⬇মুনাফিকদের একাল-সেকাল⬆
👉প্রিয় পাঠক! রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর যুগে যেমনিভাবে মুনাফিক ছিলো, যারা বিভিন্ন বাহানা ও অজুহাত তালাশ করতো যে, কিভাবে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে বাঁচা যায় । তদ্রুপ আজও অনেক লোক রয়েছে যাদের চিন্তা-চেতনা, ওযর-আপত্তি রাসূল (সাঃ) এর যুগের মুনাফিকদের সাথে হুবহু মিলে যায় । আসুন! আমরা এব্যপারে কিছুটা হলেও জেনে নেই, যেন আমরা এ সকল কপটতাপূর্ণ গর্হিত কাজ হতে বিরত থাকতে পারি । আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে আগত আলোচনা হতে পূর্ণাঙ্গ ফায়দা অর্জন করে মুনাফিক হওয়া থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন । আমীন, ইয়া রব্বাল আলামিন ।
👉রাসূল (সাঃ) এর যুগের মুনাফিকরা যা বলতো
👉১। যখনই তাদেরকে বলা হতো চলো জিহাদে বের হই, তো তারা বলতো জিহাদ হচ্ছে ফিৎনা, সুতরাং আমাদেরকে ফিৎনায় ফেলবেন না। ফিৎনা বলে বলে তারা জিহাদ থেকে পালিয়ে বেড়াতো।
👉বর্তমান যুগের লোকেরা যা বলে!!
👉১। এ সকল লোকদের যখন জিহাদের কথা বলা হয়, তারাও বলে উঠে, জিহাদ হচ্ছে এ যুগের ফিৎনা-ফাসাদ, আজকে যারা জিহাদ জিহাদ করে তাঁদের কারণেই বিশ্বের মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে । (নাউযুবিল্লাহ) এভাবেই মুনাফিকরা সর্বযুগে বাস্তবতাকে পুরো উল্টো করে উপস্থাপন করেছে।
👉এদের ব্যপারে কোরআন যা বলে
ومنهم من يقول ائذنلي ولا تفتني الا في الفتنة سقطوا وان جهنم لمحيطة بالكافرين
অর্থঃ তাদের কেউ কেউ বলে, আমাকে জিহাদ থেকে (পেছনে) থাকার অনুমতি দিন! এবং আমাকে ফিৎনায় ফেলবেন না, জেনে রাখুন! তাঁরা তো ফিৎনায় পড়েই রয়েছে। আর নিঃসন্দেহে জাহান্নাম এ সকল কাফেরদের পরিবেষ্টন করে আছে৷ (সূরা তাওবাহ-৪৯)
👉দৃষ্টি আকর্ষণ
🌷প্রিয় পাঠক! আপনি কি লক্ষ করেছেন? কোরআন তাদের কুফুরীর ব্যপারে সাক্ষ্য দিচ্ছে!!
👉রাসূল (সাঃ) এর যুগের মুনাফিকরা যা বলতো
👉২। যখন স্বয়ং রাসূল (সাঃ) জিহাদের অগ্রসৈনিক, তখনও পর্যন্ত মুনাফিকরা বলতে থকতো-
ان يكن في هذا الزمان قتال كنا من الاقدمين اليه
অর্থাৎ যদি এযুগে সত্যিকার অর্থে কোন কিতাল থাকতো, তবে আমরাই যুদ্ধের প্রথম সারিতে অবস্থান করতাম । ( অর্থাৎ তারা রাসূল (সাঃ) এর উপস্থিতিতে বলতো যে এযুগে সত্যিকার অর্থে কোন কিতাল নেই । (নাউযুবিল্লাহ ) যদি থাকতো, তবে এসকল মুনাফিকরা নাকি যুদ্ধের প্রথম সারিতে অবস্থান করতো!! চোরের মায়ের বড় গলা! জিহাদ থেকে পালিযে বাঁচার ফন্দি সবযুগের মুনাফিকরাই এঁটেছিল!
👉বর্তমান যুগের লোকেরা যা বলে!
👉২। এযুগের কতিপয় লোকেরাও এমনটি বলে থাকে, আবার কেউ কেউ মাশায়েখদের দোহাই দিয়ে জিহাদ থেকে পালিয়ে বাঁচতে চায় । তারা বলে বেড়ায়, আরে ভাই! অমুক মশায়েখ, মুফতি, মুহাদ্দিস, পীরসাহেব তোমার চেয়ে কম বুঝে নাকি ? যদি এযুগে জিহাদ থাকতো, তাহলে এ শায়েখেরা জিহাদ না করে বসে থাকতোনা। আশ্চর্যের কিছু নেই! রাসূল (সাঃ) এর উপস্থিতিতে যদি মুনাফিকরা এমনটি বলতে পারে, তবে এযুগে বলাটা তো একেবারেই স্বাভাবিক!! তবে আফসোস! সেসব শায়েখদের জন্য যারা জিহাদ না করে বসে থেকে জিহাদের বিরুদ্ধে নিজেকে দলীলরূপে পেশ করছেন। তারা একবারও ভেবে দেখেছেন কি? কেয়ামতে তাদের অবস্থা কতটা ভয়াবহ হতে পারে ?
👉এদের ব্যপারে কোরআন যা বলে
وليعلم الذين نافقوا وقيل لهم تعالوا قاتلوا في سبيل الله او ادفعوا قالو لو نعلم قتالا لاتبعناكم هم للكفر يومئذ اقرب منهم للايمان يقولون بافواههم ما ليس في قلوبهم والله اعلم بما يكتمون
অর্থঃ আর যেন আল্লাহ তা'আলা জেনে নেন, যারা মুনাফিক তাদেরকে! যখন এসকল মুনাফিকদের বলা হয়, এসো আল্লাহর পথে লড়াই করো, কিংবা প্রতিহত করো শত্রুদেরকে!! (তখন) তারা বলেছিলো- যদি আমরা (এটাকে) কিতাল মনে করতাম, তাহলে অবশ্যই তোমাদের সাথে থাকতাম। সেদিন তারা ঈমানের তুলনায় কুফরীর অধিক নিকটবর্তী ছিলো। তারা নিজেদের মুখে সে কথাই বলে, যা তাদের অন্তরে নেই। বস্তুত আল্লাহ তা’আলা সে বিষয়ে ভালই জানেন, যা তোমরা গোপন করো । (সূরা আলে ইমরান-১৬৭)
👉দৃষ্টি আকর্ষণ!!
🌷প্রিয় পাঠক! আপনি কি লক্ষ করেছেন যে, ‘কোরআন, তাদেরকে মুনাফিক হওয়ার ফতোয়া দিচ্ছে!!!
👉রাসূল (সাঃ) এর যুগের মুনাফিকরা যা বলতো
👉৩।যখন কোন সাহাবী শহীদ হয়ে যেতেন, কিংবা আহত হতেন, বা জিহাদ করতে গিয়ে কোন কষ্ট-ক্লেশে পতিত হতেন, তখন তারা বলতো, তোমাদের কত বলেছি যে যুদ্ধে যেওনা, তাহলেই তো আজকে অমুকে মারা যেতোনা । বিপদে পতিত হতনা । এভাবে নানান কিছু ।
👉বর্তমান যুগের লোকেরা যা বলে
👉৩। এ যুগের মুনাফিক স্বভাবের লোকেরাও ঠিক এমনটিই বলে থাকে । যখন কেউ জিহাদের কাজ করতে গিয়ে কিংবা জিহাদের কথা বলে বন্দি হয়, তখন তারা বলে – তোমাকে কতবার বলেছি এসব করার প্রয়োজন নেই । এখন জেলের ভাত খাও, আর বুঝ কত মজা!!
👉এদের ব্যপারে কোরআন যা বলে
الذين قالو لاخوانهم لو اطاعونا ما قتلوا قل فادرؤوا عن انفسكم الموت ان كنتم صادقي
অর্থঃ ওরা হলো সেসব লোক, যারা নিজেরা (জিহাদ ছেড়ে) বসে থাকে আর তাদের ভাইদের ব্যপারে (যারা যুদ্ধে গিয়েছে) সমালোচনা করে বলে, যদি তাঁরা আমাদের কথা শুনতো, তাহলে নিহত হতোনা। (হে রাসূল সাঃ) আপনি তাদেরকে বলে দিন, (পারলে) তোমরা তোমাদের থেকে মৃত্যুকে সরিয়ে নাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ।(সূরা আলে ইমরান-১৬৮)
👉দৃষ্টি আকর্ষণ
🌷প্রিয় পাঠক! এখানে আল্লাহ তা’আলা মুনাফিকদের আরো একটি চরিত্র প্রকাশ করে দিলেন এবং চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন যে, তোমরা যদি তোমাদের কথায় সত্যবাদী হও, তাহলে মৃত্যু ঠেকাও! আর এটা তোমরা কখনোই পারবেনা । অতএব তোমরা তোমাদের দাবীতে মিথ্যাবাদী ।
👉প্রিয় পাঠক! রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর যুগে যেমনিভাবে মুনাফিক ছিলো, যারা বিভিন্ন বাহানা ও অজুহাত তালাশ করতো যে, কিভাবে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে বাঁচা যায় । তদ্রুপ আজও অনেক লোক রয়েছে যাদের চিন্তা-চেতনা, ওযর-আপত্তি রাসূল (সাঃ) এর যুগের মুনাফিকদের সাথে হুবহু মিলে যায় । আসুন! আমরা এব্যপারে কিছুটা হলেও জেনে নেই, যেন আমরা এ সকল কপটতাপূর্ণ গর্হিত কাজ হতে বিরত থাকতে পারি । আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে আগত আলোচনা হতে পূর্ণাঙ্গ ফায়দা অর্জন করে মুনাফিক হওয়া থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন । আমীন, ইয়া রব্বাল আলামিন ।
👉রাসূল (সাঃ) এর যুগের মুনাফিকরা যা বলতো
👉১। যখনই তাদেরকে বলা হতো চলো জিহাদে বের হই, তো তারা বলতো জিহাদ হচ্ছে ফিৎনা, সুতরাং আমাদেরকে ফিৎনায় ফেলবেন না। ফিৎনা বলে বলে তারা জিহাদ থেকে পালিয়ে বেড়াতো।
👉বর্তমান যুগের লোকেরা যা বলে!!
👉১। এ সকল লোকদের যখন জিহাদের কথা বলা হয়, তারাও বলে উঠে, জিহাদ হচ্ছে এ যুগের ফিৎনা-ফাসাদ, আজকে যারা জিহাদ জিহাদ করে তাঁদের কারণেই বিশ্বের মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে । (নাউযুবিল্লাহ) এভাবেই মুনাফিকরা সর্বযুগে বাস্তবতাকে পুরো উল্টো করে উপস্থাপন করেছে।
👉এদের ব্যপারে কোরআন যা বলে
ومنهم من يقول ائذنلي ولا تفتني الا في الفتنة سقطوا وان جهنم لمحيطة بالكافرين
অর্থঃ তাদের কেউ কেউ বলে, আমাকে জিহাদ থেকে (পেছনে) থাকার অনুমতি দিন! এবং আমাকে ফিৎনায় ফেলবেন না, জেনে রাখুন! তাঁরা তো ফিৎনায় পড়েই রয়েছে। আর নিঃসন্দেহে জাহান্নাম এ সকল কাফেরদের পরিবেষ্টন করে আছে৷ (সূরা তাওবাহ-৪৯)
👉দৃষ্টি আকর্ষণ
🌷প্রিয় পাঠক! আপনি কি লক্ষ করেছেন? কোরআন তাদের কুফুরীর ব্যপারে সাক্ষ্য দিচ্ছে!!
👉রাসূল (সাঃ) এর যুগের মুনাফিকরা যা বলতো
👉২। যখন স্বয়ং রাসূল (সাঃ) জিহাদের অগ্রসৈনিক, তখনও পর্যন্ত মুনাফিকরা বলতে থকতো-
ان يكن في هذا الزمان قتال كنا من الاقدمين اليه
অর্থাৎ যদি এযুগে সত্যিকার অর্থে কোন কিতাল থাকতো, তবে আমরাই যুদ্ধের প্রথম সারিতে অবস্থান করতাম । ( অর্থাৎ তারা রাসূল (সাঃ) এর উপস্থিতিতে বলতো যে এযুগে সত্যিকার অর্থে কোন কিতাল নেই । (নাউযুবিল্লাহ ) যদি থাকতো, তবে এসকল মুনাফিকরা নাকি যুদ্ধের প্রথম সারিতে অবস্থান করতো!! চোরের মায়ের বড় গলা! জিহাদ থেকে পালিযে বাঁচার ফন্দি সবযুগের মুনাফিকরাই এঁটেছিল!
👉বর্তমান যুগের লোকেরা যা বলে!
👉২। এযুগের কতিপয় লোকেরাও এমনটি বলে থাকে, আবার কেউ কেউ মাশায়েখদের দোহাই দিয়ে জিহাদ থেকে পালিয়ে বাঁচতে চায় । তারা বলে বেড়ায়, আরে ভাই! অমুক মশায়েখ, মুফতি, মুহাদ্দিস, পীরসাহেব তোমার চেয়ে কম বুঝে নাকি ? যদি এযুগে জিহাদ থাকতো, তাহলে এ শায়েখেরা জিহাদ না করে বসে থাকতোনা। আশ্চর্যের কিছু নেই! রাসূল (সাঃ) এর উপস্থিতিতে যদি মুনাফিকরা এমনটি বলতে পারে, তবে এযুগে বলাটা তো একেবারেই স্বাভাবিক!! তবে আফসোস! সেসব শায়েখদের জন্য যারা জিহাদ না করে বসে থেকে জিহাদের বিরুদ্ধে নিজেকে দলীলরূপে পেশ করছেন। তারা একবারও ভেবে দেখেছেন কি? কেয়ামতে তাদের অবস্থা কতটা ভয়াবহ হতে পারে ?
👉এদের ব্যপারে কোরআন যা বলে
وليعلم الذين نافقوا وقيل لهم تعالوا قاتلوا في سبيل الله او ادفعوا قالو لو نعلم قتالا لاتبعناكم هم للكفر يومئذ اقرب منهم للايمان يقولون بافواههم ما ليس في قلوبهم والله اعلم بما يكتمون
অর্থঃ আর যেন আল্লাহ তা'আলা জেনে নেন, যারা মুনাফিক তাদেরকে! যখন এসকল মুনাফিকদের বলা হয়, এসো আল্লাহর পথে লড়াই করো, কিংবা প্রতিহত করো শত্রুদেরকে!! (তখন) তারা বলেছিলো- যদি আমরা (এটাকে) কিতাল মনে করতাম, তাহলে অবশ্যই তোমাদের সাথে থাকতাম। সেদিন তারা ঈমানের তুলনায় কুফরীর অধিক নিকটবর্তী ছিলো। তারা নিজেদের মুখে সে কথাই বলে, যা তাদের অন্তরে নেই। বস্তুত আল্লাহ তা’আলা সে বিষয়ে ভালই জানেন, যা তোমরা গোপন করো । (সূরা আলে ইমরান-১৬৭)
👉দৃষ্টি আকর্ষণ!!
🌷প্রিয় পাঠক! আপনি কি লক্ষ করেছেন যে, ‘কোরআন, তাদেরকে মুনাফিক হওয়ার ফতোয়া দিচ্ছে!!!
👉রাসূল (সাঃ) এর যুগের মুনাফিকরা যা বলতো
👉৩।যখন কোন সাহাবী শহীদ হয়ে যেতেন, কিংবা আহত হতেন, বা জিহাদ করতে গিয়ে কোন কষ্ট-ক্লেশে পতিত হতেন, তখন তারা বলতো, তোমাদের কত বলেছি যে যুদ্ধে যেওনা, তাহলেই তো আজকে অমুকে মারা যেতোনা । বিপদে পতিত হতনা । এভাবে নানান কিছু ।
👉বর্তমান যুগের লোকেরা যা বলে
👉৩। এ যুগের মুনাফিক স্বভাবের লোকেরাও ঠিক এমনটিই বলে থাকে । যখন কেউ জিহাদের কাজ করতে গিয়ে কিংবা জিহাদের কথা বলে বন্দি হয়, তখন তারা বলে – তোমাকে কতবার বলেছি এসব করার প্রয়োজন নেই । এখন জেলের ভাত খাও, আর বুঝ কত মজা!!
👉এদের ব্যপারে কোরআন যা বলে
الذين قالو لاخوانهم لو اطاعونا ما قتلوا قل فادرؤوا عن انفسكم الموت ان كنتم صادقي
অর্থঃ ওরা হলো সেসব লোক, যারা নিজেরা (জিহাদ ছেড়ে) বসে থাকে আর তাদের ভাইদের ব্যপারে (যারা যুদ্ধে গিয়েছে) সমালোচনা করে বলে, যদি তাঁরা আমাদের কথা শুনতো, তাহলে নিহত হতোনা। (হে রাসূল সাঃ) আপনি তাদেরকে বলে দিন, (পারলে) তোমরা তোমাদের থেকে মৃত্যুকে সরিয়ে নাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ।(সূরা আলে ইমরান-১৬৮)
👉দৃষ্টি আকর্ষণ
🌷প্রিয় পাঠক! এখানে আল্লাহ তা’আলা মুনাফিকদের আরো একটি চরিত্র প্রকাশ করে দিলেন এবং চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন যে, তোমরা যদি তোমাদের কথায় সত্যবাদী হও, তাহলে মৃত্যু ঠেকাও! আর এটা তোমরা কখনোই পারবেনা । অতএব তোমরা তোমাদের দাবীতে মিথ্যাবাদী ।
Comment