How Al-Qaeda Works: The Jihadist Group’s Evolving Organizational Design
মূল লেখার লিংকঃ https://www.hudson.org/research/1436...ational-design
* লেখার ভাবানুবাদ করা হয়েছে লেখাটি দুই জন কাফির থিংক ট্যাংক Daveed Gartenstein-Ross & Nathaniel Barr এই দুইজনের লেখা। Hudson Institute থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র।
এখানে আল-কায়েদার উত্থান তার সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে গভীর আলোচনা করা হয়েছে। যদিও কিছু কিছু আমেরিকান বিশেষজ্ঞ মনে করেছিল ওসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর শাহাদাতের পরে আল কায়েদা অচল হয়ে যাবে বা আল কায়েদার প্রবীণ নেতাদের হারানোর আঘাত এই দল আর কাটিয়ে উঠতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা , আধুনিক যুগের জিহাদের সুচনা লগ্নে যারা এই কাজের আঞ্জাম দিয়েছিলেন তারা ছিলেন উস্তাদ সাইয়েদ কুতুব রাহিঃ ও ইমাম আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিঃ । উনাদের ইলমী দক্ষতা ও ত্যাগের কারণে একদল যুবক উম্মাহ এর গতিপথ পরিবর্তনে জিহাদের পথ বেছে নেয়। ১৯৮০ সালে শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিঃ উনার আল কায়েদা আল সুবাহ (শক্ত ভিত্তি) নামের একটি লেখায় এমন এক দলের কথা বলেন যারা এই অন্ধকারে উম্মাহকে পথ দেখাবে কুফর শক্তিকে নির্মুল করার জন্য অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করবে।
শাইখের এই মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়েই আল কায়েদা গঠিত হয় এবং তাকে উম্মাহ এর পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করার জন্য মূলত ৩টি টার্গেট পূরণ করা জরুরী হয়ে পরে সেগুলো হচ্ছেঃ
১) আল কায়েদার একটি শক্তিশালী মিডিয়া গঠন যা দিয়ে তারা সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছায় দিতে পারবে,
২) সারা দুনিয়াতে তার আন্ডারে কাজ করা জিহাদী তানজিমদের সামরিক
৩) কৌশলগত দিক নির্দেশনা নিয়মিত পৌছানো ও নিজেদের খুবই পরিবর্তন সক্ষম রাখা যাতে অনেক বড় আক্রমণ বা নেতাদের হারানোর মত দুর্যোগ সহজে মোকাবেলা করতে পারে।
কিন্তু এই গবেষণা শুধু আল কায়েদা সারা দুনিয়াতে তাদের তানজিম গুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও এর নিজের উপরে আসা আক্রমণ প্রতিহত করে টিকে থাকার কৌশল গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
আল কায়েদার প্রথম মিটিং হয় ১৯৮৮ সালে, এই মিটিং এর মূল প্রতিপাদ্য ছিল শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিঃ পরিচালিত মাকতাব আল খিদমাত সাংগঠিক দুর্বলতা এর অন্তর্কলহ ও এর এই দুর্বলতা কাটিয়ে নতুন এক দলের নকশা প্রণোয়ন। এর একটি উদাহরণঃ আল কায়েদা আমির ভিত্তিক শুরা সদস্য দ্বারা পরিচালিত হবে যার প্রতি সদস্যকে উপরের আদেশ মেনে চলতে হবে এবং দল প্রতি কাজের জন্য আলাদা আলাদা কমিটি থাকবে যাদের দায়িত্ব থাকবে আলাদা। প্রাথমিক যুগেই তা কেমন সুসংগঠিত ছিল তার একটি প্রমাণ এই যে আল কায়েদার একজন মিলিটারি কমান্ডারের নূন্যতম যোগ্যতা তাকে কমপক্ষে ৫ বছর যুদ্ধক্ষেত্রে কাটাতে হবে , ৩০ বছর বয়স হওয়া লাগবে আর একটি ইউনিভার্সিটি ডিগ্রী . ৯/১১ পরবর্তী আল কায়েদার আরেকটি বড় অর্জন হচ্ছে নির্দেশনার কেন্দ্রীকরণ ও কার্যকরণের বিকেন্দ্রীকরণ, মানে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ভাবে দেয়া হবে আর তা বাস্তবায়ন হবে স্থানীয় অথরিটির মাধ্যমে।
আল কায়েদার নেতৃত্ব ও অভ্যন্তরীণ গঠন নিয়ে কমব্যাটিং টেরোরিজম সেন্টার থেকে একটি গবেষণায় কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলো এমন যে, আমীর এখানকার মূল ক্ষমতার অধিকারী। আমীর সমস্ত কমান্ডার ও শুরা কাউন্সিলের মেম্বারদেরও নির্বাচন করে দেন। যদিও এই কাউন্সিলের একটি দায়িত্ব হচ্ছে আমিরকে অপসারণ কিন্তু এর কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবে নেয়া কঠিন। আমীরের এই একচ্ছত্র ক্ষমতা ও এর ব্যাপকতার কারণে আমীরের দৈনন্দিন কাজে অংশগ্রহণ করা কঠিন হয়ে পরে যার ফলে এই দায়িত্ব থাকে নির্দিষ্ট কমিটির চেয়ারম্যানের উপর।
৯০ এর দশকে আল কায়েদার কার্যক্রম সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না তবে আফগান বাদশা জহীর শাহকে হত্যা করতে চাওয়া সান্তোসের ওসামা বিন লাদেন রহঃ এর সাথে সরাসরি সাক্ষাতের বিষয়টি একটি জিনিস পরিষ্কার করে যে, ৯/১১ এর আগের আল কায়েদাতে এখনকার মত শৃঙ্খলা বা চেইন অফ কমান্ড ছিল না। ব্যাপারটা এমন ছিল যে কেউ চাইলেই এট্যাকের প্ল্যান নিয়ে সরাসরি হাই অফিসিয়াল, অনেক সময় ওসামা বিন লাদেন রহঃ এর কাছে যাওয়ার সুযোগ পেত পরে আল কায়েদা সেটা যাচাই বাচাই করে তা পরিচালনা করার জন্য উপযুক্ত কমান্ডারকে দায়িত্ব দিত।
সান্তোস ও ওসামা বিন লাদেন রহঃ এর বডিগার্ড নাসের আল বাহরি দুইজনের বক্তব্য থেকেই এটা স্পষ্ট যে ওসামা বিন লাদেন অপারেশন কিভাবে করতে হবে সে ব্যাপারে মাথা ঘামাতেন না বরং তা কোন একজন মিড লেভেলের কমান্ডার বা এলাকার কমান্ডার করতেন। তিনি শুধু এর প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত ও দরকার হলে লজিস্টিক সাপোর্ট দিতেন।
আল কায়েদার সেই কেন্দ্রীকরণ ও কার্যকরণের বিকেন্দ্রীকরণ আজ পর্যন্ত কার্যকর আছে বরং এই কৌশলের কারণেই আল কায়েদা তার পরিবর্তনশীল মানহাজ ধরে রাখতে পেরেছে ফলে তাদের মধ্যে বৈচিত্র বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটদের ফাকি দেয়ার নিত্য নতুন কৌশল আয়ত্ব করতে সক্ষম হচ্ছে। একি সাথে এর ফলে গ্রাউন্ডে থাকা স্থানীয় অপারেটিভ কমান্ডারদের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেয়া, রিস্ক নেয়া, নেতৃত্ব এইসব গুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি তাদের আরেকটি সফলতা যে গুরুত্বপূর্ন লিডারদের হঠাৎ অপসারণের পরেও আল কায়েদার সাংগঠনিক কার্যক্রম দূর্বল হয়ে পরছে না।
আল কায়েদার কাজের এই পদ্ধতি কিছু বিশ্লেষকদের মধ্যে আল কায়েদার নেতৃত্বের কার্যকরিতা নিয়ে কনফিউশন তৈরী করেছে। বিশেষ করে ৯/১১ পরবর্তী সময়ে ওসামা বিন লাদেন সহ অন্যান্য সিনিয়র কমান্ডারদের অপারেশনে সরাসরি অংশগ্রহণ না করা এই বিশ্লেষকদের মধ্যে এই ধারণা তৈরি করে যে আল কায়েদা তার শাখাগুলোর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। আল কায়েদার নেতৃত্বকে বিচার করার জন্য তাদের সিনিয়র কমান্ডারদের প্রতিদিনের অপারেশন বা শাখা সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্টতা খোঁজা খুবই অকার্যকর পদক্ষেপ যেখানে সিনিয়র কমান্ডারদের কাজ সংগঠনের সার্বিক লক্ষ্য এর বাজেট ইত্যাদি কাজ করা। এই কাজ করার পর একজন আমীরের কাজ শুধুই তত্ত্বাবধায়ন করা।
... চলবে ইনশাআল্লাহ।
মূল লেখার লিংকঃ https://www.hudson.org/research/1436...ational-design
* লেখার ভাবানুবাদ করা হয়েছে লেখাটি দুই জন কাফির থিংক ট্যাংক Daveed Gartenstein-Ross & Nathaniel Barr এই দুইজনের লেখা। Hudson Institute থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র।
এখানে আল-কায়েদার উত্থান তার সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে গভীর আলোচনা করা হয়েছে। যদিও কিছু কিছু আমেরিকান বিশেষজ্ঞ মনে করেছিল ওসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর শাহাদাতের পরে আল কায়েদা অচল হয়ে যাবে বা আল কায়েদার প্রবীণ নেতাদের হারানোর আঘাত এই দল আর কাটিয়ে উঠতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা , আধুনিক যুগের জিহাদের সুচনা লগ্নে যারা এই কাজের আঞ্জাম দিয়েছিলেন তারা ছিলেন উস্তাদ সাইয়েদ কুতুব রাহিঃ ও ইমাম আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিঃ । উনাদের ইলমী দক্ষতা ও ত্যাগের কারণে একদল যুবক উম্মাহ এর গতিপথ পরিবর্তনে জিহাদের পথ বেছে নেয়। ১৯৮০ সালে শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিঃ উনার আল কায়েদা আল সুবাহ (শক্ত ভিত্তি) নামের একটি লেখায় এমন এক দলের কথা বলেন যারা এই অন্ধকারে উম্মাহকে পথ দেখাবে কুফর শক্তিকে নির্মুল করার জন্য অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করবে।
শাইখের এই মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়েই আল কায়েদা গঠিত হয় এবং তাকে উম্মাহ এর পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করার জন্য মূলত ৩টি টার্গেট পূরণ করা জরুরী হয়ে পরে সেগুলো হচ্ছেঃ
১) আল কায়েদার একটি শক্তিশালী মিডিয়া গঠন যা দিয়ে তারা সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছায় দিতে পারবে,
২) সারা দুনিয়াতে তার আন্ডারে কাজ করা জিহাদী তানজিমদের সামরিক
৩) কৌশলগত দিক নির্দেশনা নিয়মিত পৌছানো ও নিজেদের খুবই পরিবর্তন সক্ষম রাখা যাতে অনেক বড় আক্রমণ বা নেতাদের হারানোর মত দুর্যোগ সহজে মোকাবেলা করতে পারে।
কিন্তু এই গবেষণা শুধু আল কায়েদা সারা দুনিয়াতে তাদের তানজিম গুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও এর নিজের উপরে আসা আক্রমণ প্রতিহত করে টিকে থাকার কৌশল গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
আল কায়েদার প্রথম মিটিং হয় ১৯৮৮ সালে, এই মিটিং এর মূল প্রতিপাদ্য ছিল শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিঃ পরিচালিত মাকতাব আল খিদমাত সাংগঠিক দুর্বলতা এর অন্তর্কলহ ও এর এই দুর্বলতা কাটিয়ে নতুন এক দলের নকশা প্রণোয়ন। এর একটি উদাহরণঃ আল কায়েদা আমির ভিত্তিক শুরা সদস্য দ্বারা পরিচালিত হবে যার প্রতি সদস্যকে উপরের আদেশ মেনে চলতে হবে এবং দল প্রতি কাজের জন্য আলাদা আলাদা কমিটি থাকবে যাদের দায়িত্ব থাকবে আলাদা। প্রাথমিক যুগেই তা কেমন সুসংগঠিত ছিল তার একটি প্রমাণ এই যে আল কায়েদার একজন মিলিটারি কমান্ডারের নূন্যতম যোগ্যতা তাকে কমপক্ষে ৫ বছর যুদ্ধক্ষেত্রে কাটাতে হবে , ৩০ বছর বয়স হওয়া লাগবে আর একটি ইউনিভার্সিটি ডিগ্রী . ৯/১১ পরবর্তী আল কায়েদার আরেকটি বড় অর্জন হচ্ছে নির্দেশনার কেন্দ্রীকরণ ও কার্যকরণের বিকেন্দ্রীকরণ, মানে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ভাবে দেয়া হবে আর তা বাস্তবায়ন হবে স্থানীয় অথরিটির মাধ্যমে।
আল কায়েদার নেতৃত্ব ও অভ্যন্তরীণ গঠন নিয়ে কমব্যাটিং টেরোরিজম সেন্টার থেকে একটি গবেষণায় কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলো এমন যে, আমীর এখানকার মূল ক্ষমতার অধিকারী। আমীর সমস্ত কমান্ডার ও শুরা কাউন্সিলের মেম্বারদেরও নির্বাচন করে দেন। যদিও এই কাউন্সিলের একটি দায়িত্ব হচ্ছে আমিরকে অপসারণ কিন্তু এর কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবে নেয়া কঠিন। আমীরের এই একচ্ছত্র ক্ষমতা ও এর ব্যাপকতার কারণে আমীরের দৈনন্দিন কাজে অংশগ্রহণ করা কঠিন হয়ে পরে যার ফলে এই দায়িত্ব থাকে নির্দিষ্ট কমিটির চেয়ারম্যানের উপর।
৯০ এর দশকে আল কায়েদার কার্যক্রম সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না তবে আফগান বাদশা জহীর শাহকে হত্যা করতে চাওয়া সান্তোসের ওসামা বিন লাদেন রহঃ এর সাথে সরাসরি সাক্ষাতের বিষয়টি একটি জিনিস পরিষ্কার করে যে, ৯/১১ এর আগের আল কায়েদাতে এখনকার মত শৃঙ্খলা বা চেইন অফ কমান্ড ছিল না। ব্যাপারটা এমন ছিল যে কেউ চাইলেই এট্যাকের প্ল্যান নিয়ে সরাসরি হাই অফিসিয়াল, অনেক সময় ওসামা বিন লাদেন রহঃ এর কাছে যাওয়ার সুযোগ পেত পরে আল কায়েদা সেটা যাচাই বাচাই করে তা পরিচালনা করার জন্য উপযুক্ত কমান্ডারকে দায়িত্ব দিত।
সান্তোস ও ওসামা বিন লাদেন রহঃ এর বডিগার্ড নাসের আল বাহরি দুইজনের বক্তব্য থেকেই এটা স্পষ্ট যে ওসামা বিন লাদেন অপারেশন কিভাবে করতে হবে সে ব্যাপারে মাথা ঘামাতেন না বরং তা কোন একজন মিড লেভেলের কমান্ডার বা এলাকার কমান্ডার করতেন। তিনি শুধু এর প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত ও দরকার হলে লজিস্টিক সাপোর্ট দিতেন।
আল কায়েদার সেই কেন্দ্রীকরণ ও কার্যকরণের বিকেন্দ্রীকরণ আজ পর্যন্ত কার্যকর আছে বরং এই কৌশলের কারণেই আল কায়েদা তার পরিবর্তনশীল মানহাজ ধরে রাখতে পেরেছে ফলে তাদের মধ্যে বৈচিত্র বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটদের ফাকি দেয়ার নিত্য নতুন কৌশল আয়ত্ব করতে সক্ষম হচ্ছে। একি সাথে এর ফলে গ্রাউন্ডে থাকা স্থানীয় অপারেটিভ কমান্ডারদের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেয়া, রিস্ক নেয়া, নেতৃত্ব এইসব গুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি তাদের আরেকটি সফলতা যে গুরুত্বপূর্ন লিডারদের হঠাৎ অপসারণের পরেও আল কায়েদার সাংগঠনিক কার্যক্রম দূর্বল হয়ে পরছে না।
আল কায়েদার কাজের এই পদ্ধতি কিছু বিশ্লেষকদের মধ্যে আল কায়েদার নেতৃত্বের কার্যকরিতা নিয়ে কনফিউশন তৈরী করেছে। বিশেষ করে ৯/১১ পরবর্তী সময়ে ওসামা বিন লাদেন সহ অন্যান্য সিনিয়র কমান্ডারদের অপারেশনে সরাসরি অংশগ্রহণ না করা এই বিশ্লেষকদের মধ্যে এই ধারণা তৈরি করে যে আল কায়েদা তার শাখাগুলোর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। আল কায়েদার নেতৃত্বকে বিচার করার জন্য তাদের সিনিয়র কমান্ডারদের প্রতিদিনের অপারেশন বা শাখা সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্টতা খোঁজা খুবই অকার্যকর পদক্ষেপ যেখানে সিনিয়র কমান্ডারদের কাজ সংগঠনের সার্বিক লক্ষ্য এর বাজেট ইত্যাদি কাজ করা। এই কাজ করার পর একজন আমীরের কাজ শুধুই তত্ত্বাবধায়ন করা।
... চলবে ইনশাআল্লাহ।
Comment