আমার জাতি
তোমাকে উদ্দেশ্য করে কিছু কথা......!!!
কেন জীবনের মায়া ভুলে,মায়ের আঁচল ছেড়ে বালুময় তপ্ত জিহাদের ময়দানে পা বাড়িয়েছি!
কেন ভোগ-বিলাস,আহা-বিহার,আরাম-আয়েশ দূরে ঠেলে অভাবময়,অনাহার আর কষ্টের জীবনকে আলিঙ্গন করেছি,কেন মায়ের চোখের পানি,বাবার আকুতি-মিনতিকে হৃদয়ে পাথর চাপা দিয়ে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছি,কেন দুনিয়াবি ক্যারিয়ার না গড়ে জেল,জুলুম,রিমান্ড অত্যাচারের পথে কদম বাড়িয়েছি,কেন নারী,বাড়ি,গাড়ি ছেড়ে ক্বিতালকে আপন করেছি।
তোমাকে আমার ত্যাগের ফিরিস্তি শোনাতে আর ভাল লাগছে না। কিন্তু না শুনিয়েও তো আর পারছি না!
তুমি তো আমার কাটা ঘায়ে নূনের ছিটা দিয়ে যাচ্ছো। জালিমের বুলেট-বোমার আঘাত আমার দেহ ভেদ করে কখনও কলবে আঘাত করেনি,কিন্তু তোমার প্রতিটি কটু কথা আমার হৃদয়কে চূর্ন-বিচূর্ণ করে দেয়।
জালিমের বোমার আঘাতে আমার দেহ থেকে রক্তক্ষরণ হয়,আর তোমার কথার আঘাতে আমার অন্তরে রক্তক্ষরণ ঘটায়,সৃষ্টি করে গভীর ক্ষত...যে ক্ষতে মলম লাগানো যায় না।
তোমার পিঠের চাবুকের বারি আমি আমার পিঠে নিয়েছি,তোমার দিকে ছোড়া গুলি আমি আমার বুকে বিধিয়েছি,জালিমের জুলুমের সামনে তোমাকে আড়াল করে নিজ বক্ষ উন্মোচন করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছি। তোমার চোখের পানি মুছতে গিয়ে আমি আমার রক্ত ঝড়িয়েছি।
তোমার মুখের হাসি ফোটাতে গিয়ে আমি কেঁদেছি।
হে জাতি! তুমি জানো কেন এত কুরবানি? কেন এত বিরহ কান্না কষ্টকে পুজি বানিয়েছি?কেন তোমার শত গালিগালাজ তিরস্কারের পরও আমি তোমাকে নিয়ে ভেবেছি?
আমার একটিই আকাঙ্খা;একটিই আশা,তুমি মানুষ হয়ে মানুষের দাসত্ব ছেড়ে এক আল্লাহর দাসত্বের দিকে ফিরে আসবে। তুমি মানব রচিত বিধানে লাথি ছুড়ে কুরআনের দিকে ফিরে আসবে।
তোমার প্রতি আমার কোন অভিযোগ অনুযোগ নেই। শত কটু কথা আর তিরস্কারের পরেও আমি তোমাকে নিয়ে ভাববো।
কিন্তু আমার এত কুরবানির পরও যদি তুমি তোমার রবের বিধানের দিকে না আসো তাহলে.....
আফসোস তোমার জন্য হে জাতি!
(প্রবন্ধে 'আমি' দ্বারা উদ্দেশ্য সমস্ত মুজাহিদিন)
তোমাকে উদ্দেশ্য করে কিছু কথা......!!!
কেন জীবনের মায়া ভুলে,মায়ের আঁচল ছেড়ে বালুময় তপ্ত জিহাদের ময়দানে পা বাড়িয়েছি!
কেন ভোগ-বিলাস,আহা-বিহার,আরাম-আয়েশ দূরে ঠেলে অভাবময়,অনাহার আর কষ্টের জীবনকে আলিঙ্গন করেছি,কেন মায়ের চোখের পানি,বাবার আকুতি-মিনতিকে হৃদয়ে পাথর চাপা দিয়ে যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছি,কেন দুনিয়াবি ক্যারিয়ার না গড়ে জেল,জুলুম,রিমান্ড অত্যাচারের পথে কদম বাড়িয়েছি,কেন নারী,বাড়ি,গাড়ি ছেড়ে ক্বিতালকে আপন করেছি।
তোমাকে আমার ত্যাগের ফিরিস্তি শোনাতে আর ভাল লাগছে না। কিন্তু না শুনিয়েও তো আর পারছি না!
তুমি তো আমার কাটা ঘায়ে নূনের ছিটা দিয়ে যাচ্ছো। জালিমের বুলেট-বোমার আঘাত আমার দেহ ভেদ করে কখনও কলবে আঘাত করেনি,কিন্তু তোমার প্রতিটি কটু কথা আমার হৃদয়কে চূর্ন-বিচূর্ণ করে দেয়।
জালিমের বোমার আঘাতে আমার দেহ থেকে রক্তক্ষরণ হয়,আর তোমার কথার আঘাতে আমার অন্তরে রক্তক্ষরণ ঘটায়,সৃষ্টি করে গভীর ক্ষত...যে ক্ষতে মলম লাগানো যায় না।
তোমার পিঠের চাবুকের বারি আমি আমার পিঠে নিয়েছি,তোমার দিকে ছোড়া গুলি আমি আমার বুকে বিধিয়েছি,জালিমের জুলুমের সামনে তোমাকে আড়াল করে নিজ বক্ষ উন্মোচন করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছি। তোমার চোখের পানি মুছতে গিয়ে আমি আমার রক্ত ঝড়িয়েছি।
তোমার মুখের হাসি ফোটাতে গিয়ে আমি কেঁদেছি।
হে জাতি! তুমি জানো কেন এত কুরবানি? কেন এত বিরহ কান্না কষ্টকে পুজি বানিয়েছি?কেন তোমার শত গালিগালাজ তিরস্কারের পরও আমি তোমাকে নিয়ে ভেবেছি?
আমার একটিই আকাঙ্খা;একটিই আশা,তুমি মানুষ হয়ে মানুষের দাসত্ব ছেড়ে এক আল্লাহর দাসত্বের দিকে ফিরে আসবে। তুমি মানব রচিত বিধানে লাথি ছুড়ে কুরআনের দিকে ফিরে আসবে।
তোমার প্রতি আমার কোন অভিযোগ অনুযোগ নেই। শত কটু কথা আর তিরস্কারের পরেও আমি তোমাকে নিয়ে ভাববো।
কিন্তু আমার এত কুরবানির পরও যদি তুমি তোমার রবের বিধানের দিকে না আসো তাহলে.....
আফসোস তোমার জন্য হে জাতি!
(প্রবন্ধে 'আমি' দ্বারা উদ্দেশ্য সমস্ত মুজাহিদিন)
Comment