ভূমিকা
(ঈষৎ পরিবর্তিত)
“সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী মানবকল্যাণে শান্তির ফতোয়া” নামে এক লক্ষ কাটমোল্লার স্বাক্ষর সম্বলিত একটি লেখা তৈরি হয়েছে। এক লক্ষ স্বাক্ষরের মাধ্যমে মূলত ইসলামের একটি অকাট্য ও সর্বস্বীকৃত রুকনের উপর এক লক্ষ কুঠারাঘাত করা হয়েছে।
কোন জাতি সম্মিলিতভাবে নিজের পায়ে এভাবে কুঠারাঘাত করেছে এমন নজির সৃষ্টি করতে পৃথিবী ব্যর্থ হয়েছে। ভবিষ্যতে পারবে বলেও কোন সম্ভাবনা নেই।
এ ফতোয়া প্রকাশিত হয়ে তার বিষফল পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে চলছে। দেশী ও আন্তর্জাতিক কুফরী শক্তির পক্ষ থেকে তার প্রচার চলছে। বিশ্ব শয়তানী শক্তির স্বাক্ষর ও সাধুবাদ নিয়ে এ লেখা ও অপকর্মিটি পৃথিবী জুড়ে বিচরণ করে চলছে। দেশের সাধারণ মুসলমান, সাধারণ তালিবুল ইলম ও সাধারণ শিক্ষিত শ্রেণী সে অপকর্মের শিকার হয়ে তাদের দীন ও ঈমানকে হারাতে বসেছে। একদল অন্ধ মানুষ তার পিছনে ছুটে চলছে।
কিন্তু দীনের কর্ণধার হওয়ার দাবীদারগণের সর্বোচ্চ আসনে যারা অধিষ্ঠিত রয়েছেন তাদের অনেকে আজও তার খবর পর্যন্ত পান নি। দ্বিতীয় সিঁড়ির কর্ণধারগণ দু’চার দিন আগে খবর পেয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তৃতীয় সিঁড়ির কর্ণধারগণ খবর পেয়েছেন তবে বিষয়টি একটি কলাগাছের সঙ্গে তুলনা করে ক্ষান্ত হয়েছেন, যা এমনি শেষ হয়ে যাবে। চতুর্থ শ্রেণীর কর্ণধারগণ গবেষণার টেবিলে বসা আছেন, ভাবছেন কি করা যায়। এরই মধ্যে একটি বছর পার হয়ে গেছে। পঞ্চম শ্রেণীর কর্ণধারগণ হেকমতপূর্ণ ভাষায় গাঁথুনী তৈরি করে চলছেন। ষষ্ট শ্রেণীর কর্ণধারগণ শতভাগ নির্ভুল কথা বলার জন্য পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টে চলছেন। এভাবে আরো কত শ্রেণীর গবেষক কত প্রস্তুতি নিয়ে চলছেন তার কোন শেষ নেই।
এই এক লক্ষ আলেমের ফতোয়া দাজ্জালের অনুসারী একলক্ষ ফতোয়াবাজের ফতোয়। একবার রাসূল স. নিদ্রায় ছিলেন। হযরত আলী রাযি. তাঁর পাশে বসা ছিলেন। হঠাৎ রাসূল স. নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে বললেন, দাজ্জালের পরে সবচেয়ে বড় দাজ্জাল হল, সেসব আলেম যারা লোকদেখানোর জন্য এলম অর্জন করেছে। অর্থাৎ, তাদের জ্ঞান শিক্ষার উদ্দেশ্য আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি নয়। বরং মনগড়া ব্যাখ্যা ও ফতোয়া দিয়ে হালালকে হারাম করা আর হারামকে হালাল করা।
এসব আলেমদের কারণেই আজ সাধারণ জনতা বড়ই ভ্রষ্টতার শিকার। এসব আলেমদের মাধ্যমেই আজ দাজ্জালের কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্যের বিরাট একটা অংশ বাস্তবায়নের দার প্রান্তে পৌঁছেছে। কিছুটা বাস্তবায়িতও হয়েছে। বাকি আছে দাজ্জালের শেষ পর্ব বাস্তবায়ন হওয়া। হাদীসে আছে রাসূল স. বলেছেন, যখন দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে তখন দাজ্জালের সাথে লক্ষ লক্ষ আলেম থাকবে। সেসব আলেমকে জিজ্ঞেস করা হবে, হে মোল্লাজি! আপনি যার অনুসরণ করছেন সে যে দাজ্জাল তা কি আপনি জানেন না? তখন মোল্লাজি বলবেন, হা, সেটা তো আমি অবশ্যই জানি। তাহলে আপনি আবার দাজ্জালের অনুসরণ করছেন একথার অর্থ কি? মোল্লাজি তখন স্পষ্টই বলবেন যে, আমরা রিজিকের অভাবে দাজ্জালের অনুসরণ করছি, যাতে দাজ্জাল থেকে আমরা কিছু খাবার পেতে পারি।
আজ যেসব মোল্লাজিরা শান্তির ফতোয়া দিচ্ছেন তাদের এই ফতোয়ার পিছনে একটাই কারণ বিদ্যমান। সেটা হল, যদি আজ এই ফতোয়া প্রদান না করে তাহলে সমাজ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে। হাজারও সংকটের মুখে পতিত হতে হবে। কোমল দেহের উপর বয়ে যাবে হাজারও দুঃখ কষ্টের বান। ফলে কে এই পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। তার চে’ দাজ্জালের কথায় সাড়া দিয়ে মানব জাতির শান্তির ফতোয়া মারা হোক। এটাই তাদের জন্য কল্যাণ।
এজন্যই এই ফতোয়ার নামকরণ করা হয়েছে মানব কল্যাণে শান্তির ফতোয়া। শান্তির ফতোয়া তো শান্তির ফতোয়াই। চুলকানোর সময় যেমন শান্তি লাগে।
পরবর্তী পর্ব থেকে শান্তির ফতোয়ায় কিসব অশান্তির ভাইরাস ছড়িয়েছে তার বিবরণ থাকবে।
(ঈষৎ পরিবর্তিত)
“সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী মানবকল্যাণে শান্তির ফতোয়া” নামে এক লক্ষ কাটমোল্লার স্বাক্ষর সম্বলিত একটি লেখা তৈরি হয়েছে। এক লক্ষ স্বাক্ষরের মাধ্যমে মূলত ইসলামের একটি অকাট্য ও সর্বস্বীকৃত রুকনের উপর এক লক্ষ কুঠারাঘাত করা হয়েছে।
কোন জাতি সম্মিলিতভাবে নিজের পায়ে এভাবে কুঠারাঘাত করেছে এমন নজির সৃষ্টি করতে পৃথিবী ব্যর্থ হয়েছে। ভবিষ্যতে পারবে বলেও কোন সম্ভাবনা নেই।
এ ফতোয়া প্রকাশিত হয়ে তার বিষফল পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে চলছে। দেশী ও আন্তর্জাতিক কুফরী শক্তির পক্ষ থেকে তার প্রচার চলছে। বিশ্ব শয়তানী শক্তির স্বাক্ষর ও সাধুবাদ নিয়ে এ লেখা ও অপকর্মিটি পৃথিবী জুড়ে বিচরণ করে চলছে। দেশের সাধারণ মুসলমান, সাধারণ তালিবুল ইলম ও সাধারণ শিক্ষিত শ্রেণী সে অপকর্মের শিকার হয়ে তাদের দীন ও ঈমানকে হারাতে বসেছে। একদল অন্ধ মানুষ তার পিছনে ছুটে চলছে।
কিন্তু দীনের কর্ণধার হওয়ার দাবীদারগণের সর্বোচ্চ আসনে যারা অধিষ্ঠিত রয়েছেন তাদের অনেকে আজও তার খবর পর্যন্ত পান নি। দ্বিতীয় সিঁড়ির কর্ণধারগণ দু’চার দিন আগে খবর পেয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তৃতীয় সিঁড়ির কর্ণধারগণ খবর পেয়েছেন তবে বিষয়টি একটি কলাগাছের সঙ্গে তুলনা করে ক্ষান্ত হয়েছেন, যা এমনি শেষ হয়ে যাবে। চতুর্থ শ্রেণীর কর্ণধারগণ গবেষণার টেবিলে বসা আছেন, ভাবছেন কি করা যায়। এরই মধ্যে একটি বছর পার হয়ে গেছে। পঞ্চম শ্রেণীর কর্ণধারগণ হেকমতপূর্ণ ভাষায় গাঁথুনী তৈরি করে চলছেন। ষষ্ট শ্রেণীর কর্ণধারগণ শতভাগ নির্ভুল কথা বলার জন্য পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টে চলছেন। এভাবে আরো কত শ্রেণীর গবেষক কত প্রস্তুতি নিয়ে চলছেন তার কোন শেষ নেই।
এই এক লক্ষ আলেমের ফতোয়া দাজ্জালের অনুসারী একলক্ষ ফতোয়াবাজের ফতোয়। একবার রাসূল স. নিদ্রায় ছিলেন। হযরত আলী রাযি. তাঁর পাশে বসা ছিলেন। হঠাৎ রাসূল স. নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে বললেন, দাজ্জালের পরে সবচেয়ে বড় দাজ্জাল হল, সেসব আলেম যারা লোকদেখানোর জন্য এলম অর্জন করেছে। অর্থাৎ, তাদের জ্ঞান শিক্ষার উদ্দেশ্য আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি নয়। বরং মনগড়া ব্যাখ্যা ও ফতোয়া দিয়ে হালালকে হারাম করা আর হারামকে হালাল করা।
এসব আলেমদের কারণেই আজ সাধারণ জনতা বড়ই ভ্রষ্টতার শিকার। এসব আলেমদের মাধ্যমেই আজ দাজ্জালের কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্যের বিরাট একটা অংশ বাস্তবায়নের দার প্রান্তে পৌঁছেছে। কিছুটা বাস্তবায়িতও হয়েছে। বাকি আছে দাজ্জালের শেষ পর্ব বাস্তবায়ন হওয়া। হাদীসে আছে রাসূল স. বলেছেন, যখন দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে তখন দাজ্জালের সাথে লক্ষ লক্ষ আলেম থাকবে। সেসব আলেমকে জিজ্ঞেস করা হবে, হে মোল্লাজি! আপনি যার অনুসরণ করছেন সে যে দাজ্জাল তা কি আপনি জানেন না? তখন মোল্লাজি বলবেন, হা, সেটা তো আমি অবশ্যই জানি। তাহলে আপনি আবার দাজ্জালের অনুসরণ করছেন একথার অর্থ কি? মোল্লাজি তখন স্পষ্টই বলবেন যে, আমরা রিজিকের অভাবে দাজ্জালের অনুসরণ করছি, যাতে দাজ্জাল থেকে আমরা কিছু খাবার পেতে পারি।
আজ যেসব মোল্লাজিরা শান্তির ফতোয়া দিচ্ছেন তাদের এই ফতোয়ার পিছনে একটাই কারণ বিদ্যমান। সেটা হল, যদি আজ এই ফতোয়া প্রদান না করে তাহলে সমাজ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে। হাজারও সংকটের মুখে পতিত হতে হবে। কোমল দেহের উপর বয়ে যাবে হাজারও দুঃখ কষ্টের বান। ফলে কে এই পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। তার চে’ দাজ্জালের কথায় সাড়া দিয়ে মানব জাতির শান্তির ফতোয়া মারা হোক। এটাই তাদের জন্য কল্যাণ।
এজন্যই এই ফতোয়ার নামকরণ করা হয়েছে মানব কল্যাণে শান্তির ফতোয়া। শান্তির ফতোয়া তো শান্তির ফতোয়াই। চুলকানোর সময় যেমন শান্তি লাগে।
পরবর্তী পর্ব থেকে শান্তির ফতোয়ায় কিসব অশান্তির ভাইরাস ছড়িয়েছে তার বিবরণ থাকবে।
Comment