শুধু ফেতনা আর ফেতনা। চারদিকে ফেতনার ছড়াছড়ি। সকলে আজ ফেতনার জালে আবদ্ধ। যুবসমাজ ফেতনার ছয়লাবে ভেসে যাচ্ছে। বুড়োসমাজ ফেতনার কুঠারাঘাতে কুপোকাত হয়ে ঘরে বসে আছে। আলেমসমাজ ফেতনা নির্মূলের ব্যর্থ সংগ্রামে মুখ থুবড়ে পড়েছে। ‘ব্যর্থ সংগ্রাম’ বললাম এ জন্য যে, তাদের সংগ্রামের পদ্ধতিগত ভুলের কারনে নিজেরাই ফেৎনাগ্রস্ত আর সাধারণ জনতার যে বেহাল দশা তা তো বলাই বাহুল্য। যেহেতো তারা ফেৎনা নির্মূল করণের পদ্ধতি গ্রহন করার ক্ষেত্রে কোরআন- হাদিস থেকে দুরে সরে গেছে। সোজা- সঠিক পথে না গিয়ে তারা গেছে ডানে- বামে আকাবাকা পথে। কেউ গ্রহন করেছে তাবলীগ। কেউ খানকা। আর কেউ ওয়াজের ময়দান। আবার কেউ শুধু কওমী মাদরাসাকেই মনে করছে ফেৎনা নির্মূলের মূল কেন্দ্র। কিন্তু আসল পদ্ধতির ধারে কাছেও কেউ আসতে চাচ্ছে না। যার কারনে সাধারণ সমাজ তো আছেই অনেক মাদরাসায় পড়ুওয়া ছাত্র- উস্তাদও দিধাদন্দে ভুগছে। স্বয়ং আমারই তো এমন অবস্থা হয়েছিল, আমি যখন দুই তিন ক্লাস পড়েছি তখন দেখি কেউ তাবলীগ করে। কেউ খানকায় জিকিরের মজলিস করে। আবার কেউ মাঠে-ময়দানে ওয়াজ করে। আবার দেখতাম এক আজব কান্ড! কেউ তাবলীগের সমালোচনা করে। কেউ খানকার সমালোচনা করে। কেউ আবার সমালোচনা করে মাঠে- ময়দানে ওয়াজের। কিন্তু, সঠিক পদ্ধতি, যেটা আমি ছোটকালেই হ্রদয়ের গহীনে গেথে নিয়েছিলাম। দীবা- রাত্রি যার প্রতিক্ষায় থাকতাম। যা ছিল আমার স্বপ্ন। যা আমার ভবিষ্যত। যা আমার জীবনের সফলতা- ব্যর্থতার মাপকাঠি। যা আমার জীবনের মূল টার্গেট। আল্লাহর রাস্তায় লড়াইয়ের সে পদ্ধতি কেউ পালন করতো না। পারলে বরং আরো সমালোচনা করতো। যারা করতে চাইতো তারা আর সামনে পা বাড়াতে পারতো না। হাজারও বাধা তাদের সামনে কাল হয়ে দাড়াতো। তখন আমি দিধাদন্দে পড়ে যেতাম, তাহলে কি এতোদিন আমি ভুল স্বপ্ন লালন করে এসেছি? আমার জীবনের টার্গেট কি তাহলে বেঠিক? না! তা হতে পারে না। আমি আমার স্বপ্নের বাস্তবতার অনুসন্ধানে লেগে গেলাম। অনেক বই পড়লাম। উপরের জামাতের বড় ছাত্রদের সাথে আলোচনা করতে লাগলাম। তাদের থেকে আশার ক্ষীণ আলোর একটু আভাস পেলাম। আমার আস্থাভাজন উস্তাদদের কাছে যাওয়া আসা করতে লাগলাম। তারা আমাকে উৎসাহীতো করল এবং সতর্ক থাকতে বলল। তাদের থেকে পেলাম অন্ধকার পথে পথ চলার মত একটু ক্ষীণ আলো। তখন বুঝলাম, সত্যের আলো নিভে গেলেও একেবারে নিভে যাইনি। কেউ নিভাতে পরবেও না। কারন এ আলোর দায়িত্ব সয়ং আল্লাহ তায়ালার কুদরতী হাতে। সারা দুনিয়ার সমস্ত মানুষ মিলেও এ আলো নিভাতে পারবে না। নিভু নিভু হলেও জলবে। এখোনো জলছে। এ আলো আবার বিশাল আকার ধারণ করে পুরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। সত্যের আলোয় পৃথিবী আলোকিত হবে। মনে স্বস্তি ফিরে আসলো। কিছুটা হলেও তো আমার স্বপ্নের বাস্তবতা পাওয়া গেল। ছাত্র ভাই এবং উস্তাদদের থেকে সংগ্রহীত ক্ষীণ আলোর চেরাগ হাতে অন্ধকার পথে চলতে লাগলাম। চলতে চলতে এ পর্যন্ত।
বিঃদ্রঃলেখাথেকেকেকিবুঝলেনদয়াকরেকমেন্টেজানাবেন।
বিঃদ্রঃলেখাথেকেকেকিবুঝলেনদয়াকরেকমেন্টেজানাবেন।
Comment