প্রসিদ্ধ এক দারুল ইফতায় মনসুর হাল্লাজের ব্যাপারে একটা ইস্তিফতা আসলো। দ্বিতীয় বর্ষের এক তালিবুল ইলমের দায়িত্বে পড়লো ফতোয়াটা লিখার। সে ইতিহাসের বিভিন্ন কিতাব খুলে দেখলো: সবাই লিখেছেন, ‘সে মুরতাদ ছিল, এ কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
তালিবুল ইলম উস্তাদকে জানালো, ইতিহাসের কিতাবাদিতে তাকে মুরতাদ লেখা হয়েছে। উস্তাদ বড়ই আজীব জওয়াব দিলেন। উস্তাদ জওয়াব দিলেন, ইতিহাসে যা-ই লিখুক, আমাদের আকাবিরগণ তাকে কাফের বলেন না। আমরা আমাদের আকাবিরদের কথার বাইরে যাবো না। তুমি আকাবিরদের রায় মতোই ফতোয়া লেখ।
শাগরেদ তাই করলো। তামরীনের সংখ্যা বাড়ানো আর উস্তাদের নেক নজর লাভের জন্য, ঐতিহাসিক মুলহিদ-যিন্দিক ও মুরতাদকে বিশ্ব-বিখ্যাত সূফী-দরবেশ ফতোয়া দিল।
আল্লাহ তাআলা কত সুন্দরই না বলেছেন,
ثُمَّ إِنَّ مَرْجِعَهُمْ لَإِلَى الْجَحِيمِ إِنَّهُمْ أَلْفَوْا آبَاءَهُمْ ضَالِّينَ فَهُمْ عَلَى آثَارِهِمْ يُهْرَعُونَ
‘তারপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের আগুনে। তারা তাদের বাপ-দাদাদের পথভ্রষ্ট পেয়েছিল। অত:পর তারা তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণে ছুটে চলেছে।’ [আস-সাফফাত: ৬৮-৭০] ইমাম নাসাফী রহ. (মৃত্যু: ৭১০) যথার্থই ব্যাখ্যা দিয়েছেন-
علل استحقاقهم للوقوع في تلك الشدائد بتقليد الآباء في الدين واتباعهم إياهم في الضلال وترك اتباع الدليل. اهـ
“আল্লাহ তাআলা এরা ঐসব মহা মুসিবতে আপতিত হওয়ার উপযুক্ত কেন হলো, তার কারণ বাতলিয়েছেন- এরা দ্বীনের বিষয়ে তাদের বাপ-দাদাদের তাকলীদ করতো। দলীলের অনুসরণ ছেড়ে তাদের বাপ-দাদাদের গোমরাহির অনুসরণ করতো।” [তাফসীরে নাসাফী: ৩/১২৬]
Comment