Announcement

Collapse
No announcement yet.

দাজ্জালের অনুসারী ফতোয়াবাজ এক লক্ষ মোল্লা: ফতোয়ার অনুসন্ধানী পযার্লোচনা; পর্ব-১

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দাজ্জালের অনুসারী ফতোয়াবাজ এক লক্ষ মোল্লা: ফতোয়ার অনুসন্ধানী পযার্লোচনা; পর্ব-১


    (পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত)
    বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
    শান্তির নামে অশান্তির ফতোয়ার মুদ্রিত কপির উপর টিকা নম্বর বসিয়ে একিট পর্যালোচনা তৈরি করা হয়েছে। বইয়ের প্রসঙ্গ কথার শিরোনামের অধীন উল্লিখিত আলোচনায় প্রথম শব্দ যেটা ব্যবহার করা হয়েছে সেটি হল, “ইসলাম শান্তিবাদি”
    আজ পৃথিবীর বুকে ইসলাম শব্দটার একটা ডিজিটাল অপব্যাখ্যা শুরু হয়ে গেছে। ইসলাম মানে শান্তি। এটা যে অপব্যাখ্যা তা চরম অসভ্য নাস্তিক মুফাস্সিল ইবলীসও ভাল করে জানে। একবার মুফাস্সিল ইবলীস লন্ডনে বা নিউইয়র্কে এক মুসলিম নারীর প্রশ্নে বলে, ইসলাম মানে শান্তি নয়। বরং ইসলাম মানে আত্মসমর্পণ। ইসলাম মানে শান্তি তারাই বলে যারা ইসলামকে সাধুবাদিতার প্রলেপ দিতে চায়। ইসলাম মানে শান্তি এমন কথা কোথাও নেই।
    যেমন দুঃখ লাগে তেমন ক্রোধ জাগে সেসব ইসলাম দরদীদের জন্য যারা ইসলাম মানে কি সেটাও উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। অথচ একটা ইবলীসও ভাল করে জানে, যদিও তার উদ্দেশ্য ইবলীস-প্রডাক্টেড।
    যা হোক!! ইসলাম মানে কি?
    ইসলাম কি সকলের জন্য অবাধভাবে শান্তি বয়ে আনবে? যে ইসলাম গ্রহণ করবে আর যে প্রত্যাখ্যান করবে উভয়ের জন্য শান্তি বয়ে আনবে? এ শান্তি কি আল্লাহর বন্ধু ও শত্রু সকলের জন্য? কোরআন এ ব্যাপারে কি বলে তা একটু উল্টিয়ে দেখা যেতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
    ﴿یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا ادْخُلُوْا فِی السِّلْمِ کَآفَّۃً ۪ وَ لَا تَتَّبِعُوْا خُطُوٰتِ الشَّیْطٰنِ ؕ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِیْنٌ فَاِنْ زَلَلْتُمْ مِّنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْكُمُ الْبَیِّنٰتُ فَاعْلَمُوْۤا اَنَّ اللهَ عَزِیْزٌ حَکِیْمٌ﴾
    হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। অতঃপর তোমাদের মাঝে পরিষ্কার নির্দেশ এসে গেছে বলে জানার পরেও যদি তোমরা পদস্খলিত হও, তাহলে নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ, পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ। -সূরা বাকারা: ২০৮-২০৯
    ইসলাম ছাড়া বাকি সকল পথ যদি প্রকাশ্য শত্রু শয়তান ও তার দোসরদের হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ইসলাম কিভাবে তাদের মধ্যে শান্তি বয়ে আনেবে? ইসলাম সারা পৃথিবীর জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছে। যারা সে বার্তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে তাদের জন্যও ইসলাম শান্তির হাওয়া প্রবাহিত করবে? তাদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার রূপরেখা কি হবে? শান্তি আনয়েনের দলীল-প্রামাণ স্পষ্ট হওয়ার পরেও যারা তা প্রত্যাখ্যান করবে তাদের পরিণতি উপলব্ধির স্বার্থে আল্লাহ তাআলা আপন সত্ত্বার জন্য যে গুণবাচন বিষেশ্য ব্যবহার করেছেন “পরাক্রমশালী”- শান্তির পথ প্রত্যাখ্যান করার পরে আল্লাহ তাআলা পরাক্রমশালী না হয়ে সালাম হবেন? তাহলে কোনটি সঠিক? মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সকলের জন্য ইসলাম শান্তির ধর্ম নাকি যারা ইসলামের আহ্বানে শান্তির পথ অবলম্বন করেছে তাদের জন্য শান্তির হাওয়া বয়ে আনবে? না আল্লাহ তাআলার পরাক্রমশালী গুণবাচক নামটি বৃথা যাবে?
    রাসূল স. এর প্রায় সাতাশটি যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ, অসংখ্য যুদ্ধের কাফেলা প্রেরণ, খোলাফায়ে রাশেদীনের নেতৃত্বে শত শত যুদ্ধের কাফেলা প্রেরণ এবং সারা পৃথিবীর দিগন্তে দিগন্তে ইসলামকে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে হাজার হাজার কাফেরদের হত্যা করা হয়েছে, আরো হাজার হাজারকে ক্রিতদাস বানানো হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ কাফেরকে কর দিয়ে হীনতার সাথে জীবন যাপন করতে হয়েছে- এগুলো কি শান্তির প্রবাহ ছিল? না ইসলামের কাঙ্ক্ষিত শান্তির জন্য এগুলো অনিবার্য ছিল?
    বিষয়টি যদি তেমনই হয় তাহলে আমরা শান্তিবাদী বলতে কি বোঝাতে চাই? ইসলাম শান্তিবাদী হওয়ার সাথে এবং জিহাদের কাফেলাগুলোর প্রবাহিত রক্তের স্রোতের সাথে মিল-অমিল কোন দিক থেকে আর বৈপরীত্বটাও বা কোন সূত্রে আবদ্ধ?
    যদি বৈপরীত্ব না থাকে তাহলে প্রচলিত জিহাদী কর্মকাণ্ডের বিপরীতে ইসলাম শান্তিবাদী আর এই জিহাদিষ্টগুলোকে তার উক্ত শান্তিবাদিতার বিপরীতে দাঁড় করানোর উদ্দেশ্য কী?
    জিহাদের কর্মকাণ্ডে ভুল থাকলে শরীয়তের আলোকে সে ভুলগুলো চিহ্নিত করে শুধরে নেওয়ার সার্বিক চেষ্টা করা আবশ্যক। জিহাদীদেরকে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পর তারা যদি শুধরে না নেয় তাহলে শোধনকারীরা নিজেরাই শুদ্ধিত রূপরেখায় একটি কাফেলা তৈরি করে জিহাদের প্রকৃত একটা দৃষ্টান্ত উপহার দেওয়া আবশ্যক ছিল। কিন্তু সেটা না করে জাল হাদীসের আশ্রয় নিয়ে বড় জিহাদের ডিজিটাল রূপ আবিষ্কার করে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত জিহাদীদের জিহাদকে অস্বীকার করা, কুফরী শক্তির সাথে গা বইয়ে দিয়ে জিহাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া, কুফরী শক্তিকে ইসলামি শক্তি বলে আখ্যায়িত করা, মুজাহিদদের চাপাতির আঘাতে কুফরের দল ভারী করা তাগুতদের বর্জ্য কফিনগুলোকে শহীদ বলে আখ্যা দেওয়া, কাফের-মুরতাদ ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে কোন অভিযানে প্রাণ বিসর্জন দিলে তাকে ওহীর মত সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জাহান্নামী বলে তকমা দেওয়া- এগুলোর সঙ্গে ইসলাম শান্তিবাদী হওয়ার কিসের সম্পর্ক? জিহাদের কর্মকাণ্ডকে ভুল প্রমাণ করার জন্য ‘ইসলাম শান্তিবাদী ধর্ম’ এ প্রসঙ্গ নিয়ে আসা কুলক্ষুণে না বলে সুলক্ষুণে বলার দুঃসাহস আমার হচ্ছে না।
    ‘ইসলাম শান্তিবাদী ধর্ম’ একথার অন্তরালে এটা বুঝানো হচ্ছে না তো যে, ইসলাম যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় আমরা সে শান্তি চাই না বরং সে শান্তির বিরুদ্ধেই আজ লক্ষাধিক ফতোয়াবাজ সাধারণ মুসলমানকে ইসলাম থেকে পবিত্র করার লক্ষ্যে জমায়েত হয়েছে!!!

  • #2
    বারাকাল্লাহ
    শরিয়াহর জন্য আমরা নিবেদিত.....

    Comment

    Working...
    X