** একবোনের দেখা একটি স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা। **
স্বপ্নটি দেখেছেন এক বোন তার মামাকে নিয়ে। স্বপ্নের ব্যাখ্যায় তার মামা কিছু আলোচনা করেছেন আমাদের জন্য হয়তো তা উপকারী হবে। তাই স্বপ্ন সহ ব্যাখ্যা দেওয়া হলো। আল্লাহ তায়ালা যেন তা আমাদের জন্য উপকারী বানিয়ে দেন। আমীন!
# ১ম স্বপ্ন।
আমি আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো সেদিনও অযুকরে দোয়া পড়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমি দেখি খালামনি, আমি আর মামী নানুদের বাড়িতে ঠিক অমুসলিমদের মত ইবাদত করছি কিন্তু একবার ভাবছি এটা ভাল আরেকবার ভাবছি এটা খারাপ এমন সময় হঠাৎ বড় মামা (রহ.)এসে বলতেছেন কী করছ তোমরা? তখন আমরা ভয় পেলাম এবং বুঝতে পেরে তওবা করতে মুনাজাতে বসলাম।
ব্যাখ্যা
তোমার স্বপ্নটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। আমাকে সতর্ক করেছে। তোমাকে আল্লাহ তায়ালা পরিপূর্ণ জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন!
তুমি যে স্বপ্নটা দেখেছ সেখানে সমাজের একটা চিত্র ফোটে উঠে। দেখ আমরা আজকে আল্লাহ তালার ইবাদাত ছেড়ে দিয়ে মানুষের ইবাদত শুরু করেছি। অথচ আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন যেন এখানে শুধু মাত্র তারই ইবাদত হয়। অন্য কারও ইবাদত আল্লার জমিনে করা যাবেনা। আর এই জমিনে যেন আল্লার ইবাদত প্রতিষ্ঠিত হয় গাইরুল্লার ইবাদত দূরিভূত হয় সেজন্য আল্লাহ তায়ালা নবীদেরকে পাঠিয়েছিলেন। তারা এসে গাইরুল্লার ইবাদত তথা মূর্তি পূজা আর আর সমস্ত তাগুতের ইবাদত ছেড়ে এক আল্লাহর ইবাদত করার দাওয়াত দিয়েছেন। যারা দাওয়াত গ্রহন করেছেন তারাতো সফল হয়েছেন। আর যারা দাওয়াত গ্রহন করেনি তাদেরকে আল্লাহর রাসূল বলেছেন তোমরা যদি এক আল্লাহর ইবাদত না কর অর্থাৎ আল্লাহর কোরআনের আইন বাস্তবায়ন করে তার উপর অটল না থাক তাহলে তোমাদের প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে আরেকটা অপশন আছে সেটা হলো তোমরা মুসলমানদের আমীরুল মু'মিনীনকে প্রতি বছর নিরাপত্তা কর দিবে। অর্থাৎ তোমরা মুসলমাদের অধীনস্থ হয়ে থাকবে।তাহলে তোমরা নিরাপত্তা পাবে। আর যদি তোমরা কর না দাও মুসলমানদের অধীনে থাকতে নাচাও তাহলে সে সুযোগ তোমাদেরকে দেওয়া হবেনা যতক্ষন পর্যন্ত তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ না করবে। অর্থাৎ তরবারির মাধ্যমেই ফায়সালা হবে এই যমীনে কার ইবাদত করা হবে এবং কার আইন প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
আজকে দুনিয়ার অবস্থা দেখ কোথাও আল্লার কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠিত নেই আমরা যে দেশে বাস করছি এখানে চলে কোরান বিরুধী আইন। এই সংবিধানে একটা দুইটা নয় অনেক আইন রয়েছে যেগুলো আল্লাহর কোরানের আয়াতের সম্পূর্ন বিপরীত। যেমন চোরের হাত কাটা যিনাকারীকে পাথরমেরে হত্যাকরা। মানুষকে আইন তৈরী করার ক্ষমতা দেওয়া। যেটাকে সার্বভৌমত্ত ক্ষমতা বলে। এই সার্বভৌমত্ত ক্ষমতাই হলো সকল সমস্যার মূল। কোরআন বলে সার্বভৌমত্ত ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর। আর আমাদের সংবিধানের আইন হলো সার্বভৌমত্ত ক্ষমতা জনগনের। এই কারনেই আজকে মানুষ আল্লাহর আইন বাদদিয়ে নিজের মন গড়া আইন প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। এটা স্পষ্ট কুফুরী। যেখানে আল্লাহর একটা আয়াত অস্বীকার করলে ঈমান থাকেনা সেখানে এতগুলো আয়াত অমান্য করে আইন পরিবর্তন যারা করে তাদের ঈমান থাকতে পারেনা। তো আজকে দুনিয়ায় চলছে কুফুরী আইন। আর এর কারনে যা ক্ষতি হচ্ছে তা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা। এক নাম্বার ক্ষতি হচ্ছে আল্লার যমীনে আল্লার দ্বীন পরাজিত হচ্ছে এটা আমরা নিজেদেরকে আল্লাহর বান্দা দাবী করার পর কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা। বরং আমরা আমাদের মাল সম্পদ জীবন কুরবান করে দিতে পারি আল্লার দ্বীনের বিজয়ের জন্য। মুহাম্মাদ সা.এবং তাঁর সাহাবীরা আমাদেরকে এটাই শিক্ষা দিয়েছেন।
দুই নাম্বার যে ক্ষতি হয়েছে আজকে আল্লাহর বান্দারা আল্লার দ্বীন মানতে পারছেনা আল্লাহর বান্দাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে কুফুরী শাষন ব্যবস্থা। নিজেরা ইজ্জত আব্রু হেফাজত করতে পারছেনা হত্যা ধর্ষন বেড়েই চলছে যিনা ব্যভিচারের মহরা চলছে কোন বিচার হচ্ছেনা। সুদকে রাষ্ট্রীয় ভাবে বৈধ করা হয়েছে। ঘুষ এখন এমন হয়েছে যেন এটা বৈধ। সব জাগায় নারীদের অবাদ বেপর্দা চলার জন্য পথ করে দেওয়া হয়েছে অনলাইন ইন্টারনেটে বেহায়ায়াপনার ছড়াছড়ি চলছে। আজকে একজন ঈমানদার মানুষ এই সমাজে ঈমান নিয়ে থাকা অসম্ভব হয়েগেছে।আজকে মসজিদ মাদ্রাসা থেকে শুরু করে কোথাও মিথ্যাচার চুরি বাটপারি আত্মসাৎ থেকে নিরাপদ থাকা যাচ্ছেনা। বিশেষ করে মাদ্রাসা মসজিদ গুলোতেও এখন মিথ্যাচার আর আত্মসাৎ আর অবৈধ ভাবে টাকা উপার্জনের মহড়া চলছে। (হ্যাঁ ব্যতিক্রম তো কিছু থাকবেই) তাহলে বলো আমি একজন মুসলমান হিসেবে আল্লার বান্দা হিসেবে দুনিয়ার এই অবস্থা দেখে আমার কী করনীয়?
এটা হলো আমাদের দেশের অবস্থা। তুমি হয়তো জানো আল্লার রাসূল সা. শুধু এদেশের মানুষের নবী নন তিনি সারা বিশ্বের সকল মুসলমানদের নবী। তিনি বলেছেন সারা দুনিয়ার মুসলমানরা ভাই ভাই একজন মুসলমান কোন কাফের দ্বারা আক্রান্ত হলে সকল মুসলমানের উপর ফরজ হয়ে যায় তাকে রক্ষা করা। আর আজকে যে মুসলমানদের দেশগুলো বিভক্ত করা হয়েছে এটাও করেছে কাফেররা যেন মুসলমানরা একে অপরকে সাহায্য করতে না পারে। এটা করেছে ব্রিটিশ কাফেররা। এরা যখন পরাজিত হয়ে চলে যায় তখন অত্যন্ত কৌশলে এই কাজটা করে যায়। ইসলামী সম্রাজ্যকে ভেংগে টুকরা টুকরা করে যায়। এর পর এই রাষ্ট্রগুলোকে তাদের মনমতো শাষক আর তাদের তৈরী সংবিধান দিয়ে যায়। বিপরীত দিকে দুনিয়ার কুফফাররা মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে জাতিসংঘের নামে। এদের তত্বাবধানেই আজ ফিলিস্তিনকে ইহুদীরা দখল করেছে এদের তত্ববদানেই আফগানিস্তানে হামলা করে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে হত্যা করেছে ইরাকে দশ লক্ষ মুসলিমকে হত্যা করেছে সিরিয়াতে মেরেছে ১১ লক্ষ আরাকানে যে কত লক্ষ মেরেছে আর কত লক্ষ মুসলিম গৃহহীন হয়েছে তার কোন হিসাব নেই। এসব হয়েছে জাতিসংঘ নামক এই শয়তানগুলোর মদদেই। অথচ এরাই বলে তারা নাকি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। এসব ধোকাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। এর পর এখন যারা আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায় যারা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের পাশেদাড়াতে চায় তাদেরকে বলে এরা জংগী সন্ত্রাসী। কাজেই মুসলমানদের ইজ্জত সম্মান নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে সবার আগে আল্লার কালিমাকে বুলন্দ করতে সর্বপ্রথম যা করতে হবে তাহলো কুফফার দের শক্তিকে নিঃশেষ করতে হবে। এর জন্য জিহাদের বিকল্প নেই। কুফফারদেরকে যুদ্ধের ময়দানে এনে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এদের অর্থ সম্পদ প্রভাব ধংস করতে হবে। তাহলেই আমরা আল্লাহর দ্বীনকে বুলন্দ করতে পারব। অন্যথায় এরা এই অর্থ দিয়ে এই অস্ত্র দিয়েই আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য প্রয়োজন এক দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধ যা বর্তমানে চলছে পূরা বিশ্ব জুড়ে। এক পক্ষে আছে সারা দুনিয়ার কুফফাররা আমেরিকা বৃটেন রাশিয়া ফ্রান্স জার্মানী ভারত আর মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মুরতাদ সরকারগুলো অপরদিকে আছে রিক্ত হস্থ কিন্তু দৃঢ় ঈমানের অধীকারি কিছু সংখক মুজাহিদ যারা বিশ্বের বিভিন্ন ময়দানে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সাথে বীরত্বের সাথে লড়ে যাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ মুজাহিদদের এই দলটাই ইমাম মাহদীর সাথে যুক্ত হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ইমাম মাহদীর সাথে মিলিত হয়ে যুদ্ধকরে শাহাদাত লাভ করার তৌফিক দিন। আমীন!"
মূলত তোমার স্বপ্নের ব্যখ্যা দিতে গিয়ে এটা লিখা শুরু করেছিলাম। কিন্তু আলোচনাটা প্রাসংগিক হওয়ায় জিহাদ কেন করব কার সাথে করব তার কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বাকি এবিষয়ে তোমাকে আরো অনেক পড়তে হবে। তুমি প্রতিদিন কিছু কিছু করে পড়তে থাক আমি তোমাকে সহযোগীতা করব ইনশাআল্লাহ। আসলে জিহাদ করতে হলে এসম্পর্কে আগে জানাশুনা থাকতে হবে পর্যাপ্ত। নাহয় বিভ্রান্ত হওয়ার আশংকা আছে
কিছুদিন পড়লেই তুমি বুঝতে পারবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা তোমাকে কবুল করুন।
স্বপ্নটি দেখেছেন এক বোন তার মামাকে নিয়ে। স্বপ্নের ব্যাখ্যায় তার মামা কিছু আলোচনা করেছেন আমাদের জন্য হয়তো তা উপকারী হবে। তাই স্বপ্ন সহ ব্যাখ্যা দেওয়া হলো। আল্লাহ তায়ালা যেন তা আমাদের জন্য উপকারী বানিয়ে দেন। আমীন!
# ১ম স্বপ্ন।
আমি আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো সেদিনও অযুকরে দোয়া পড়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমি দেখি খালামনি, আমি আর মামী নানুদের বাড়িতে ঠিক অমুসলিমদের মত ইবাদত করছি কিন্তু একবার ভাবছি এটা ভাল আরেকবার ভাবছি এটা খারাপ এমন সময় হঠাৎ বড় মামা (রহ.)এসে বলতেছেন কী করছ তোমরা? তখন আমরা ভয় পেলাম এবং বুঝতে পেরে তওবা করতে মুনাজাতে বসলাম।
ব্যাখ্যা
তোমার স্বপ্নটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। আমাকে সতর্ক করেছে। তোমাকে আল্লাহ তায়ালা পরিপূর্ণ জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন!
তুমি যে স্বপ্নটা দেখেছ সেখানে সমাজের একটা চিত্র ফোটে উঠে। দেখ আমরা আজকে আল্লাহ তালার ইবাদাত ছেড়ে দিয়ে মানুষের ইবাদত শুরু করেছি। অথচ আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন যেন এখানে শুধু মাত্র তারই ইবাদত হয়। অন্য কারও ইবাদত আল্লার জমিনে করা যাবেনা। আর এই জমিনে যেন আল্লার ইবাদত প্রতিষ্ঠিত হয় গাইরুল্লার ইবাদত দূরিভূত হয় সেজন্য আল্লাহ তায়ালা নবীদেরকে পাঠিয়েছিলেন। তারা এসে গাইরুল্লার ইবাদত তথা মূর্তি পূজা আর আর সমস্ত তাগুতের ইবাদত ছেড়ে এক আল্লাহর ইবাদত করার দাওয়াত দিয়েছেন। যারা দাওয়াত গ্রহন করেছেন তারাতো সফল হয়েছেন। আর যারা দাওয়াত গ্রহন করেনি তাদেরকে আল্লাহর রাসূল বলেছেন তোমরা যদি এক আল্লাহর ইবাদত না কর অর্থাৎ আল্লাহর কোরআনের আইন বাস্তবায়ন করে তার উপর অটল না থাক তাহলে তোমাদের প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে আরেকটা অপশন আছে সেটা হলো তোমরা মুসলমানদের আমীরুল মু'মিনীনকে প্রতি বছর নিরাপত্তা কর দিবে। অর্থাৎ তোমরা মুসলমাদের অধীনস্থ হয়ে থাকবে।তাহলে তোমরা নিরাপত্তা পাবে। আর যদি তোমরা কর না দাও মুসলমানদের অধীনে থাকতে নাচাও তাহলে সে সুযোগ তোমাদেরকে দেওয়া হবেনা যতক্ষন পর্যন্ত তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ না করবে। অর্থাৎ তরবারির মাধ্যমেই ফায়সালা হবে এই যমীনে কার ইবাদত করা হবে এবং কার আইন প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
আজকে দুনিয়ার অবস্থা দেখ কোথাও আল্লার কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠিত নেই আমরা যে দেশে বাস করছি এখানে চলে কোরান বিরুধী আইন। এই সংবিধানে একটা দুইটা নয় অনেক আইন রয়েছে যেগুলো আল্লাহর কোরানের আয়াতের সম্পূর্ন বিপরীত। যেমন চোরের হাত কাটা যিনাকারীকে পাথরমেরে হত্যাকরা। মানুষকে আইন তৈরী করার ক্ষমতা দেওয়া। যেটাকে সার্বভৌমত্ত ক্ষমতা বলে। এই সার্বভৌমত্ত ক্ষমতাই হলো সকল সমস্যার মূল। কোরআন বলে সার্বভৌমত্ত ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর। আর আমাদের সংবিধানের আইন হলো সার্বভৌমত্ত ক্ষমতা জনগনের। এই কারনেই আজকে মানুষ আল্লাহর আইন বাদদিয়ে নিজের মন গড়া আইন প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। এটা স্পষ্ট কুফুরী। যেখানে আল্লাহর একটা আয়াত অস্বীকার করলে ঈমান থাকেনা সেখানে এতগুলো আয়াত অমান্য করে আইন পরিবর্তন যারা করে তাদের ঈমান থাকতে পারেনা। তো আজকে দুনিয়ায় চলছে কুফুরী আইন। আর এর কারনে যা ক্ষতি হচ্ছে তা আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা। এক নাম্বার ক্ষতি হচ্ছে আল্লার যমীনে আল্লার দ্বীন পরাজিত হচ্ছে এটা আমরা নিজেদেরকে আল্লাহর বান্দা দাবী করার পর কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা। বরং আমরা আমাদের মাল সম্পদ জীবন কুরবান করে দিতে পারি আল্লার দ্বীনের বিজয়ের জন্য। মুহাম্মাদ সা.এবং তাঁর সাহাবীরা আমাদেরকে এটাই শিক্ষা দিয়েছেন।
দুই নাম্বার যে ক্ষতি হয়েছে আজকে আল্লাহর বান্দারা আল্লার দ্বীন মানতে পারছেনা আল্লাহর বান্দাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে কুফুরী শাষন ব্যবস্থা। নিজেরা ইজ্জত আব্রু হেফাজত করতে পারছেনা হত্যা ধর্ষন বেড়েই চলছে যিনা ব্যভিচারের মহরা চলছে কোন বিচার হচ্ছেনা। সুদকে রাষ্ট্রীয় ভাবে বৈধ করা হয়েছে। ঘুষ এখন এমন হয়েছে যেন এটা বৈধ। সব জাগায় নারীদের অবাদ বেপর্দা চলার জন্য পথ করে দেওয়া হয়েছে অনলাইন ইন্টারনেটে বেহায়ায়াপনার ছড়াছড়ি চলছে। আজকে একজন ঈমানদার মানুষ এই সমাজে ঈমান নিয়ে থাকা অসম্ভব হয়েগেছে।আজকে মসজিদ মাদ্রাসা থেকে শুরু করে কোথাও মিথ্যাচার চুরি বাটপারি আত্মসাৎ থেকে নিরাপদ থাকা যাচ্ছেনা। বিশেষ করে মাদ্রাসা মসজিদ গুলোতেও এখন মিথ্যাচার আর আত্মসাৎ আর অবৈধ ভাবে টাকা উপার্জনের মহড়া চলছে। (হ্যাঁ ব্যতিক্রম তো কিছু থাকবেই) তাহলে বলো আমি একজন মুসলমান হিসেবে আল্লার বান্দা হিসেবে দুনিয়ার এই অবস্থা দেখে আমার কী করনীয়?
এটা হলো আমাদের দেশের অবস্থা। তুমি হয়তো জানো আল্লার রাসূল সা. শুধু এদেশের মানুষের নবী নন তিনি সারা বিশ্বের সকল মুসলমানদের নবী। তিনি বলেছেন সারা দুনিয়ার মুসলমানরা ভাই ভাই একজন মুসলমান কোন কাফের দ্বারা আক্রান্ত হলে সকল মুসলমানের উপর ফরজ হয়ে যায় তাকে রক্ষা করা। আর আজকে যে মুসলমানদের দেশগুলো বিভক্ত করা হয়েছে এটাও করেছে কাফেররা যেন মুসলমানরা একে অপরকে সাহায্য করতে না পারে। এটা করেছে ব্রিটিশ কাফেররা। এরা যখন পরাজিত হয়ে চলে যায় তখন অত্যন্ত কৌশলে এই কাজটা করে যায়। ইসলামী সম্রাজ্যকে ভেংগে টুকরা টুকরা করে যায়। এর পর এই রাষ্ট্রগুলোকে তাদের মনমতো শাষক আর তাদের তৈরী সংবিধান দিয়ে যায়। বিপরীত দিকে দুনিয়ার কুফফাররা মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে জাতিসংঘের নামে। এদের তত্বাবধানেই আজ ফিলিস্তিনকে ইহুদীরা দখল করেছে এদের তত্ববদানেই আফগানিস্তানে হামলা করে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে হত্যা করেছে ইরাকে দশ লক্ষ মুসলিমকে হত্যা করেছে সিরিয়াতে মেরেছে ১১ লক্ষ আরাকানে যে কত লক্ষ মেরেছে আর কত লক্ষ মুসলিম গৃহহীন হয়েছে তার কোন হিসাব নেই। এসব হয়েছে জাতিসংঘ নামক এই শয়তানগুলোর মদদেই। অথচ এরাই বলে তারা নাকি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। এসব ধোকাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। এর পর এখন যারা আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায় যারা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের পাশেদাড়াতে চায় তাদেরকে বলে এরা জংগী সন্ত্রাসী। কাজেই মুসলমানদের ইজ্জত সম্মান নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে সবার আগে আল্লার কালিমাকে বুলন্দ করতে সর্বপ্রথম যা করতে হবে তাহলো কুফফার দের শক্তিকে নিঃশেষ করতে হবে। এর জন্য জিহাদের বিকল্প নেই। কুফফারদেরকে যুদ্ধের ময়দানে এনে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এদের অর্থ সম্পদ প্রভাব ধংস করতে হবে। তাহলেই আমরা আল্লাহর দ্বীনকে বুলন্দ করতে পারব। অন্যথায় এরা এই অর্থ দিয়ে এই অস্ত্র দিয়েই আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য প্রয়োজন এক দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধ যা বর্তমানে চলছে পূরা বিশ্ব জুড়ে। এক পক্ষে আছে সারা দুনিয়ার কুফফাররা আমেরিকা বৃটেন রাশিয়া ফ্রান্স জার্মানী ভারত আর মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মুরতাদ সরকারগুলো অপরদিকে আছে রিক্ত হস্থ কিন্তু দৃঢ় ঈমানের অধীকারি কিছু সংখক মুজাহিদ যারা বিশ্বের বিভিন্ন ময়দানে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সাথে বীরত্বের সাথে লড়ে যাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ মুজাহিদদের এই দলটাই ইমাম মাহদীর সাথে যুক্ত হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ইমাম মাহদীর সাথে মিলিত হয়ে যুদ্ধকরে শাহাদাত লাভ করার তৌফিক দিন। আমীন!"
মূলত তোমার স্বপ্নের ব্যখ্যা দিতে গিয়ে এটা লিখা শুরু করেছিলাম। কিন্তু আলোচনাটা প্রাসংগিক হওয়ায় জিহাদ কেন করব কার সাথে করব তার কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বাকি এবিষয়ে তোমাকে আরো অনেক পড়তে হবে। তুমি প্রতিদিন কিছু কিছু করে পড়তে থাক আমি তোমাকে সহযোগীতা করব ইনশাআল্লাহ। আসলে জিহাদ করতে হলে এসম্পর্কে আগে জানাশুনা থাকতে হবে পর্যাপ্ত। নাহয় বিভ্রান্ত হওয়ার আশংকা আছে
কিছুদিন পড়লেই তুমি বুঝতে পারবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা তোমাকে কবুল করুন।
Comment