এখানে মোটা দাগের তিনটা পয়েন্ট নিয়ে কয়েকটা কথা বলি।
কেউ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করলে আরো পাবেন।
১. সাফল্যের কারন চিহ্নিতকরণ :
সাফল্যের কারন চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে জামাতের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই বস্তুবাদী।
' তাদের ব্যাংক, মিডিয়া, হাসপাতাল, বইপত্র ইত্যাদি থাকবে, জনমত গড়ে তুলবে, ভোটে জিতবে, শরিয়াহ কায়েম করে ফেলবে'
তাদের চিন্তার খোলাসাই এটা। তারা এসব করেছে এবং এসব নিয়ে বেশ আত্মতৃপ্তিতেও ভুগতো। যারা ২০০১-২০০৬ সময়কালে জামাত কর্মিদের সাথে মিশেছেন তারা জানেন জামাত তখন নিজেদের কী মনে করতো।
২০১০ সালের পরবর্তী সময়ে জামাতের এসব পরিকল্পনা ও অবকাঠামো কোনো কাজেই আসে নি। পরিস্কার দেখা গেছে তাগুতি সিস্টেমের কাছে তারা কতোটা অসহায়। প্রমাণ হয়েছে তাগুতি সিস্টেমে থেকে তাগুতকে বদলানোর চিন্তা করাটাই অনর্থক। সিস্টেম বদলানোর আগে আপনি তাগুতের দাসই থাকবেন। তাগুত হয়তো আপনাকে একটু ছাড় দিবে কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনাকে সে শরিয়াহ কায়েম করতে দিবে।
উচিত ছিলো জামাতের পরিণতি দেখে কওমিয়ানরা শিক্ষা নিবে। শরিয়াহ কায়েমের জন্য শরিয়াহর পদ্ধতিই অবলম্বন করবে। তা হলো না। কওমিয়ানরাও হাটছে জামাতের পথেই।
বইপত্র লেখা, কিতাবমেলা করা এসব নিয়ে কওমিয়ানিদের এখন বিরাট আত্মতৃপ্তি। অথচ জামাতি তাত্ত্বিকরা যে পরিমান মৌলিক বই লিখেছে তার বিপরীতে কওমিয়ানদের মৌলিক বই কয়টি? যা আছে সেগুলোর ৮০% আবার আমিন জোরে আস্তে, রফয়ে ইয়াদাইন আর মাজহাব বিষয়ে। সম্প্রতি মুসা আল হাফিজ কিছুটা চমক দেখাচ্ছেন নইলে কওমি পাড়ায় মৌলিক কাজ খুবই কম।
ইউটিউবে কয়েকটা চ্যানেল খুলেও অনেকে বেশ আনন্দিত। অথচ জামাতের মাল্টিমিডিয়া পিসি, স্পন্দন অডিউ ভিজ্যুয়াল সেন্টার, সাইমুম এগুলো দিয়ে মিডিয়ায় কতো কাজ করেছে।
আর কিছু বলার দরকার নেই। শুধু এটাই দেখাতে চাই প্রচুর কওমিয়ান আজকাল জামাতের মতো এসবকেই মূল কাজ ভাবছে।
২. জিহাদ সম্পর্কে মনোভাব:
জিহাদ নিয়ে আবুল আলা মওদুদির বই আছে। জামাত নিজেরাও কথায় কথায় জিহাদ শাহাদাত শব্দগুলো ব্যবহার করে। কিন্তু সত্যিকারের জিহাদের প্রতি জামাতের অনাগ্রহ। মিটিং মিছিল অবরোধ এসবই তাদের কাছে জিহাদ। যারা জিহাদে আগ্রহ রাখে এমন যুবকদের জামাত টিটকারি মারতো। ২০০৪/০৫ সালে চট্টগ্রামে এক বড় নেতা জিহাদিদের সম্পর্কে প্রকাশ্যে বলেছিল ' এদের র কাউকে পেলেই পুলিশে দিবেন......'
সেসময় যারা এই চেতনা লালন করতেন তারা পদে পদে স্থানীয় জামাত কর্মিদের দ্বারা সমস্যায় পড়েছেন। যা এখনো অনেকে ভোলেন নি।
জামাতের এই বিশ্রি স্বভাবটাও এখন কওমিয়ানরা আত্মস্থ করছে। তারা জিহাদে আগ্রহ রাখে এমন তরুনদের সুযোগ পেলেই টিটকারি মারছে। ঢাকার এক বড় মাদ্রাসায় ফাতহুল জাওয়াদ পড়ার কারনে বহিস্কারের ঘটনা জানি। স্বীকৃতি ঘোষণার দুয়েকদিন পর এক বিখ্যাত অনুবাদককে দেখলাম একজনের পোস্টে কমেন্ট করেছে
'জিহাদিগুলোর গায়ে এখন আগুন জ্বলবে'
মতের বিরোধ থাকতে পারে কিন্তু জিহাদ শব্দটা নিয়েই টিটকারি মারা, এটা পুরাই কওমিয়ানদের জামাতি ভার্সন।
বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তরগেটের বক্তাদের আলোচনা শুনুন। দেখবেন কী নির্বিকারভাবে তারা মিছিল মিটিংকেই জিহাদ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। জিহাদের আয়াতগুলো এনে মিছিলে লাগাচ্ছে।
এই পয়েন্টেও জামাতের দেখানো পথে হাটছে কওমিয়ানরা।
৩. খড়কুটো আঁকড়ে ধরা :
ইরানে শিয়া বিপ্লব ঘটার পর জামাত বেশ উল্লসিত ছিল। তাদের ভাবসাবে মনে হচ্ছিল নবুয়তের আদলে খিলাফত ফিরে এসেছে। সাম্প্রতিক কালে মুরসি কিংবা উরদুগানের বিজয়ের পরেও তারা একইরকম উল্লাস দেখিয়েছে। অথচ এগুলোর কোনোটিতেই ইসলামি শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা হয় নি। মুরসির সামনে সুযোগ এসেছিল। কাজে না লাগিয়ে এখন নাস্তানাবুদ হচ্ছেন। আর এরদোগানের বাস্তবতা তো সামনেই আছে।
কওমিয়ানরাও আজকাল জামাতের মতো বেহুদা জিনিস নিয়ে খুব উল্লসিত।
এরদোগান বিষয়ে বেশিরভাগ কওমিয়ান আর জামাতের এখনো একই মনোভাব।
জুনাইদ জামশেদ পাকিস্তান আর্মি নিয়ে কী একটা গেয়েছে সেটা শেয়ার করতে করতে কয়েকজন নবীন সেলিব্রেটি হাত ব্যাথা করছেন অথচ তারা ভুলে গেছেন এই তাগুতি সেনাবাহিনী লাল মসজিদে কী নির্মম হত্যাকান্ড চালিয়েছে। সোয়াতের জনগণ যখন শরিয়াহ চাচ্ছিলো তখন এই কুকুরগুলো কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেটা এই মাওলানারা ভাবেন না। আফসোস।
কওমিয়ানরাও আজকাল খড়কুটো আঁকড়ে ধরছে জামাতের মতো।
(হক কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান বা অঞ্চলের ঠিকাদারিত্বে নেই। হকের একটাই পরিচয়, সে হক। হকের গায়ে কোনো লেভেল নেই। হকের গায়ে কারো নাম সাঁটানো নেই। আল্লাহ আমাদের হকের সাথে থাকার তাওফিক দান করুন ৷ আমীন)
কেউ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করলে আরো পাবেন।
১. সাফল্যের কারন চিহ্নিতকরণ :
সাফল্যের কারন চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে জামাতের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই বস্তুবাদী।
' তাদের ব্যাংক, মিডিয়া, হাসপাতাল, বইপত্র ইত্যাদি থাকবে, জনমত গড়ে তুলবে, ভোটে জিতবে, শরিয়াহ কায়েম করে ফেলবে'
তাদের চিন্তার খোলাসাই এটা। তারা এসব করেছে এবং এসব নিয়ে বেশ আত্মতৃপ্তিতেও ভুগতো। যারা ২০০১-২০০৬ সময়কালে জামাত কর্মিদের সাথে মিশেছেন তারা জানেন জামাত তখন নিজেদের কী মনে করতো।
২০১০ সালের পরবর্তী সময়ে জামাতের এসব পরিকল্পনা ও অবকাঠামো কোনো কাজেই আসে নি। পরিস্কার দেখা গেছে তাগুতি সিস্টেমের কাছে তারা কতোটা অসহায়। প্রমাণ হয়েছে তাগুতি সিস্টেমে থেকে তাগুতকে বদলানোর চিন্তা করাটাই অনর্থক। সিস্টেম বদলানোর আগে আপনি তাগুতের দাসই থাকবেন। তাগুত হয়তো আপনাকে একটু ছাড় দিবে কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনাকে সে শরিয়াহ কায়েম করতে দিবে।
উচিত ছিলো জামাতের পরিণতি দেখে কওমিয়ানরা শিক্ষা নিবে। শরিয়াহ কায়েমের জন্য শরিয়াহর পদ্ধতিই অবলম্বন করবে। তা হলো না। কওমিয়ানরাও হাটছে জামাতের পথেই।
বইপত্র লেখা, কিতাবমেলা করা এসব নিয়ে কওমিয়ানিদের এখন বিরাট আত্মতৃপ্তি। অথচ জামাতি তাত্ত্বিকরা যে পরিমান মৌলিক বই লিখেছে তার বিপরীতে কওমিয়ানদের মৌলিক বই কয়টি? যা আছে সেগুলোর ৮০% আবার আমিন জোরে আস্তে, রফয়ে ইয়াদাইন আর মাজহাব বিষয়ে। সম্প্রতি মুসা আল হাফিজ কিছুটা চমক দেখাচ্ছেন নইলে কওমি পাড়ায় মৌলিক কাজ খুবই কম।
ইউটিউবে কয়েকটা চ্যানেল খুলেও অনেকে বেশ আনন্দিত। অথচ জামাতের মাল্টিমিডিয়া পিসি, স্পন্দন অডিউ ভিজ্যুয়াল সেন্টার, সাইমুম এগুলো দিয়ে মিডিয়ায় কতো কাজ করেছে।
আর কিছু বলার দরকার নেই। শুধু এটাই দেখাতে চাই প্রচুর কওমিয়ান আজকাল জামাতের মতো এসবকেই মূল কাজ ভাবছে।
২. জিহাদ সম্পর্কে মনোভাব:
জিহাদ নিয়ে আবুল আলা মওদুদির বই আছে। জামাত নিজেরাও কথায় কথায় জিহাদ শাহাদাত শব্দগুলো ব্যবহার করে। কিন্তু সত্যিকারের জিহাদের প্রতি জামাতের অনাগ্রহ। মিটিং মিছিল অবরোধ এসবই তাদের কাছে জিহাদ। যারা জিহাদে আগ্রহ রাখে এমন যুবকদের জামাত টিটকারি মারতো। ২০০৪/০৫ সালে চট্টগ্রামে এক বড় নেতা জিহাদিদের সম্পর্কে প্রকাশ্যে বলেছিল ' এদের র কাউকে পেলেই পুলিশে দিবেন......'
সেসময় যারা এই চেতনা লালন করতেন তারা পদে পদে স্থানীয় জামাত কর্মিদের দ্বারা সমস্যায় পড়েছেন। যা এখনো অনেকে ভোলেন নি।
জামাতের এই বিশ্রি স্বভাবটাও এখন কওমিয়ানরা আত্মস্থ করছে। তারা জিহাদে আগ্রহ রাখে এমন তরুনদের সুযোগ পেলেই টিটকারি মারছে। ঢাকার এক বড় মাদ্রাসায় ফাতহুল জাওয়াদ পড়ার কারনে বহিস্কারের ঘটনা জানি। স্বীকৃতি ঘোষণার দুয়েকদিন পর এক বিখ্যাত অনুবাদককে দেখলাম একজনের পোস্টে কমেন্ট করেছে
'জিহাদিগুলোর গায়ে এখন আগুন জ্বলবে'
মতের বিরোধ থাকতে পারে কিন্তু জিহাদ শব্দটা নিয়েই টিটকারি মারা, এটা পুরাই কওমিয়ানদের জামাতি ভার্সন।
বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তরগেটের বক্তাদের আলোচনা শুনুন। দেখবেন কী নির্বিকারভাবে তারা মিছিল মিটিংকেই জিহাদ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। জিহাদের আয়াতগুলো এনে মিছিলে লাগাচ্ছে।
এই পয়েন্টেও জামাতের দেখানো পথে হাটছে কওমিয়ানরা।
৩. খড়কুটো আঁকড়ে ধরা :
ইরানে শিয়া বিপ্লব ঘটার পর জামাত বেশ উল্লসিত ছিল। তাদের ভাবসাবে মনে হচ্ছিল নবুয়তের আদলে খিলাফত ফিরে এসেছে। সাম্প্রতিক কালে মুরসি কিংবা উরদুগানের বিজয়ের পরেও তারা একইরকম উল্লাস দেখিয়েছে। অথচ এগুলোর কোনোটিতেই ইসলামি শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা হয় নি। মুরসির সামনে সুযোগ এসেছিল। কাজে না লাগিয়ে এখন নাস্তানাবুদ হচ্ছেন। আর এরদোগানের বাস্তবতা তো সামনেই আছে।
কওমিয়ানরাও আজকাল জামাতের মতো বেহুদা জিনিস নিয়ে খুব উল্লসিত।
এরদোগান বিষয়ে বেশিরভাগ কওমিয়ান আর জামাতের এখনো একই মনোভাব।
জুনাইদ জামশেদ পাকিস্তান আর্মি নিয়ে কী একটা গেয়েছে সেটা শেয়ার করতে করতে কয়েকজন নবীন সেলিব্রেটি হাত ব্যাথা করছেন অথচ তারা ভুলে গেছেন এই তাগুতি সেনাবাহিনী লাল মসজিদে কী নির্মম হত্যাকান্ড চালিয়েছে। সোয়াতের জনগণ যখন শরিয়াহ চাচ্ছিলো তখন এই কুকুরগুলো কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেটা এই মাওলানারা ভাবেন না। আফসোস।
কওমিয়ানরাও আজকাল খড়কুটো আঁকড়ে ধরছে জামাতের মতো।
(হক কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান বা অঞ্চলের ঠিকাদারিত্বে নেই। হকের একটাই পরিচয়, সে হক। হকের গায়ে কোনো লেভেল নেই। হকের গায়ে কারো নাম সাঁটানো নেই। আল্লাহ আমাদের হকের সাথে থাকার তাওফিক দান করুন ৷ আমীন)
Comment