ইসলামে নেতৃত্ব মানেই হচ্ছে দায়িত্বশীলতা, এবং
আপনি ঠিক ভাবে আপনার দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা সেই
ব্যাপারে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে। নেতাদের
নেতৃত্বে বসানোই হয়েছে তাদের উপর অর্পিত
দায়িত্ব পালন করার জন্য। কেউ যদি কোন ভাল কাজ করে
তাদের দায়িত্বই পালন করে , এটাই তাদের থেকে জনগন
আশা করে। আর তারা যদি তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে
ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের নেতৃত্ব কেড়ে নেয়া
দরকার।
আমাদের এরকম ধ্যান ধারণা চিন্তা ভাবনা থাকা উচিত নয় নেতারাই
দেশের এবং জনগনের মালিক। বরং দেশ ও জনগনের
মালিক হচ্ছেন সর্ব শক্তিমান আল্লাহ্। নেতারা হচ্ছেন
জনগণের প্রতিনিধি, এবং তারা জনগণের প্রয়োজন
পূরণের জন্যেই সেই পদে আদিষ্ট হয়েছেন, তারা
জনগণের প্রয়োজন পূরণ করবেন, জনগণ এর কাজ নয়
তাদের প্রয়োজন পূরণ করা।
কিন্তু এই কনসেপট আজকে আমাদের মধ্যে থেকে
হারিয়ে গেছে ,আমাদের আর এখন এই রকম ধ্যান ধারণা
নেই , কিন্তু সাহাবা রাদিয়াল্লহ গন এই ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক
ছিলেন এবং এই বিষয় গুলো ওনারা নিজেদের হৃদয়ে লালন
করতেন। একদিন , উমার ইবনুল খাত্তাব (রা) মিম্বারে দাঁড়িয়ে
খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন “ শুনো এবং মানো !”
সালমান আল ফারিসি(রা) হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ল এবং বলল, “আমরা কিছুই
শুনব না , কিছুই মানব না। সালমান আল ফারিসি (রা) ছিলেন অত্যন্ত
নীতিবান সাহাবি। উমার (রা) জিজ্ঞেস করলেন, লিমা-
“কেন ?”
সালমান (রা) বললেন, “কারন আপনি আমাদের সবাইকে এক
খণ্ড কাপড় দিয়েছেন, কিন্তু নিজে দুই খণ্ড নিয়েছেন।
এই কাপড় গুলো আমির উল মুমিনিন উমার(রা) সবাইকে এক খণ্ড
করে দিয়েছিল, কিন্তু উমার (রা) যখন খুতবা দিতে মিম্বারে
দাঁড়ালেন তখন সালমান আল ফারিসি (রা) খেয়াল করলেন খালিফা
আসলে নিজে দুই খণ্ড নিয়েছেন। উমার (রা) ব্যাপারটি
বুঝতে পারলেন তাই নিজে কিছু বললেন না , তিনি তার পুত্র
আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রা) কে বললেন, ‘’ আব্দুল্লাহ, তুমিই বল।”
তখন আব্দুল্লাহ (রা) দাঁড়ালেন এবং বললেন ,” আমার পিতা
অনেক লম্বা, চওড়া আর সুস্বাস্থ্যবান। একখণ্ড কাপড়ে তাঁর
কোন জামা তৈরি করা সম্ভব নয়, তাই আমি আমার নিজের ভাগের
অংশটুকু আমার পিতাকে দিয়ে দিয়েছি। তারপর দুই খণ্ড কাপড়ে
ওনার জামা তৈরি হয়েছে। ‘’
বর্তমানে আমাদের নিজেদের ভূমি আমাদের থেকে
কেড়ে নেয়া হয়েছে, আমাদের সম্পদ কুক্ষিগত
হয়েছে, সবকিছু দখল করা হয়েছে আর আমরা এই ব্যাপার
গুলো স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিয়েছি। একখণ্ড কাপড়
তো দূরের ব্যাপার আমরা সহ আমাদের মুসলিম উম্মাহই
পরহস্তগত হয়েছে। আমাদের উম্মাহর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে
খবরদারি ফলাচ্ছে অন্যেরা। আমাদের মুসলিমদের ভূমি চুক্তি
করে বিক্রয় করে দেয়া হয়েছে , এটা অপমানজনক এবং
অগ্রহণযোগ্য। যারা এই কাজে সহযোগিতা করেছে
আল্লাহ তালা তাদের সাথে বিচার দিবসে কথা বলবেন না,
পবিত্রও করবেন না।
আপনি ঠিক ভাবে আপনার দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা সেই
ব্যাপারে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে। নেতাদের
নেতৃত্বে বসানোই হয়েছে তাদের উপর অর্পিত
দায়িত্ব পালন করার জন্য। কেউ যদি কোন ভাল কাজ করে
তাদের দায়িত্বই পালন করে , এটাই তাদের থেকে জনগন
আশা করে। আর তারা যদি তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে
ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের নেতৃত্ব কেড়ে নেয়া
দরকার।
আমাদের এরকম ধ্যান ধারণা চিন্তা ভাবনা থাকা উচিত নয় নেতারাই
দেশের এবং জনগনের মালিক। বরং দেশ ও জনগনের
মালিক হচ্ছেন সর্ব শক্তিমান আল্লাহ্। নেতারা হচ্ছেন
জনগণের প্রতিনিধি, এবং তারা জনগণের প্রয়োজন
পূরণের জন্যেই সেই পদে আদিষ্ট হয়েছেন, তারা
জনগণের প্রয়োজন পূরণ করবেন, জনগণ এর কাজ নয়
তাদের প্রয়োজন পূরণ করা।
কিন্তু এই কনসেপট আজকে আমাদের মধ্যে থেকে
হারিয়ে গেছে ,আমাদের আর এখন এই রকম ধ্যান ধারণা
নেই , কিন্তু সাহাবা রাদিয়াল্লহ গন এই ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক
ছিলেন এবং এই বিষয় গুলো ওনারা নিজেদের হৃদয়ে লালন
করতেন। একদিন , উমার ইবনুল খাত্তাব (রা) মিম্বারে দাঁড়িয়ে
খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন “ শুনো এবং মানো !”
সালমান আল ফারিসি(রা) হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ল এবং বলল, “আমরা কিছুই
শুনব না , কিছুই মানব না। সালমান আল ফারিসি (রা) ছিলেন অত্যন্ত
নীতিবান সাহাবি। উমার (রা) জিজ্ঞেস করলেন, লিমা-
“কেন ?”
সালমান (রা) বললেন, “কারন আপনি আমাদের সবাইকে এক
খণ্ড কাপড় দিয়েছেন, কিন্তু নিজে দুই খণ্ড নিয়েছেন।
এই কাপড় গুলো আমির উল মুমিনিন উমার(রা) সবাইকে এক খণ্ড
করে দিয়েছিল, কিন্তু উমার (রা) যখন খুতবা দিতে মিম্বারে
দাঁড়ালেন তখন সালমান আল ফারিসি (রা) খেয়াল করলেন খালিফা
আসলে নিজে দুই খণ্ড নিয়েছেন। উমার (রা) ব্যাপারটি
বুঝতে পারলেন তাই নিজে কিছু বললেন না , তিনি তার পুত্র
আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রা) কে বললেন, ‘’ আব্দুল্লাহ, তুমিই বল।”
তখন আব্দুল্লাহ (রা) দাঁড়ালেন এবং বললেন ,” আমার পিতা
অনেক লম্বা, চওড়া আর সুস্বাস্থ্যবান। একখণ্ড কাপড়ে তাঁর
কোন জামা তৈরি করা সম্ভব নয়, তাই আমি আমার নিজের ভাগের
অংশটুকু আমার পিতাকে দিয়ে দিয়েছি। তারপর দুই খণ্ড কাপড়ে
ওনার জামা তৈরি হয়েছে। ‘’
বর্তমানে আমাদের নিজেদের ভূমি আমাদের থেকে
কেড়ে নেয়া হয়েছে, আমাদের সম্পদ কুক্ষিগত
হয়েছে, সবকিছু দখল করা হয়েছে আর আমরা এই ব্যাপার
গুলো স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিয়েছি। একখণ্ড কাপড়
তো দূরের ব্যাপার আমরা সহ আমাদের মুসলিম উম্মাহই
পরহস্তগত হয়েছে। আমাদের উম্মাহর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে
খবরদারি ফলাচ্ছে অন্যেরা। আমাদের মুসলিমদের ভূমি চুক্তি
করে বিক্রয় করে দেয়া হয়েছে , এটা অপমানজনক এবং
অগ্রহণযোগ্য। যারা এই কাজে সহযোগিতা করেছে
আল্লাহ তালা তাদের সাথে বিচার দিবসে কথা বলবেন না,
পবিত্রও করবেন না।
Comment