"বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম"
বন্ধু নৈরাশ হয়োনা তুমিই পারবে!!
বন্ধু চেয়ে দেখো! পৃথিবীর দিক-দিগন্তে, ইথারে-পাথারে, উত্তর-দক্ষিণে, পূর্ব -পশ্চিমে আর সে যুগে-এযুগে কত মানুষ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আর তাঁদের এইতিহাস সৃষ্টির পেছনে রয়েছে শত ঝড়-ঝাপটা, অর্জন-বিসর্জন, ত্যাগ-তিতিক্ষা আর আনন্দ-বেদনার এক তুমুল যুদ্ধ। যে যুদ্ধে তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে বাঁধা-বিপত্তি, দুঃখ -কষ্টের এক প্রবল ঝড়োহাওয়া। কখনোবা হয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ-আপদের ঢিলে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ। আাবার কখনোবা হয়েছে আশা নিরাশায় পরিণত হওয়ার উপক্রম। কিন্তু চেয়ে দেখো বন্ধু হে! আঘাতে-প্রতিঘাতে, দূর্যোগে-বিপর্যয়ে থেমে যায়নি তাঁদের কার্যক্রম।
হে বন্ধু! তুমি এর প্রতিচ্ছবি দেখতে পাবে সালাউদ্দিন আইয়ুবী, মুহাম্মদ বিন কাসিম, সুলতান মাহমুদ গজনবী আর তারেক বিন যিয়াদের মত তোমার অতিচেনা পূর্বসূরিদের মাঝে। দুশমনের অপশক্তি- অপকৌশল, গাদ্দারের গাদ্দারি ও তাগুতের কোন ভয়ভীতি প্রদর্শন তাঁদেরকে ফেরাতে পারেনি একটুও।
সুতরাং বন্ধু হে! তুমি কেন চিন্তিত? কেনইবা তুমি নৈরাশ্যের সাগরে ডুবন্ত? মুরতাদ শাষক আর তাগুতের শাস্তির ভয়ে কেনইবা তুমি ভীতসন্ত্রস্ত? কেনইবা অনুসরণ করছোনা তুমি পূর্বসূরিদের পদাঙ্ক? তুমি কি ভুলে গেছো তোমার রবের শাস্তি এরচেয়ে বেশী ভয়াবহ?
হে বন্ধু! আমি তোমায় অভয় দিয়ে বলছি! তুমি উঠো! এবং তাগুতের ভয়ভীতি ও মুনাফিকের সকল বিদ্রূপকে পেছনে আছড়ে ফেলো। এবং এই বাংলার যমিন থেকে তাগুতের ক্ষমতাকে চূর্ণবিচূর্ণ করে খোদার রাজ কায়েম করতে আনসার আলইসলামকে পূর্ণরুপে সহযোগিতা করো! অতএব, নৈরাশ্যের আঁধার নয় বরং আশার আলো জালাও! আর ভীতসন্ত্রস্তা নয় বরং সাহসী উদ্দোমে সম্মুখপানে এগিয়ে যাও! হে বন্ধু আমি পূর্ণ আাশাবাদী তুমি পারবেই পারবে ইনশাআল্লাহ।
Comment