Announcement

Collapse
No announcement yet.

তথাকথিত গনতান্ত্রিক রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে কুরআনী শাসন কায়েম করার দাবি একে

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তথাকথিত গনতান্ত্রিক রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে কুরআনী শাসন কায়েম করার দাবি একে

    ان الحمد لله والصلاة والصلاة والسلام علي رسول الله وعلي اله و أصحابه أجمعين
    গনতন্ত্রের রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে কুরয়ান দিয়ে দেশ পরিচালনার দাবিদার অনেক। কিন্তু বিষয়টি খুবই অযৌত্তিক।এ দাবীদাররা হয়ত এ বিষয়ে অজ্ঞ নয়ত জেনে-বুঝে মানুষকে গোমরাহ করার কাজে লিপ্ত।এ বিষয়ে অনেক কথা আছে।সব কথা বলার সুযোগ নেই। বাস্তবতার আলোকে কিছু কথা বলব ইনশাআল্লাহ।যা আশা করি সবার বোধগম্য হবে ইনশাআল্লাহ ।(বিশেষভাবে বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক দলগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য এ আলোচনা,এ কারনে এখানে বাংলাদেশ সংবিধান থেকে আলোচনা আসবে বুঝানোর সুবিধার্থে)।
    পুরো পোস্ট ধর্য্য সহকারে খেয়াল করে পড়ার অনুরোধ রইল। খেয়াল করে না পড়লে বুঝে না ও আসতে পারে।
    *কুরয়ানী আইনে দেশ পরিচালনা বলতে আমরা বুঝি সব বিষয়ে আইন কুরয়ান-সুন্নাহর হওয়া।ও কুরয়ান সুন্নাহর বিপরীত কোন আইন না থাকা।এখানে আইন হবে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার।এর বিপরীতে কারো আইন হবেনা।আর আল্লাহর আইন দেওয়াই আছে। এর জন্য আবার আলাদা সংবিধান বানাতে হবেনা।
    *বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান কুফুরী (অন্য সব দেশেরটা ও কুফুরী)।এখানে আল্লাহর আইন নেই। মানব রচিত আইনে এ সংবিধান রচিত।এটা ইসলামী সব গনতান্ত্রিকই স্বীকার করবে।
    *তাহলে এখন ফলাফল দাড়াচ্ছে, বর্তমান সংবিধান কুফুরী আর গনতান্ত্রিক ইসলামী দলগুলো ক্ষমতায় এসে এ সংবিধান বাদ দিয়ে কুরয়ানের আইন কায়েম করবে। কারন এ সংবিধান থাকলে কুরয়ানী আইন প্রতিষ্ঠা হলোনা।যেহেতু সংবিধান কুরয়ানী আইনের বিপরীত।তাই এটিকে বাদ করতে হবে।
    * এখন আমরা দেখব গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতার চেয়ার দখল করে সংবিধান বা সংবিধানের কোন বিধান কেউ পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে কিনা?যদি কেউ অন্য পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে চায় তাহলে সংবিধানে তার ব্যাপারে কি বলা হয়েছে?
    *সংবিধানের বিধানগুলো ২ প্রকার।১-মৌলিক। যেগুলো কোনভাবে পরিবর্তন করা যাবেনা।২-যেগুলো মৌলিক নয়।বিশেষ পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা যাবে।
    সংবিধানেরদশম ভাগের ১৪২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে সংবিধানের মৌলিক নয় এমন বিধানগুলো কিভাবে পরিবর্তন করা যাবে।
    সেখানে বলা হয়েছে , সংবিধান সংশোধনের জন্য বিল জমা দিতে হবে, বিলে কোন বিধান সংশোধন করতে হবে স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। স্পষ্ট করে উল্লেখ না থাকলে এ বিল গ্রহন করা হবেনা।বিল গ্রহন করা হলে এ ব্যাপারে সংসদ সদস্যদের ভোট হবে ও সর্বনিন্ম ৩ ভাগের ২ ভাগ সংসদ সদস্য এ বিলের পক্ষে ভোট দিতে হবে।যদি এর কম ভোট বিলের পক্ষে হয় তাহলে এটি রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেনা।ও সংবিধানের সে বিধান পরিবর্তন হবেনা।যদি এ পরিমান সংসদ সদস্য বিলের পক্ষে ভোট দেয় তাহলে এটি রাষ্টপ্রতির কাছে যাবে সে ৭ দিনের মাঝে এ বিল মঞ্জুর করবেন। তাহলে সে বিধান পরিবর্তন হবে।
    *এখানে আমরা দেখলাম কিভাবে সংবিধানের অমৌলিক বিধান পরিবর্তন করা যাবে।
    এখন আমরা দেখব সংবিধানের মৌলিক বিধান কখনো পরিবর্তন করা যাবেনা। এ ব্যাপারে সংবিধানের প্রথম ভাগের ৭ এর খ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে
    “১৪২ নং অনুচ্ছেদে যাহা কিছুই থাকুক না কেন কিছু বিধান কখনো পরিবর্তন করা যাবেনা এর মাঝে আছে প্রথম,২য় ও ৩য় ভাগের সকল বিধান ও একাদশ ভাগের ১৫০ নং আনুচ্ছেদ সহ অন্যান্য মৌলিক বিধান”
    *তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম সংবিধানের বিধান ২ ধরনের। ১-মৌলিক যা অপরীবর্তনীয়।এ অপরীবর্তনীয় বিধানের মাঝে প্রথম ও ২য় ভাগের বিধান ও অন্তর্ভুক্ত।
    ২-অমৌলিক। যেগুলো পরিবর্তন করা যাবে ১৪২ অনুচ্ছেদে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে।
    *এখন আমরা দেখব যে বিধান কখনো পরিবর্তন করা যাবেনা সে বিধানগুলোর মাঝে কি কি বিধান রয়েছে।সেখানে কোন কুফরী বিধান আছে কিনা?
    এখানে অনেক কুফরী বিধান আছে আমি মাত্র ২ টি উল্লেখ করব।
    সংবিধানের প্রথম ভাগের ৭ এর ১ অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগন।
    ৭ এর ২ অনুচ্ছেদে আছে এই বাংলাদেশের সংবিধান প্রজাতন্ত্রের মানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
    *২য় ভাগে ৮ এর ২ নং অনুচ্ছেদে আছে গনতন্ত্র,সমাজতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষবাদ,জাতীয়তাবা দ এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ পরিচালনার মূলোনীতি।
    *তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম এ সংবিধানের যে সকল বিধান কখনো পরিবর্তন করা যাবেনা গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেগুলোর মাঝে রয়েছে বড় বড় কুফর।

    **এখন ইসলামী গনতান্ত্রিকদের কাছে প্রশ্ন হচ্ছে আপনারা গনতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে কি গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংবিধান পরিবর্তন করবেন নাকি ক্ষমতার মাধ্যমে?
    যদি বলেন গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংসদে যেভাবে চলে সেভাবে করব তাহলে আমি বলি, যে সংবিধানের শপথ নিয়ে আপনারা ক্ষমতায় যাবেন সে সংবিধানেই লিখা আছে এভাবে করতে পারবেন না।এভাবে সংবিধানের কুফরী আইন পরিবর্তন করা যাবেনা।
    আর যদি বলেন যে, না আমরা ক্ষমতায় গিয়ে একসাথে সব কুরয়ানী আইন কায়েম করব এ সংবিধান বাদ দিব।সংবিধানের সব আইন বাদ দিব তাহলে ও আমি বলি আপনারা এমন করতে পারবেন না।
    কেননা যখন এমন করবেন তখন আপনারা এ সংবিধানের বিরুদ্ধে চলে গেলেন অথচ ক্ষমতায় আসার আগে কিছুক্ষন আগে মাত্র এ সংবিধান মনে প্রানে গ্রহন করেছেন এ কথা বলে সংবিধানের শপথ নিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসেছেন।
    তখন মনে রাখতে হবে এ সংবিধানের শপথ কিন্তু আপনি একা নেননি।আপনার সাথে দেশের সব সরকারী বাহিনীর লোকেরা ও এর শপথ নিয়েছে।আর আপনারা যখন গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় যাবেন বাংলাদেশের ৩০০ আসন কিন্তু আপনারাই পাবেন না। কিছু আসনে আওয়ামী,বি এনপির লোক ও থাকবে। তারা ও কিছু এ সংবিধানের শপথ নিয়েছে।
    যখন আপনি হঠাত করে সংবিধান বাতিল করবেন কিভাবে করবেন?আপনার সাথের অন্যদলের সংসদ সদস্যরা তখন কি করবে। তাদেরকে কিভাবে দমন করবেন?আপনি ভালো মানুষ একদিনে ক্ষমতায় এসে আল্লাহর আইন প্রতিষঠা করলেন কিন্তু যে সেনাবাহিনী এ সংবিধানের শপথ নিয়েছে তারা তো সবাই ভালোনা।তাদেরকে কিভাবে হাত করবেন? তারা কি আপনাকে ছেড়ে দিবে আপনি সংবিধান পরিবর্তন করলে?
    কখনো ছেড়ে দিবেনা।তখন তারা আপনাকে ক্ষমতার চেয়ার থেকে নামিয়ে দিবে ও আপনার ফাসির রায় হবে।কেননা আপনি সংবিধান বাতিল করে দিয়েছেন বে আইনী পদ্ধতিতে।এভাবে সংবিধান বাতিল করলে আপনার এ শাস্তি হবে এটার শপথ নিজেই নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।
    এটার দলীল কি? এটার দলীল কুফরী সংবিধানে আছে।
    সনবিধানের ৭ এর ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে অসাংবিধানিক কোন পন্থায় কোন ব্যক্তি যদি এ সংবিধানের কোন বিধানের প্রতি জনগনের ভক্তি নষ্ট করে,বা এ সংবিধান বাতিলের উস্কানি দেয়।বা কেউ বাতিল করতে চায় কেউ তাকে সমর্থন করে বা এ জাতীয় কোন কাজের প্লান নেয় এটা জানতে পারলে যারা এ কাজে জড়িত সবার ফাসি হবে। তারা ফাসির যোগ্য।
    যদি সংবিধানের কোন বিধান অসাংবিধানিক পন্থায় বাতিল করার প্লান ও এটাকে সমর্থন একজন লোককে ফাসির অপরাধী বানিয়ে দেয়। তাহলে আপনি যখন এত বড় অপরাধ করবেন(সংবিধানের দৃষ্টিতে)সংবিধানই বাতিল করে ফেলবেন তাহলে আপনাকে কি ছেড়ে দেওয়া হবে?
    তখন আপনাকে রক্ষা করবে কে?
    যদি বলেন সেনাবাহীনীকে আমরা আমাদের পক্ষে নিয়ে আসব তাহলে বলব এটা সম্ভব নয়। কারন তারা প্রথমেতো সংবিধানের শপথ নিয়েছে দ্বিতীয়ত তারা বিদেশের চাপে আপনাকে নামিয়ে দিবে।
    *আর যদি বলেন আমাদের নিজস্ব লোক আমরা সেনাবাহীনীতে ঢুকাব যারা খারাপ তাদেরকে বাদ দিব তাহলে গনতান্ত্রিক অন্যান্য দল আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। বিদেশ থেকে আপনাদেরকে চাপ দিবে।অন্য গনতান্ত্রিক দলের মাধ্যমে আপনার সাথে যুদ্ধ বাধাবে।বিদেশ থেকে তাদেরকে সাহায্য করবে। তখন কি করবেন? হয়ত তখন ক্ষমতা ছাড়তে হবে নয়ত যুদ্ধ করতে হবে। আর আপনারা যুদ্ধ কিভাবে করবেন তখন ? করলে তো এখনই করতেন।
    তাহলে কিভাবে আপনি এমন স্বপ্ন দেখছেন ক্ষমতায় গিয়ে কুরয়ান কায়েম করবেন? আপনি হয়ত অজ্ঞ না হয় ধোকাবাজ।
    *এখানে একটা কথা মনে রাখা দরকার আপনারা যে সংবিধানের শপথ নিয়ে আছেন সে সংবিধানে যা আছে সবকিছুই আপনারা মেনে নিয়েছেন। এ কারনে কেউ সংবিধানের পন্থা ছাড়া ভিন্ন কোন পন্থায় এ সংবিধানের কোন বিধান বাতিল করতে চাইলে তাদেরকে ফাসি দিতে হবে তাদের এ নীতির সাথেও আপনি একমত।
    তাহলে ফলাফল দাড়াচ্ছে একদিকে বলছেন আমরা ইসলাম কায়েম করব এ সংবিধান বাতিল করব। অপরদিকে বলছেন যারা এ সংবিধান বাতিল করবে এ সংবিধানের বিপরীত কোন কিছু কায়েম করতে চাইবে তাদেরকে ফাসি দিতে আমরা প্রস্তুত।তাদেরকে আমরা ফাসি দিব।
    এ কেমন দ্বিমুখী আচরণ আপনাদের?
    যদি আপনি এ দ্বিমুখী আচরন না বুঝে করেন তাহলে এ ব্যাপারে অজ্ঞ। আর বুঝে করলে ধোকাবাজ।

    আল্লাহ তায়ালা আমদেরকে বুঝার তৌফিক দিন।আমিন।

    বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সংবিধানের লিখাগুলো আমি সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লিখেছি বুঝানোর জন্য ও সময়ের অভাবে।
    এ কারনে সংবিধানের পিডিএফ লিংক দিয়ে দিলাম। যাদের ইচ্ছা নামিয়ে যে অধ্যায়গুলো বললাম দেখে নিতে পারেন।

    (লিংক ডিলেট করা হয়েছে, আর্কাইভ অথবা মিডিয়া ফায়ার বা পি ক্লাউড থেকে লিংক দিন)

  • #3
    সংবিধানের পিডিএফ লিংক দিলে ভালো হতো
    জাযাকুমুল্লাহ

    Comment


    • #4
      উপরে কমেন্টে লিংক দেওয়া হয়েছে ভাই

      Comment

      Working...
      X