Announcement

Collapse
No announcement yet.

ঈমানটা কি? (জান্নাত লাভের উপায়-০২)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ঈমানটা কি? (জান্নাত লাভের উপায়-০২)

    بسم الله الرحمن الرحيم

    আল্লাহ তা আলা কুরআনের বহু আয়াতে ঈমানদার ব্যক্তিদেরকে জান্নাতি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন,

    وبشّر ألّذين أمنواوعملوا الصلحت أن لهم جنت تجری من تحتها الانهار

    "আর সুসংবাদ দিন যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে অবশ্যই তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার পাদদেশেে প্রবাহিত হচ্ছে নহরসমূহ...। (বাকারা ২:২৫)।

    প্রশ্ন হলো কোন সেই ঈমান যার কারণে আল্লাহ তা আলা তার বান্দাদেরকে জান্নাতের বিশাল বড় নেয়ামতের সুসংবাদ দিচ্ছেন। আসলে ঈমান বলতে কি বুঝায়?

    শাব্দিক অর্থে ঈমান অর্থ বিশ্বাস। কিন্তু শরীয়তের পারিভাষিক অর্থে ঈমান বলতে আল্লাহ, ফেরেশতাগণ, কিতাবসমূহ, রসূলগণ, আখিরাত ও তাকদীরের ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস স্থাপন করাকে বুঝায়। (সহীহ মুসলিম,হাদীসে জিব্রীল)।
    ঈমান আনায়নকারী ব্যক্তিকে মুমিন বলা হয়।

    কতিপয় ভ্রান্ত মতালম্বিরা মনে করে ঈমান কেবলই অন্তরে বিশ্বাস ও মুখে স্বীকার করার নাম, কাজের দ্বারা কেউ ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় না। এদেরকে বলা হয় মুরজিয়া। এটি একটি ভ্রান্ত মত।

    অন্যদিকে আরেকদল মনে করে ইসলাম গ্রহণের পর কবিরা গুনাহ করলে ঈমান চলে যায়। এভাবে তারা মুসলিমদের জান-মাল ও রক্তকে হালাল মনে করে। এদেরকে বলা হয় খারেজী। এটি একটি ভ্রান্ত আকিদা।
    কেউ কেউ ঈমানের হ্রাস-বৃদ্ধি হওয়াকে অস্বীকার করে। তাদের মতে ফেরেশতাদের ঈমান ও মানুষের ঈমানের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এটাও সুস্পষ্ট গোমরাহী।

    বরং আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদাহ অনুযায়ী : ঈমান হল অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি এবং কাজে পরিণত করার নাম। এবং ঈমানের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। কবিরা গুনাহকারি কাফের নয়। তবে ঈমানভঙ্গকারী কাজের মাধ্যমে ব্যক্তির ঈমানভঙ্গ হয়ে যায়।

    মূলত শরীয়তের দৃষ্টিতে ঈমান আনায়ন করা বলতে উপরোক্ত ৬টি বিষয়ের সমষ্টিকে একত্রে বুঝানো হয়।

    এবার আসা যাক মূল প্রসঙ্গে। উপরে বর্ণিত ঈমানের ৬টি খুটির মধ্যে প্রথম খুটি তথা আল্লাহর উপর ঈমান আনায়ন করা বলতে কি বুঝায়?

    শাহাদাতু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-ই হচ্ছে আল্লাহর প্রতি ঈমানের সর্বপ্রথম মূল ভিত্তি। অর্থাৎ কালেমায়ে তাওহীদ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর মাধ্যমে এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করার নামই হচ্ছে আল্লাহর উপর ঈমান আনা। যুগে যুগে যত নবী-রসূল আল্লাহ তা আলা পাঠিয়েছেন তারা সকলেই মানুষদেরকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর মাধ্যমে আল্লাহর উপর ঈমান আনার আহ্বান করেছিলেন।

    অর্থাৎ ঈমানের সর্বপ্রথম খুটি তথা আল্লাহর উপর ঈমান আনার অর্থই হচ্ছে কালেমাতুত তাওহীদের ঘোষণা ও স্বীকৃতি দেওয়া। মক্কার মুশরিকরা সত্যিকার্থে আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করেনি। কারণ আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপনের মূল কথাই হল তিনি ছাড়া সকল কিছুকে ইবাদাতের অযোগ্য মনে করা,অস্বীকার করা। তাওহীদ ব্যতীত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস মক্কার মুশরিকদের যেমন নাজাত দেয়নি। ঠিক তেমনি বর্তমানেও কেউ যদি তাওহীদ তথা সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর একত্ববাদকে অস্বীকার করে শুধুমাত্র তার অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপন করে তবে সেই ব্যক্তি ও ইবলিশ শয়তানের মধ্যে কোনই তফাৎ থাকবে না। কারণ ইবলিশ শয়তানও আল্লাহর অস্তিত্বের স্বীকার করতো। অতএব আল্লাহর প্রতি ঈমান হতে হবে তাওহীদের। আল্লাহর প্রতি ঈমান হতে হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর মাধ্যমে।

    চলবে.... (ইনশা আল্লাহ)।

  • #2
    আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ। আখি,অনেক উপকৃত হচ্ছি,চালিয়ে যাবেন, ইনশাআল্লাহ।
    বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

    Comment


    • #3
      শুকরান,আখি। দুআ করবেন। একটি বিষয় জানতে পারলে ভাল লাগত। এই লেখাগুলো সুন্দর বোল্ড করে বিশেষ লাইনগুলো কালারিং করে লিখে ছিলাম। কিন্তু এখানে পেস্ট করার পর নরমাল হয়ে গেছে। যা খুবই দু:খজনক। কি করলে কাংক্ষিত উপায়ে লেখা পোস্ট করা যাবে জানলে উপকৃত হবো ইনশা আল্লাহ। জাযাকাল্লাহু খাইর।

      Comment

      Working...
      X