কিভাবে হক জামা'আকে চিনবেন?
জেনে নিন হক জামা'আকে চেনার সঠিক উপায়!!
قال ابن القيم رحمه الله [وماأحسن ما قال أبو محمد عبد الرحمن بن إسماعيل
المعروف أبي شامة في كتاب الحوادث والبدع (حيث جاء الأمر بلزوم الجماعة فالمراد به لزوم الحق وأتباعه ،وإن كان المتمسك به قليلا
والمخالف له كثيرا)
আল্লামা ইবনুল কায়্যুম রহঃ বলেন- আবু মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান ইবনে ইসমাঈল যিনি আবু শাম্মাহ নামে প্রশিদ্ধ, তিনি কতইনা উত্তম কথা বলেছেন তাঁর কিতাব আল-হাওয়াদিস ও বিদ’আর মধ্যে! তিনি বলেছেন- { শরীয়ায় যেখানেই জামাতকে আকড়ে ধরার কথা এসেছে, সেখানেই তার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো হক ও হকের অনুস্বারীদেরকে আকড়ে ধরা। যদিও হককে আঁকড়ে ধরে রাখার লোক কম হয় এবং তার বিরুদ্ধাচারণকারী বেশী হয়।
قال عبد الله ابن مسعود رضي الله تعالي عنه (الجماعة ما وافق الحق،وإن كنت وحدك )
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বলেন- জামাআত সেটাই যেটা হকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এমনকি যদি তুমি একা হও তবুও ।
অর্থাৎ, কেবল হকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেই তা জামা’আ। এমনকি যদি হকের সাথে আপনি শুধু একাই সামঞ্জস্যপূর্ণ হন তাহলে আপনি একাই একটা জামা’আ। অপরদিকে অবশিষ্ট সবাই হকের সাথে না থাকার কারণে তারা সবাই একসাথে থাকা সত্ত্বেও জামা’আ না।
এখানে একটা বিষয় সহজে বুঝে আসেনা, আর তা হলো একা আবার জামা’আ হয় কিভাবে?
মুহতারাম ভাই! এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- যখন একটি হক জাম’আ ভেংগে যায়, তখন জামা’আ ভেঙ্গে যাওয়ার পূর্বে যে হক নীতির উপরে ছিলো, সে হক নীতির উপর যে বর যারা থাকবে সে তাঁরা জামা’আ। সুতরাং, এখন যদি কেউই হক নীতিকে অনুস্মরণ না করে কেবল আপনি একাই করে ত্থাকেন- তাহলে এক্ষেত্রে আপনি একাই জামা’আ
এবার প্রশ্ন হতে পারে আমরা কিভাবে হক জমা’আকে চিনবো? কিভাবেইবা বুঝবো যে এটা হক জামা’আ?
মুহতারাম আখি! হক জামা’আকে চেনার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলা পবিত্র কোরআনে হক জামা'’র কিছু গুণ বলে দিয়েছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতালা এরশাদ করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَآ مَنُوامَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْدِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ (54)
হে ঈমানদারেরা! তোমাদের মধ্য যে আল্লাহর দীন থেকে বিমুখ হয়ে যাবে, [তাহলে শুনে রাখো!] আল্লাহ তা’আলা এমন এক জাতিকে নিয়ে আসবেন [ যারা আল্লাহর দিন থেকে বিমুখ হবেনা। বরং]
১। আল্লাহ তা’আলা তাঁদেরকে ভালোবাসবেন। ২। তাঁরা আল্লাহকে ভালোবাসবে। ৩। তাঁরা মুমিনদের প্রতি সদয় হবে ৪। তাঁরা কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে ৫। তাঁরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে ৬। এবং আল্লাহর রাহে লড়াই করা অবস্থায় তাঁরা কোন তিরষ্কারকারীর তিরষ্কারের পরোয়া করবেনা।
[সূরা মায়েদাঃ ৫৪]
প্রিয় ভাই! লক্ষ করুন!! আয়াতে কি বলা হচ্ছে-
১। ঈমানদার বান্দাদেরকে সম্বোধন করা।
২। তাদের মধ্য হতে কারো দিন থেকে বিমুখ হওয়া।
৩। এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলা এমন একটি জাতিকে নিয়ে আসা যারা দীন থেকে বিমুখ নয়। বরং তাঁরা হক তথা দীনের পক্ষে।
৪। এবং সে হক জাতি তথা জামা’আর কি কি গুণ থাকবে তা।
সম্মানিত ভাই! নিশ্চয় তারা হক হতে পারেনা , যাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলা দীন থেকে বিমুখ বলেছেন। আর দীন থেকে বিমুখ কারা? আল্লাহ তা’আলা বলছেন- যাদের ভেতরে এই ৬ টি গুণ নেই তারাই হচ্ছে দীন থেকে বিমুখ। এবং হক ও দীনের পক্ষের লোক হচ্ছে তাঁরা যাদের ভেতরে এই ৬ টি গুণ রয়েছে।
Comment