রাণভরে দোয়া করবেন। এই বড়দের দোয়া লাভের নিমিত্তে কলম ধরছি। মুসলিম ভাই-বোনদের সামান্য হলেও ফায়েদা হবে, কিছু না কিছু হলেও বিভ্রান্তির অপনোদন হবে আশা করে কলম ধরছি।
পর্যালোচনার বিষয়াবলী:
কিতাবে পর্যালোচনার অনেক কিছু রয়েছে। সবগুলো পর্যালোচনা করতে গেলে দীর্ঘ সময়, শ্রম ও সবর প্রয়োজন। মৌলিকভাবে যেসব বিষয়ে পর্যালোচনা করতে চাচ্ছি সেগুলো নিম্নরূপ:
১. শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নামায-রোযা ইত্যাদী বিধান পালন করতে পারাই কি দ্বীনে ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্য না’কি রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামী শাসন কায়েম করারও উদ্দেশ্য?
২. খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি সম্পর্কে ইসলামে সুস্পষ্ট কোন নির্দেশনা আছে কি? গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় মন্ত্রী, এমপি ও রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনের পদ্ধতি কি ইসলামী পদ্ধতি?
৩. সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনের যে পদ্ধতি তাকী উসমানী সাহেব বাতলিয়েছেন তার পর্যালোচনা। পাঁচ বছর বা অন্য কোন নির্দিষ্ট মেয়াদে খলিফা নির্ধারণের নজীর কি ইসলামের ইতিহাসে আছে? এতে কি শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে কোন আপত্তি আছে?
৪. গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচিত রাষ্ট্র প্রধান ও মন্ত্রী এমপিরা কোন পন্থায় নির্বাচিত: উম্মাহ স্বত: স্ফূর্ত নির্বাচন? না’কি জবর দখল?
৫. জবরদস্তী ক্ষমতাদখলকারীর আনুগত্য করা কি মুসলমানদের উপর আবশ্যক? হলে কখন? যে কেউ ক্ষমতা দখল করে নিলেই কি তার আনুগত্য করা ফরয হয়ে যাবে?
৬. মুসলিম বিশ্বে একই সময়ে একাধিক খলিফা হতে পারে কি? কুফরী আইন দিয়ে শাসনকারী শাসকবর্গ কি ইসলামের দৃষ্টিতে নিজ নিজ রাষ্ট্রে উক্ত রাষ্ট্রের মুসলমানদের ইমাম, খলিফা বা সুলতান হিসেবে গণ্য? তাদের আনুগত্য কি ফরয?
৭. শূরা এবং তৎসংশ্লিষ্ট কতক বিষয়। মহিলা এবং কাফের কি মজলিসে শূরার সদস্য হতে পারে?
৮. ইসলামী হুকুমতের উদ্দেশ্য এবং তৎসংশ্লিষ্ট তাকী উসমানী সাহেবের বক্তব্য।
৯. কাফেরদের সাথে মুসলমানদের সম্পর্কের ধরণ কিরূপ: বন্ধুত্বের? সহমর্মিতার? না’কি দুশমনির? কাফের রাষ্ট্রের সাথে ইসলামী রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি কেমন হবে?
১০. কাফেরদের সাথে সন্ধির বিধান কি? চুক্তি কখন বৈধ আর কখন অবৈধ?
১১. আহলে যিম্মা কারা? বর্তমান মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে বসবাসরত কাফেররা কি শরীয়তের দৃষ্টিতে আহলে যিম্মা বলে গণ্য?
১২. দারের প্রকারভেদ। দারুল ইসলাম ও দারুল হরব কাকে বলে? কুফরী আইন দিয়ে শাসিত গণতান্ত্রিক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্রগুলো দারুল ইসলাম না দারুল হরব?
১৩. ইসলামে কি শুধু দিফায়ী-আত্নরক্ষামূলক জিহাদই ফরয না’কি ইকদামী-আক্রমণাত্নক জিহদাও ফরয? ইকদামী জিহাদের স্বরূপ বিশ্লেষণ।
১৪. শাসক কত প্রকার? তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিধান কি? বর্তমান গণতান্ত্রিক শাসকদের বিরুদ্ধে জিহাদের কি হুকুম?
এছাড়াও প্রসঙ্গত আরোও বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসবে ইনশাআল্লাহ!
কেউ কেউ হয়তো আরো একটি আপত্তি করতে পারেন যে, সিয়াসত ও খেলাফত অত্যন্ত বড় একটি বিষয়। আপনি যার কিতাবের পর্যালোচনা লিখতে যাচ্ছেন তিনিও একজন বড় ব্যক্তিত্ব। কাজেই আপনার কাজটা অত্যন্ত বড় একটা কাজ। এ কাজের জন্য আপনি নিজেকে কিভাবে উপযুক্ত মনে করলেন? এ কাজের জন্য তো বড় বড় হাস্তি দরকার। তারা সেটার উপযুক্ত। আপনি ছোট মানুষ হয়ে এত বড় কাজের সাহস কিভাবি করলেন?
জওয়াব দেয়ার আগে এক বড় ব্যক্তির একটা কাহিনী শুনাই।
এক বড় ব্যক্তির কাছে আসিম উমার হাফিযাহুল্লাহ এর ‘আদইয়ান কি জঙ্গ’ কিতাবটি পৌঁছল। কিতাব দেখে তিনি মন্তব্য করলেন, এত বড় বিষয়ে কলম ধরার জন্য আসেম উমারের মত সাধারণ ব্যক্তি কেন?? এর জন্য বড় বড় উলামায়ে কেরাম আছেন। তারা তাতে কলম ধরবেন। আসেম আবার উমার কলম ধরার কে??
আশ্চর্য্যের বিষয়! গোটা উপমহাদেশের মুজাহিদদের আমীর আসিম উমারকে তিনি যোগ্য মনে করলেন না অথচ তিনি নিজেই খেলাফত ও রাজনীতি বিষয়ে একটি কিতাব লিখেছেন, যেখানে তিনি মুফতি তাকী উসমানী সাহেবের চেয়েও আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। আল্লাহ মা’লূম তিনি নিজেকে কিভাবে এ বিষয়ে কলম ধরার যোগ্য মনে করলেন।
যাহোক, এবার আসুন জওয়াবে যাই… বড়রা থাকতেও আমি কেন কলম ধরলাম!!
জওয়াব সহজ। বড়রা যখন কলম ধরছেন না তখন ছোটদেরকেই ধরতে হবে।
প্রশ্ন: বড়রা কলম ধরছেন না কেন?
উত্তর: বড়রা বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ হয়ে আছেন,
ক. অনেক বড়’র অবস্থা হচ্ছে যেমন আমি একেবারে শুরুতে বলেছি,“বর্তমান বিশ্বপরিস্থিতিতে আলেম উলামাদের অনেকের কাছে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার ময়দানে কিতাবটি দিশারী হিসেবে গৃহিত হয়েছে। কিতাবটি হাতে পেয়ে অনেকে যেন বর্তমান সময়ের অনেক জটিল সমস্যার সঠিক সমাধান পেয়ে গেছেন। ইসলামী রাজনীতির সঠিক নির্দেশনা পেয়ে গেছেন বলে মনে করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে হিন্দুস্তানী একজন লেখকের এমন একটি কিতাবকে সারা দুনিয়ার মুসলমানদের চলার পথের পাথেয় ও যথাযোগ্য রাহবার বলে মনে করছেন। কিতাব ও কিতাবের লিখককে হিন্দুস্তানের গৌরব বলে মনে করছেন।”
তারা কিতাব এবং কিতাবের আদর্শ প্রচার প্রসারের যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।
খ. অনেক বড়’র অবস্থা একটু আগে যে বড়’র কথা শোনালাম তার মত।
গ. অনেক বড়’র বড় কাজ আছে। তারা সেগুলোতেই ব্যস্ত। এসব বিষয়ে মনোযোগ দেয়ার মত সময় তাদের হাতে নেই।
ঘ. অনেক বড় অনেক বড় বুযুর্গ। তারা রাজনীতির ময়দান থেকে যেমন দূরে থাকাকে সালামাত মনে করেন, তার আলোচনা থেকে দূরে থাকাকেও তেমনি সালামতের কারণ মনে করেন।
ঙ. অনেক বড় কিতাবের বিষয়বস্তুর ব্যাপারে সংশয়ে আছেন। সঠিক সমাধান কি বুঝতে পারছেন না।
চ. অনেক বড় সমালোচনা লিখতে হিম্মত করতে পারছেন না। কারণ, এতে তাঁর মানসাব ছুটে যাওয়ার কিংবা সমালোচনা লিখতে গিয়ে নিজেই সমালোচিত হওয়ার কিংবা সরকারের রোষানলে পড়ার; জঙ্গী, উগ্রবাদি, তাকফীরি ইত্যাদী অনাকাঙ্খিত পদবীতে ভূষিত হওয়ার আশংখায় আছেন। তাই কলম ধরতে পারছেন না।
বড়রা উপরোল্লিখিত কারণসমূহ এবং এছাড়াও আরোও বিভিন্ন কারণে কলম ধরতে পারছেন না। কিন্তু কিতাবের আদর্শ তো আর থেমে থাকছে না। তা তো দিন দিন প্রচার হয়ে চলছে। এমতাবস্থায় ছোটদের উপরেই কলম ধরার দায়িত্ব বর্তায়।
তবে আরেক প্রকার বড় আছেন যারা কলম ধরতে চান। কিন্তু বিভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে কিংবা উম্মাহর বড় কোন খিদমাতে লিপ্ত থাকার কারণে কলম ধরতে পারছেন না। তবে আকাঙ্খা করছেন- যদি কেউ কলম ধরতো! তারা যদি শুনেন আমি কলম হাতে নিয়েছি তাহলে তারা আমার জন্য প্রাণভরে দোয়া করবেন। এই বড়দের দোয়া লাভের নিমিত্তে কলম ধরছি। মুসলিম ভাই-বোনদের সামান্য হলেও ফায়েদা হবে, কিছু না কিছু হলেও বিভ্রান্তির অপনোদন হবে আশা করে কলম ধরছি।
পর্যালোচনার বিষয়াবলী:
কিতাবে পর্যালোচনার অনেক কিছু রয়েছে। সবগুলো পর্যালোচনা করতে গেলে দীর্ঘ সময়, শ্রম ও সবর প্রয়োজন। মৌলিকভাবে যেসব বিষয়ে পর্যালোচনা করতে চাচ্ছি সেগুলো নিম্নরূপ:
১. শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নামায-রোযা ইত্যাদী বিধান পালন করতে পারাই কি দ্বীনে ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্য না’কি রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামী শাসন কায়েম করারও উদ্দেশ্য?
২. খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি সম্পর্কে ইসলামে সুস্পষ্ট কোন নির্দেশনা আছে কি? গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় মন্ত্রী, এমপি ও রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনের পদ্ধতি কি ইসলামী পদ্ধতি?
৩. সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনের যে পদ্ধতি তাকী উসমানী সাহেব বাতলিয়েছেন তার পর্যালোচনা। পাঁচ বছর বা অন্য কোন নির্দিষ্ট মেয়াদে খলিফা নির্ধারণের নজীর কি ইসলামের ইতিহাসে আছে? এতে কি শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে কোন আপত্তি আছে?
৪. গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচিত রাষ্ট্র প্রধান ও মন্ত্রী এমপিরা কোন পন্থায় নির্বাচিত: উম্মাহ স্বত: স্ফূর্ত নির্বাচন? না’কি জবর দখল?
৫. জবরদস্তী ক্ষমতাদখলকারীর আনুগত্য করা কি মুসলমানদের উপর আবশ্যক? হলে কখন? যে কেউ ক্ষমতা দখল করে নিলেই কি তার আনুগত্য করা ফরয হয়ে যাবে?
৬. মুসলিম বিশ্বে একই সময়ে একাধিক খলিফা হতে পারে কি? কুফরী আইন দিয়ে শাসনকারী শাসকবর্গ কি ইসলামের দৃষ্টিতে নিজ নিজ রাষ্ট্রে উক্ত রাষ্ট্রের মুসলমানদের ইমাম, খলিফা বা সুলতান হিসেবে গণ্য? তাদের আনুগত্য কি ফরয?
৭. শূরা এবং তৎসংশ্লিষ্ট কতক বিষয়। মহিলা এবং কাফের কি মজলিসে শূরার সদস্য হতে পারে?
৮. ইসলামী হুকুমতের উদ্দেশ্য এবং তৎসংশ্লিষ্ট তাকী উসমানী সাহেবের বক্তব্য।
৯. কাফেরদের সাথে মুসলমানদের সম্পর্কের ধরণ কিরূপ: বন্ধুত্বের? সহমর্মিতার? না’কি দুশমনির? কাফের রাষ্ট্রের সাথে ইসলামী রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি কেমন হবে?
১০. কাফেরদের সাথে সন্ধির বিধান কি? চুক্তি কখন বৈধ আর কখন অবৈধ?
১১. আহলে যিম্মা কারা? বর্তমান মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে বসবাসরত কাফেররা কি শরীয়তের দৃষ্টিতে আহলে যিম্মা বলে গণ্য?
১২. দারের প্রকারভেদ। দারুল ইসলাম ও দারুল হরব কাকে বলে? কুফরী আইন দিয়ে শাসিত গণতান্ত্রিক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট রাষ্ট্রগুলো দারুল ইসলাম না দারুল হরব?
১৩. ইসলামে কি শুধু দিফায়ী-আত্নরক্ষামূলক জিহাদই ফরয না’কি ইকদামী-আক্রমণাত্নক জিহদাও ফরয? ইকদামী জিহাদের স্বরূপ বিশ্লেষণ।
১৪. শাসক কত প্রকার? তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিধান কি? বর্তমান গণতান্ত্রিক শাসকদের বিরুদ্ধে জিহাদের কি হুকুম?
এছাড়াও প্রসঙ্গত আরোও বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসবে ইনশাআল্লাহ!
Comment