জাফর ইকবালের উপর হামলায় জামাত-চরমোনাই-খেলাফতের নিন্দা ও আমাদের কিছু কথা
গত শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার সময় লেখক জাফর ইকবালের মাথায় (ঠিক মগজ বরাবর) ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নেতা ও বিশিষ্টজন বলে পরিচিত বিভিন্ন ব্যক্তি যারপরনাই আশ্চর্য-ই হলো! কারণ, জাফর ইকবাল দীর্ঘদিন যাবত জীবননাশের সঙ্কায় ভুগছিল, তাই তাকে ২৪ ঘণ্টা সুরক্ষিত রাখার জন্য সরকারের তরফ থেকে একদল সশস্ত্র চৌকশ পুলিশ দেওয়া হয়। সাথে তার ব্যক্তিগত বডিগার্ড তো আছেই। কিন্তু এত এত নিরাপত্তার মধ্যে অবস্থান করেও যখন বাহিরাগত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে আকস্মিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলো তখন আক্রমণকারীর সাহস ও কৌশলের সামনে তাদের খুব অসহায়-ই মনে হলো। কিছু না পেরে কেউ কেউ চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলো। খুব আফসোস লাগলো লোকগুলাকে দেখে। যদি তারা জাফর ইকবালের আসল পরিচয়টা জানতো। যদি তারা বুঝার চেষ্টা করতো যে, কেন এত লোকের মাঝে শুধু তাকেই আঘাত করা হলো! ধরে নিলাম এরা আমজনতা, বুঝার মতো বুঝবুদ্ধি এদের মাথায় নেই। কিন্তু অত্যন্ত লজ্জিত ও আশ্চর্য হলাম ওই সমস্ত অ-সচেতন লোকদের দেখে, মানুষ যাদেরকে ‘আলেম’ বলে জানে। তারাও সেই মূর্খ মানুষদের মতো চেচামেচি শুরু করেছে। বড়ই আফসোস লাগে এদের নির্বুদ্ধিতা দেখে। এরা দুনিয়ার সব বুঝে, কিন্তু এই ব্যাপারটা আসলেই নির্বোধ সেজে যায়।
জাফর ইকবালের উপর আক্রমণ হয়েছে এই জন্য বিভিন্ন নাস্তিক্যবাদী রাম সংগঠনগুলো রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঝটলা পাকিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এদের দেখাদেখি ইসলামী নাম ধারণ করা কিছু সংগঠনও জাফর ইকবালের উপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে লাগলো। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলন নামক দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়- “আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামে গুপ্তহত্যার বিধান নেই।” তাগুতের পায়ে এদের মস্তক অবনত করতে দেখে বড়ই লজ্জা পাই। গুপ্তহত্যা সম্পর্কে সামান্যতম জ্ঞানটুকুও কি নেই? নাকি জেনে শোনে সববিছু গোপন করছেন? যদি গুপ্তহত্যা সম্পর্কে কোনো জ্ঞান না-থাকে, তাহলে তো আপনারা মাযুর; আমরা আপনাদেরকে অক্ষম ও মাযুর হিসেবেই ধরে নেব। আর যদি জেনে শোনে এমনটি করে থাকেন, তাহলে দেখুন আল্লাহ কী বলেছেন- “নিশ্চয় যারা গোপন করে, আমি যেসব বিস্তারিত তথ্য এবং হেদায়েতের কথা নাজিল করেছি মানুষের জন্য কিতাবের মধ্যে বিস্তারিত বর্ণনা করার পরও; সে সমস্ত লোকের প্রতিই আল্লাহর লা’নত এবং অন্যান্য লা’নতকারীর লা’নত। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৫৯)
যখন জাফর ইকবাল ‘ভুতের বাচ্চা সোলায়মান’ লিখে মুসলিমদের কলিজায় আঘাত দিল, যখন মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মাদে আরাবীকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক রচনা লিখলো, যখন মুসলিমদের অজু নিয়ে হাসিতামাশা করলো, যখন দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবি নিয়ে কুৎসা রটালো, যখন দাড়ি-টুপি ওয়ালা লোকদের গোয়ার, চোর, খুনি, কমেডিয়ান, নির্যাতক হিসেবে উপস্থাপন করলো, যখন সে ধার্মিক লোকদেরকে খচ্চর-গোয়ার-দুষ্ট হিসেবে উপস্থাপন করলো, যখন মুসলিম মেয়েদের পর্দা পালনে বাধা দিল ও পর্দা করা বাধ্য করা যাবে না বলে আন্দোলন করলো, যখন ফতোয়ার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলো, যখন সে তার ছাত্রদের সামনে ইসলামের আইনকে বিকৃত করে উপস্থাপন করত, যখন আল্লাহ বলতে কিছু নেই বলে তার ছাত্রদের মগজ ধোলাই করতো তখন কোথায় ছিলেন আপনারা? তখনতো আপনাদেরকে দেখা যায়নি। তখনতো আপনারা টু-শব্দটুকুও করলেন না। তখন কি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন? আর এখন যখন আল্লাহর এক সিংহ আল্লাহ ও রাসূলের সম্মানের সামনে দুনিয়ার সব মায়া ত্যাগ করে নিজের প্রিয় জীবনটাকে বিলিয়ে দিলেন এখন আপনাদের মানসম্মানে আঘাত লেগেছে, এখন আপনাদের ঘুম ভাঙছে, এখন আপনারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন; জাফর ইকবালের পক্ষে, আক্রমণকারীর বিপক্ষে! আল্লাহর দুশমনের পক্ষে, বন্ধুর বিপক্ষে! নাস্তিকের পক্ষে ইসলামের বিপক্ষে!!! বাহঃ! চমৎকার তো! দারুন আপনাদের হেকমত। চমৎকার আপনাদের ঈমানী তেজ। কোথায় শিখলেন এমন হেকমত?
(জাফর ইকবাল সম্পর্কে আরো জানতে দেখুন-https://dawahilallah.com/showthread.php?9184-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A 7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A 7%87%E0%A6%B7!)
এই কিতমানে ইলম দ্বারা হয়তো দুনিয়ার মানুষকে ধোঁকা দিতে পারবেন, কিন্তু আরশের মালিক মহান আল্লাহকেও কি ধোঁকা দিতে পারবেন? সেদিন কোন মুখ নিয়ে আল্লাহর সামনে হাজির হবেন?
আমরা তো আপনাদের থেকে সত্যটা আশা করি। সেই আপনারাই যখন মিথ্যার আশ্রয় নেন, তখন আমরা কোথায় যাব? হাতজোড় করে বলছি, আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলছি, আমাদের সামনে সত্যটা প্রকাশ করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আল্লাহকে ভয় করুন। আল্লাহকে ভয় করুন!
গত শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার সময় লেখক জাফর ইকবালের মাথায় (ঠিক মগজ বরাবর) ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নেতা ও বিশিষ্টজন বলে পরিচিত বিভিন্ন ব্যক্তি যারপরনাই আশ্চর্য-ই হলো! কারণ, জাফর ইকবাল দীর্ঘদিন যাবত জীবননাশের সঙ্কায় ভুগছিল, তাই তাকে ২৪ ঘণ্টা সুরক্ষিত রাখার জন্য সরকারের তরফ থেকে একদল সশস্ত্র চৌকশ পুলিশ দেওয়া হয়। সাথে তার ব্যক্তিগত বডিগার্ড তো আছেই। কিন্তু এত এত নিরাপত্তার মধ্যে অবস্থান করেও যখন বাহিরাগত কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে আকস্মিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলো তখন আক্রমণকারীর সাহস ও কৌশলের সামনে তাদের খুব অসহায়-ই মনে হলো। কিছু না পেরে কেউ কেউ চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলো। খুব আফসোস লাগলো লোকগুলাকে দেখে। যদি তারা জাফর ইকবালের আসল পরিচয়টা জানতো। যদি তারা বুঝার চেষ্টা করতো যে, কেন এত লোকের মাঝে শুধু তাকেই আঘাত করা হলো! ধরে নিলাম এরা আমজনতা, বুঝার মতো বুঝবুদ্ধি এদের মাথায় নেই। কিন্তু অত্যন্ত লজ্জিত ও আশ্চর্য হলাম ওই সমস্ত অ-সচেতন লোকদের দেখে, মানুষ যাদেরকে ‘আলেম’ বলে জানে। তারাও সেই মূর্খ মানুষদের মতো চেচামেচি শুরু করেছে। বড়ই আফসোস লাগে এদের নির্বুদ্ধিতা দেখে। এরা দুনিয়ার সব বুঝে, কিন্তু এই ব্যাপারটা আসলেই নির্বোধ সেজে যায়।
জাফর ইকবালের উপর আক্রমণ হয়েছে এই জন্য বিভিন্ন নাস্তিক্যবাদী রাম সংগঠনগুলো রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঝটলা পাকিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এদের দেখাদেখি ইসলামী নাম ধারণ করা কিছু সংগঠনও জাফর ইকবালের উপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে লাগলো। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলন নামক দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়- “আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ইসলাম শান্তির ধর্ম, ইসলামে গুপ্তহত্যার বিধান নেই।” তাগুতের পায়ে এদের মস্তক অবনত করতে দেখে বড়ই লজ্জা পাই। গুপ্তহত্যা সম্পর্কে সামান্যতম জ্ঞানটুকুও কি নেই? নাকি জেনে শোনে সববিছু গোপন করছেন? যদি গুপ্তহত্যা সম্পর্কে কোনো জ্ঞান না-থাকে, তাহলে তো আপনারা মাযুর; আমরা আপনাদেরকে অক্ষম ও মাযুর হিসেবেই ধরে নেব। আর যদি জেনে শোনে এমনটি করে থাকেন, তাহলে দেখুন আল্লাহ কী বলেছেন- “নিশ্চয় যারা গোপন করে, আমি যেসব বিস্তারিত তথ্য এবং হেদায়েতের কথা নাজিল করেছি মানুষের জন্য কিতাবের মধ্যে বিস্তারিত বর্ণনা করার পরও; সে সমস্ত লোকের প্রতিই আল্লাহর লা’নত এবং অন্যান্য লা’নতকারীর লা’নত। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৫৯)
যখন জাফর ইকবাল ‘ভুতের বাচ্চা সোলায়মান’ লিখে মুসলিমদের কলিজায় আঘাত দিল, যখন মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মাদে আরাবীকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক রচনা লিখলো, যখন মুসলিমদের অজু নিয়ে হাসিতামাশা করলো, যখন দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবি নিয়ে কুৎসা রটালো, যখন দাড়ি-টুপি ওয়ালা লোকদের গোয়ার, চোর, খুনি, কমেডিয়ান, নির্যাতক হিসেবে উপস্থাপন করলো, যখন সে ধার্মিক লোকদেরকে খচ্চর-গোয়ার-দুষ্ট হিসেবে উপস্থাপন করলো, যখন মুসলিম মেয়েদের পর্দা পালনে বাধা দিল ও পর্দা করা বাধ্য করা যাবে না বলে আন্দোলন করলো, যখন ফতোয়ার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলো, যখন সে তার ছাত্রদের সামনে ইসলামের আইনকে বিকৃত করে উপস্থাপন করত, যখন আল্লাহ বলতে কিছু নেই বলে তার ছাত্রদের মগজ ধোলাই করতো তখন কোথায় ছিলেন আপনারা? তখনতো আপনাদেরকে দেখা যায়নি। তখনতো আপনারা টু-শব্দটুকুও করলেন না। তখন কি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন? আর এখন যখন আল্লাহর এক সিংহ আল্লাহ ও রাসূলের সম্মানের সামনে দুনিয়ার সব মায়া ত্যাগ করে নিজের প্রিয় জীবনটাকে বিলিয়ে দিলেন এখন আপনাদের মানসম্মানে আঘাত লেগেছে, এখন আপনাদের ঘুম ভাঙছে, এখন আপনারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন; জাফর ইকবালের পক্ষে, আক্রমণকারীর বিপক্ষে! আল্লাহর দুশমনের পক্ষে, বন্ধুর বিপক্ষে! নাস্তিকের পক্ষে ইসলামের বিপক্ষে!!! বাহঃ! চমৎকার তো! দারুন আপনাদের হেকমত। চমৎকার আপনাদের ঈমানী তেজ। কোথায় শিখলেন এমন হেকমত?
(জাফর ইকবাল সম্পর্কে আরো জানতে দেখুন-https://dawahilallah.com/showthread.php?9184-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A 7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A 7%87%E0%A6%B7!)
এই কিতমানে ইলম দ্বারা হয়তো দুনিয়ার মানুষকে ধোঁকা দিতে পারবেন, কিন্তু আরশের মালিক মহান আল্লাহকেও কি ধোঁকা দিতে পারবেন? সেদিন কোন মুখ নিয়ে আল্লাহর সামনে হাজির হবেন?
আমরা তো আপনাদের থেকে সত্যটা আশা করি। সেই আপনারাই যখন মিথ্যার আশ্রয় নেন, তখন আমরা কোথায় যাব? হাতজোড় করে বলছি, আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলছি, আমাদের সামনে সত্যটা প্রকাশ করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আল্লাহকে ভয় করুন। আল্লাহকে ভয় করুন!
Comment