বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
সম্প্রতিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইজরাইলের রাজধানী ঘোষণা করে সারা বিশ্বে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন। ফলে মসজিদে আকসায় যায়নবাদীদের তৃতীয় টেম্পল নির্মাণের পথ আরো একধাপ এগিয়ে গেল।
ইহুদীবাদ ও যায়নবাদঃ ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাস, লক্ষ্য ও ষড়যন্ত্র জানতে হলে আমাদের ইহুদিবাদ ও যায়নবাদ কি তা বুঝতে হবে।
zionism হচ্ছে ইহুদিদের একটা রাজনৈতিক আন্দোলন।ইহুদিদের জন্য ফিলিস্তিনে বিকৃত তাওরাতে বলা promised land প্রতিষ্ঠার জন্য তারা যে আন্দোলন করে তাই হচ্ছে zionism। ইহুদীনেতা ও দার্শনিক থিওডর হার্জল ১৮৯৭ সালে ইহুদীদের এক সম্মেলনে এর রূপরেখা দেখায়।
Zionism এর উদ্দেশ্য হল তাদের বিকৃত ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত promised land এর এরিয়াকে নিজেদের অধিকারে নিয়ে আসা। এবং old and new testament এ বর্ণিত ‘প্রমিসড রাজা’ (ইসলামে যে দাজ্জাল নামে পরিচিত) আসার ক্ষেত্র সৃষ্টি করা, এজন্য তারা তাদের মতবাদ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং বিশ্বের বড় বড় পর্যায়কে নিজেদের হাতে নিচ্ছে, শর্তমতে রাজা আগমনের পূর্বে তাদের কথিত টেম্পল তৈরি করা।যা তৈরির জন্য অলরেডি প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।
যায়োনিস্ট হওয়ার জন্য ইহুদী হওয়া শর্ত নয়। অনেক উগ্র খ্রিষ্টানও যায়ন মতবাদে বিশ্বাসী।
Judaism হচ্ছে মূল ইহুদী ধর্ম, যেখানে ঈসা(আঃ)এর আগমনের কথা বলা হয়েছে কিন্তু ইহুদীরা তাকে মেনে নেয় নি। এরপর মুহাম্মদ(সাঃ) কেও মেনে নেয় নি। প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের ত্রানকর্তার ভুল ব্যাখ্যা করে গোমরাহিতে পতিত হয়েছে। ইহুদী ধর্ম অনুযায়ী ত্রানকর্তা এসে সারা বিশ্বে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে কিন্তু তাদের ভুলব্যাখ্যার জন্য ‘দাজ্জাল’ হবে তাদের চোখে মাসীহ(ত্রাণকর্তা)।
মার্কিন মিশনারি ওয়েন বলেছেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ইসরাইল রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জেরুসালেমকে এর রাজধানী করার পর শুধুমাত্র হাইকাল তথা ৩য় টেম্পল পুনঃনির্মাণ বাকি আছে। এর ফলে মাসীহ(আঃ)এর আগমন ঘটবে। ইহুদীরা খ্রিষ্টানদের সহযোগিতায় মসজিদে আকসা ভেঙ্গে সেখানে তাদের কথিত ৩য় টেম্পল তৈরি করবে। ইহুদী সন্ত্রাসবাদীরা মুসলমানদের পবিত্র স্থানকে উড়িয়ে দিবে এবং ধর্মযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য মুসলমানদেরকে উসকানি দিবে। এর ফলে মাসীহ আসবেন এবং তাতে হস্তক্ষেপ করবেন। আমরা বিশ্বাস করি যে ৩য় টেম্পল নির্মিত হওয়া উচিত।” [source: Prophecy & Politicsby grace halsell,USA]
নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলেও জেরুসালেম ও আল আকসার প্রকৃত উত্তরাধিকারী হল মুসলিমরা। কেননা ইহুদীরা যাদের অনুসারী বলে দাবি করে সেই দাউদ(আঃ) ও সুলাইমান(আ)এর আনীত দ্বীনের উপর তারা ছিল না। নবী মুসা(আ) এর মাধ্যমে ইহুদীদের উপর অবতীর্ণ আসমানি কিতাব তাওরাত(যা বর্তমানে বিকৃত) তূর পাহাড়ে নাযিল হলেও তিনি ফিলিস্তিনে বাস করেননি এবং ইহুদীদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সম্ভবও হয়নি। তাই জেরুসালেম, তাওরাত বা ইহুদীদের ভূমি সংক্রান্ত ইসরাইলী দাবি অর্থহীন। বরং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জেরুসালেম তথা বাইতুল মাকদিস থেকে মিরাজে যাওয়ার কারণে এবং পূর্ববর্তী অসংখ্য নবী রাসুলের ইবাদাতের কেন্দ্র হওয়ার কারণে তা ইসলামেরই পবিত্র স্থান ও পুন্যভূমি।
এখানেএকটি বিষয় লক্ষণীয় যে খ্রিষ্টানরাও মাসীহের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই যে এই মাসীহ হবেন আমাদের মুসলিমদের মাসীহ ঈসা(আঃ)। যিনি খ্রিষ্টান ও ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন। যা ইসলামে “মালহামা” তথা ভয়ঙ্কর বিশ্বযুদ্ধ নামে পরিচিত এবং খ্রিষ্টানদের কাছে “আরমাগেড্ডন”নামে পরিচিত। কাফের, মুশরিক কিংবা অন্য যেকোনো শ্রেণীভুক্ত প্রতিটি সেনাদলের একটি যুদ্ধাদর্শ ও বিশ্বাস থাকা আবশ্যক; যাকে ভিত্তি করতঃ তারা অন্যদের বিরুদ্ধে লড়বে। আর এজন্যই মনস্তাত্ত্বিক নির্দেশনা প্রদানের বিষয়টি নাম সর্বস্ব প্রতিটি সেনাবাহিনীর শীর্ষ নীতি ও প্রণালীর অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ব্যাবস্থাপনা ও প্রক্রিয়া সম্পন্নে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের গুরুদায়িত্ব হচ্ছে, সৈন্যদের অন্তরে এ আদর্শ ও বিশ্বাসের বীজ বদ্ধমূল করা। এমনকি নাস্তিক*্যবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ সেনাবাহিনীসমূহও নিজস্ব মানস ও বুদ্ধিবৃত্তির চালিকাশক্তি স্বরূপ শয়তানের কুমন্ত্রনা ও কুপ্ররোচনা উদ্ভূত মিথ্যা চেতনা-বিশ্বাস রচনা করে থাকে। উদাহারণতঃ নিজেদের জাতীয়তা ও আত্মপরিচয়কে অপরাপর জাতি-গোষ্ঠী অপেক্ষা অতিউর্দ্ধে গগান করা, সাধারণের মাঝে তাদের মৌল নীতি- আদর্শের প্রসার ঘটানো, ভূ-মাটি ও হীন জাতীয়তা রক্ষার্থে প্রতিরোধ যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া কিংবা এ জাতীয় ভ্রান্ত ধারণা-বিশ্বাস পোষণ করা। ইত্যাদি আকীদা-বিশ্বাসের মাধ্যমেই মূলত তারা নিজেদের সেনাসদস্যদের অসম যুদ্ধের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে থাকে।
সম্প্রতিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইজরাইলের রাজধানী ঘোষণা করে সারা বিশ্বে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন। ফলে মসজিদে আকসায় যায়নবাদীদের তৃতীয় টেম্পল নির্মাণের পথ আরো একধাপ এগিয়ে গেল।
ইহুদীবাদ ও যায়নবাদঃ ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাস, লক্ষ্য ও ষড়যন্ত্র জানতে হলে আমাদের ইহুদিবাদ ও যায়নবাদ কি তা বুঝতে হবে।
zionism হচ্ছে ইহুদিদের একটা রাজনৈতিক আন্দোলন।ইহুদিদের জন্য ফিলিস্তিনে বিকৃত তাওরাতে বলা promised land প্রতিষ্ঠার জন্য তারা যে আন্দোলন করে তাই হচ্ছে zionism। ইহুদীনেতা ও দার্শনিক থিওডর হার্জল ১৮৯৭ সালে ইহুদীদের এক সম্মেলনে এর রূপরেখা দেখায়।
Zionism এর উদ্দেশ্য হল তাদের বিকৃত ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত promised land এর এরিয়াকে নিজেদের অধিকারে নিয়ে আসা। এবং old and new testament এ বর্ণিত ‘প্রমিসড রাজা’ (ইসলামে যে দাজ্জাল নামে পরিচিত) আসার ক্ষেত্র সৃষ্টি করা, এজন্য তারা তাদের মতবাদ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং বিশ্বের বড় বড় পর্যায়কে নিজেদের হাতে নিচ্ছে, শর্তমতে রাজা আগমনের পূর্বে তাদের কথিত টেম্পল তৈরি করা।যা তৈরির জন্য অলরেডি প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।
যায়োনিস্ট হওয়ার জন্য ইহুদী হওয়া শর্ত নয়। অনেক উগ্র খ্রিষ্টানও যায়ন মতবাদে বিশ্বাসী।
Judaism হচ্ছে মূল ইহুদী ধর্ম, যেখানে ঈসা(আঃ)এর আগমনের কথা বলা হয়েছে কিন্তু ইহুদীরা তাকে মেনে নেয় নি। এরপর মুহাম্মদ(সাঃ) কেও মেনে নেয় নি। প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের ত্রানকর্তার ভুল ব্যাখ্যা করে গোমরাহিতে পতিত হয়েছে। ইহুদী ধর্ম অনুযায়ী ত্রানকর্তা এসে সারা বিশ্বে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে কিন্তু তাদের ভুলব্যাখ্যার জন্য ‘দাজ্জাল’ হবে তাদের চোখে মাসীহ(ত্রাণকর্তা)।
মার্কিন মিশনারি ওয়েন বলেছেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ইসরাইল রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জেরুসালেমকে এর রাজধানী করার পর শুধুমাত্র হাইকাল তথা ৩য় টেম্পল পুনঃনির্মাণ বাকি আছে। এর ফলে মাসীহ(আঃ)এর আগমন ঘটবে। ইহুদীরা খ্রিষ্টানদের সহযোগিতায় মসজিদে আকসা ভেঙ্গে সেখানে তাদের কথিত ৩য় টেম্পল তৈরি করবে। ইহুদী সন্ত্রাসবাদীরা মুসলমানদের পবিত্র স্থানকে উড়িয়ে দিবে এবং ধর্মযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য মুসলমানদেরকে উসকানি দিবে। এর ফলে মাসীহ আসবেন এবং তাতে হস্তক্ষেপ করবেন। আমরা বিশ্বাস করি যে ৩য় টেম্পল নির্মিত হওয়া উচিত।” [source: Prophecy & Politicsby grace halsell,USA]
নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলেও জেরুসালেম ও আল আকসার প্রকৃত উত্তরাধিকারী হল মুসলিমরা। কেননা ইহুদীরা যাদের অনুসারী বলে দাবি করে সেই দাউদ(আঃ) ও সুলাইমান(আ)এর আনীত দ্বীনের উপর তারা ছিল না। নবী মুসা(আ) এর মাধ্যমে ইহুদীদের উপর অবতীর্ণ আসমানি কিতাব তাওরাত(যা বর্তমানে বিকৃত) তূর পাহাড়ে নাযিল হলেও তিনি ফিলিস্তিনে বাস করেননি এবং ইহুদীদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সম্ভবও হয়নি। তাই জেরুসালেম, তাওরাত বা ইহুদীদের ভূমি সংক্রান্ত ইসরাইলী দাবি অর্থহীন। বরং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জেরুসালেম তথা বাইতুল মাকদিস থেকে মিরাজে যাওয়ার কারণে এবং পূর্ববর্তী অসংখ্য নবী রাসুলের ইবাদাতের কেন্দ্র হওয়ার কারণে তা ইসলামেরই পবিত্র স্থান ও পুন্যভূমি।
এখানেএকটি বিষয় লক্ষণীয় যে খ্রিষ্টানরাও মাসীহের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই যে এই মাসীহ হবেন আমাদের মুসলিমদের মাসীহ ঈসা(আঃ)। যিনি খ্রিষ্টান ও ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন। যা ইসলামে “মালহামা” তথা ভয়ঙ্কর বিশ্বযুদ্ধ নামে পরিচিত এবং খ্রিষ্টানদের কাছে “আরমাগেড্ডন”নামে পরিচিত। কাফের, মুশরিক কিংবা অন্য যেকোনো শ্রেণীভুক্ত প্রতিটি সেনাদলের একটি যুদ্ধাদর্শ ও বিশ্বাস থাকা আবশ্যক; যাকে ভিত্তি করতঃ তারা অন্যদের বিরুদ্ধে লড়বে। আর এজন্যই মনস্তাত্ত্বিক নির্দেশনা প্রদানের বিষয়টি নাম সর্বস্ব প্রতিটি সেনাবাহিনীর শীর্ষ নীতি ও প্রণালীর অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ব্যাবস্থাপনা ও প্রক্রিয়া সম্পন্নে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের গুরুদায়িত্ব হচ্ছে, সৈন্যদের অন্তরে এ আদর্শ ও বিশ্বাসের বীজ বদ্ধমূল করা। এমনকি নাস্তিক*্যবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ সেনাবাহিনীসমূহও নিজস্ব মানস ও বুদ্ধিবৃত্তির চালিকাশক্তি স্বরূপ শয়তানের কুমন্ত্রনা ও কুপ্ররোচনা উদ্ভূত মিথ্যা চেতনা-বিশ্বাস রচনা করে থাকে। উদাহারণতঃ নিজেদের জাতীয়তা ও আত্মপরিচয়কে অপরাপর জাতি-গোষ্ঠী অপেক্ষা অতিউর্দ্ধে গগান করা, সাধারণের মাঝে তাদের মৌল নীতি- আদর্শের প্রসার ঘটানো, ভূ-মাটি ও হীন জাতীয়তা রক্ষার্থে প্রতিরোধ যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া কিংবা এ জাতীয় ভ্রান্ত ধারণা-বিশ্বাস পোষণ করা। ইত্যাদি আকীদা-বিশ্বাসের মাধ্যমেই মূলত তারা নিজেদের সেনাসদস্যদের অসম যুদ্ধের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে থাকে।
Comment