Announcement

Collapse
No announcement yet.

একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

    আমাদের সমাজের প্রায় সকল ইমামেরই আক্বিদাগত সমস্যা আছে যেমন ভুট দেওয়া,তাগুতের নিকট বিচার চাওয়া,মুজাহিদদের বিরোদ্ধে খুতবা ইত্যাদি।
    অতএব আমার প্রশ্ন হল তাদের পেছনে নামাজ পড়ার হুকুম কি?
    জানালে অনেক উপকার হবে।

  • #2
    বাতিল আকীদার ইমামের পিছনে নামাযের বিধান!!

    যদি সহী আকীদার ইমাম পান এবং তাদের পিছনে নামায পড়ার সুযোগ হয়, তাহলে তাদের পিছনেই পড়বেন। আর যদি না পাওয়া যায়, তাহলে এদের পিছনেই পড়তে থাকুন। ইমামের আকীদার সমস্যার কারণে জামাত ছাড়া যাবে না। তবে কোন ইমামের ব্যাপারে যদি আপনার সুস্পষ্ট জানা থাকে যে, সে মুরতাদ হয়ে গেছে, তাহলে তার পিছনে নামায সহী হবে না।

    নিচে এ ব্যাপারে শায়খ মাকদিসি হাফিজাহুল্লাহর একটি ফতোয়া দিচ্ছি-

    শায়খ মাকদিসীর ফতোয়া:
    الصلاة خلف من يدعو للحاكم المرتد
    * * *
    السلام عليكم ورحمة الله وبركاته.
    الشيخ الفاضل:
    ما حكم الصلاة - الجمعة وباقي الصلوات - وراء الأئمة الذين يدعون للحاكم المرتد؟ فإن الأقوال قد كثرت علي في هذا الباب، وأين أصلي إن كان هذا حال جميع أو معظم الأئمة والخطباء؟
    وجزاكم الله خيرا.
    * * *
    الجواب:

    بسم الله، والحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله.
    الأخ الفاضل:
    السلام عليكم.
    لا ينبغي أن تترك صلاة الجماعة إلا خلف من تحقق عندك وقوعه بمكفر مخرج من الملة، أما ما هو دون ذلك من المعاصي والبدع أو المداهنات؛ فلا يجوز أن يكون مدعاة أو سببا لترك صلاة الجماعة.
    ودعاء الخطيب للحاكم المرتد بالهداية أو بالتوفيق لتحكيم الكتاب والسنة أو لما يحبه الله و يرضاه أو لما فيه خير البلاد والعباد ونحو ذلك من الأدعية التي لا تندرج تحت نصرة الطاغوت أو نصرة قانونه الكفري أو مظاهرته على الموحدين؛ هذا كله وإن كان من البدع التي لم تكن في القرون المفضلة فقد عد العلماء الدعاء للسلطان المسلم المحكم لشرع الله على منبر الجمعة من البدع المحدثة؛ فكيف بغيرهم من الحكام الكفرة المرتدين؟!
    إلا أن ذلك لا يمنع من صلاة الجماعة خلف أولئك الأئمة الذين يدعون به، ما دام لا يندرج تحت نصرة الطاغوت أو نصرة شركه - كما قدمنا - فلا ينبغي أن تكون مثل هذه البدع غير المكفرة ذريعة لترك صلاة الجماعة والتهاون بها.
    اللهم إلا أن يثبت لديك بالدليل القاطع أن الإمام أو الخطيب من أولياء الطاغوت وأنصاره، فهذا لا تحل الصلاة خلفه لأنه ليس من المسلمين - لا أبرارهم ولا فجارهم - حتى تسوغ الصلاة خلفه، بمقولة أهل السنة في الصلاة خلف البر والفاجر.
    ...
    والسلام.
    “মুরতাদ শাসকের জন্য যে দোয়া করে তার পেছনে নামাযের বিধান

    * * *
    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
    শ্রদ্ধেয় শায়খ,
    যেসব ইমাম মুরতাদ শাসকের জন্য দোয়া করে তাদের পেছনে জুমআ’ ও অন্যান্য নামায আদায়ের বিধান কি? এ ব্যাপারে অনেক কথা বার্তা হচ্ছে। সব কিংবা অধিকাংশ ইমাম ও খতীবের অবস্থা যদি এমনই হয় তাহলে নামায কোথায় পড়ব??
    জাযাকুমুল্লাহু খাইরান!
    * * *
    জওয়াব:

    بسم الله، والحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله.
    শ্রদ্ধেয় ভ্রাতা,
    আসসালামু আলাইকুম!
    যার ব্যাপারে তুমি নিশ্চিত যে, সে ইসলাম থেকে বের করে দেয় মতো কোন কুফরে লিপ্ত হয়েছে, সে ব্যতীত অন্য কারো পেছনে নামাযের জামাআত ছাড়া উচিৎ হবে না। কুফরে গড়ায়নি এমনসব গুনাহ, বিদআত বা শিথিলতার কারণে জামাআত ছাড়া জায়েয হবে না।
    খতীব যদি মুরতাদ শাসকের হেদায়াতের জন্য কিংবা কিতাব সুন্নাহ মতে বা আল্লাহ তাআলার পছন্দ মতে বা দেশ ও জনগণের কল্যাণকর পন্থায় দেশ চালানোর তাওফীকের জন্য দোয়া করে কিংবা এ জাতীয় অন্য কোন দোয়া করে যা তাগুত বা তাগুতের কুফরী কানূনের নুসরত কিংবা ঈমানদারদের বিরুদ্ধে তাদেরকে সহায়তার দরজায় পড়ে না, তাহলে এসব বিষয় এইসব দোয়াকারী ইমামদের পেছনে জামাআতের সাথে নামায আদায়ের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হবেনা। যতক্ষণ না তা তাগুত বা তাদের শিরকের নুসরতের দরজায় না গড়ায়; যেমনটা পূর্বে বলেছি। কাজেই এসব গাইরে মুকাফফির বিদআতকে জামাআত ছেড়ে দেয়া কিংবা তাতে অবহেলা করার ওসীলা বানানো উচিৎ হবে না।
    তবে এসব দোয়া বিদআত যা শ্রেষ্ট যামানাগুলোতে – অর্থাৎ সাহাবা ও তাবিঈনদের যামানায় – ছিল না। কেননা, আল্লাহ তাআলার শরীয়ত অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনাকারী মুসলিম শাসকের জন্য জুমআর মিম্বরে দোয়া করাকেও ওলামায়ে কেরাম নব আবিষ্কৃত বিদআত আখ্যা দিয়েছেন। তাহলে কাফের ও মুরতাদ শাসকদের জন্য দোয়া করার অবস্থা কি হবে!!
    তবে হ্যাঁ, তোমার নিকট অকাট্য দলীল দ্বারা যদি সাব্যস্ত হয় যে, ইমাম বা খতীব তাগুতের দোস্ত ও তাদের সহায়ক, তাহলে এর পেছনে নামায হবে না। কেননা, সে মুসলমান নয়। না নেককার মুসলমান, না বদকার মুসলমান যে, তার পেছনে নামায জায়েয হবে এই অজুহাতে যে, আহলে সুন্নাত নেককার বদকার সবার পেছনেই নামায পড়তে বলে।

    ওয়াসসালাম!”
    (শায়খ মাকদিসী প্রণীত ‘তুহফাতুল আবরার’, পৃষ্ঠা ১৪৬-১৪৭)
    * * *


    Comment


    • #3
      جزاكم الله بماأنتم له أهل
      حيكم الله مجاهدا وأماتك شهيدا

      Comment


      • #4
        ভাই আমার প্রশ্ন ছিল যারা তাগুতদের নিকট বিচার চায়,ভুট দেয়,জিহাদের বিরোদ্ধে খুতবা দেয় তাদের নিয়ে,যারা তাগুতের জন্য দোয়া করে তাদের ব্যপারে নয়!!

        Comment


        • #5
          Originally posted by ওমর বিন আ:আজিজ View Post
          ভাই আমার প্রশ্ন ছিল যারা তাগুতদের নিকট বিচার চায়,ভুট দেয়,জিহাদের বিরোদ্ধে খুতবা দেয় তাদের নিয়ে,যারা তাগুতের জন্য দোয়া করে তাদের ব্যপারে নয়!!
          আমাদের দেশে যেহেতু ইসলামী আদালত নেই, তাই প্রয়োজনের সময় তাগুতের আদালতে বিচার করানো কুফর নয়।

          ভোট দেয়া যদিও কুফর কিন্তু অজ্ঞতা, তাবিল- ইত্যাদির কারণে বর্তমান অবস্থায় সাধারণ জনগণ ও অবুঝ বা গোমরাহ আলেমদের ভোট দেয়া কুফর নয়।

          জিহাদের বিরুদ্ধে খুতবা দেয়া গোমরাহী। কোন কোন ক্ষেত্রে তা কুফর হতে পারে।

          অতএব, সাধারণ আলেম-উলামাদের তাগুতের কাছে বিচার চাওয়া, ভোট দেয়া বা জিহাদবিরোধি বয়ান-বক্তৃতা সাধারণত কুফর নয়। তাই অন্য কোন কুফর না পাাওয়া গেলে তারা কাফের নয়। তাই তাদের পেছনে নামায সহী হবে। তবে ভাল ইমাম পাওয়া গেলে গোমরাহ ইমামের পিছনে নামায পড়া উচিৎ নয়। না পাওয়া গেলে বা সুযোগ না হলে তখন এদের পিছনেই পড়তে থাকুন।

          Comment


          • #6
            Originally posted by ইলম ও জিহাদ View Post
            আমাদের দেশে যেহেতু ইসলামী আদালত নেই, তাই প্রয়োজনের সময় তাগুতের আদালতে বিচার করানো কুফর নয়।

            ভোট দেয়া যদিও কুফর কিন্তু অজ্ঞতা, তাবিল- ইত্যাদির কারণে বর্তমান অবস্থায় সাধারণ জনগণ ও অবুঝ বা গোমরাহ আলেমদের ভোট দেয়া কুফর নয়।

            জিহাদের বিরুদ্ধে খুতবা দেয়া গোমরাহী। কোন কোন ক্ষেত্রে তা কুফর হতে পারে।

            অতএব, সাধারণ আলেম-উলামাদের তাগুতের কাছে বিচার চাওয়া, ভোট দেয়া বা জিহাদবিরোধি বয়ান-বক্তৃতা সাধারণত কুফর নয়। তাই অন্য কোন কুফর না পাাওয়া গেলে তারা কাফের নয়। তাই তাদের পেছনে নামায সহী হবে। তবে ভাল ইমাম পাওয়া গেলে গোমরাহ ইমামের পিছনে নামায পড়া উচিৎ নয়। না পাওয়া গেলে বা সুযোগ না হলে তখন এদের পিছনেই পড়তে থাকুন।
            জাযাকাল্লাহ

            Comment


            • #7
              প্রিয় ভাই..... যদি কেউ িএমন কথা যে, নাস্তিককে যে হত্যা করতে গেলো তাকে হত্যা করা উচিত
              তাহলে তার বিধান কি হবে???? জাযাকাল্লাহ
              ان الدين عندالله الاسلام
              ইসলামই একমাত্র আল্লাহর মনোনিত ধর্ম

              Comment

              Working...
              X