Announcement

Collapse
No announcement yet.

দার/ভূখন্ড নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দার/ভূখন্ড নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা।

    বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীন।
    দার/ ভূখণ্ড কয়েক প্রকার হতে পারে।
    যেমনঃ ১/দারুল ইসলাম।
    ২/দারুল কুফর।
    ৩/দারুল হারব।
    ৪/দারুল মুরাক্কাবাহ/ মিশ্র দার।
    ৫/দারুল আহদ।
    ৬/দারুল আমান।
    ৭/দারুল বুগাত।
    দারুল ইসলাম। ঐ ভূখণ্ডকে বলে যেখানে ইসলাম কায়েম আছে।প্রশাসন, প্রশাসক,ও প্রতিরক্ষা সবকিছুই কুরআন সুন্নাহ মুতাবেক পরিচালিত হয়।
    দারুল কুফর। বলা হয় ঐ সকল দার/ ভূখণ্ডকে যেখানে কুফরি সংবিধান প্রতিষ্ঠিত। তবে তারা মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত নয়।
    দারুল হারব বলা হয় ঐ সকল দার / ভূখন্ডকে যাদের সাথে মুসলিমরা যুদ্ধে লিপ্ত।

    সামনের পর্বে, ইনশাআল্লাহ।
    ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

  • #2
    আমি তো জানতাম দার শুধু দুই প্রকার তৃতীয় কোন দার নেই।

    Comment


    • #3
      দার মুরাক্কাবাহ/ মিশ্রদার।

      মিশ্রদার, ঐ সকল ভূখণ্ডকে বলা হয়, যাকে দারুল ইসলাম কিংবা দারুল কুফুর কোনটাই বলা যায় না। দারুল ইসলাম বলা যায় না কারণ তাতে ইসলামের বিধান ও মুসলিমবাহিনী কার্যকর নয়। আবার দারুল হারব বলা যায় না কেননা তার বাসিন্দারা সকলই কাফের নয়। মুসলিমগন তাদের ধর্ম পালন করতে পারেন, আবার কাফেররাও তাদের ধর্ম পালন করতে পারেন।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        দারল আহদ।
        দারল আহদ। ঐসকল ভূখণ্ড, যা কাফেরদের দখলভুক্ত তবে তাদের সাথে মুসলিমরা যুদ্ধ না করার চুক্তিতে আবদ্ধ।

        দারুল আমান

        যেসব দেশ মুসলিমদেরকে স্বাধীনভাবে বসবাস করার অনুমতি দেয়, জান মালের নিরাপত্তা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা সহ সকল সুবিধা ভোগ করতে দেয়। এটি মূলত দারুল কুফুরের অন্তর্ভুক্ত।
        ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

        Comment


        • #5
          দারুল বুগাত( বিদ্রোহ এলাকা)
          দারল বুগাত বলা হয়, মুসলিমদের একটি সংঘবদ্ধ দল এক হয়ে কোন ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমীরের আনুগত্য থেকে বের হয়ে বিদ্রোহ করেছে এবং তারা যথেষ্ট শক্তিশালী। মুসলিম দেশের এরকম এলাকাকে দারুল বুগাত বলা হয়।
          ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

          Comment


          • #6
            ভাই! দার মুরাক্কাবাহ আর দারুল আমানের সঙ্গা এক হয়ে গেল না?

            তাছাড়া দারুল হারব হওয়ার জন্য কি সব বাসিন্দা কাফির হওয়া শর্ত? যেমনটা দার মুরাক্কাবার সঙ্গায় লিখলেন।

            একটি দার দারুল কুফর কি দারুল ইসলাম তা আমাদের মাঝে অস্পষ্ট হতে পারে। কিন্তু এদুয়ের বাইরে ৩য় দার কি আছে?

            একটি দার দারুল আমান হোক বা দারুল ফিতান হোক কখনোই তা দারুল ইসলামের তিন প্রকার ও দারুল কুফরের তিন প্রকার মোট ছয় প্রকারের বাইরে যাবে না। আমার ফিকহে ভুল হলে ভাইয়েরা জানাবেন।

            ১:১; দার অর্থ বাড়ি। তবে এটি রাষ্ট্রের অর্থেও ব্যবহৃত হয়। যার আরেকটি নাম দাউলাহ। দার বা দাউলাহ তথা রাষ্ট্র হল ঐ সীমানা বিশিষ্ট ভূখণ্ড, যাতে কোনো রাষ্ট্রশক্তি কর্তৃত্বশীল রয়েছে।

            ১:২; রাষ্ট্রশক্তি হল ঐ শক্তি যা রাষ্ট্রীয় বিষয়াবলী বাস্তবায়নে সক্ষম। আমাদের নিকট রাষ্ট্রীয় বিষয় তাই যাকে ইসলাম রাষ্ট্রীয় বিষয় বলে। যেমন- সীমান্ত সংরক্ষণ, দণ্ডবিধি বাস্তবায়ন ইত্যাদি।

            ১:৩; ব্যক্তি যেভাবে মুসলিম বা কাফির হয়, দারও দারুল ইসলাম কিংবা দারুল কুফর হয়। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ভাবে কুফর তথা ইসলাম বিরোধী বিষয় ও বিধান থেকে বেঁচে থেকে ইসলামের আনুগত্য করলে দারুল ইসলাম গণ্য হবে। যদিও ইসলামী আইন বাস্তবায়নে ত্রুটি হয়। রাষ্ট্রীয় সীমান্ত বিহীন স্থান, যেমন- সমুদ্র দারুল হারব বলে গণ্য।

            ১:৪; দারুল ইসলাম তিন প্রকার। ১) দারুল খলীফাহ। যা খলীফার অধীনে থাকে। যেমন- প্রথম দুই খলীফার অধীনে ছিল। ২) দারুস সুলতান। যা খলীফাহ নয় এমন মুসলিম আমীরের অধীনে থাকে। যেমন- বর্তমান মালি, সোমালিয়া, ইয়ামান ইত্যাদি অঞ্চলের ইমারাহ সমূহ। এর কারন তিনটি। ক) খলীফার দৌর্বল্য। এর ফলে যেমন- সুলতান আয়্যূবীর অধীনে শাম। খ) খলীফার দুরত্ব। এর ফলে যেমন- সুলতানদের অধীনে হিন্দ বা মিন্দানাও। গ) একক খলীফাহ না থাকা। যেমন- আব্বাসী খিলাফতের পতন পরবর্তী ইসলামী সালতানাত সমূহ। উল্লেখ্য, সুলতান হলেন নির্ধারিত ভূমিতে রাষ্ট্রশক্তির অধিকারী। আর খলীফাহ হলেন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মুসলিম উম্মাহর সর্বোচ্চ সুলতান বা শাসক। খলীফা গভর্নর নিয়োগ করলে প্রত্যক্ষ, আর অনুগত সুলতান থাকলে পরোক্ষ। ৩) দারুল বুগাত (বাগী/ বিদ্রোহীর বহুবচন)। যা বিপথগামী মুসলিমদের অধীনে থাকে। যেমন- আইএস/ খারিজী শাসিত ভূমি।

            ১:৫; দারুল কুফর তিন প্রকার। ১) দারুল হারব আসলিয়্যাহ বা মৌলিক ভাবে যুদ্ধযোগ্য দেশ। যা পূর্বে দারুল ইসলাম ছিল না। যেমন- আমেরিকা। এর ভিতরের মুসলিমদের কর্তব্য হল হিজরত কিংবা ইসলামের সহায়তায় অবস্থান। আর বাইরের মুসলিমদের দায়িত্ব হল আগ্রাসন বা ইক্বদাম। ২) দারুল হারব হুক্বমিয়্যাহ বা বিধানগত ভাবে যুদ্ধযোগ্য দেশ। যা পূর্বে দারুল ইসলাম ছিল এখন নেই। যেমন- হিন্দ। এর ভিতরের মুসলিমদের কর্তব্য হল মুক্তিযুদ্ধ বা তাহরীর। আর বাইরের মুসলিমদের দায়িত্ব হল সাহায্য। ৩) দারুল আহদ বা চুক্তিবদ্ধ দেশ। এই দারুল কুফর ঐ দারুল ইসলাম বা মুসলিমদের বিপরীতে, যার/ যাদের সাথে তার চুক্তি হয়েছে। যেমন- হুদাইবিয়ার চুক্তির পর মদীনাবাসীদের জন্য মক্কা। বর্তমানে (চুক্তিকালিন সময়) তালিবানের বিপরীতে আমেরিকা। সুতরাং তৃতীয় পক্ষের জন্য তা দারুল হারব। যেমন- মদীনার বাইরে আবু বাসীর রা. ও তার সঙ্গীদের জন্য মক্কা। আফগানের বাইরে আল কায়েদার জন্য আমেরিকা।

            ১:৬; আহদ বা চুক্তি নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্টকালের জন্য হবে, চিরস্থায়ী হবে না। সুতরাং অনির্দিষ্টকালীণ চুক্তি প্রয়োজনের সময় ভাঙ্গা যাবে। চিরস্থায়ী চুক্তিও সময়ের সাথে ভেঙ্গে যায়। চুক্তি ভাঙ্গতে হলে জানানো আবশ্যক। আর চুক্তি তিন কারণে বৈধ। ১) যুদ্ধে জড়ালে যদি ক্ষতির ও পিছু হটার আশংকা বেশি হয়। ২) প্রস্তুতির জন্য সময়ের প্রয়োজন হলে। ৩) ভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে ব্যস্ত থাকলে।

            ১:৭; ওয়াতন অর্থ বাসভূমি। যার অর্থ মাতৃভূমি বা জন্মভূমিও করা হয়। এর দ্বারা একটি গ্রাম বা শহর থেকে নিয়ে একটি ভৌগোলিক অঞ্চল উদ্দেশ্য হতে পারে। এর অর্থ রাষ্ট্র নয়। একটি রাষ্ট্রে এক থেকে অনেকগুলো ওয়াতন থাকতে পারে। ওয়াতনের প্রতি আকর্ষণ বা ভালবাসা নিজের পছন্দের খাবার বা কাপড়ের উপর আকর্ষণের মতোই। এর কোনো আদর্শিক দিক নেই। এর সাথে রাষ্ট্রের আনুগত্যের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য আদর্শ নয়ত স্বার্থের উপর নির্ভরশীল। দেশ শব্দটি কখনো রাষ্ট্রের অর্থে কখনো ওয়াতনের অর্থে ব্যবহৃত হয়। উভয়ের পার্থক্য বুঝে নেয়া আবশ্যক। ধর্মের প্রয়োজনে উভয়কেই ছাড়তে হয়। যেমন- হিজরত বা মুক্তিযুদ্ধ।

            ১:৮; আদর্শিক জাতীয়তার মূল হল ধর্ম। নাগরিকত্ব ও জাতীয়তা এক নয়। ওয়াতন, ভাষা, বংশ বা রাষ্ট্রকে আদর্শিক জাতীয়তার মুল বানানো কুফর। নৃতাত্ত্বিক বা ভাষাগত জাতীয়তা যদি পরিচয়ের জন্য হয় এবং আদর্শিক জাতীয়তা না বুঝায়, তবে ক্ষতি নেই বরং প্রয়োজন। যথা- وجعلناكم شعوبا وقبائل لتعارفوا

            ১:৯; দারুল আমান বা নিরাপদ দেশ বলতে কখনো দারুল ইসলাম কখনো দারুল আহদ উদ্দেশ্য হয়। আর দারুল ফিতান বলতে কখনো দারুল হারব বা কুফর আবার কখনো দারুল বুগাত উদ্দেশ্য হয়।

            উল্লেখ্য, দারুল কুফর দারুল হারব হয়েছে জিহাদ ফারয হওয়ার পর। তাই হাবশায় হিজরতের সময় মক্কা ও হাবশা দারুল কুফর ছিল, হারবিয়্যাহ নয়। তবে মক্কা দারুল ফিতান আর হাবশা দারুল আমান।

            সংগ্রহে ও সম্পাদনায় সালমান মুসতফী।

            মুখতাসার আসাসুল জিহাদ (সকল পর্ব)।
            সংক্ষেপে জিহাদ সংক্রান্ত নীতিমালা (বাংলা)।
            Last edited by sunni jihaadi; 04-29-2021, 11:37 AM.

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ, সুন্দর আলোচনা।
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment

              Working...
              X